![চাঁদপুরে অর্ধশত গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আজহা](uploads/2024/06/16/chandpur-1718512431.jpg)
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ সাদ্রা দরবার শরিফসহ জেলার প্রায় অর্ধশত গ্রামে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন হচ্ছে।
রবিবার (১৬ জুন) সকাল ৯টায় সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসা মাঠে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
জামাতে ইমামতি করেন সাদ্রা দরবার শরিফের পীরজাদা আরিফুল্লা চৌধুরী।
নামাজ শেষে তিনি মুসলিম উম্মাহ, দেশ ও জাতির সুখ এবং সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।
এছাড়া সকাল সাড়ে ৯টায় আরেকটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঈমামতি করেন দরবার শরিফের পীরজাদা আল্লামা জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী।
একইসঙ্গে জেলার অন্যান্য গ্রামগুলোতে এই মতবাদের অনুসারীরা ঈদের নামাজ আদায় ও কোরবানি করছেন।
ঈদ ঘিরে এসব গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
সাদ্রা দরবার শরিফের পীরজাদা আরিফুল্লা চৌধুরী জানান, ১৯২৮ সাল থেকে তারা মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে ঈদুল ফিতর ঈদুল আযহা এবং পবিত্র রমজানের রোজা রেখে আসছেন। প্রথমে এসব ঈদের জামাতের লোকজন কম হলেও এখন সারা বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় ঈদ উদযাপন হচ্ছে। তিনি বক্তব্যে কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে ঈদ উদযাপনের বিষয়ে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালামের জন্মদিন পালনেও আমরা ব্যতিক্রম করি। সারা বিশ্বের মুসলমানরা একইদিনে রাসূলের জন্মদিন উদযাপন করা উচিত। কারণ আমাদের এলোমেলো জন্মদিন পালন করতে গেলে অমুসলিমরা এটিকে হাস্যকর মনে করে। স্থানীয় সময় ঠিক রেখে বিশ্বের সব দেশে ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো উদযাপন করা উচিত বলে আমি মনে করি।’
দরবার শরিফে ঈদের নামাজ পড়তে আসা মুসল্লি আবদুল্লাহ জানান, মরহুম পীর সাহেবের সময়কাল থেকে আমরা এসব ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপন করে আসছি। আমি মনেকরি গতকাল সৌদি আরবে হজ পালন হয়েছে। আজকে তারা ঈদ উদযাপন করছে, আমরাও তাদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করছি। এতে আমরা খুবই আনন্দিত।’
১৯২৮ সাল থেকে এখানে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম চালু হয়। হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরিফের মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) প্রথমে তার নিজ গ্রামে এবং পরে তার অনুসারীরা এমন নিয়ম মেনে রোজা রাখা শুরু করেন। সেই ধারাবাহিকতায় ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা উদযাপন হয়ে আসছে।
শরীফুল ইসলাম/অমিয়/