সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করেছে কয়েকটি গ্রামের মুসল্লিরা। দেশের প্রচলিত নিয়মানুসারে এলাকায় একদিন আগেই ঈদ উদযাপন করায় স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
রবিরার (১৬ জুন) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জেলার সহিহ হাদিস সম্প্রদায়ের মুসল্লিরা উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের তালুক ঘোড়াবান্দা গ্রামের মধ্যপাড়ার আহলে হাদিস জামে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন। ঈদের নামাজে ইমামতি ও খুৎবা পাঠ করেন হাফেজ মশিউর রহমান।
সকাল থেকেই সদর উপজেলা, পলাশবাড়ী ও সাদুল্লাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘোড়াবান্ধা মধ্যপাড়ায় জড়ো হতে থাকেন মুসল্লিরা। বৃষ্টির কারণে তারা মসজিদের ভেতরে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন।
ঈদের জামাতে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা শিশুসহ ২৫-৩০জন মুসল্লি ঈদের নামাজে অংশ নেন। নামাজ শেষে মুসুল্লিরা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন। নামাজ শেষে তারা পশু কুরবানি দেন।
নামাজে আসা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের রুঘুনাথপুর গ্রামের সাদেকুল ইসলাম (৪৫) একই ইউপির দুর্গাপুর গ্রামের আব্বাস আলী আকন্দ (২৩) বলেন, ‘সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ পড়তেই আজ সকালে বৃষ্টি উপেক্ষা করে এখানে আসছি। সবাই মিলে ঈদুল আজহার আদায় করলাম। এভাবেই ৯ বছর ধরে ঈদ ও কোরবানি করে আসছি।’
পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের রেজওয়ান আকন্দ (২৫) বলেন, ‘দীর্ঘ ৯ বছর ধরে আমার গ্রামে আমি ও আমার পরিবার মিলে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে নামাজ আদায় করি।’
একই উপজেলার তালুক ঘোড়াবান্ধা গ্রামের শাহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের গ্রামের ৮-১০টি পরিবার মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করে আসছি। তবে আগামীকাল কোরবানি করব।’
পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম মোকছেদ চৌধুরী জানান, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দীর্ঘদিন থেকে তারা ঈদ উদযাপন করে আসছে।
এদিকে, একদিন আগে ঈদুল আজহা উদযাপন করতে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
রফিক খন্দকার/অমিয়/