![রিট করে প্রার্থীতা ফিরে পেলেন সাদিক আব্দুল্লাহ](uploads/2023/12/18/1702894801.sadik-abdullah.jpg)
হাইকোর্টে রিট করে প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। তার প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি আবু তাহের সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এই রায়ের ফলে সাদিক আবদুল্লাহর নির্বাচন করতে কোন বাধা নেই বলে জানায় আইনজীবীরা।
বরিশাল-৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন সাবেক সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। সেখানে দলের মনোনয়ন পান বর্তমান সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে আসনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন সাদিক আবদুল্লাহ। তার মনোনয়নও বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
তবে যুক্তরাষ্ট্রে দ্বৈত নাগরিকত্ব ও হলফনামায় সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে সাদিক আবদুল্লাহর মনোনয়ন বাতিল চেয়ে ইসিতে আপিল করেন জাহিদ ফারুক। আর জাহিদ ফারুকের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে ইসিতে আপিল করেন সাদিক আবদুল্লাহ।
শুনানি শেষে ১৫ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন জাহিদ ফারুকের আপিল মঞ্জুর করে। অন্যদিকে সাদিক আবদুল্লাহর আপিল নামঞ্জুর করে ইসি। ফলে সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিল হয়।
নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সাদিক আবদুল্লাহ হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন সাদিক আবদুল্লাহ।
সংবিধানের ৬৬ (২) (গ) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হইবার এবং সংসদ সদস্য থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি তিনি কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করেন কিংবা কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা বা স্বীকার করেন।’
সংবিধানের উক্ত অনুচ্ছেদের অনুরূপ বিধানই গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২(১)(৬) অনুচ্ছেদে সন্নিবেশিত হয়েছে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুয়ায়ি আনা তথ্য আমলে নিয়ে প্রার্থিতা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় ইসি।
অমিয়/