![চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে : আইজিপি](uploads/2024/03/12/1710253013.IGP.jpg)
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ‘পণ্যবাহী যানবাহনসহ কোনো সেক্টরে চাঁদাবাজি বরদাশত করা হবে না। সব ধরনের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) পুলিশ সদর দপ্তরে পবিত্র রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা, নিরাপত্তা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় আইজিপি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। তিনি এ ক্ষেত্রে বাজার মনিটরিং ও পণ্যবাহী যানবাহনের নির্বিঘ্ন চলাচলের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আরও বলেন, ‘রমজান ও ঈদ সামনে রেখে কোনো ইস্যু তৈরি করে কেউ যেন আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে না পারে সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
পুলিশপ্রধান বলেন, ‘কোনো স্বার্থান্বেষী মহল সাইবার ওয়ার্ল্ডে গুজব ও অপপ্রচারের মাধ্যমে যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটাতে না পারে সে জন্য কর্মকর্তাদের তৎপর থাকতে হবে।’
আইজিপি বলেন, ‘রমজানে নিয়মিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ইফতার, তারাবি এবং সাহরির সময় বিশেষভাবে সতর্ক ও সজাগ থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এ ছাড়া গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিয়ে যেন কোনো ধরনের সমস্যার সৃষ্টি না হয়। সে জন্য শিল্প-পুলিশকে তৎপর থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
আইজিপি পবিত্র ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে এখন থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সব পুলিশ ইউনিটকে নির্দেশনা দেন। বাসের ছাদে বা ট্রাকে যাতে যাত্রী পরিবহন করতে না পারে সে জন্য হাইওয়ে পুলিশকে ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেন তিনি।
সভায় আগামী ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ সময় সভায় অতিরিক্ত আইজিপি, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া র্যাব, এটিইউ, পিবিআই, হাইওয়ে পুলিশ, শিল্পাঞ্চল পুলিশ, নৌ-পুলিশের প্রধান, মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, ডিআইজি (এফডিএমএন), সব জেলার পুলিশ সুপার এবং বিশেষায়িত ইউনিট নৌ, হাইওয়ে, রেলওয়ে ও ট্যুরিস্ট ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ভার্চুয়ালি সভায় সংযুক্ত ছিলেন।