![নিউটনীয় বলবিদ্যা অধ্যায়ের ৩৮টি জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর- এইচএসসি পদার্থবিজ্ঞান ১ম পত্র](uploads/2024/06/29/HSC-Physics-1719668111.jpg)
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১। বল কাকে বলে?
উত্তর: যে বাহ্যিক কারণ স্থির বা গতিশীল বস্তুর অবস্থার পরিবর্তন ঘটায় বা ঘটাতে চায় তাকে বল বলে।
প্রশ্ন ২। এক নিউটন বল কাকে বলে?
উত্তর: 1 kg ভরের কোনো বস্তুকে 1m s-² অনুভূমিক সরণ সৃষ্টি করতে তার ওপর যে বল প্রয়োগ করতে হয় তাকে এক নিউটন বল বলে।
প্রশ্ন ৩। মৌলিক বল কী?
উত্তর: যেসব বল অন্যান্য বল থেকে উৎপন্ন হয় না এবং অন্য কোনো বলের রূপ বা রূপান্তর নয় বরং অন্যান্য বল এসব বলের কোনো না কোনো রূপের প্রকাশ সেসব বলই মৌলিক বল।
প্রশ্ন ৪। ঘূর্ণন বল কী?
উত্তর: কোনো অক্ষকে কেন্দ্র করে গতিশীল কোনো বস্তুর বলই ঘূর্ণন বল।
প্রশ্ন ৫। তড়িৎ চৌম্বক বল কাকে বলে?
উত্তর: তড়িৎ বল ও চৌম্বক বল সংযুক্ত অবস্থায় যে বলের সৃষ্টি করে তাকে তড়িৎ চৌম্বক বল বলে।
প্রশ্ন ৬। বলের ভারসাম্য কাকে বলে?
উত্তর: দুই বা ততোধিক বল একই সময়ে কোনো বস্তুর ওপর ক্রিয়ার ফলে বস্তুটি যদি স্থির থাকে অর্থাৎ বস্তুর ওপর প্রযুক্ত বলের লব্ধি শূন্য হয়, তবে তাকে বলের ভারসাম্য বলে।
প্রশ্ন ৭। ঘাত বল কী?
উত্তর: খুব অল্প সময়ের জন্য খুব বড় মানের যে বল কোনো বস্তুর ওপর প্রযুক্ত হয় তাই ঘাতবল।
প্রশ্ন ৮। এক পাউন্ডাল বলের সংজ্ঞা দাও।
উত্তর: যে পরিমাণ বল 1 পাউন্ড ভরের কোনো বস্তুর ওপর প্রযুক্ত হলে 1ft s-² ত্বরণ সৃষ্টি করে তাকে 1 পাউন্ডাল বল বলে।
প্রশ্ন ৯। ঘর্ষণ বল কী?
উত্তর: একটি বস্তু যখন অন্য একটি বস্তুর ওপর দিয়ে চলতে চেষ্টা করে বা চলতে থাকে তখন ঘর্ষণের কারণে যে বলের সৃষ্টি হয়, তাকে ঘর্ষণ বল বলে।
প্রশ্ন ১০। ঘর্ষণ কোণ কী?
উত্তর: ঘর্ষণযুক্ত কোনো তলে কোনো বস্তু রাখলে তলটির সর্বোচ্চ যে আনতির জন্য বস্তু স্থির থাকে তাই ঘর্ষণ কোণ।
প্রশ্ন ১১। নিশ্চল কোণ কী?
উত্তর: অনুভূমিকের সঙ্গে কোনো তল কোণ উৎপন্ন করলে আনত তলের উপরস্থ কোনো বস্তু গতিশীল হওয়ার উপক্রম হয়, সেই কোণই ওই তলে বস্তুটির স্থিতি বা নিশ্চল কোণ।
প্রশ্ন ১২। আবর্ত ঘর্ষণ কী?
উত্তর: কোনো বস্তু একটি তলের সংস্পর্শে থেকে যখন তলটির সাপেক্ষে আবর্ত গতিতে গতিশীল হয় তখন তলটি বস্তুটির গতির বিরুদ্ধে যে বল প্রয়োগ করে তাই আবর্ত ঘর্ষণ।
প্রশ্ন ১৩। প্রবাহী ঘর্ষণ কী?
উত্তর: যখন কোনো বস্তু তরল বা বায়বীয় পদার্থের মধ্যে স্থির অবস্থায় রাখা হয় অথবা তরল বা বায়বীয় পদার্থের মধ্য দিয়ে গতিশীল হয় তখন উভয়ের মধ্যে ঘর্ষণ উৎপন্ন হয়। এ ধরনের ঘর্ষণই প্রবাহী ঘর্ষণ।
প্রশ্ন ১৪। পরম একক কী?
উত্তর: একক ভরবিশিষ্ট কোনো বস্তুকে একক অনুভূমিক ত্বরণ সৃষ্টি করতে তার ওপর যে বল প্রয়োগ করতে হয় তাই এক পরম একক।
প্রশ্ন ১৫। জড়তা কী?
উত্তর: বস্তু যে অবস্থায় আছে চিরকাল সে অবস্থায় থাকতে চাওয়ার যে প্রবণতা বা সে অবস্থা বজায় রাখতে চাওয়ার যে ধর্ম তাই জড়তা।
প্রশ্ন ১৬। ঘর্ষণ গুণাঙ্ক কী?
উত্তর: পরস্পরের সংস্পর্শে থাকা দুটি তলের মধ্যে ক্রিয়াশীল সীমান্তিক ঘর্ষণ বলের মান এবং অভিলম্ব প্রতিক্রিয়ার অনুপাতই ঘর্ষণ গুণাঙ্ক।
প্রশ্ন ১৭। এক ডাইন বল কাকে বলে?
উত্তর: 1g ভরের বস্তুর ওপর যে পরিমাণ বল প্রয়োগ করলে এক সেন্টিমিটার/সেকেন্ড-২ ত্বরণ সৃষ্টি হয় তাকে এক ডাইন বলে।
প্রশ্ন ১৮। মহাকর্ষ বল কাকে বলে?
উত্তর: মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুকণা যে বলে পরস্পরকে আকর্ষণ করে তাকে মহাকর্ষ বলে।
প্রশ্ন ১৯। সবল নিউক্লিয় বল কী?
উত্তর: পরমাণুর নিউক্লিয়াসে অবস্থিত নিউক্লিয়নগুলোর মধ্যে যে প্রবল আকর্ষণ বল বিদ্যমান তাই সবল নিউক্লিয় বল।
প্রশ্ন ২০। অভিকর্ষীয় একক কী?
উত্তর: একক ভরবিশিষ্ট কোনো বস্তুকে পৃথিবী তার কেন্দ্রের দিকে যে বল দ্বারা আকর্ষণ করে তাই অভিকর্ষীয় একক।
প্রশ্ন ২১। দুর্বল নিউক্লিয় বল কী?
উত্তর: যে স্বল্পপাল্লার ও স্বল্পমানের বল নিউক্লিয়াসের মধ্যে মৌলিক কণিকাগুলোর মধ্যে ক্রিয়া করে অনেক নিউক্লিয়াসে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে তাই দুর্বল নিউক্লিয় বল।
প্রশ্ন ২২। স্থিতি ঘর্ষণ গুণাঙ্ক কী?
উত্তর: দুটি বস্তু পরস্পরের সংস্পর্শে থাকলে স্থিতি ঘর্ষণের সীমাস্থ মান এবং অভিলম্বিক প্রতিক্রিয়ায় অনুপাতকে স্থিতি ঘর্ষণ গুণাঙ্ক বলে।
প্রশ্ন ২৩। গতীয় ঘর্ষণ গুণাঙ্ক কী?
উত্তর: কোনো বস্তু যখন অপর একটি বস্তুর ওপর দিয়ে স্থির বেগে চলতে থাকে তখন গতীয় ঘর্ষণ বল ও অভিলম্বিক প্রতিক্রিয়ার অনুপাতই গতীয় ঘর্ষণ গুণাঙ্ক।
প্রশ্ন ২৪। স্থিতি জড়তা কাকে বলে?
উত্তর: স্থিতিশীল বস্তুর চিরকাল স্থির থাকতে চাওয়ার যে প্রবণতা বা স্থিতি বজায় রাখতে চাওয়ার যে ধর্ম তাকে স্থিতি জড়তা বলে।
প্রশ্ন ২৫। গতি জড়তা কী?
উত্তর: গতিশীল বস্তুর চিরকাল সমবেগে গতিশীল থাকতে চাওয়ার যে প্রবণতা বা গতি বজায় রাখার যে ধর্ম তাকে গতি জড়তা বলে।
প্রশ্ন ২৬। ঘূর্ণন জড়তা কী?
উত্তর: জড়তার ভ্রামককে ঘূর্ণন জড়তা বলে। অর্থাৎ ঘূর্ণনরত বস্তুর জড়তাকে ঘূর্ণন জড়তা বলে।
প্রশ্ন ২৭। নিউটনের গতির প্রথম সূত্রটি লেখ।
উত্তর: নিউটনের গতির প্রথম সূত্রটি হলো- কোনো বস্তুর ওপর বাহ্যিক বল প্রয়োগ করা না হলে স্থির বস্তু চিরকাল স্থির থাকে এবং চলমান বস্তু সমবেগে সরলরেখায় চলতে থাকে।
প্রশ্ন ২৮। নিউটনের গতির দ্বিতীয় সূত্রটি লেখ।
উত্তর: নিউটনের গতির দ্বিতীয় সূত্র হলো- কোনো বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার বস্তুর ওপর প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক এবং প্রযুক্ত বল যেদিকে ক্রিয়া করে ভরবেগের পরিবর্তনও সেদিকেই ঘটে।
প্রশ্ন ২৯। মহাকর্ষীয় প্রাবল্য কী?
উত্তর: মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে একক ভর সম্পন্ন একটি বস্তু স্থাপন করলে বস্তুটি যে আকর্ষণ বল অনুভব করে তাই ওই ক্ষেত্রের দরুন ওই বিন্দুর মহাকর্ষীয় প্রাবল্য।
প্রশ্ন ৩০। মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র কী?
উত্তর: বৃহৎ ভরবিশিষ্ট কোনো বস্তুর চারদিকে যে অঞ্চলের মধ্যে এর আকর্ষণ বল অনুভূত হয় সে অঞ্চলই ওই বস্তুর মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র।
প্রশ্ন ৩১। নিউটনের গতির তৃতীয় সূত্রটি লেখ।
উত্তর: নিউটনের তৃতীয় সূত্রটি হলো- প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে।
প্রশ্ন ৩২। ভরবেগ কাকে বলে?
উত্তর: কোনো বস্তুর ভর ও বেগের গুণফলকে ওই বস্তুর ভরবেগ বলে।
প্রশ্ন ৩৩। ভরবেগের পরিবর্তনকে কী বলা হয়?
উত্তর: ভরবেগের পরিবর্তনকে বলের ঘাত বলে।
প্রশ্ন ৩৪। ভরবেগের মাত্রা সমীকরণ লেখ।
উত্তর: ভরবেগের মাত্রা সমীকরণ হলো- [MLT-1]
প্রশ্ন ৩৫। বলের ঘাত কী?
উত্তর: কোনো বস্তুর ওপর প্রযুক্ত বল এবং বলের ক্রিয়াকালের গুণফলই বলের ঘাত।
প্রশ্ন ৩৬। ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া বলতে কী বোঝ?
উত্তর: কোনো বস্তুর ওপর বল প্রয়োগ করলে বস্তুটিও বল প্রয়োগকারী বস্তুর ওপর একটি পাল্টা বল প্রয়োগ করে। এক্ষেত্রে প্রথম বলটিকে ক্রিয়া ও দ্বিতীয় বলটিকে প্রতিক্রিয়া বলে।
প্রশ্ন ৩৭। রৈখিক ভরবেগের নিত্যতা সূত্রটি লেখ।
উত্তর: দুই বা ততোধিক বস্তুতে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ছাড়া অন্য কোনো বাহ্যিক বল ক্রিয়া না করলে কোনো নির্দিষ্ট দিকে ওই বস্তুগুলোর মোট রৈখিক ভরবেগের কোনো পরিবর্তন হবে না।
প্রশ্ন ৩৮। জড়তার ভ্রামক কী?
উত্তর: একটি নির্দিষ্ট অক্ষের চারদিকে ঘূর্ণায়মান দৃঢ় বস্তুর প্রত্যেকটি কণার ভর এবং ঘূর্ণন অক্ষ থেকে প্রত্যেকটি কণার দূরত্বের বর্গের গুণফলের সমষ্টিই জড়তার ভ্রামক।প্রশ্ন ৩৯। জড়তার ভ্রামকের মাত্রা সমীকরণ লেখ।
উত্তর: জড়তার ভ্রামকের মাত্রা সমীকরণ হলো [I] = [ML²]।
প্রশ্ন ৪০। চক্রগতির ব্যাসার্ধ কাকে বলে?
উত্তর: কোনো দৃঢ় বস্তুর সমগ্র ভর যদি একটি বিন্দুতে কেন্দ্রীভূত করা যায় যাতে করে একটি নির্দিষ্ট অক্ষের সাপেক্ষে ওই কেন্দ্রীভূত বস্তুকণার জড়তার ভ্রামক, ওই নির্দিষ্ট অক্ষের সাপেক্ষে সমগ্র দৃঢ় বস্তুর জড়তার ভ্রামকের সমান হয়, তাহলে ওই নির্দিষ্ট অক্ষ থেকে কেন্দ্রীভূত বস্তু কণার লম্ব দূরত্বকে চক্রগতির ব্যাসার্ধ বলে।
প্রশ্ন ৪১। জড়তার ভ্রামকের সঙ্গে চক্রগতির সম্পর্কটি লেখ।
উত্তর: জড়তার ভ্রামকের সঙ্গে চক্রগতির সম্পর্ক হলো, জড়তার ভ্রামক = ভর × (চক্রগতির ব্যাসার্ধ) ^২
অর্থাৎ I = Mk²।
প্রশ্ন ৪২। অভিলম্ব অক্ষ উপপাদ্যটি কী?
উত্তর: অভিলম্ব অক্ষ উপপাদ্যটি হলো- কোনো সমতল পাতের তলে উপস্থিত দুটি পরস্পর লম্ব অক্ষের সাপেক্ষে ওই পাতের জড়তার ভ্রামকদ্বয়ের সমষ্টি হবে ওই দুই অক্ষের ছেদ বিন্দু দিয়ে এবং পাতের অভিলম্বভাবে গমনকারী অক্ষের সাপেক্ষে পাতটির জড়তার ভ্রামকের সমান।
প্রশ্ন ৪৩। সমান্তরাল অক্ষ উপপাদ্যটি লেখ।
উত্তর: যেকোনো অক্ষের সাপেক্ষে কোনো বস্তুর জড়তার ভ্রামক হবে ওই অক্ষের সমান্তরাল ও বস্তুর ভরকেন্দ্রের মধ্য দিয়ে গমনকারী অক্ষের সাপেক্ষে জড়তার ভ্রামক এবং ওই ভর ও দুই অক্ষের মধ্যবর্তী লম্ব দূরত্বের বর্গের গুণফলের সমষ্টির সমান।
প্রশ্ন ৪৪। টর্ক কাকে বলে?
উত্তর: কোনো দৃঢ় বস্তুর উপর বল প্রযুক্ত হলে বস্তুটির মধ্যে কোনো নির্দিষ্ট বিন্দু বা অক্ষের সাপেক্ষে ঘুরবার যে প্রবণতা সৃষ্টি হয় তাকে বলের ভ্রামক বা টর্ক বলে।
প্রশ্ন ৪৫। বলের ভ্রামক কাকে বলে?
উত্তর: কোনো বস্তুর অবস্থান ভেক্টর এবং ওই বস্তুর ওপর ক্রিয়াশীল বলের ভেক্টর গুণনকে বলের ভ্রামক বলে।
প্রশ্ন ৪৬। দ্বন্দ্ব কী?
উত্তর: কোনো দৃঢ় বস্তুর দুটি ভিন্ন বিন্দুতে সমান মানের দুটি বলের পরস্পর বিপরীত দিকে ক্রিয়া করাই হলো দ্বন্দ্ব।
প্রশ্ন ৪৭। কৌণিক ভরবেগ কাকে বলে?
উত্তর: ঘূর্ণায়মান কোনো বস্তু কণার অবস্থান ভেক্টর অর্থাৎ ঘূর্ণন অক্ষ হতে দূরত্ব এবং বস্তুকণার রৈখিক ভরবেগের ভেক্টর গুণফলকে কৌণিক ভরবেগ বলে।
প্রশ্ন ৪৮। ভরবেগের সংরক্ষণ সূত্রটি লিখ।
উত্তর: যখন কোনো ব্যবস্থার ওপর প্রযুক্ত নিট বাহ্যিক বল শূন্য হয়, তখন ব্যবস্থাটির মোট ভরবেগ সংরক্ষিত থাকে। অর্থাৎ দুই বা ততোধিক বস্তুতে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ছাড়া অন্য কোনো বাহ্যিক বল ক্রিয়া না করলে কোনো নির্দিষ্ট দিকে ওই বস্তুগুলোর মোট রৈখিক ভরবেগের কোনো পরিবর্তন হবে না।
প্রশ্ন ৪৮। কৌণিক সরণের সংজ্ঞা দাও।
উত্তর: কোনো বস্তু বা কণা কোনো বিন্দুকে কেন্দ্র করে ঘুরার সময় যে কৌণিক দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে কৌণিক সরণ বলে।
প্রশ্ন ৪৯। কৌণিক বেগের একক কী?
উত্তর: কৌণিক বেগের একক হচ্ছে রেডিয়ান/সেকেন্ড (rad s¯¹)।
প্রশ্ন ৫০। কৌণিক বেগ কী?
উত্তর: বৃত্তাকার পথে চলমান কোনো বস্তুর একক সময়ে যে কৌণিক সরণ ঘটে তাই ওই বস্তুর কৌণিক বেগ।
প্রশ্ন ৫১। কেন্দ্রমুখী বল কী?
উত্তর: কোনো বস্তু বৃত্তাকার পথে গতিশীল থাকার জন্য বৃত্তের কেন্দ্রের দিকে যে বল ক্রিয়া করে তাই কেন্দ্রমুখী বল।
প্রশ্ন ৫২। কেন্দ্রবিমুখী বল কী?
উত্তর: যদি কোনো বস্তু বৃত্তাকার পথে ঘুরে তবে যেকোনো মুহূর্তে বৃত্তের কেন্দ্রের দিকে ব্যাসার্ধ বরাবর যে বল অনুভূত হয় তাকে কেন্দ্রমুখী বল বলে। নিউটনের গতির তৃতীয় সূত্রানুযায়ী এ বলের প্রতিক্রিয়াস্বরূপ যে বল বৃত্তের কেন্দ্রের উপর ব্যাসার্ধ বরাবর কেন্দ্রের বাইরের দিকে ক্রিয়া করে তাই কেন্দ্রবিমুখী বল।
প্রশ্ন ৫৩। কেন্দ্রমুখী বলের মান কীসের ওপর নির্ভর করে?
উত্তর: কেন্দ্রমুখী বলের মান বস্তুর ভর, কৌণিক বেগ ও বৃত্তাকার পথের ব্যাসার্ধের ওপর নির্ভর করে।
প্রশ্ন ৫৪। রাস্তার ব্যাংকিং কী?
উত্তর: রাস্তার বাঁক ঘুরার সময় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বাঁকের ভেতরের দিকে একটু ঢালু করে রাস্তার বাঁকগুলো তৈরি করা হয় যাতে যানবাহন চলাচল অধিকতর নিরাপদ হয়, এটিই রাস্তার ব্যাংকিং।
প্রশ্ন ৫৫। ব্যাংকিং কোণ কাকে বলে?
উত্তর: রাস্তার তল, অনুভূমিকের তলের সঙ্গে যে কোণে আনত থাকে তাকে ব্যাংকিং কোণ বলে।
প্রশ্ন ৫৬। অপকেন্দ্র বল কী?
উত্তর: সমদ্রুতিতে বৃত্তপথে আবর্তনরত বস্তুর ওপর অভিকেন্দ্র বলের সমান ও বিপরীতমুখী অর্থাৎ কেন্দ্র থেকে বাইরের দিকে যে অলীক বল ক্রিয়া করে তাকে অপকেন্দ্র বল বলে।
প্রশ্ন ৫৭। কেন্দ্রমুখী ত্বরণ কাকে বলে?
উত্তর: বৃত্তপথে ঘূর্ণনরত কণা বা বস্তুর একটি ত্বরণ থাকে যার অভিমুখ কেন্দ্রের দিকে। একে কেন্দ্রমুখী ত্বরণ বলে।
প্রশ্ন ৫৮। কেন্দ্রমুখী বল কখন উৎপন্ন হয়?
উত্তর: কোনো বস্তু যখন কোনো বিন্দুকে কেন্দ্র করে বৃত্তাকার পথে গতিশীল হয় তখন কেন্দ্রমুখী বল উৎপন্ন হয়।
প্রশ্ন ৫৯। সংঘর্ষ কাকে বলে?
উত্তর: অতি অল্প সময়ের জন্য কোনো বৃহৎ বল ক্রিয়া করে গতির হঠাৎ ব্যাপক পরিবর্তনই হলো সংঘর্ষ।
প্রশ্ন ৬০। স্থিতিস্থাপক সংঘর্ষ কাকে বলে?
উত্তর: যে সংঘর্ষে বস্তুসমূহের মোট গতিশক্তি ও মোট ভরবেগ অপরিবর্তিত থাকে এবং সংঘর্ষের পর বস্তুসমূহ আলাদা থাকে, সেই সংঘর্ষকে স্থিতিস্থাপক সংঘর্ষ বলে।
প্রশ্ন ৬১। অস্থিতিস্থাপক সংঘর্ষ কাকে বলে?
উত্তর: যে সংঘর্ষে বস্তুসমূহের মোট গতিশক্তি অপরিবর্তিত থাকে না তবে মোট ভরবেগ সংরক্ষিত থাকে এবং সংঘর্ষের পরে বস্তুসমূহ পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে একই বেগে চলতে থাকলে সেই সংঘর্ষকে অস্থিতিস্থাপক সংঘর্ষ বলে।
মৃদুল চন্দ্র মন্ডল,প্রভাষক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, মিরপুর বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ
মিরপুর, ঢাকা/আবরার জাহিন