![নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করতে আমরা বাধ্য: সিইসি](uploads/2023/11/29/1701261224.CEC.jpg)
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে আমরা সাংবিধানিকভাবে বাধ্য। এ বিষয়টি আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের স্পষ্ট করে জানিয়েছি।’
বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
এর আগে, ইইউয়ের ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বিকেল ৩টায় নির্বাচন ভবনে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য চার কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডর চার্লস হোয়াইটলির নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওই প্রতিনিধিদলে ছিলেন- ডেপুটি হেড অব মিশন ব্রেন্ড স্পাইনার, সংস্থাটির পলিটিক্যাল অফিসার সেবাস্তিয়ান রিগার ব্রাউন, সুইডেনের অ্যাম্বাসেডর আলেকজান্ডার বার্গ ফন লিন্দ্রে, ডেনমার্কের অ্যাম্বাসেডর ক্রিস্টিয়ান ব্রিক্স মুলার, স্পেনের অ্যাম্বাসেডর ফ্রান্সিসকো ডি আসিস বেনিতেজ সালাস, ইতালির অ্যাম্বাসেডর আন্তোনিও অ্যালেসান্দ্রো, কিংডম অব নেদারল্যান্ডসের অ্যাম্বাসেডর ইরমা ফেন ডুয়েরেন, ফ্রান্সের ডেপুটি হেড অব মিশন গুইলাম অড্রেম ডে কারড্রেল ও জার্মান অ্যাম্বাসির এক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডর চার্লস হোয়াইটলিসহ সাতটি দেশের রাষ্ট্রদূত এসেছিলেন। এটাকে আমরা বলি ইইউ ডেলিগেশন। তারা আগেও একাধিকবার এসেছেন। তাদের একটা এক্সপার্ট ইলেকশন পর্যবেক্ষণ টিম আসবেন বলে জানিয়েছেন। ইতোমধ্যেই চারজন এসেছেন। তারা দীর্ঘ সময় আমাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে জেনেছেন। আমাদের প্রস্তুতিটা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এটা তারা জানতেন না। তারা আজও এসেছেন, এর মধ্যে আমাদের কী ধরনের অগ্রগতি হয়েছে সেগুলো আমরা তাদের জানিয়েছি। আমরা আগের মতোই স্পষ্ট করে জানিয়েছি, নির্বাচন ফ্রি-ফেয়ার, পিসফুল এবং ক্রেডিবল যাতে হয়, সেটি নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
সিইসি বলেন, ‘আমরা তাদের জানিয়েছি, আমাদের কমিশনাররা বিগত দুই সপ্তাহ ধরে বাইরে বাইরে ঘুরেছেন এবং তারা জনগণ ও প্রশাসনকে বিষয়গুলো অবহিত করেছেন। যাতে প্রশাসন স্থানীয়ভাবে তাদের সব শক্তিকে সমন্বিত করে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত হয়। তারা আমাদের বক্তব্যে সন্তুষ্ট হয়েছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে আমরা সাংবিধানিকভাবে বাধ্য। এটা আমরা খুব স্পষ্ট করে তাদের বুঝিয়েছি। আমার বিশ্বাস, আমাদের যে সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা এটা তারা বুঝতে পেরেছেন।’
রাজনৈতিক অঙ্গনে যদি কোনো মতবিরোধ থাকে, বিভেদ-বিভাজন থাকে সেখানে যে ইসি কোনোভাবেই হস্তক্ষেপ করতে পারে না সেটাও তাদের জানানো হয়েছে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
বৈঠকের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডর চার্লস হোয়াইটলি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন কমিশনার এবং দলের সঙ্গে একটি খুব বিস্তৃত বৈঠক করেছি। এর আগেও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আমাদের মধ্যে বিস্তর মতবিনিময় হয়েছিল। বাংলাদেশের একটি আন্তর্জাতিক অংশীদার হিসেবে, আমি অবশ্যই প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও তার দলের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেছি যা প্রশংসিত। আমরা এ দেশে একটি গণতান্ত্রিক, বিশ্বাসযোগ্য, শান্তিপূর্ণ এবং একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চাই।’
এলিস/সালমান/