পবিত্র ঈদুল আজহাকে ঘিরে গত ১৪ জুন (বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত) পদ্মা সেতুতে ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা টোল আদায় হয়েছে। এ দিন সেতু পারাপার হয়েছে ৪৪ হাজার ৩৩টি যানবাহন।
শনিবার (১৫ জুন) সকালে পদ্মা সেতুর ব্যবস্থাপক (টোল) মো. আহমেদ আলী এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ১৪ জুন ৪৪ হাজার ৩৩টি যানবাহন থেকে সর্বমোট আয় হয়েছে ৪ কোটি ৮২ লাখ ১৭ হাজার ৪০০ টাকা। তার মধ্যে মাওয়া প্রান্ত থেকে সেতু পার হয়েছে ২৮ হাজার ৮৯৬টি যানবাহন। যা থেকে নগদ টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৭২ লাখ ৬৪ হাজার ৫৫০ টাকা। এ ছাড়া ১ লাখ ২০ হাজার ৩৫০ টাকার টোল বাকি রেখে সেতু পার হয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠানের যানবাহন। আর ইটিসিএস পদ্ধতিতে টোল জমা হয়েছে ১ হাজার ২শ টাকা। অন্যদিকে জাজিরা প্রান্ত থেকে সেতু পার হয়েছে ১৫ হাজার ১৩৭টি যানবাহন। সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ৫৩ হাজার ৭৫০ টাকা বাকিসহ মোট আয় হয়েছে ২ কোটি ৮ লাখ ১৯ হাজার ৩০০ টাকা।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহু প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। তার পরের দিন সেতুটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ওই দিন ৫১ হাজার ৩১৬টি যানবাহন পদ্মা সেতু দিয়ে যাতায়াত করে।
এদিকে টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানান, ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরছে উত্তরাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষ। এর ফলে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে বেড়েই চলছে যানবাহনের সংখ্যা। এর ফলে বঙ্গবন্ধু সেতুতে বেড়েছে টোল আদায়ের হার। গত ১৪ জুন ৩ কোটি ৮০ লাখ ৬৩ হাজার ৪শ টাকা টোল আদায় হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল এসব তথ্য জানান।
বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৫৩ হাজার ৭০৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ থেকে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৮০ লাখ ৬৩ হাজার ৪শ টাকা। এর মধ্যে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব অংশে ৩৩ হাজার ২৫টি যানবাহন পারাপার হয়। এ থেকে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা। সিরাজগঞ্জে সেতুর পশ্চিম অংশে ২০ হাজার ৬৮৩টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৭৪ লাখ ২৩ হাজার ৪শ টাকা।
নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল আরও জানান, যানবাহনের পারাপার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যানজট নিরসনে সেতুর দুই প্রান্তে স্থাপিত আটটি স্থায়ী টোল বুথের সঙ্গে নতুন করে ১৪টি অস্থায়ী বুথ স্থাপন করা হয়েছে। তার মধ্যে চারটি বুথ মোটরসাইকেলের জন্য স্থাপন করা হয়। এবারও ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে বলে আশা করছি।
