বাংলাদেশের সংবিধান একদিনে হয়নি। এই সংবিধান রক্তের অক্ষরে লেখা সংবিধান। এই রক্তের অক্ষরের মানেটা হলো ৩০ লাখ মানুষ আত্মহুতি দিয়েছেন। দুই লাখ মানুষ তাদের সম্ভ্রম হারিয়েছেন। তাদের এই আত্মত্যাগের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে বলে জানান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
শুক্রবার (১ মার্চ) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী ধলেশ্বরে রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার ও আকছির চৌধুরী চ্যারিটি ট্রাস্ট স্কুল আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হয়েছে বলেই আমরা সংবিধান পেয়েছি। এই সংবিধানের আলোকে দেশ পরিচালিত হচ্ছে। সারা পৃথিবীর মানুষ বাংলাদেশের সংবিধানকে একটি অন্যতন শ্রেষ্ঠ সংবিধান বলে মনে করে। আজকে রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার ও আকছির চৌধুরী চ্যারিটি ট্রাস্ট স্কুল মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়ার মধ্য দিয়ে এই সংবিধানকে সমুন্নত রাখার যে প্রত্যয় ঘোষণা করেছে, এটি নিঃসন্দেহে একটি বড় ধরনের উদ্যোগ। এই ধরনের উদ্যোগ বাংলাদেশের আনাচে-কানাচের মানুষ যদি গ্রহণ করে, তা হলে এই বাংলাদেশ কোনোদিন পথ হারাবে না। এই বাংলাদেশ সঠিক পথে থাকবে।’
অ্যাডভোকেট আকছির এম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার জেনারেল গোলাম রাব্বানি, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সি মোহাম্মদ মশিউর রহমান, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান, প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব আরিফুর রহমান, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ বেগম শারমিন নিগার ও চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ পারভেজ।
এর আগে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান রাবিয়া স্মৃতি পাঠাগারে বৃক্ষরোপণ করেন এবং পাঠাগারে বই উপহার দেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মরণোত্তরসহ ৫৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার হাতে সম্মানসূচক ক্রেস্ট তুলে দেন প্রধান বিচারপতি।
জুটন বণিক/সাদিয়া নাহার/অমিয়/