খুলনায় আড়ংঘাটা থানায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র হাসমীকে হত্যার দায়ে মা সোনিয়া আক্তারসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) মামলার মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন ও আসামিদের আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন হাসমীর মা সোনিয়া আক্তার, মো. নুরুন্নবী ও মো. রসুল।
২০১৬ সালে সোনিয়ার সঙ্গে হাফিজুর রহমানের বিয়ে হয়। এর ছয় মাস পর হাফিজুর রহমান বিদেশ চলে যান। দেশে আসার পর পারিবারিক কলহের জের ধরে দুজনের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। কিন্তু হাসমী থেকে যায় বাবার সঙ্গে। পরে হাসমীকে তার বাবার কাছ থেকে অপহরণ করে আনার জন্য নুরুন্নবী ও রসুলের সঙ্গে চুক্তি হয় সোনিয়ার। ২০১৬ সালের ৬ জুন রাতে হাসমীকে অপহরণ করে তার মায়ের কাছে নিয়ে আসে তারা। এরপর সোনিয়াকে অপহরণকারীদের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায় হাসমী। বিষয়টি বাইরে ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে অপহরণকারীরা সোনিয়ার সামনেই হাসমীর গলা কেটে হত্যা করে। এরপর মরদেহটি সিমেন্টের বস্তায় ভরে খুলনা বাইপাস সড়কসংলগ্ন সরদার ডাঙ্গা বিলে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর ৯ জুন খুলনার কার্ত্তিককুল এলাকা থেকে হাসমীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় হাসমীর বাবা হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মো. নুরুন্নবী, মো. রসুল ও হাফিজুর রহমানের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাতপরিচয় ২-৩ জনের বিরুদ্ধে অপহরণের পর হত্যা ও মরদেহ গুমের মামলা করেন।
বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০১৭ সালের ২৯ আগস্ট এক রায়ে হাসমীর মা সোনিয়া আক্তারসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলরুবা সুলতানা। তবে হাইকোর্ট আজ আগের রায় অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হাফিজুর রহমানকে খালাস দিয়েছেন। খালাস পাওয়া হাফিজুরের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।