![চাঁদাবাজির অভিযোগে ঢাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ](uploads/2024/06/03/Sonar-cele-1717394187.jpg)
রাজধানীর পলাশী বাজারে চাঁদাবাজির অভিযোগে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের বহিষ্কৃত সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি মেহেদী হাসান এবং তার সহযোগী শহিদুল ইসলাম। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করেন ব্যবসায়ীরা।
রবিবার (২ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ হলসংলগ্ন পলাশী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ রয়েছে, ওই ছাত্রলীগ নেতা প্রতিদিন পলাশী বাজার থেকে চাঁদা আদায় করে আসছেন। ওই দিন পলাশী বাজারের কলা বিক্রেতা দেলোয়ারের কাছ থেকে এক হাজার টাকা এবং কনফেকশনারি দোকানের মালিক সানাউল্লাহর থেকে চাঁদা নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মেহেদী ও শহিদুল চাঁদাবাজি করতে এলে পলাশী বাজারের ব্যবসায়ী নজরুল এবং মাহবুব তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে তারা চাপাতি দিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও মারমুখী আচরণ করেন। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশে খবর দিলে তাদের রাত ১২টার দিকে চকবাজার থানায় নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘চাঁদা চাইতে এলে আমরা তাকে বাধা দিই। তাতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথম আমাকে ঘুষি মারে এবং পরবর্তীতে চাপাতি নিয়ে মারমুখী আচরণ করে।’
পলাশী দোকান মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক বলেন, ‘রাত সাড়ে ১১টার দিকে এসে তারা আমাদের দোকানদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে। বাধা দিলে নজরুল নামে একজনকে মারধর করে এবং চাপাতি দিয়ে কোপাতে যায়। পরে সে পালিয়ে গেলে আমাকে চাপাতি দিয়ে মারতে আসে। আশপাশে থাকা দোকানিরা আমাকে উদ্ধার করে ও তাদের পিটুনি দিয়ে পুলিশে খবর দেয়।’
এদিকে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ইকবাল মামুন বলেন, ‘এটা প্রক্টোরিয়াল টিম দেখবে। তাছাড়া তার ছাত্রত্ব নেই। সাবেক ছাত্রের দায় তো বিশ্ববিদ্যালয় বা হল নেবে না।’
হলে থাকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সে যে অবৈধভাবে হলে থাকে। আমরা যদি তাকে আগে চিহ্নিত করতে পারতাম তাহলে আগেই হল থেকে বের করে দিতাম।’
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘চাঁদাবাজির অভিযোগে সাবেক এক ছাত্রকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে জানতে পেরেছি। যেহেতু সে হলে থাকে তাহলে সেটা হল প্রশাসন দেখবে। তাছাড়া যেহেতু সে আমাদের শিক্ষার্থী না, তাই আমাদের এখানে কোনো দায় নেই। যার ফলে বিধি অনুযায়ী তাকে কোনো শাস্তি বিশ্ববিদ্যালয় দিতে পারবে না। সরকারের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার শাস্তি হবে।’
হল সূত্রে জানা যায়, শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৪ সালে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির পদ থেকে তাকে সাময়িক অব্যাহতি দেয় ছাত্রলীগ। এরপর ২০১৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কর্মরত এক সাংবাদিককে হেনস্তার সঙ্গে জড়িত থাকায় তাকে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরিফ জাওয়াদ/সাদিয়া নাহার/অমিয়/