![বোট ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট রুবেল, দেশে ফিরে দায়িত্ব বুঝে নেবেন](uploads/2024/06/15/boat kkk-1718464396.jpg)
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ দেশের বাইরে থেকে একটি চিঠি পাঠিয়ে বোট ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট বানিয়েছেন ক্লাবের উপদেষ্টা রুবেল আজীজকে। রুবেল আজিজ ক্লাবটির প্রতিষ্ঠাতা ও পারটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। চিঠিতে বেনজীর আহমেদ জানান, জরুরি প্রয়োজনে এখন তিনি দেশের বাইরে আছেন। এ কারণে কিছুদিনের জন্য এই ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি দেশে ফিরে দায়িত্ব বুঝে নেবেন। তার আগ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে রুবেল আজীজ দায়িত্ব পালন করবেন।
রাজধানীর উত্তরার পাশেই বিরুলিয়ার অবস্থিত বোট ক্লাব দখল করা নিয়ে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি গণমাধ্যমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালে ঢাকা বোট ক্লাব কর্তৃপক্ষ আচমকা বেনজীর আহমেদকে সদস্য করে এবং নির্বাহী কমিটিতে স্থান দেয়। এরপর পর্যায়ক্রমে কয়েক ধাপে প্রেসিডেন্ট পদে উঠে আসেন তিনি। বেনজীর আহমেদের অনুরোধে পাঁচ বছর করে টানা দুবার তাকে সভাপতির দায়িত্ব দেন সদস্যরা। কিন্তু সদস্যরা যে উদ্দেশ্য নিয়ে তাকে সভাপতির দায়িত্ব দেন, তাতে গুড়েবালির মতো অবস্থা হয়েছে। নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে বোট ক্লাবের দখল নেন। কুক্ষিগত করে রাখেন ক্লাব সদস্যদের। নিজের মতো করে গঠনতন্ত্র সংশোধন করে অনিয়ম করেছেন। যেগুলো ইসি কমিটির অন্য সদস্য ও সাধারণ সদস্যরা মেনে নিতে পারছেন না। সদস্যদের ভালো লাগার ক্লাবটি এখন বেনজীরের জিম্মি হয়ে আছে। ক্লাবের ফান্ডে থাকা ২৬০ কোটি টাকার বিষয়েও খোঁজ পাচ্ছেন না ক্লাব সদস্যরা।
গত ১৮ এপ্রিল বেনজীরের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বেনজীর ও স্ত্রী-সন্তানদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগামী ২৩ ও ২৪ জুন দিন ধার্য করেছেন দুদক কর্মকর্তারা।
বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে এখন পর্যন্ত ঢাকায় ১২টি ফ্ল্যাট, দেশের বিভিন্ন জেলায় ৬৯৭ বিঘা জমি, একাধিক মৎস্য ও গরুর খামার, রিসোর্ট, ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, বিও অ্যাকাউন্টসহ ৩৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, সিটিজেন টেলিভিশনসহ পাঁচটি পূর্ণ মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ৮টি ব্যবসায়িক শেয়ার পাওয়া গেছে। আদালতের নির্দেশে এসব অর্থ-সম্পদ ক্রোক ও ফ্রিজ করা হয়েছে।