দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল ইসলামকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একই দলের নারী কর্মীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন শারীরিক সম্পর্ক করার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২৪ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সালাউদ্দিন পিয়াস।
ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেত্রী জানান, দুই বছর আগে যশোর সরকারি এম এম কলেজের বাংলা বিভাগে পড়ার সময় একই কলেজের ভূগোল বিভাগের ছাত্র ও জেলা ছাত্রলীগ নেতা তরিকুল ইসলামের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। এরপর আস্তে আস্তে তা প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। একে অপরকে দেন বিয়ের প্রতিশ্রুতি। সম্পর্ক গভীর হলে তারা একসঙ্গে থাকা শুরু করেন। তরিকুল তার ভাড়া বাসায় স্ত্রী পরিচয়ে ওই নেত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়েন। তবে সম্প্রতি মেয়েটি বিয়ের কথা বললে সম্পর্ক অস্বীকার করে তাকে খুনের ভয় দেখাচ্ছেন তরিকুল। এমনকি অন্যত্র বিয়ের জন্য পারিবারিকভাবে মেয়ে দেখছে তরিকুলের পরিবার।
ওই ছাত্রলীগ নেত্রী বলেন, ‘আমি তরিকুলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় ও জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদকের কাছে অভিযোগ করেছি। এরপরেও বিচার না পেলে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘তরিকুল আমার জীবনটাকে তছনছ করে দিয়েছে। এখন বিয়ে করতে অস্বীকার করছে।’
এদিকে ওই নেত্রীর সঙ্গে একান্তে কাটানো মুহূর্তের বেশ কয়েকটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
যশোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন পিয়াস বলেন, ‘তরিকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর সোমবার দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।