ঢাকা ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

পুলিশ দেখেই পিকআপ ফেলে দৌড়, মিলল ২৫ বস্তা চোরাই চিনি

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৮:৫০ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ০৯:২৬ পিএম
পুলিশ দেখেই পিকআপ ফেলে দৌড়, মিলল ২৫ বস্তা চোরাই চিনি
ডিবি পুলিশ দেখে এই পিকআপ ফেলে দৌড়ে পালায় চালক। ছবি : খবরের কাগজ

ভোরে একটি পিকআপ ভ্যান দ্রুত সিলেট নগরীর দিকে আসছিল। পথে ডিবি পুলিশের টহল দেখে দূরে থেমে গেল পিকআপ। ডিবি পুলিশ রওনা করতেই পিকআপ ফেলে দৌড়ে পালায় চালক। ফেলে যাওয়া ওই পিকআপ থেকে ডিবি পুলিশ ২৫ বস্তা ভারতীয় চোরাই চিনি উদ্ধার করে। 

সোমবার (২৪ জুন) ভোর ৫টার দিকে সিলেট নগরীর শাহপরাণ থানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এদিন সন্ধ্যায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া সেল সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। 

এর আগে গতকাল রবিবার রাতে এসএমপির এয়ারপোর্ট থানা-পুলিশ চোরাই চিনির লাইনে টহল দিয়ে ফেনসিডিলসহ দুজনকে আটক করা হয়। চোরাই চিনির পথে মাদকও আসছে বলে ওই এলাকায় পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

পিকআপ থেকে চিনি জব্দ করার ঘটনায় এসএমপি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, পিকআপ ভ্যান থেকে জব্দ হওয়া ২৫ বস্তা ভারতীয় চিনির মূল্য আনুমানিক দেড় লাখ টাকা। ব্যবহৃত মিনি পিকআপ জব্দ করে অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামির বিরুদ্ধে এসএমপি শাহপরাণ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। 

অন্যদিকে চোরাই চিনির পথে টহল দেওয়ার সময় এসএমপি ডিবির অভিযানে ১০ বোতল ফেনসিডিলসহ দুই যুবককে আটক করা হয়েছে। 

এসএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (ডিবি) শাহরিয়ার আল মামুন ও এসআই মিল্টন রায়ের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের দল রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এয়ারপোর্ট থানাধীন খাদিমনগর ইউনিয়নের সালুটিকর-কোম্পানীগঞ্জ রোডে চোরাই চিনি পরিবহনে নজরদারি চালায়। 

এ সময় একটি রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে আটক করা হলে জহির উদ্দিন (২৫) ও ফয়সাল আমিন (১৮) নামের দুই বাহকের কাছ থেকে ১০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। 

এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ননু মিয়া খবরের কাগজকে জানান, এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা দায়ের করে আটক দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

ঝালকাঠিতে কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৭:৪৬ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৭:৪৬ পিএম
ঝালকাঠিতে কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

ঝালকাঠির রাজাপুরে জমি ও পূর্বশত্রুতার জেরে আসিফ রহমান লিয়ন নামে এক কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৭ জুন) ভোররাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। 

গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের কানুদাশকাঠি গ্রামের কাটাখালী বাজারে লিয়নকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষরা। লিয়ন মধ্য চরাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ আলমের ছেলে এবং খুলনা বিএল কলেজে স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

নিহতের বাবা শাহ আলম অভিযোগ করে বলেন, ‘জমি ও পূর্ববিরোধের জেরে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আমার ছেলে লিয়ন ও অনিকের ওপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষ আলম সিকদারের ছেলে সজিব, হাসান, লিখন, চয়নসহ ১০-১৫ জন। হামলাকারীরা অতর্কিতভাবে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে লিয়নের মাথায় ও পেটে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। লিয়নকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়। সেখান থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা লিয়নকে মৃত ঘোষণা করেন।’ 

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা নিহত

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৫:৪৪ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৫:৪৪ পিএম
ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা নিহত
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তদের অতর্কিত ছুরিকাঘাতে মোহাম্মদ সালেক নামে একজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৮ ইস্ট ডি-৭৬ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। 

বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন। নিহত সালেক ক্যাম্প-৮ ইস্ট ডি-৭৬ ব্লকের মো. নুর আলমের ছেলে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন জানান, সকালে মো. সালেক রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-৫০ ব্লক থেকে তার নিজস্ব ব্লকে আসার পথে তিন-চারজন অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত তাকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠালে পথেই সালেকের মৃত্যু হয়। 

ওসি বলেন, ‘লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।’ কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান ওসি।

ব্রহ্মপুত্র নদে ভাসছিল দুইজনের মরদেহ

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৪:১৯ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৪:৫৬ পিএম
ব্রহ্মপুত্র নদে ভাসছিল দুইজনের মরদেহ
ছবি : খবরের কাগজ

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে ভাসমান অবস্থায় দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৮ জুন) উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের গলনার চর ও বাইনকার চর এলাকা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। 

নিহত সোনা মিয়া (৫০) ও ফারুক হোসেন (৪৮) একই উপজেলার কাতলামারি ও দক্ষিণ উদখালি গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ব্রহ্মপুত্র নদে ভাসমান অবস্থায় মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দুইদিন আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন ওই দুই ব্যক্তি। পরে খোজাখুঁজির একপর্যায়ে নদী থেকে মরদেহ উদ্ধারের খবর শুনে স্বজনরা সোনা মিয়া ও ফারুক মিয়ার পরিচয় নিশ্চিত করেন। 

ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিফুজ্জামান বসুনিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।’

রফিক খন্দকার/ইসরাত চৈতী/

মাগুরায় পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত ২

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৪:০৪ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৪:৩৯ পিএম
মাগুরায় পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত ২
ছবি: খবরের কাগজ

মাগুরায় পৃথক দুর্ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। 

শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলার দুটি পৃথক স্থানে দুর্ঘটনায় তারা মারা যান।

নিহতদের মধ্যে কাজল (৬০) মাগুরা সদর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কেশবমোড় এলাকার মৃত গোলামের ছেলে। আর আবু ইছা (৬৫) সদর উপজেলার মঘী ইউনিয়নের বুধইর পাড়া এলাকার মোকলেস বিশ্বাসের ছেলে।
 
হাসপাতাল ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাজল তার বাড়ির একটি আম গাছের ডাল ছাঁটায় করতে গিয়ে নিচে পড়ে যান। এ সময় পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

একই সময় আবু ঈছা বাড়ি তৈরির জন্য ইটবোঝাই নাটা গাড়ি (শ্যালো ইঞ্জিনচালিত এক ধরনের যান) ধাক্কা দিয়ে উঠানোর সময় গাড়িটি পিছনে সরে যায়। এতে নিচে চাপা পড়েন তিনি। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
 
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদী রাসেল জানান, তাদের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

কাশেমুর রহমান/পপি/

চাকরির প্রলোভনে ভারতে পতিতালয়ে বিক্রি, ২ নারী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৩:৩৮ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৩:৩৮ পিএম
চাকরির প্রলোভনে ভারতে পতিতালয়ে বিক্রি, ২ নারী গ্রেপ্তার
আটক দুই নারী। ছবি: খবরের কাগজ

বিভিন্ন পোশাক কারখানার নারী শ্রমিকদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে বেশি বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার করে পতিতালয়ে বিক্রির সঙ্গে জড়িত চক্রের আরও দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

শুক্রবার (২৮ জুন) র‍্যাব ৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. শরীফুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানাধীন জালিয়াপাড়া এলাকার মো. তারেকের স্ত্রী ঝুমু (৩০) ও
বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন বালুচড়া এলাকার বাসিন্দা পারভিন আক্তার (২৫)।

র‍্যাব জানায়, সম্প্রতি সময়ে মানব পাচার চক্রের প্রলোভনে পড়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের পতিতালয়ে বিক্রি হওয়া এক নারী পালিয়ে আসার পর তার লোমহর্ষক বর্ণনায় বেরিয়ে আসে নারী পাচার চক্রের ভয়াবহ সিন্ডিকেটের কথা। ওই নারী গত ২৪ জুন চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে মানব পাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার পর পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়াতদন্ত শুরু করে র‍্যাব। একপর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব জানতে পারে, আসামি ঝুমু ও পারভিন আক্তার চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানাধীন বালুচড়া এলাকার নতুনপাড়া সিএনজি স্টেশনে অবস্থান করছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। 

র‍্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. শরীফুল আলম খবরের কাগজকে বলেন, ‘এই মামলার আরেক আসামি মো. তারেককে গত ২৪ জুন বায়েজিদ বোস্তামী থানা-পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে আমাদের অভিযানে এ চক্রের আরও দুইজন ধরা পড়ে। তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন গার্মেন্টস কারখানার নারী শ্রমিকদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে বেশি বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার করে আসছিল।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘এই সিন্ডিকেট চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি থেকে শুরু করে যশোরের বেনাপোল পর্যন্ত বিস্তৃত। এই মানব পাচার চক্রে বেশ কিছু দালাল জড়িত। সীমান্ত পারাপার করতে সহায়তা করে লাইনম্যান। আইনি পদক্ষেপ নিতে তাদের বায়েজিদ বোস্তামী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’

তারেক মাহমুদ/ইসরাত চৈতী/