![কাজ, শক্তি ও ক্ষমতা অধ্যায়ের ৭টি জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর, ২য় পর্ব এইচএসসি পদার্থবিজ্ঞান ১ম পত্র](uploads/2024/07/04/HSC-Physics-1720104482.jpg)
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
কাজ, শক্তি ও ক্ষমতা
প্রশ্ন ৩০। অসংরক্ষণশীল বল কাকে বলে?
উত্তর: কোনো বস্তুকে বলের প্রভাবে যেকোনো পথে ঘুরিয়ে পুনরায় প্রাথমিক অবস্থানে আনলে যদি মোট কাজের পরিমাণ শূন্য না হয় তবে ওই বলকে অসংরক্ষণশীল বল বলে।
প্রশ্ন ৩১। ঘর্ষণ বল কোন ধরনের বল?
উত্তর: ঘর্ষণ বল দ্বারা কৃতকাজ সম্পূর্ণরূপে পুনরুদ্ধার করা যায় না বলে ঘর্ষণ বল অসংরক্ষণশীল বল।
প্রশ্ন ৩২। শক্তির অপচয় কী?
উত্তর: শক্তির এক রূপ থেকে অন্যরূপে রূপান্তরের সময়ের সামান্য কিছু অংশ এমনভাবে রূপান্তরিত হয় যা কোনো কাজে আসে না। শক্তির এ অকার্যকর রূপান্তরকে শক্তির অপচয় বলে।
প্রশ্ন ৩৩। কর্মদক্ষতা কাকে বলে?
উত্তর: কোনো ব্যবস্থা বা যন্ত্র থেকে প্রাপ্ত মোট কার্যকর শক্তি এবং ব্যবস্থায় বা যন্ত্রে প্রদত্ত মোট শক্তির অনুপাতকে ওই ব্যবস্থার বা যন্ত্রের কর্মদক্ষতা বলে।
প্রশ্ন ৩৪। কর্মদক্ষতার একক কী?
উত্তর: একই জাতীয় দুটি রাশির মধ্যে অনুপাত হওয়ায় কর্মদক্ষতার কোনো একক নেই।
প্রশ্ন ৩৫। ইঞ্জিনের দক্ষতা 60% এর অর্থ কী?
উত্তর: ইঞ্জিনের দক্ষতা 60% বলতে বোঝায় 100 একক শক্তি সরবরাহ করলে তার মাত্র 60 একক শক্তি কাজে লাগবে, বাকি 40 একক শক্তি অপচয় হবে।
প্রশ্ন ৩৬। স্প্রিং বল কী?
উত্তর: কোনো স্প্রিংয়ের মুক্ত প্রান্তের সরণ ঘটালে স্প্রিংটি সরণের বিপরীত দিকে যে বল প্রয়োগ করে তাই স্প্রিং বল।
মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ
প্রশ্ন ১। মহাকর্ষ ক্ষেত্র প্রাবল্য কী?
উত্তর: মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের যেকোনো বিন্দুতে একটি একক ভরের বস্তু স্থাপন করলে ওই ভরের উপর যে বল ক্রিয়া করে তাই ওই বিন্দুতে মহাকর্ষ ক্ষেত্র প্রাবল্য।
প্রশ্ন ২। গ্রহের গতি সংক্রান্ত কেপলারের দ্বিতীয় সূত্রটি কী?
উত্তর: গ্রহের গতি সংক্রান্ত কেপলারের দ্বিতীয় সূত্রটি হলো- ‘গ্রহ এবং সূর্যের সংযোজক সরলরেখা সমান সময়ে সমান ক্ষেত্রফল অতিক্রম করে।’
প্রশ্ন ৩। কেপলারের তৃতীয় সূত্রটি লেখ।
উত্তর: সূর্যের চারদিকে প্রতিটি গ্রহের আবর্তনকালের বর্গ সূর্য থেকে ওই গ্রহের গড় দূরত্বের ঘনফলের সমানুপাতিক।
প্রশ্ন ৪। মহাকর্ষ কী?
উত্তর: মহাবিশ্বে অবস্থিত দুটি বস্তুর মধ্যকার আকর্ষণ বলই মহাকর্ষ।
প্রশ্ন ৫। নিউটনের মহাকর্ষ সূত্রটি বর্ণনা করো।
উত্তর: মহাবিশ্বের যেকোনো দুটি বস্তুকণা পরস্পরকে আকর্ষণ করে। এ আকর্ষণ বল বস্তু দুটির ভরের গুণফলের সমানুপাতিক এবং এদের মধ্যকার দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক এবং বল বস্তু দুটির সংযোগ সরলরেখা বরাবর ক্রিয়া করে।
প্রশ্ন ৬। ওজনহীনতা কী?
উত্তর: কোনো বস্তুর ওপর প্রতিক্রিয়া বল শূন্য হলে ওই বস্তুর ওপর কোনো ওজন অনুভূত না হওয়াই হলো ওজনহীনতা।
প্রশ্ন ৭। মহাকর্ষীয় ধ্রুবক কাকে বলে?
উত্তর: একক ভরের দুটি বস্তু কণা একক দূরত্বে থেকে যে বলে পরস্পরকে আকর্ষণ করে তার মানকে মহাকর্ষীয় ধ্রুবক বলে।
প্রশ্ন ৮। মহাকর্ষীয় ধ্রুবকের একক ও মাত্রা লেখ।
উত্তর: মহাকর্ষীয় ধ্রুবকের একক Nm2 kg-2 এবং মাত্রা হলো [L3M-1T-2]
প্রশ্ন ৯। মহাকর্ষ ধ্রুবক G-এর মান কত?
উত্তর: মহাকর্ষ ধ্রুবক G-এর মান হলো-
6.673 x 10-11 N m² kg-2
প্রশ্ন ১০। পৃথিবীর ভর নির্ণয়ের সমীকরণটি লেখ।
উত্তর: পৃথিবীর ভর M ব্যাসার্ধ R ধরে এবং পৃথিবীকে সুষম গোলক বিবেচনা করে অভিকর্ষজ ত্বরণ g হলে আমরা পাই g=GM/R2
বা M= gR2/ G
প্রশ্ন ১১। মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র কী?
উত্তর: বৃহৎ ভরবিশিষ্ট বা গুরুভার কোনো বস্তুর চারদিকে যে অঞ্চলের মধ্যে এর আকর্ষণ বল অনুভূত হয়, সে অঞ্চলই ওই বস্তুর মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র।
প্রশ্ন ১২। মহাকর্ষীয় প্রাবল্য কী?
উত্তর: মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে একক ভর সম্পন্ন একটি বস্তু স্থাপন করলে বস্তুটি যে আকর্ষণ বল অনুভব করে তাই ওই ক্ষেত্রের দরুন ওই বিন্দুর মহাকর্ষীয় প্রাবল্য।
প্রশ্ন ১৩। মুক্তিবেগ কাকে বলে?
উত্তর: ভূপৃষ্ঠ থেকে ন্যূনতম যে বেগে কোনো বস্তুকে উপরে নিক্ষেপ করলে তা আর পৃথিবীতে ফিরে আসে না, সেই বেগকে পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে বস্তুর মুক্তিবেগ বলে।
প্রশ্ন ১৪। মহাকর্ষীয় প্রাবল্যের একক কী?
উত্তর: মহাকর্ষীয় প্রাবল্যের একক হলো N kg-1
প্রশ্ন ১৫। মহাকর্ষীয় প্রাবল্যের মাত্রা কী?
উত্তর: মহাকর্ষীয় প্রাবল্যের মাত্রা হলো LT-2।
প্রশ্ন ১৬। মহাকর্ষীয় বিভব কী?
উত্তর: একক ভরের কোনো বস্তুকে অসীম দূরত্ব থেকে মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে আনতে যে পরিমাণ কাজ হয় তাই ওই বিন্দুর মহাকর্ষীয় বিভব।
প্রশ্ন ১৭। মহাকর্ষীয় বিভবের একক কী?
উত্তর: কাজের একককে ভরের একক দ্বারা ভাগ করলে বিভবের একক পাওয়া যায়।
মহাকর্ষীয় বিভবের একক Jkg-1
প্রশ্ন ১৮। মহাকর্ষীয় বিভবের মাত্রা কী?
উত্তর: মহাকর্ষীয় বিভবের মাত্রা হলো L2T-2।
প্রশ্ন ১৯। ওজন কী?
উত্তর: কোনো বস্তুকে পৃথিবী তার কেন্দ্রের দিকে যে বলে আকর্ষণ করে তাই হচ্ছে ওই বস্তুর ওজন।
প্রশ্ন ২০। অভিকর্ষ কেন্দ্র কাকে বলে?
উত্তর: একটি বস্তুকে যেভাবেই রাখা হোক না কেন বস্তুর ভেতরে অবস্থিত যে বিন্দুর মধ্য দিয়ে মোট ওজন ক্রিয়া করে সেই বিন্দুকে বস্তুর অভিকর্ষ কেন্দ্র বলে।
প্রশ্ন ২১। ভারকেন্দ্র কী?
উত্তর: কোনো বস্তুকে যেভাবে রাখা হোক না কেন তার ওজন যে বিশেষ বিন্দুর মধ্য দিয়ে ক্রিয়া করে তাকে বস্তুর ভারকেন্দ্র বলে।
মৃদুল চন্দ্র মন্ডল, প্রভাষক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ
মিরপুর বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মিরপুর, ঢাকা/আাবরার জাহিন