চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে রাজধানীর বনানী থানায় করা মাদক মামলার বিচার চলবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। অ্যালকোহল সেবনের লাইসেন্স থাকায় তার বিরুদ্ধে শুধু অ্যালকোহল রাখার অভিযোগটি বাদ দেওয়া হয়। তবে আইস ও এলএসডির বিষয়ে নতুন করে অভিযোগ গঠন করতে বলা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রায় দেন হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আতাবুল্লার বেঞ্চ।
শুনানিতে পরীমনির পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও শাহ মনজুরুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পি।
২০২১ সালের ৪ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বনানীর ১২ নম্বর সড়কে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে আইস, এলএসডি, অ্যালকোহলসহ বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। এ বিষয়ে করা মামলায় পরীমনির ওই বছরের ৫ আগস্ট চার দিন ও ১০ আগস্ট দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে ১৩ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। একই বছর ১৯ আগস্ট আরও এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ২১ আগস্ট আবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ৩১ আগস্ট তৎকালীন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ জামিন মঞ্জুর করলে তিনি কারামুক্ত হন।
সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা মামলার তদন্ত শেষে একই বছরের ৪ অক্টোবর পরীমনিসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক নজরুল ইসলাম ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করলে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। অপর দুই অভিযুক্ত হলেন পরীমনির সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবীর হাওলাদার।
এরপর মামলাটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন পরীমনি। এ আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ১ মার্চ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। আজ সেই রুলের নিষ্পত্তি করে রায় দেওয়া হলো।