ঢাকা ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশ ও জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেন: কাদের

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৩:৫১ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ০৩:৫৩ পিএম
বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশ ও জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেন: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সবসময় দেশ ও জনগণের মর্যাদা ও স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে সরকার পরিচালনা করেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (২৪ জুন) প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নিয়মমাফিক অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদমাধ্যমে এ বিবৃতি পাঠানো হয়।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সর্বদা দেশ ও জনগণের মর্যাদা ও স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে সরকার পরিচালনা করেন। রাষ্ট্র পরিচালনার অভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্র যে কোনো গীতিতে তার প্রধান বিবেচ্য দেশের জনগণের স্বার্থ ও নিরাপত্তা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরও এর ব্যতিক্রম নয়। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর ছিল অত্যন্ত চমৎকার, ফলপ্রসূ ও আন্তরিকতাপূর্ণ। 

তিনি বলেন, এই সফরে দুই দেশের সম্পর্কের অগ্রগতি ও অর্জনগুলো স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। যেখানে ১০টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে এবং ১৩টি সুনির্দিষ্ট ঘোষণা এসেছে। 

বিবৃতিতে ওবায়দুল কদের বলেন, বিএনপি ও মির্জা ফখরুলরা কখনো বর্তমান সরকারের কোনো সফলতা দেখে না। ভারত বাংলাদেশের বৃহৎ প্রতিবেশি রাষ্ট্র। বাংলাদেশের স্বার্থে ভারতের সঙ্গে কৌশলগতভাবে সম্পর্ককে জোরদার করতে হবে। শেখ হাসিনা এই সফরে তারই প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। 

বিএনপির শাসনামলে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে এক ধরনের অনাস্থা ও অবিশ্বাসের সৃষ্টি হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই আস্থা পুনরায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। যার ফলে বাংলাদেশি রোগীদের জন্য ভারতের ই-মেডিকেল ভিসা চালুর সিদ্ধান্তে দুই দেশ ঐক্যমত হয়েছে। এতে বাংলাদেশের জনগণের ভোগান্তি কমবে। এছাড়া নতুন নতুন রুটে বাস-ট্রেন চালু এবং নতুন উপ-হাইকমিশন খোলার ঘোষণা দুই দেশের মানুষে-মানুষের সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে। 

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, তিস্তায় পানি বণ্টন ছিল এই সফরের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে ভারতের কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকারের মধ্যে মতদ্বৈততা রয়েছে। এই সমস্যা থাকার পরও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সুস্পষ্টভাবে তিস্তার পানি সংরক্ষণ প্রকল্প বিষয়ে কারিগরি সহায়তা দল পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন। 

বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের মুখে দেশের স্বার্থ নিয়ে কথা বড্ড বেমানান। তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ভারত সফরে গিয়ে গঙ্গার পানি চুক্তির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে ভুলে গিয়েছিল। অথচ শেখ হাসিনা সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেই ৩০ বছর মেয়াদী গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি সম্পন্ন করেন। এবারের সফরে এই চুক্তি নবায়নের বিষয়টিও উঠে এসেছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের আমলে ভারত দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ দখল করে নিয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে দুই দেশের সীমানা জটিলতা নিরসনে সীমান্ত ও ছিটমহল বিনিময় চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি ভারত ও মায়ানমারের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পরিসরে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। 

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির সময় ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহায়তা দিতে দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালনের ঘটনা ঘটেছিল এবং ভারতীয় সন্ত্রাসীগোষ্ঠীকে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়ায় দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কে অনাস্থা দেখা দিয়েছিল। বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশব্যাকের মতো ঘটনা ঘটেছিল। বিএনপি তো সেই দল যারা ভারতের নির্বাচনে বিজেপির জয়লাভের পর ভারতীয় দূতাবাসের দরজা খোলার আগেই অভিনন্দন জানাতে মিষ্টি ও ফুল নিয়ে হাজির হয়েছিল। পরিতাপের বিষয় যে, তারাই আজ বাংলাদেশে ভারতবর্জন ও ভারতবিদ্বেষী রাজনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে। এটা তাদের চিরাচরিত দ্বিচারিতা ছাড়া আর কিছু নয়। 

সেতুমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরে তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনাই একমাত্র সরকারপ্রধান, যিনি যে কোনো দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক দরকষাকষি করে বাংলাদেশের জনগণের মর্যাদাপূর্ণ স্বার্থ সুরক্ষিত করেছেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের ভারতসহ অন্যান্য রাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাজমান অমীমাংসিত দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলোর শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

অমিয়/

ছাত্রদলের কমিটি গঠনে অনিয়ম, পদবঞ্চিতদের স্মারকলিপি

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৪, ১০:৪৮ পিএম
আপডেট: ২৭ জুন ২০২৪, ১০:৪৮ পিএম
ছাত্রদলের কমিটি গঠনে অনিয়ম, পদবঞ্চিতদের স্মারকলিপি
ছবি: সংগৃহীত

ত্যাগী ও পরীক্ষিতদের বাদ দিয়ে ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হয়েছে, অভিযোগ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে স্মারকলিপি দিয়েছেন সংগঠনটির শতাধিক পদবঞ্চিত নেতা-কর্মী। 

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুর ১২টায় ছাত্রদলের শতাধিক পদবঞ্চিত নেতা রাজধানীর ৭১ হোটেলের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। পরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বরাবর স্মারকলিপি জমা দেন।

এতে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের কমিটিতে অনিয়মের অভিযোগ করা হয়। ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন এবং বিতর্কিতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। কমিটিতে পদ পাওয়া অভিযুক্তদের তালিকা ও বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নিষ্ক্রিয়দের তালিকা যুক্ত করা হয়।

সবুজ/এমএ/

সমাবেশে পুলিশ প্রশাসন সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে: এ্যানি

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৪, ০৮:৩৫ পিএম
আপডেট: ২৭ জুন ২০২৪, ০৮:৩৫ পিএম
সমাবেশে পুলিশ প্রশাসন সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে: এ্যানি
সমাবেশের বিষয়ে কথা বলছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি

আগামী শনিবার (২৯ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে পুলিশ প্রশাসন সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। 

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সমাবেশের বিষয় জানাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)-তে যান দলের নেতারা। 

প্রায় আধা ঘণ্টা বৈঠকের পর এ্যানি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ডিএমপির কমিশনারের সঙ্গে আমাদের একটা অ্যাপয়েনমেন্ট ছিল। উনি মিটিংয়ে ছিলেন। উনার পক্ষ থেকে অ্যাডিশনাল কমিশনার হাফিজ সাহেবের সঙ্গে কথা বলেছি, দেখা করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ২৯ জুন শনিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সমাবেশের আয়োজন করা হবে। এ জন্য আমরা ডিএমপি কমিশনারের কাছে চিঠি নিয়ে যাই। প্রশাসন আমাদের সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।’

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৪, ০৮:১২ পিএম
আপডেট: ২৭ জুন ২০২৪, ০৮:১২ পিএম
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল
ফাইল ছবি

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তাকে সিসিইউর সুযোগ-সুবিধাসংবলিত কেবিনে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা। 

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। তার শারীরিক অবস্থার আগের চাইতে উন্নতি কিংবা অবনতি হয়নি। তিনি আগের মতোই আছেন।’ 

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া হৃদযন্ত্রের জটিলতা ছাড়াও ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, ফুসফুস, লিভার, কিডনিসংক্রান্ত বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়ে ঢাকার গুলশানের বাসায় ছিলেন। সেখানে বেশি অসুস্থ হলে গত শুক্রবার রাতে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। গত রবিবার তার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়।

খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবি ৬১০ কৃষিবিদের

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৪, ০৫:০০ পিএম
আপডেট: ২৭ জুন ২০২৪, ০৫:০০ পিএম
খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবি ৬১০ কৃষিবিদের
খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে তাকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত ও যথাযথ সুচিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ৬১০ জন কৃষিবিদ। 

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এই বিবৃতি দেন তারা। 

৬১০ জন কৃষিবিদদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় কৃষিবিদ নেতা, সিনিয়র কৃষিবিদ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কৃষি, মৎস্য, পশুচিকিৎসা, পশুপালন, কৃষি অর্থনীতি ও কৃষি প্রকৌশলীরা। তাদের পক্ষে বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এ্যাব)-এর আহ্বায়ক কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুন ও সদস্য সচিব কৃষিবিদ অধ্যাপক ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান। 

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘খালেদা জিয়া বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্ট ও পরামর্শ অনুযায়ী তাকে সুস্থ করে তুলতে হলে যে ধরনের চিকিৎসা ও যন্ত্রপাতি দরকার তা দেশে নেই। মেডিকেল বোর্ড বলেছে, দেশে চিকিৎসা দেওয়ার মতো আর কিছু বাকি নেই।’ 

যৌথ বিবৃতিতে কৃষিবিদ নেতারা বলেন, ‘সরকারের উচিত হবে রাজনীতি ও সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে গিয়ে মানবিক দিক বিবেচনা করে বিদেশে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার সুযোগ করে দেওয়া।’

তারা বলেন, ‘খালেদা জিয়া কার্যত ২০১৮ সালে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় কারাগারে যাওয়ার পর থেকেই চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। তিনি আগে থেকেই অনেকগুলো জটিল রোগে ভুগছিলেন। কোভিড পরবর্তী শারীরিক জটিলতা আরও প্রকট আকার ধারণ করায় তার বর্তমান অবস্থা আরও ঝুঁকিপূর্ণ ও জটিল হওয়ায় বিদেশে উন্নত চিকিৎসা অতীব জরুরি, যা প্রতিটি নাগরিকের মানবিক অধিকার।’

বিবৃতিতে স্বাক্ষর দেওয়া কৃষিবিদদের মধ্যে অন্যতম হলেন- কৃষিবিদ মো. ইবরাহিম খলিল (সাবেক মহাপরিচালক-ডিএই ও সাবেক সভাপতি-কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন), কৃষিবিদ আনোয়ারুন্নবী মজুমদার বাবলা (সাবেক মহাসচিব কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন), কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামিম (সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন), কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, কৃষিবিদ মুখলেছুর রহমান (সাবেক চেয়ারম্যান, বিএডিসি), সাবেক ভাইস চ্যান্সেলরদের মধ্যে কৃষিবিদ ড. মোশাররফ হোসাইন মিঞা, কৃষিবিদ ড. মো. আব্দুল হালিম খান, কৃষিবিদ ম. মুস্তাফিজুর রহমান, কৃষিবিদ ড. এ. এম. ফারুক, কৃষিবিদ চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল ফারুক প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সালমান/

এক বছরে আ. লীগের আয় বেড়েছে ২৭ কোটি

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৪, ০২:৪৮ পিএম
আপডেট: ২৭ জুন ২০২৪, ০২:৫৩ পিএম
এক বছরে আ. লীগের আয় বেড়েছে ২৭ কোটি
আওয়ামী লীগ

নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। তাতে দেখা গেছে, বিগত এক বছরে দলটির আয় বেড়েছে ২৭ কোটি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। যা আগের বছরের তুলনায় ১৬ কোটি ৪৩ লাখ ৯ হাজার ২৩২ টাকা বেশি।

একই বছরে দলটি ব্যয়ও বেড়েছে। আগের চেয়ে যা দুই কোটি ৫১ হাজার ৪২১ টাকা বেশি।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে সংস্থাটির সচিব শফিউল আজিমের কাছে আয় ব্যয়ের হিসেব জমা দেন দলটির একটি প্রতিনিধিদল। 

পরে দলটির কোষাধ্যক্ষ এইচ এম আশিকুর রহমান সাংবাদিকের বলেন, বিধি মোতাবেক প্রতিবছর হিসাব বিবরণী দাখিল করতে হয়। এ বিবরণী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে দিতে হয়। আমরা আগেই দিলাম।

আশিকুর রহমান বলেন, ২০২৩ সালে জানুয়ারি মাসে ব্যাংকে আওয়ামী লীগের ৭৩ কোটি ২৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকা জমা ছিল। এ বছর আয় হয়েছে ২৭ কোটি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে সদস্যদের মাসিক চাঁদার পরিমাণ এক কোটি ৬৩ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। অনুদান (মেঘনা ব্যাংক পিএলসি) এক কোটি এক লাখ টাকা। নমিনেশন ফরম বিক্রি (তিন হাজার ৩৬৫টি) ১৬ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। 

ফরম বিক্রি (অন্যান্য) দুই কোটি ২৯ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। ভাড়া (২৩, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ) ১৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। ব্যাংক সুদ চার কোটি ৮৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা। অন্যান্য (উত্তরণ, বিদ্যুৎ বিল) ৩৭ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এতে মোট ২৭ কোটি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা আয় করেছে। আর ৯ কোটি ৮৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকা দলটির ব্যয় হয়েছে।

দলটির কোষাধ্যক্ষ বলেন, ‘অফিস স্টাফদের বেতন; রাজনৈতিক কর্মসূচি; পোস্টার ছাপানো; মানুষকে অনুদান; সাহায্য-সহযোগিতা প্রভৃতি খাতে ব্যয় হয়ে থাকে। বছরের শুরুতে যে জমা টাকা ছিল, তার সঙ্গে ২০২৩ পঞ্জিকা বছরের উদ্বৃত্ত ১৭ কোটি ২৭ লাখ ৯ হাজার টাকা যোগ করলে মোট তহবিল দাঁড়ায় ৯০ কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার টাকা। আবার গত ছয় মাসে আয় বেড়েছে। এখন আমরা ১০০ কোটি ক্রস করে গেছি।’

বর্তমানে ইসির নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ৪৪টি। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, পূর্ববর্তী পঞ্জিকা বছরে দলের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ইসিতে জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে। কোনো দল পরপর তিন বছর হিসাব জমা দিতে ব্যর্থ হলে নিবন্ধন বাতিল করতে পারে ইসি। 

এলিস/অমিয়/