ঢাকা ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ও পরাজিত প্রার্থী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২০ এএম
আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২০ এএম
পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ও পরাজিত প্রার্থী গ্রেপ্তার

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জে ভোটের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার দায়ে পুলিশ বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেছে।

পরে নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ইবনে হুছাইন ভুলু ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতার হোসেন বোরহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল সোমবার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

একটি মামলায় তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের বিজয়ী চেয়ারম্যান ওমর ইবনে হুছাইন ভুলুকে প্রধান ও পরাজিত প্রার্থী আকতার হোসেন বোরহান চৌধুরীকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে। এতে আরও ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৪০০-৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

অপর মামলাতেও ওই দুজনসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৪০০-৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর মডেল থানার ওসি সাইফ উদ্দিন আনোয়ার।

জানা গেছে, গত রবিবার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন সন্ধ্যায় ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আঁধার মানিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আক্তার হোসেন বোরহান চৌধুরীর লোকজন পুলিশ ও আনসার সদস্যদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এতে রামগতি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল আলমের গাড়ির গ্লাস ভেঙে যায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পাঁচ রাউন্ড রাবার বুলেট, চার রাউন্ড গ্যাস সেল এবং দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় সদর থানার এসআই মো. কাউসার বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।

একই সময় ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শহর কসবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স নিয়ে আসার সময় এক পক্ষ পুলিশকে বাধা দেয়। সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সেখান থেকে রাতেই পুলিশ নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ইবনে হুছাইন ভুলু ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতার হোসেন বোরহান চৌধুরীকে আটক করে। এ ঘটনায় ভুলুকে প্রধান আসামি ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বোরহান চৌধুরীসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪০০-৫০০ জনকে বিবাদী করে মামলা করা হয়। মামলার বাদী সদর থানার এসআই জালাল উদ্দিন। ওই মামলায় চেয়ারম্যান ভুলু এবং পরাজিত প্রার্থী বোরহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক হুসাইন ইবনে ভুলু আনারস প্রতীকে ৭ হাজার ৫৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আক্তার হোসেন বোরহান চৌধুরী পেয়েছেন অটোরিকশা প্রতীকে ৬ হাজার ২৩৯ ভোট।

ঝালকাঠিতে কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৭:৪৬ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৭:৪৬ পিএম
ঝালকাঠিতে কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

ঝালকাঠির রাজাপুরে জমি ও পূর্বশত্রুতার জেরে আসিফ রহমান লিয়ন নামে এক কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৭ জুন) ভোররাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। 

গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের কানুদাশকাঠি গ্রামের কাটাখালী বাজারে লিয়নকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষরা। লিয়ন মধ্য চরাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ আলমের ছেলে এবং খুলনা বিএল কলেজে স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

নিহতের বাবা শাহ আলম অভিযোগ করে বলেন, ‘জমি ও পূর্ববিরোধের জেরে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আমার ছেলে লিয়ন ও অনিকের ওপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষ আলম সিকদারের ছেলে সজিব, হাসান, লিখন, চয়নসহ ১০-১৫ জন। হামলাকারীরা অতর্কিতভাবে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে লিয়নের মাথায় ও পেটে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। লিয়নকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়। সেখান থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা লিয়নকে মৃত ঘোষণা করেন।’ 

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা নিহত

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৫:৪৪ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৫:৪৪ পিএম
ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা নিহত
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তদের অতর্কিত ছুরিকাঘাতে মোহাম্মদ সালেক নামে একজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৮ ইস্ট ডি-৭৬ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। 

বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন। নিহত সালেক ক্যাম্প-৮ ইস্ট ডি-৭৬ ব্লকের মো. নুর আলমের ছেলে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন জানান, সকালে মো. সালেক রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-৫০ ব্লক থেকে তার নিজস্ব ব্লকে আসার পথে তিন-চারজন অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত তাকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠালে পথেই সালেকের মৃত্যু হয়। 

ওসি বলেন, ‘লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।’ কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান ওসি।

ব্রহ্মপুত্র নদে ভাসছিল দুইজনের মরদেহ

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৪:১৯ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৪:৫৬ পিএম
ব্রহ্মপুত্র নদে ভাসছিল দুইজনের মরদেহ
ছবি : খবরের কাগজ

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে ভাসমান অবস্থায় দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৮ জুন) উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের গলনার চর ও বাইনকার চর এলাকা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। 

নিহত সোনা মিয়া (৫০) ও ফারুক হোসেন (৪৮) একই উপজেলার কাতলামারি ও দক্ষিণ উদখালি গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ব্রহ্মপুত্র নদে ভাসমান অবস্থায় মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দুইদিন আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন ওই দুই ব্যক্তি। পরে খোজাখুঁজির একপর্যায়ে নদী থেকে মরদেহ উদ্ধারের খবর শুনে স্বজনরা সোনা মিয়া ও ফারুক মিয়ার পরিচয় নিশ্চিত করেন। 

ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিফুজ্জামান বসুনিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।’

রফিক খন্দকার/ইসরাত চৈতী/

মাগুরায় পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত ২

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৪:০৪ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৪:৩৯ পিএম
মাগুরায় পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত ২
ছবি: খবরের কাগজ

মাগুরায় পৃথক দুর্ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। 

শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলার দুটি পৃথক স্থানে দুর্ঘটনায় তারা মারা যান।

নিহতদের মধ্যে কাজল (৬০) মাগুরা সদর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কেশবমোড় এলাকার মৃত গোলামের ছেলে। আর আবু ইছা (৬৫) সদর উপজেলার মঘী ইউনিয়নের বুধইর পাড়া এলাকার মোকলেস বিশ্বাসের ছেলে।
 
হাসপাতাল ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাজল তার বাড়ির একটি আম গাছের ডাল ছাঁটায় করতে গিয়ে নিচে পড়ে যান। এ সময় পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

একই সময় আবু ঈছা বাড়ি তৈরির জন্য ইটবোঝাই নাটা গাড়ি (শ্যালো ইঞ্জিনচালিত এক ধরনের যান) ধাক্কা দিয়ে উঠানোর সময় গাড়িটি পিছনে সরে যায়। এতে নিচে চাপা পড়েন তিনি। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
 
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদী রাসেল জানান, তাদের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

কাশেমুর রহমান/পপি/

চাকরির প্রলোভনে ভারতে পতিতালয়ে বিক্রি, ২ নারী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৩:৩৮ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৩:৩৮ পিএম
চাকরির প্রলোভনে ভারতে পতিতালয়ে বিক্রি, ২ নারী গ্রেপ্তার
আটক দুই নারী। ছবি: খবরের কাগজ

বিভিন্ন পোশাক কারখানার নারী শ্রমিকদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে বেশি বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার করে পতিতালয়ে বিক্রির সঙ্গে জড়িত চক্রের আরও দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

শুক্রবার (২৮ জুন) র‍্যাব ৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. শরীফুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানাধীন জালিয়াপাড়া এলাকার মো. তারেকের স্ত্রী ঝুমু (৩০) ও
বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন বালুচড়া এলাকার বাসিন্দা পারভিন আক্তার (২৫)।

র‍্যাব জানায়, সম্প্রতি সময়ে মানব পাচার চক্রের প্রলোভনে পড়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের পতিতালয়ে বিক্রি হওয়া এক নারী পালিয়ে আসার পর তার লোমহর্ষক বর্ণনায় বেরিয়ে আসে নারী পাচার চক্রের ভয়াবহ সিন্ডিকেটের কথা। ওই নারী গত ২৪ জুন চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে মানব পাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার পর পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়াতদন্ত শুরু করে র‍্যাব। একপর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব জানতে পারে, আসামি ঝুমু ও পারভিন আক্তার চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানাধীন বালুচড়া এলাকার নতুনপাড়া সিএনজি স্টেশনে অবস্থান করছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। 

র‍্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. শরীফুল আলম খবরের কাগজকে বলেন, ‘এই মামলার আরেক আসামি মো. তারেককে গত ২৪ জুন বায়েজিদ বোস্তামী থানা-পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে আমাদের অভিযানে এ চক্রের আরও দুইজন ধরা পড়ে। তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন গার্মেন্টস কারখানার নারী শ্রমিকদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে বেশি বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার করে আসছিল।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘এই সিন্ডিকেট চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি থেকে শুরু করে যশোরের বেনাপোল পর্যন্ত বিস্তৃত। এই মানব পাচার চক্রে বেশ কিছু দালাল জড়িত। সীমান্ত পারাপার করতে সহায়তা করে লাইনম্যান। আইনি পদক্ষেপ নিতে তাদের বায়েজিদ বোস্তামী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’

তারেক মাহমুদ/ইসরাত চৈতী/