![স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস বিতর্কিত করা হয়েছে: মেজর হাফিজ](uploads/2024/03/14/1710408028.Hafiz.jpg)
স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস বিতর্কিত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম।
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় ৮০ হাজার থেকে এক লাখ মুক্তিযোদ্ধা হলেও এখন আড়াই লাখ মানুষ মুক্তিযোদ্ধার ভাতা ও সুযোগ সুবিধা নিচ্ছে। মনের মাধুরী মিশিয়ে কবিদের কবিতার মতো ইতিহাসও রচিত হচ্ছে। বর্তমান শাসকগোষ্ঠী আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির জন্য দায়ী।’
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটির আলোচনাসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মেজর হাফিজ বলেন, ‘২৫ মার্চের পর শুরু হয়েছিল সশস্ত্র সংগ্রাম। এটি খুব কঠিন। লাখ লাখ মানুষ তার জীবন ও রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে। এই অংশটি সম্পর্কে শাসক দল নিরব। কারণ সেখানে তাদের কোনো ভূমিকা ছিল না। জেড ফোর্সের অধিনায়ক মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান অসীম সাহসী ছিলেন। তবে এখনকার শিশুদের মনে এই ধারণা দেওয়া হচ্ছে, তিনি ছিলেন একজন পাকিস্তানের অ্যাজেন্ট। অথচ আমি এখনও জীবিত আছি। আমি মেজর জিয়াউর রহমানের অধীনে রণাঙ্গনে থেকে যুদ্ধ করেছি।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকরা যদি প্রতিরোধ যুদ্ধে অবতীর্ণ না হতেন তবে আজও দেশ পাকিস্তান থাকতো। কারণ পাকিস্তানের বর্বর বাহিনীর অস্ত্রের সামনে দাঁড়ানোর মতো নিরস্ত্র বাঙালির কাছে কোনো হাতিয়ার ছিল না। আমরা জনগণের প্রতিনিধি হয়ে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণায় উজ্জীবিত হয়ে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হই।’
একটি রাজনৈতিক দলের কৃতিত্বকে বড় করে দেখানোর জন্য দেশের সাধারণ মানুষদের অন্ধকারের রাখা হয়েছে এমন মন্তব্য করে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে অবশ্যই রাজনৈতিক দলের কৃতিত্ব আছে। স্বীকার করি। কিন্তু সব চেয়ে কঠিন পর্যায় যেখানে জীবন দিতে হয়, সেখানেই এগিয়ে এসেছে বাঙালি সৈনিকরা। মুক্তিযুদ্ধ ছিল সাধারণ মানুষের যুদ্ধ, এটি কোনো রাজনৈতিক দলের যুদ্ধ ছিল না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বাঙালি সংগ্রামী জাতি। যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন হয়েছে। আজ হোক আর কাল হোক, সংগ্রামের মাধ্যমে জনগন আবার তাদের মৌলিক অধিকারসমূহ ফিরে পাবেই। এই সংগ্রামে বিএনপি নেতৃত্ব দেবে।’
এর আগে সকালে নয়াপল্টনে কার্যালয়ে বৈঠক করেন বিএনপির মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটির নেতারা। কমিটির আহ্বায়ক মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন কমিটির সদস্যসচিব ও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, মাহবুবের রহমান শামীম, অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, আসাদুল হাবিব দুলু, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মোস্তাক আহমেদ, বিলকিস জাহান শিরিন, শামা ওবায়েদ, ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, খুলনা বিভাগের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান।
শফিকুল ইসলাম/ইসরাত চৈতি/অমিয়/