ঢাকা ১০ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

আজ বিশ্ব বাবা দিবস

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৪, ০৯:৪০ এএম
আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪, ০৯:৪১ এএম
আজ বিশ্ব বাবা দিবস
জুনের দ্বিতীয় রবিবার পালিত হয় বিশ্ব বাবা দিবস। বাবা দিবস উপলক্ষে সকল বাবাদের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা।

বাবা মানেই পরম নির্ভরতা। সন্তানের যাবতীয় আবদার-আহ্লাদ যেন বাবাকে ঘিরে। হাজারও সমস্যায় সন্তানের জীবন যখন অন্ধকারে উত্তাল সমুদ্র পাড়ি দেওয়া জাহাজের মতো, তখন বাবা যেন সেখানে একমাত্র বাতিঘর। প্রখর রোদ্দুরে ছায়াদানকারী বটবৃক্ষের মতো হন বাবারা।

কিন্তু সন্তানের জন্য নিজের জীবনের পুরোটাই উৎসর্গ করা এই বাবারা চিরকাল থেকে যান আড়ালে। বাবাদের সম্মান জানাতে, তাদের ভালোবাসা, আত্মত্যাগ ও পরিশ্রমের স্বীকৃতি জানাতে প্রতিবছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বিশ্বজুড়ে পালন করা হয় বাবা দিবস। মায়েদের পাশাপাশি বাবারাও যে তাদের সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীল ও কর্তব্যপরায়ণ, এটি বোঝানোর জন্যই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই দিবসটি ঘটা করে পালন করা হয়ে থাকে।

১৬ জুন বিশ্বের ১১১টি দেশে পালিত হবে বাবা দিবস। তবে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ সেপ্টেম্বরের প্রথম রবিবার বাবা দিবস পালন করে থাকে। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে বাবা দিবস পালনের প্রচলন হয়। তবে প্রথম কবে বাবা দিবস পালন করা হয়, এটি নিয়ে রয়েছে মতানৈক্য। অনেকের মতে, ১৯০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় চার্চে প্রথম বাবা দিবস পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার ফেয়ারমন্টে প্রথম ৫ জুলাই দিবসটি পালন করা হয়। 

অনেকের মতে, ১৯১০ সালের ১৯ জুন প্রথমবারের মতো বাবা দিবস পালন করা হয়। বাবা দিবস সম্পর্কে সর্বাধিক প্রচলিত মতবাদ হলো, ১৯০৯ সালে সনোরা স্মার্ট ডড নামের এক নারী বাবা দিবসের স্বীকৃতির জন্য সোচ্চার হয়ে ওঠেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে সনোরার মা ষষ্ঠ সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান। পরিবারে সনোরাই ছিলেন একমাত্র কন্যা। পূর্ব ওয়াশিংটনের এক গ্রামের ফার্মে এর পর থেকে তার বাবা নবজাতক ও আরও পাঁচটি সন্তান মানুষ করার কঠিন দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। সনোরা বড় হওয়ার পর অনুভব করলেন, ছয়টি সন্তান একা একা মানুষ করতে কী ভীষণ পরিশ্রমই না তার বাবাকে করতে হয়েছে। 

সনোরা তার বাবাকে অসম্ভব ভালোবাসতেন। মা দিবসের এত আয়োজন দেখে তিনি ভাবলেন, বাবা দিবস কেন বাদ থাকবে! বাবাদের জন্যও একটি দিবস থাকা প্রয়োজন, যেদিন মায়েদের মতো বাবাদেরও সম্মান জানানো হবে। যুক্তরাষ্ট্রের স্পোকেন মন্ত্রিসভার কাছে তিনি তার পিতার জন্মদিন ৫ জুনকে বিশ্ব বাবা দিবস হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব পাঠান। জুনের ৫ তারিখে বাবা দিবসের ঘোষণা না দিলেও তার প্রস্তাবের প্রশংসা করে জুন মাসের তৃতীয় রবিবারকে বাবা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর এক বছর পর ১৯১০ সালের ১৯ জুন পালন করা হয় বাবা দিবস।

এরপর ১৯৬৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসন জুনের তৃতীয় রবিবারকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাবা দিবস হিসেবে নির্ধারণ করেন। ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন প্রতিবছর জাতীয়ভাবে বাবা দিবস পালনের রীতি চালু করেন। সেই থেকে বিশ্বজুড়ে বাবা দিবস পালন করা হচ্ছে।

শুরুটা ওয়াশিংটনে হলেও ধীরে ধীরে এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে ছড়িয়ে পড়তে থাকে এ দিবস। প্রতিবছর বিশ্বে ঘটা করে বাবা দিবস পালন করা হলেও বাংলাদেশে এই প্রচলন এখনো নতুন। অনেকেই বাবাকে শ্রদ্ধা জানাতে কেক কেটে পালন করেন এই দিন। কেউ কেউ ঘরোয়াভাবে আয়োজন করেন অনুষ্ঠানের। এদিন বাবাদের কী উপহার দেওয়া যায়, ভেবে ব্যস্ত হয়ে পড়েন অনেক সন্তান। দিবসটি ঘিরে অনলাইন ও দোকানের ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন উপহারসামগ্রীতে লোভনীয় ছাড় দেন।

বিদেশি নাগরিকরা ১০ মাসে ১৩০ মিলিয়ন ডলার নিয়ে গেছেন : অর্থমন্ত্রী

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৬:২৪ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ০৬:২৪ পিএম
বিদেশি নাগরিকরা ১০ মাসে ১৩০ মিলিয়ন ডলার নিয়ে গেছেন : অর্থমন্ত্রী
ফাইল ছবি

গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকরা তাদের আয় থেকে ১৩০ দশমিক ৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নিজ নিজ দেশে নিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

সোমবার (২৪ জুন) সংসদে ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল কাদের আজাদের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন। 
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

অর্থমন্ত্রী জানান, দেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের বছরে আয় সংশ্লিষ্ট তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সংরক্ষিত নেই। গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের এপ্রিল র্পযন্ত দেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকরা তাদের আয় থেকে ১৩০ দশমিক ৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নিজ নিজ দেশে নিয়ে গেছেন।

কোন দেশের নাগরিকরা কত ডলার নিয়েছেন সেই তথ্য জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ভারত ৫০ দশমিক ৬০ মিলিয়ন ডলার, চীন ১৪ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন ডলার, শ্রীলঙ্কা ১২ দশমিক ৭১ মিলিয়ন ডলার, জাপান ৬ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন ডলার, কোরিয়া ৬ দশমিক ২১ মিলিয়ন ডলার, থাইল্যান্ড ৫ দশমিক ৩০ মিলিয়ন ডলার, যুক্তরাজ্য ৩ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন ডলার, পাকিস্তান ৩ দশমিক ২৪ মিলিয়ন ডলার, যুক্তরাষ্ট্র ৩ দশমিক ১৭ মিলিয়ন ডলার, মালয়েশিয়া ২ দশমিক ৪০ মিলিয়ন ডলার, অন্যান্য দেশের নাগরিকরা ২১ দশমিক ৯২ মিলিয়ন ডলার নিয়ে গেছেন।’

এমপি আব্দুল লতিফের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অর্থ মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। মূল্যস্ফীতির চলমান সংকটের মূলে যে কারণগুলো রয়েছে তা হলো- বৈশ্বিক পণ্য বাজারে সরবরাহে অনিশ্চয়তা, মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়া এবং দেশের বাজারে সরবরাহ শৃঙ্খলে ত্রুটি। অর্থনৈতিক এ সংকট কাটিয়ে দ্রবমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে।’

এলিস/সালমান/

জাতীয় স্মৃতিসৌধে নবনিযুক্ত সেনাপ্রধানের শ্রদ্ধা

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৩:৫৭ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ০৪:৪০ পিএম
জাতীয় স্মৃতিসৌধে নবনিযুক্ত সেনাপ্রধানের শ্রদ্ধা
জাতীয় স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করছেন নতুন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান

সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নতুন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

সোমবার (২৪ জুন) দুপুর ১২টা ২ মিনিটে স্মৃতিসৌধের শহিদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি। সেই সঙ্গে বীর শহিদদের সম্মানে সালাম প্রদান করেন তিনি।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে ওয়াকার-উজ-জামান স্মৃতিসৌধ এলাকায় প্রবেশ করেন। এ সময় তাকে অভ্যর্থনা জানান ৯ পদাতিক ডিভিশন জিওসি মেজর জেনারেল মঈন খান। শ্রদ্ধা জানিয়ে ১২টা ৫ মিনিটে  স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন সেনাপ্রধান। পরে ১২টা ১০ মি‌নি‌টে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।

নবনিযুক্ত সেনাপ্রধানের সফরসঙ্গী ছিলেন লে. জেনারেল মাজিবুর রহমান, মেজর জেনারেল যুবায়ের সালেহীন (এজি), মেজর জেনারেল সারোয়ার হোসেন, ব্রি. জেনারেল মুনিরুল ইসলাম (ডিপিএস) ও তার নিরাপত্তা অফিসার।

সাভার গণপূর্ত বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী ও জাতীয় স্মৃতিসৌধের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘সেনাপ্রধান দুপুরে জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহিদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেনাপ্রধানের আগমন উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। সকাল থেকে দর্শনার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবে দুপুরের পর থেকে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ।’

ইমতিয়াজ/সালমান/

বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় টোল আদায় ৩ কোটি টাকা

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৩:০৩ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ০৩:০৭ পিএম
বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় টোল আদায় ৩ কোটি টাকা
ছবি : খবরের কাগজ

ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরছে উত্তরাঞ্চলের মানুষ। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে বাড়ছে যানবাহনের চাপ। বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ হাজার ৬০০টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৯২ লাখ ৯৪ হাজার ৫৫০ টাকা। 

সোমবার (২৪ জুন) বঙ্গবন্ধু সেতু সূত্রে জানা যায়, স্বাভাবিক সময়ে ২৪ ঘণ্টায় ১৮ থেকে ২০ হাজার যানবাহন সেতু পারাপার হলেও ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে তা বাড়তে থাকে। গত শনিবার রাত ১২টা থেকে গতকাল রবিবার রাত ১২টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্তে ১৪ হাজার ৮৯৭টি যানবাহন পারাপার হয়। এ থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ২৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯৫০ টাকা। সেতুর পশ্চিম প্রান্তে ২২ হাজার ৭০৩টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৬৬ লাখ ৩০ হাজার ৬০০ টাকা। 

বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, ‘স্বাভাবিক সময়ে সেতুর উভয় প্রান্তে ১২টি বুথের মাধ্যমে টোল আদায় করা হলেও ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে উভয় প্রান্তে আলাদা মোটরসাইকেলের লেনসহ ১৮টি বুথের মাধ্যমে টোল আদায় করা হচ্ছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে উত্তরাঞ্চলের মানুষ। এতে যানবাহনের চাপ রয়েছে।’

জুয়েল রানা/সালমান/

সব নাগরিকের বিচার পাওয়ার অধিকার আছে: প্রধান বিচারপতি

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৩:০২ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ০৪:১৮ পিএম
সব নাগরিকের বিচার পাওয়ার অধিকার আছে: প্রধান বিচারপতি
ছবি: খবরের কাগজ

বিচারপ্রার্থী এবং অভিযুক্ত; সবারই ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার আছে, এ নিয়ে বিচার বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা জজ আদালতে বিচারপ্রার্থীদের জন্য আধুনিক সুবিধা সম্বলিত বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধনের পর তিনি এ কথা বলেন।

গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধানে প্রায় ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে আদালত প্রাঙ্গনে নির্মিত বিচারপ্রার্থীদের বসার স্থান, ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার, টয়লেট ও মুদিখানা তৈরি করা হয়।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘দ্রুত বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিতে প্রধান অন্তরায় মামলাজট, তাই মামলাজট কমানোর জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আদালতে আসা বিচারপ্রার্থী, অভিযুক্ত ও স্বাক্ষীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয় বিশ্রামাগার না থাকার কারণে। এই দুর্ভোগ লাঘবে একটি অনন্য উদ্যোগ বিচারপ্রার্থীদের জন্য আধুনিক সুবিধাসম্বলিত বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জ। সারাদেশের সব জজশিপে দ্রুত ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণ করা হবে।’

বিশ্রামাগার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান, সিরাজগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ এম আলী আহম্মেদ, জেলা প্রশাসক মীর মো. মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল প্রমুখ।

সিরাজুল ইসলাম/সাদিয়া নাহার/অমিয়

উপবৃত্তি, টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ১২:৫৯ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ০২:৩১ পিএম
উপবৃত্তি, টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

মাধ্যমিক থেকে স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২৪ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সত্যি খুব আনন্দিত আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি, এটা তারই একটি দৃষ্টান্ত। এইমাত্র যেটা উদ্বোধন করা হলো সেটা হলো স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি দেওয়া। এটা সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে যার যার অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। নিজেরা সংগ্রহ করতে পারবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্টাইপেন্ড এবং টিউশন ফি বাবদ অর্থ বিতরণ করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।’

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা ও সাংস্কৃতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।

একই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ‘বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ’ প্রতিযোগিতা-২০২৪ এর ১৫ জন শিক্ষার্থী এবং ২১ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২০২৩ সালের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার অ্যাওয়ার্ড’ বিতরণ করেন।

‘বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ’ প্রতিযোগিতায় পুরস্কারপ্রাপ্ত ১৫ শিক্ষার্থীর প্রত্যেকেই ২ লাখ টাকা ও একটি সনদপত্র পেয়েছেন। 

এ ছাড়া, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার অ্যাওয়ার্ড’ প্রাপ্ত ২১ শিক্ষার্থীর প্রত্যেকেই একটি সনদপত্র ও ৩ লাখ টাকা পেয়েছেন।

মোবাইল ফোন বা অনলাইন ব্যাংকিংয়ে মাধ্যমিক থেকে স্নাতক পাস পর্যায়ে ৬৪ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মেধাবী শিক্ষার্থীদের মোট ২ হাজার ২০৮ কোটি টাকা বিতরণ করা হবে।

অমিয়/