ঢাকা ১০ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

চাঁদপুরে অর্ধশত গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আজহা

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৪, ১০:৩৩ এএম
আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪, ১০:৩৩ এএম
চাঁদপুরে অর্ধশত গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আজহা
ছবি : খবরের কাগজ

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ সাদ্রা দরবার শরিফসহ জেলার প্রায় অর্ধশত গ্রামে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন হচ্ছে। 

রবিবার (১৬ জুন) সকাল ৯টায় সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসা মাঠে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

জামাতে ইমামতি করেন সাদ্রা দরবার শরিফের পীরজাদা আরিফুল্লা চৌধুরী। 

নামাজ শেষে তিনি মুসলিম উম্মাহ, দেশ ও জাতির সুখ এবং সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এছাড়া সকাল সাড়ে ৯টায় আরেকটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঈমামতি করেন দরবার শরিফের পীরজাদা আল্লামা জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী। 

একইসঙ্গে জেলার অন্যান্য গ্রামগুলোতে এই মতবাদের অনুসারীরা ঈদের নামাজ আদায় ও কোরবানি করছেন। 

ঈদ ঘিরে এসব গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

সাদ্রা দরবার শরিফের পীরজাদা আরিফুল্লা চৌধুরী জানান, ১৯২৮ সাল থেকে তারা মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে ঈদুল ফিতর ঈদুল আযহা এবং পবিত্র রমজানের রোজা রেখে আসছেন। প্রথমে এসব ঈদের জামাতের লোকজন কম হলেও এখন সারা বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় ঈদ উদযাপন হচ্ছে। তিনি বক্তব্যে কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে ঈদ উদযাপনের বিষয়ে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেন। 

তিনি বলেন, ‘আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালামের জন্মদিন পালনেও আমরা ব্যতিক্রম করি। সারা বিশ্বের মুসলমানরা একইদিনে রাসূলের জন্মদিন উদযাপন করা উচিত। কারণ আমাদের এলোমেলো জন্মদিন পালন করতে গেলে অমুসলিমরা এটিকে হাস্যকর মনে করে। স্থানীয় সময় ঠিক রেখে বিশ্বের সব দেশে ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো উদযাপন করা উচিত বলে আমি মনে করি।’

দরবার শরিফে ঈদের নামাজ পড়তে আসা মুসল্লি আবদুল্লাহ জানান, মরহুম পীর সাহেবের সময়কাল থেকে আমরা এসব ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপন করে আসছি। আমি মনেকরি গতকাল সৌদি আরবে হজ পালন হয়েছে। আজকে তারা ঈদ উদযাপন করছে, আমরাও তাদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করছি। এতে আমরা খুবই আনন্দিত।’ 

১৯২৮ সাল থেকে এখানে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম চালু হয়। হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরিফের মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) প্রথমে তার নিজ গ্রামে এবং পরে তার অনুসারীরা এমন নিয়ম মেনে রোজা রাখা শুরু করেন। সেই ধারাবাহিকতায় ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা উদযাপন হয়ে আসছে।

শরীফুল ইসলাম/অমিয়/

পদ্মায় গোসলে নেমে দুই ভাইসহ ৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৫:০৯ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ০৫:০৯ পিএম
পদ্মায় গোসলে নেমে দুই ভাইসহ ৩ জনের মৃত্যু
নিহতদের বাড়িতে স্বজনদের আহাজারি। ছবি : খবরের কাগজ

পাবনায় পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে দুই ভাইসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। 

সোমবার (২৪ জুন) দুপুর ২টার দিকে সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের ভাদুরিয়া ডাঙ্গীর পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো- চরতারাপুর ইউনিয়নের নতুন গোহাইলবাড়ি এলাকার আলাল হোসেনের দুই ছেলে নতুন বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছাব্বির হোসেন (১৪) ও গোহাইলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র সিয়াম হোসেন (১০) এবং চরতারাপুর ইউনিয়নের আটঘরিয়াপাড়া গ্রামের ইসলাম সরদারের ছেলে কাঁচিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী নূর হোসেন (১০)। 

স্থানীয়রা জানান, দুপুর ২টার দিকে তারা নদীতে গোসল করতে যায়। তারা উঁচু-নিচু বালুর স্তূপের ওপর দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা ধসে পড়ে পানিতে ডুবে যায়। স্থানীয়রা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে একজনকে জীবিত উদ্ধার করে। অপর তিনজনকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ছোট দুইজনকে বাঁচাতে গিয়ে বড় ভাই ছাব্বিরেরও মৃত্যু হয় বলে জানান তারা।

এদিকে তিনজনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নিহতের বাবা আলাল হোসেন বলেন, ‘আমি এখন কেমন করে বেঁচে থাকব? আমিতো এতিম হয়ে গেলাম। দুই ছেলে দুনিয়া ছেড়ে চলে গেল। একজন বাবার পক্ষে এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।’

চরতারাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, ‘কয়েকজন বন্ধু মিলে পদ্মা নদীতে গোসল করতে গিয়ে চারজন তলিয়ে যায়। একজনকে বাঁচানো গেলেও তিনজনকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। অল্প কয়েক মিনিটের ব্যবধানে একসঙ্গে তিনজনের মৃত্যুতে পুরো গ্রাম এখন শোকে স্তব্ধ।’

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, ‘একসঙ্গে গোসলে নেমে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।’ 

পার্থ হাসান/সালমান/ 

কুশিয়ারায় উল্টোচিত্র, ফেঞ্চুগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৪:৪৯ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ০৪:৫৩ পিএম
কুশিয়ারায় উল্টোচিত্র, ফেঞ্চুগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত
ছবি : খবরের কাগজ

সিলেটের প্রায় সব উপজেলায় নদ-নদীর পানি কমতে থাকলেও ব্যতিক্রম ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা। সিলেটজুড়ে যখন মানুষের ঘরবাড়ি থেকে পানি নামছে তখন ফেঞ্চুগঞ্জের মানুষের ঘরবাড়িতে পানি। ইতোমধ্যে কুশিয়ারার পানি বেড়ে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের ২৫ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।

সিলেটের অন্যান্য নদীর পনি দ্রুত কমতে থাকলেও এই উপজেলা উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কুশিয়ারার পানি কমছে খুব ধীরে। বৃষ্টি ও ভারতের উজানের ঢল না থাকলেও ফেঞ্চুগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে থাকায় চরম ভোগান্তিতে এই উপজেলার মানুষ।  

ফেঞ্চুগঞ্জের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কুশিয়ারার পানির উল্টোচিত্রের কারণ হিসেবে আরও দুটি নদীর পানিপ্রবাহের চাপ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

ধীরগতিতে পানি কমার কারণ বিশ্লেষণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস খবরের কাগজকে বলেন, জুড়ি নদী ও মনু নদী কুশিয়ারায় এসে মিলেছে। এছাড়া সব হাওর, নদীসহ নিচু এলাকা ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়ে গেছে। তাই পানি ধারণের জায়গা নেই। এজন্যই কুশিয়ারা নদীর পানি ধীর গতিতে কমছে। তবে যেহেতু সিলেটে বৃষ্টিপাত কমে গেছে এবং দুদিন যাবত রোদ ওঠছে তাই একটু সময় দিতে হবে এই নদীর পানি কমার জন্য। বর্ষাকাল চলমান তাই বৃষ্টি হওয়াটা স্বাভাবিক। আমাদের সিলেট এবং ভারতে বৃষ্টিপাত শুরু হলে পানি আবারও বাড়বে।

এদিকে এই পানিতে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বন্যাক্রান্ত মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রান্নাসহ দৈনন্দিন কাজ করতে বেগ পতে হচ্ছে। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ, ও গৃহপালিত পশু নিয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন তারা। 

ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা নদীর পাড়ে পূর্ব পিটাইটিকর নয়াগ্রামের বাসিন্দা মো. লুকুস মিয়া বলেন, ‘ঈদের আগের দিন পানি ওঠে আমাদের বাড়িতে। এখনও পানিবন্দি আছি। এখন পর্যন্ত কেউ কোনো খোঁজ নেয়নি। চেয়ারম্যান, মেম্বার, এমপি অনেক হর্তাকর্তা আছেন কিন্তু আমাদের কেউ একটু সাহায্য করেনি। আমার আমাদের বাচ্চাকাচ্চা, গরু বাচুর নিয়ে অসহায় অবস্থার মধ্যে আছি। পানি যেদিন ঢুকেছে সেদিন ঘরের অর্ধেক মালামাল ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে। এখন দুয়েকটি কাঁথা বালিশ আছে এগুলোতেই পরিবার নিয়ে কোনোভাবে বসবাস করছি।’

একই এলাকার বাসিন্দা মো. বাছন মিয়া বলেন, ‘ঈদের আগের দিন পানি ওঠে বাড়িতে। রান্নার চুলা পানির নিচে। তাই ঈদের দিনও কিছু রান্না করে খেতে পারিনি আমরা। নৌকা দিয়ে উচু জায়গায় গিয়ে মাঝে মাঝে কিছু খাবার রান্না করে আনি। আমাদেরকে এখন পর্যন্ত কেউ একটু শুকনো খাবারও দেয়নি। ঈদের দিন থেকে খেয়ে না খেয়ে এখন পর্যন্ত দিন যাপন করছি আমরা।’

উপজেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, ৫টি ইউনিয়নের ২৫টির বেশি গ্রামে বন্যাপ্লাবিত মানুষের সংখ্যা ১৮ হাজার ১২০ জন। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৩২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বর্তমানে পাঁচ ইউনিয়নের আশ্রয় কেন্দ্রে এক হাজার ১৩৫ জন বানভাসি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। 

ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা প্রিয়াংকা খবরের কাগজেকে বলেন, ‘অন্যান্য উপজেলার চেয়ে ফেঞ্চুগঞ্জের পানি অনেক ধীরগতিতে নামছে। আমরা আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছি। যখন যেখানে জেনেছি মানুষজন পানিবন্দি আছেন সেখানে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছি। তবে যেহেতু এলাকা বড় এবং বন্যাকালীন সময় তাই কিছু পানিবন্দি মানুষের খবর আমরা নাও পেতে পারি। কেউ যদি আমাদের নির্দিষ্ট করে বলেন, কোথায় কতজন পানিবন্দি আছেন আমরা ত্রাণ পৌঁছে দেব।’

পূর্ব পিটাইটিকর নয়াগ্রামের বাসিন্দারা এখনো কোনা ত্রান পাননি। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এটা সদর ইউনিয়নে পড়েছে। এই এলাকার দায়িত্ব চেয়ারম্যান সাহেব নিজে নিয়েছেন। তিনি যদি কাউকে সাহায্য না করেন তাহলে আমাকে নিদিষ্ট করে কতজন মানুষ ত্রাণ পাননি জানালে আমি ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেব।’

শাকিলা ববি/অমিয়/

ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল আওয়ামী লীগ নেতার

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৪:২৫ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ০৪:২৫ পিএম
ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল আওয়ামী লীগ নেতার
নিহত আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মমিন

কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় এক আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। 

সোমবার (২৪ জুন) সকালে সদর দক্ষিণ উপজেলার শিকারপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আবদুল মমিন (৫৭) সদর দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক এবং শিকারপুর গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন সকালে হাঁটতে বের হতেন ওই আওয়ামী লীগ নেতা। সোমবার ভোরেও রেললাইন দিয়ে হাঁটতে বের হন তিনি। এ সময় একটি ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। পরে রেললাইনে মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম সারওয়ার বলেন, ‘জানতে পেরেছি সকালে হাঁটতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তার মৃত্যু হয়েছে। আমরা এক ত্যাগী নেতাকে হারালাম। তার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।’

জহির শান্ত/সালমান/

বকেয়া আদায় না হওয়ায় চমেকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৩:২৬ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ০৪:১১ পিএম
বকেয়া আদায় না হওয়ায় চমেকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন
ছবি: খবরের কাগজ

বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।

সোমবার (২৪ জুন) বেলা ১১টার দিকে মেডিকেল কলেজের একাংশের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।

বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী অশোক কুমার চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘হাসপাতাল ও কলেজের জন্য আলাদা দুটো মিটার রয়েছে। এর মধ্যে কলেজের প্রায় ১ কোটি ২৯ লাখ টাকার মতো বকেয়া রয়েছে। আর বিল বকেয়া থাকায় কলেজের এক অংশের (একাডেমিক ভবন) সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বকেয়া পরিশোধের জন্য গত এপ্রিল থেকে বিভিন্ন সময়ে আমরা তাদের নোটিশ-চিঠি দিয়ে আসছি। একাধিকবার সময় দেওয়া হয়েছে। উনারা কোনো রেসপন্স করেননি। তা ছাড়া এখন জুন ক্লোজিং, তাই আমরাও চাপে আছি।’

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার খবরের কাগজকে বলেন, ‘সোমবার সকালে পিডিবি আমাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। আমাদের চলতি অর্থবছরের ১ কোটি ২০ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। মূল বিল ৭১ লাখ টাকা। সার্ভিস চার্জ, ভ্যাট ও অন্যান্যসহ ১ কোটি ২৯ লাখ টাকা হয়েছে। আমাদের বরাদ্দ না থাকায় বিল পরিশোধ করা যায়নি। আমরা তাদের কাছে আবেদন করেছি। ফোনেও যোগাযোগ করা হচ্ছে সংযোগের জন্য।’

ইফতেখারুল ইসলাম/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

কুমিল্লায় মায়ের বিরুদ্ধে মেয়েকে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৩:০৬ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ০৪:০৯ পিএম
কুমিল্লায় মায়ের বিরুদ্ধে মেয়েকে হত্যার অভিযোগ
খাদিজা আক্তার

কুমিল্লার বরুড়ায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক মায়ের বিরুদ্ধে স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (২৪ জুন) উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের নলুয়া চাঁদপুর পশ্চিমপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত খাদিজা আক্তার (১৪) ওই গ্রামের হাওলাদার বাড়ির জুলহাস মিয়া ও খুরশিদা বেগম দম্পতির সন্তান এবং স্থানীয় নলুয়া চাঁদপুর উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘অভিযুক্ত মাকে আটক করা হয়েছে। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। তাকে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খুরশিদা মানসিক ভারসাম্যহীন। সোমবার সকালে হঠাৎ তার মেয়ের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা গিয়ে দেখে বাড়িতেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে খাদিজা। তার মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুড়ালের কোপের চিহ্ন আছে। কুড়ালও পড়ে আছে পাশে। এ ঘটনার পর থেকে জ্ঞান হারিয়ে ঘরেই পড়ে আছে মা খুরশিদা।  

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাশেম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গিয়ে যতটুকু জানলাম ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। তবে এটা আইনি বিষয়। পুলিশ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’ 

জহির শান্ত/জোবাইদা/অমিয়/