ঢাকা ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪

মনোহরদীতে কেন্দ্রে ঢুকে অ্যাজেন্টকে থাপ্পড় দিলেন মেয়র

প্রকাশ: ২১ মে ২০২৪, ০৩:০৩ পিএম
আপডেট: ২১ মে ২০২৪, ০৪:০৪ পিএম
মনোহরদীতে কেন্দ্রে ঢুকে অ্যাজেন্টকে থাপ্পড় দিলেন মেয়র
বিশ্বজগৎ রায়

নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পৌরসভার মেয়র আমিনুর রশীদ সুজন ভোটকেন্দ্রে ঢুকে এক অ্যাজেন্টকে থাপ্পর দিয়ে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৌর শহরের সরদার আসমত আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী বিশ্বজিত রায় খবরের কাগজকে বলেন, ‘‘এই উপজেলার নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াশীষ রায়ের অ্যাজেন্ট তিনি। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেয়র আমিনুর রশীদ সুজন কেন্দ্রে ঢুকেন। এ সময় মেয়র বলেন, ‘তর কি জানের মায়া নাই, তুই মোটরসাইকেলের অ্যাজেন্ট কেন?’, এই বলে ভোটগ্রহণের কক্ষেই থাপ্পর দেয়।’’
 
তিনি বলেন, ‘মেয়র ভয়ভীতি দেখায়, মারধর করে, আমি অসহায় বলে।’ 

মেয়র কেন এই ঘটনা ঘটাল? এমন প্রশ্নে বিশ্বজিত রায় কোনো কারণ বলতে পারেনি।

এ কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং কর্মকর্তা রিপন চন্দ্র সরকার ঘটনার সত্যতা খবরের কাগজকে তিনি নিশ্চিত করেন।

এই ঘটনার পর কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যান মেয়র আমিনুর রশীদ সুজন। তার মোবাইলফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।  

এই ঘটনা শুনে নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ কেন্দ্র পরিদর্শন আসেন। 

কিন্তু জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল আলম বিষয়টি জানেন না বলে জানান। 

শাওন খন্দকার/জোবাইদা/অমিয়/

সুনীল অর্থনীতি সামুদ্রিক সম্পদের সম্ভাবনার ক্ষেত্র উন্মোচন করেছে : স্পিকার

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫৭ পিএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫৭ পিএম
সুনীল অর্থনীতি সামুদ্রিক সম্পদের সম্ভাবনার ক্ষেত্র উন্মোচন করেছে : স্পিকার
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নের জন্য ব্লু ইকোনমি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। সুনীল অর্থনীতি সামুদ্রিক সম্পদের ব্যবহার বাড়াতে অপার সম্ভাবনার ক্ষেত্র উন্মোচন করেছে।’

বুধবার (৩ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ওশান প্রসপারিটি: ক্যাটালাইজিং ব্লু ইকোনমি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্পিকার বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমুদ্রসম্পদের গুরুত্ব অনুধাবন করে ১৯৭৩ সালে প্রথম সামুদ্রিক গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৯৭৪ সালে ‘দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট’ প্রণয়ন করেছিলেন, যা ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ এ খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে। শেখ হাসিনা বঙ্গোপসাগরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের ওপর বাংলাদেশের সার্বভৌম অধিকার প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছেন। সুতরাং, সামুদ্রিকসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের পাশাপাশি অতিরিক্ত মাছ ধরা নিয়ন্ত্রণ, সমুদ্রদূষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার মতো চ্যালেঞ্জ সামনে এসেছে।”

এ ধরনের উদ্যোগের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সুনীল অর্থনীতির পরিপূর্ণ সম্ভাবনা উন্মোচনের জন্য গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগ অপরিহার্য। ব্লু ইকোনমিতে বেসরকারি উদ্যোগ, জ্ঞান ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতে পারে।’

বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের জেনারেল ইকোনমিক্স ডিভিশনের সদস্য (সেক্রেটারি) ড. মো. কাওসার আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইংমিং ইয়াং বক্তব্য রাখেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার। 

অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিনটিং। এই কনফারেন্সে বাংলাদেশ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, জেনারেল ইকোনমিক্স ডিভিশন, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আমন্ত্রিত অতিথি, সাংবাদিক এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

এলিস/সালমান/

শিশুশ্রম নিরসনে সামাজিক আন্দোলন সৃষ্টি করতে হবে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৫:০০ পিএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৫:০০ পিএম
শিশুশ্রম নিরসনে সামাজিক আন্দোলন সৃষ্টি করতে হবে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
শিশুশ্রম নিরসনবিষয়ক বিভাগীয় কর্মশালায় কথা বলছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী

শিশুশ্রম নিরসনে সামাজিক আন্দোলন সৃষ্টি করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী। 

বুধবার (৩ জুলাই) রাজধানীতে শিশুশ্রম নিরসনবিষয়ক বিভাগীয় কর্মশালায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতা লাভের পর বঙ্গবন্ধু শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণ ও অধিকার সংরক্ষণকে গুরুত্ব দিয়ে সব শিল্পকারখানা রাষ্ট্রীয়করণ করেন, ১৯৭২ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)-তে যোগ দেন এবং তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আইএলওর সদস্যপদ লাভ করে। শিশুদের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালেই শিশু নীতি প্রণয়ন করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।’

গত কয়েক দশকে বাংলাদেশ শিশুশ্রম নির্মূলে অবিশ্বাস্য উন্নতি করেছে উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘সরকার ইতোমধ্যে আইএলও কনভেনশন ১৩৮-এর আনুষ্ঠানিক অনুসমর্থন করেছে। আইএলও কনভেনশন, ইউএনসিআরসি, শ্রম আইন ২০০৬-সহ আন্তর্জাতিক আইন ও বিধিগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শিশুশ্রম নিরসনে একটি জাতীয় নীতি অনুমোদন করা হয়েছে। ৪৩টি সেক্টরকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ করার জন্য গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।’

শ্রম প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, “শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২৮৪.৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন (৪র্থ পর্যায়)’ প্রকল্পের মাধ্যমে এক লাখ শিশুকে ৬ মাস উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং চার মাস মেয়াদি দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দিয়েছে।” সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি শিশুশ্রম নিরসনে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব আলম, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. তরিকুল আলম, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুর রহিম খান, ঢাকার উপ মহাপুলিশ পরিদর্শক সৈয়দ নুরুল ইসলাম। 

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে কর্মশালায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এনজিওর প্রতিনিধি, শ্রমিক-মালিক পক্ষসহ সরকারি  ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আবদুল্লাহ আল মামুন/সালমান/

প্রত্যয় স্কিম শিক্ষক সমিতির সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের বৈঠক বৃহস্পতিবার

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩৯ পিএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৫ পিএম
শিক্ষক সমিতির সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের বৈঠক বৃহস্পতিবার
ওবায়দুল কাদের

প্রত্যয় পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্তি বাতিলের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো চলছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলন। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (৩ জুলাই) ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে বৈঠকের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের তাদের সঙ্গে কথা বললেও এখনো সময় নির্ধারণ করা হয়নি।

আন্দোলন চলবে কি-না জানতে চাইলে তিনি জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা কাজে ফিরবেন না।

প্রত্যয় পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে গত সোমবার (১ জুলাই) অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এই কর্মবিরতির অংশ হিসেবে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিয়মিত, সান্ধ্যকালীন প্রফেশনাল, অনলাইন ও অফলাইন প্রোগ্রামসহ সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।

একাডেমিক কার্যক্রম ছাড়াও চেয়ারম্যান অফিস, হল প্রভোস্ট অফিস, গবেষণা কেন্দ্র, ইনস্টিটিউট, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, ডিন অফিস, কম্পিউটার ল্যাব ও সেমিনার কক্ষসহ প্রশাসনিক অফিসগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। ইউএনবি

সালমান/

সচিবালয়ে বিএসআরএফের ফল উৎসব

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৩:০০ পিএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৩:২৪ পিএম
সচিবালয়ে বিএসআরএফের ফল উৎসব
সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের ফল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ। ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) ফল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে এ উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব। 

বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে এ উৎসব। উৎসবে স্থান পায় আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, আমড়া, লটকন, ড্রাগন, আনারসহ নানা জাতের ফল।

আবদুল্লাহ আল মামুন/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

ওষুধের মান নিশ্চিত করে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০২:৪৬ পিএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫৮ পিএম
ওষুধের মান নিশ্চিত করে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বক্তব্য রাখছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। ছবি: পিআইডি

ওষুধের গুণগতমান নিশ্চিত করার মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই জানি, ওষুধের নিরাপত্তা, কার্যকারিতা এবং গুণগতমান নিশ্চিত করার মাধ্যমে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে হবে। এই প্রচেষ্টায় যে সাধারণ চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হই, তার মধ্যে রয়েছে নিম্নমানের এবং ভেজাল ওষুধের অব্যাহত ঝুঁকি।’

বুধবার (৩ জুলাই) সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সাউথ ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কের সদস্য রাষ্ট্রসমূহের বার্ষিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্ক (এসইএআরএন) হচ্ছে ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের দেশগুলোর জাতীয় নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।   

অনুষ্ঠানে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, সাউথ-ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কের সমাবেশে বক্তব্য দেওয়াটা আমার জন্য সম্মানের। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর এই সমাবেশ আমাদেরকে একত্রিত করে অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং আমাদের অঞ্চলে ওষুধের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণকে শক্তিশালী করার জন্য একটি মূল্যবান সুযোগ এনে দিয়েছে। 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সাউথ-ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কে কাজ করার মাধ্যমে আমরা এই চ্যালেঞ্জগুলোকে কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে পারি। এ জন্য আমরা আমাদের যৌথ দক্ষতা, সম্পদ এবং সর্বোত্তম অনুশীলনকে কাজে লাগাতে পারি। তথ্য আদান-প্রদান, সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ এবং পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা আমাদের নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থাকে উন্নত করতে পারি। 

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা। 

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. আহমেদুল কবীর বক্তব্য রাখেন।। 

এতে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং পূর্ব তিমুরের প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষকরা অংশগ্রহণ করেন। সূত্র: বাসস

অমিয়/