ঢাকা ১১ আষাঢ় ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪

ঈদের ছুটিতে চট্টগ্রাম নগরীতে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা

প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৪, ০৬:৩৩ পিএম
আপডেট: ১৫ জুন ২০২৪, ০৬:৩৩ পিএম
ঈদের ছুটিতে চট্টগ্রাম নগরীতে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

ঈদের ছুটিতে ফাঁকা চট্টগ্রাম নগরীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে ফাঁকা থাকবে নগরী। এই সময় অপরাধী চক্রের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে ফাঁকা নগরীতে বাসা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় বেশকিছু নির্দেশনা জারি করেছে সিএমপি।

সিএমপি সূত্র জানিয়েছে, অপরাধ ঠেকাতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ছক তৈরি করেছে পুলিশ। সিএমপি প্রাধান্য দিচ্ছে জনগুরুত্বপূর্ণ ভবন, রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি, ঈদগাহ মাঠ, বিপণিবিতান, মার্কেট, ব্যাংক, এটিএম বুথ এবং বাসাবাড়ির নিরাপত্তা। এই উপলক্ষে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে।

সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, ‘ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে নগর ফাঁকা হয়ে গেছে। নগরবাসীকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। অনেকের বাসাবাড়ি ফাঁকা।’ বাসা ভালোভাবে তালাবদ্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেকের নিজ হেফাজতের কথা বিবেচনা করতে হবে। বাসাবাড়ি ভালো করে তালাবদ্ধ রাখতে হবে। এ ছাড়া পুলিশ সতর্ক রয়েছে।’ 

শনিবার বিকেলে নগরীর কদমতলী, গরীবুল্লাহ শাহ, অলঙ্কার, সাগরিকা ও এ কে খান এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দূরপাল্লার বাস কাউন্টারে যাত্রীদের ভিড়। কাউন্টারে দায়িত্বরত কর্মীরা বলেছেন, ঢাকা-চট্টগ্রামসহ অন্যান্য মহাসড়কে অতিরিক্ত বাস নামানো হয়েছে। তাই এবার পরিবহন সংকট হওয়ার সুযোগ নেই। 

তবে যাত্রীদের অভিযোগ, ঈদ সামনে রেখে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় হচ্ছে। অন্যদিকে বাস মালিকদের দাবি, চট্টগ্রাম থেকে যাত্রী পাওয়া গেলেও ফেরার পথে বাস প্রায় খালি আসছে। আর এটা পুষিয়ে নিতে সামান্য ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। 

এদিকে ঈদ উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিটে প্রথম যাত্রা গত ১২ জুন থেকে শুরু হয়। প্রথম দিনেই রেলস্টেশনে ছিল উপচে পড়া ভিড়। আজও দেখা দেখা গেছে একই চিত্র। 

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঈদে নিয়মিত ট্রেনের পাশাপাশি চার জোড়া স্পেশাল ট্রেন চালু হয়েছে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে ১২টি আন্তনগর ট্রেনে প্রতিদিন ৭ হাজার ৭১৫ জন যাত্রী ঈদে বাড়ি ফিরতে পারবেন। এবার স্পেশালসহ আন্তনগর ট্রেনে করে চট্টগ্রাম থেকে প্রতিদিন ১৪ থেকে ১৫ হাজার যাত্রী ঈদে বাড়ি যেতে পারবেন। তা ছাড়া ঈদ উপলক্ষে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুট, ময়মনসিংহ রুটে ১ জোড়া করে ও চাঁদপুর রুটে ২ জোড়া স্পেশাল ট্রেন চলছে। 

অবহেলায় প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যু, ক্লিনিক ভাঙচুর

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ১২:৩৪ পিএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ১২:৩৪ পিএম
অবহেলায় প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যু, ক্লিনিক ভাঙচুর
ছবি: খবরের কাগজ

যশোর সদর উপজেলার রূপদিয়ায় গ্রামীণ ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি অনিবন্ধিত ক্লিনিকে অবহেলায় সিজারিয়ান অপারেশনের সময় এক প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মৃতের স্বজনরা ক্লিনিকে ভাঙচুর চালিয়েছে। 

সোমবার (২৪ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। 

মৃতের স্বজনরা জানান, সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে যশোর সদর উপজেলার আন্দুলিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী লিমা খাতুনের প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। এ সময় এক ধাত্রীর পরামর্শে তাকে রূপদিয়া বাজারের গ্রামীণ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেওয়া হয়। 

এরপর তাকে কোনো প্রকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া ও রক্তের ব্যবস্থা না করেই সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। অপারেশনের সময় প্রসূতি মারা গেলে কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে রক্তস্বল্পতার কারণে জ্ঞান ফিরছে না জানিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে খুলনায় নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান, রোগী অনেক আগেই মারা গেছেন। 

মারা যাওয়ার সংবাদে স্বজনরা ক্লিনিকে গিয়ে তালা ঝোলানো দেখতে পায়। পরে দুপুর ১টার দিকে নবজাতক ছেলেসন্তানটি মারা গেলে স্বজনরা ওই ক্লিনিকে ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ ক্লিনিকের দালালচক্রের সদস্য নরেন্দ্রপুর গ্রামের এক নারী ১২০০ টাকার বিনিময়ে রিমা বেগমকে সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কৌশলে ওই ক্লিনিকে ভর্তি করে। পরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সিজারিয়ান অপারেশন করেন ওই ক্লিনিকের চিকিৎসক নুরছালী তুলি। 

রিমা বেগমের স্বামী রফিকুল ইসলাম খবরের কাগজকে জানান, ভুল চিকিৎসার কারণে রিমা খাতুন সিজার করার সময় মারা গেছেন। সিজারিয়ান অপারেশনের পরে রিমা বেগম বেঁচে আছে বলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ভুল বুঝিয়ে ক্লিনিকে তালা মেরে দেয় এবং খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করে। পরবর্তী সময়ে সেখানে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক বলেন, রিমা অনেক আগেই মারা গেছেন। আর দুপুরে নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। 

স্থানীয় নরেন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মিহির মণ্ডল বলেন, ‘প্রসূতির মৃত্যুর পর স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের লোকজন গ্রামীণ ক্লিনিক ঘেরাও করে। এ সময় ক্লিনিকের লোকজন তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়। পরে নবজাতকের মৃত্যুর খবর পেলে একপর্যায়ে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর করে। পরে পুলিশের একটি টিম নিয়ে আমরা সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি।’

তিনি বলেন, পরিবার যেহেতু ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ করছে সেহেতু লাশ উদ্ধার করে আমরা ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি।

যশোরের ডেপুটি সিভিল সার্জন নাজমুস সাদিক রাসেল জানান, বিষয়টি জেনে ওই ক্লিনিক পরিদর্শন শেষে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। 

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, গ্রামীণ ক্লিনিকের নিবন্ধন নেই। নিবন্ধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করা আছে। 

এইচআর তুহিন/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

চট্টগ্রামে অনুমোদনহীন ৭টি দোকান উচ্ছেদ

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ১১:৩৫ এএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ১১:৩৫ এএম
চট্টগ্রামে অনুমোদনহীন ৭টি দোকান উচ্ছেদ
ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ এলাকায় অনুমোদনহীন সাতটি দোকান উচ্ছেদ করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সোমবার (২৪ জুন) বিকালে নগরের আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকায় অভিযানটি পরিচালিত হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা আফরোজ চৌধুরী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অথরাইজড অফিসার-২ তানজিব হোসেন, সহকারী অথরাইজড অফিসার মো. হামিদুল হক, ইমারত পরিদর্শক এএসএম মিজান, মোহাম্মদ আবু জাফর ইকবাল ও গৌরাঙ্গ চন্দ্র পাল।

জানা গেছে, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার রোড নং-২৭, প্লট নং-৪৯ এ নির্মাণাধীন ভবনের নীচ তলায় কোনো অনুমতি ছাড়াই সাতটি দোকান নির্মাণ করা হয়। বিষয়টি জানতে পেরে অভিযান চালিয়ে দোকানগুলো উচ্ছেদ করা হয়।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অথরাইজড অফিসার-২ তানজিব হোসেন খবরের কাগজকে বলেন, ‘ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ব্যত্যয় করে নির্মিত ও নির্মাণাধীন ভবনের বিরুদ্ধে মোবাইলকোর্ট পরিচালনার জন্য চউক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছের নির্দেশনা রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় অভিযান চালিয়ে সাতটি দোকান উচ্ছেদ করা হয়। পাশাপাশি আবাসিক প্লটে অন্যান্য দোকান মালিক ও প্লটের মালিকদেরকে অতি শিগগিরই দোকানের কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।’

ইফতেখারুল/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

রেলওয়ের ২ নিরাপত্তাকর্মীর মাদক সেবনের ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ১০:৪৭ এএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ১০:৫৩ এএম
রেলওয়ের ২ নিরাপত্তাকর্মীর মাদক সেবনের ভিডিও ভাইরাল
সাদ্দাম হোসেন ও শাহিনুর রহমান

রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্যের দপ্তরে বসেই মাদক সেবনের ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওগুলোতে যাদের দেখা যায় তারা হলেন- রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে আরবিআর শাখার নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত সিপাহী সাদ্দাম হোসেন ও শাহিনুর রহমান।

প্রথম একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা কাগজের ওপর মেঝেতে সারিবদ্ধভাবে বেশ কয়েকটি ইয়াবা সেবনের জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এর কিছু দূরে সাদ্দাম হোসেন ইয়াবা সেবন করছে। পাশের আরেকটি চেয়ারে বসে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন সিপাহী শাহিনুর রহমান। কথা বলা শেষে দুজনই একসঙ্গে মাদকআড্ডায় মেতে উঠেন। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে তাদের এমন মাদক সেবন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরএনবি শাখার নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য জানান, সাদ্দাম ও শাহিনুর নিয়মিত মাদক সেবন করেন। প্রায় সময়ই তারা রেলওয়ে ভবনের বিভিন্ন রুমে রাতে মাদকের আড্ডা বসান। এতে বহিরাগতরাও অংশ নেন। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় প্রতিনিয়ত এমন বেপরোয়া কর্মকাণ্ড চালালেও ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারে না।

ভিডিওসহ নানা অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শাহিনুর রহমানের সঙ্গে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে নিউজ না করার জন্য প্রতিবেদককে ম্যানেজের চেষ্টা চালান।

তবে অপর অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে মোবাইলফোন যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে রাজশাহী রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল (আরএনবি) শাখার প্রধান কমান্ডার আসহাবুল ইসলাম বলেন, 'যদি এমন ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীভাবে ব্যবস্থা নিয়ে সাসপেন্ড করা হবে। এমন কর্মকাণ্ডে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।'

এনায়েত করিম/জোবাইদা/অমিয়/

হালদায় নিষিদ্ধ জালসহ আটক ২

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ১০:৩৭ এএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ১২:৩৩ পিএম
হালদায় নিষিদ্ধ জালসহ আটক ২
ছবি: খবরের কাগজ

ফটিকছড়ির জাফতনগর ইউনিয়নের ফতেহপুরের হালদা নদীর শাখা নদী তেলপাড়ই খাল থেকে নিষিদ্ধ গাড়া জালসহ দুই ব্যক্তিকে আটক করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ১৮৫ মিটার গাড়া জাল জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রবিবার (২৩ জুন) রাতে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে জরিমানা করা হয়।

জানা যায়, সরকারি আদেশ না মেনে তেলপাড়ই খালে গাড়া জাল ব্যবহার করে প্রজনন মৌসুমে মাছ ও মাছের পোনা আহরণের অপরাধে হাবিবুর রহমান ও নুরুল আবছার নামে দুইজনকে আটক করা হয়। এ সময় জব্দ করা হয় প্রায় ১৮৫ মিটার জাল। পরে তাদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। 

অভিযানের সময় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম ও জাফতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন সঙ্গে ছিলেন।  

আবদুস সাত্তার/পপি/অমিয়/

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে স্থায়ী ট্রেন চালুর দাবি ক্যাবের

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ১০:২৭ এএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ১২:১৩ পিএম
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে স্থায়ী ট্রেন চালুর দাবি ক্যাবের

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে বিশেষ ট্রেন নয়, স্থায়ী ট্রেন চালুর দাবি জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও নগর কমিটি।

সোমবার (২৪ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান তারা।

বিবৃতিতে ক্যাব নেতারা বলেন, ঢাকার যাত্রীদের কক্সবাজারে যাওয়ার জন্য রেল কর্তৃপক্ষ পৃথক ট্রেন চালু করলেও চট্টগ্রামের যাত্রীদের স্বার্থ উপেক্ষা করে চট্টগ্রাম থেকে খুবই সামান্যসংখ্যক যাত্রী নেওয়ার ব্যবস্থা করছেন। অন্যদিকে ঈদ উপলক্ষে কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন চালু করা হলেও তা সাময়িক। যা এ অঞ্চলের সাধারণ জনগণের সঙ্গে তামাশার শামিল।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে যদি আন্তঃনগর ট্রেন কক্সবাজার স্পেশাল ও পর্যটন এক্সপ্রেস চলাচল করতে পারে, সেক্ষেত্রে এই রুটে পৃথক ট্রেন চালুতে বাধা কোথায়- তা জাতিকে জানানো দরকার।

তারা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিশাল চ্যালেঞ্জ নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ হওয়ার কারণে দেশের অন্যান্য স্থানের পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মানুষও কৃতজ্ঞ। কিন্তু চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে পৃথক ট্রেন না থাকায় ও বিশেষ ট্রেন চলাচল সাময়িক হওয়ার কারণে এ অঞ্চলের জনগণ হতাশ। যেখানে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর কথা, সেখানে ঘটছে এর বিপরীত।

ক্ষোভ প্রকাশ করে ক্যাব নেতারা বলেন, ‘বর্তমান সরকার প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেলপথ সম্প্রসারণ করে। গত বছরের ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নির্মিত ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রেললাইনের উদ্বোধন করেন। ওই বছরের ১ ডিসেম্বর একটি এবং চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি থেকে আরেকটিসহ ঢাকা থেকে দুটি আন্তঃনগর ট্রেন চালু করেন। এই দুটি ট্রেনে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে যাতায়াতের জন্য মাত্র ১১৫টি করে আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে।’

এ বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগের প্রেসিডেন্ট নাজের হোসাইন খবরের কাগজকে বলেন, ‘ঢাকা থেকে দুটি ট্রেন চলাচল করলেও এই অঞ্চলের লোকজন ট্রেনে যাতায়াতের সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার রেলপথে দুটি আন্তঃনগর ট্রেনে চট্টগ্রামের যাত্রীদের মাত্র একটি এসি ও একটি নন এসি দুটি কোচ বরাদ্দ রাখা হলেও যাত্রীদের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। তাই ঈদ উপলক্ষে চালু হওয়া চট্টগ্রাম-কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনটি এই রুটে স্থায়ী ট্রেনে পরিণত করা হলে যাত্রীদের প্রতি সুবিচার করা হবে।’

আবদুস সাত্তার/ইসরাত চৈতী/অমিয়/