ঢাকা ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪

ঢাকা উত্তর আ.লীগে পদ-বাণিজ্য: ‘কল রেকর্ড’ ফাঁস করেন সাবেক এমপি হাবিব

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ১২:৩১ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০১:১২ পিএম
ঢাকা উত্তর আ.লীগে পদ-বাণিজ্য: ‘কল রেকর্ড’ ফাঁস করেন সাবেক এমপি হাবিব
ঢাকা-১৮ আসনের সাবেক এমপি হাবিব হাসান

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের অর্থের বিনিময়ে দলীয় পদ দেওয়ার একটি ‘কল রেকর্ড’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এই কল রেকর্ড ভাইরাল হওয়ার পেছনে মূল কলকাঠি নেড়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-১৮ আসনের সাবেক এমপি হাবিব হাসান। দুজনই ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নেতা। কল রেকর্ডটি ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মোবাইলে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই হাবিবের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে আওয়ামী লীগের উচ্চপর্যায়ের কাছে বিচার দেওয়ার কথা খবরের কাগজকে জানিয়েছেন শেখ বজলুর রহমান। 

গত ২৬ জুন ‘আ. লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের কমিটি- সভাপতি বজলুর অর্থ লেনদেনের অডিও ফাঁস’ শিরোনামে খবরের কাগজ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ইতোমধ্যে ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে শেখ বজলুর রহমানের পদ বাণিজ্যের এই কল রেকর্ডটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। খোদ সভাপতির এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নেতারাও। ২ মিনিট ২০ সেকেন্ডের ফোনালাপে শোনা যায়, ঢাকা মহানগর উত্তর ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের শীর্ষ পদ পেতে আকবর আলী নামের এক নেতা শেখ বজলুর রহমানের মোবাইলে ফোন করেন। সেখানে ওয়ার্ডের সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে আকবর আলী নগর সভাপতি শেখ বজলুর রহমানকে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দেন।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, নগরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের এই কল রেকর্ড  ফাঁস হওয়ার নেপথ্যে রয়েছেন একই কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিব হাসান। গতকাল সেই পদপ্রার্থী আকবর আলীর সঙ্গে সাবেক এমপি হাবিব হাসানের একটি ফোনালাপ খবরের কাগজের কাছে এসেছে। অডিও বার্তাটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এর আগে সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা আকবর আলী ১০ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে দলীয় পদ নেওয়ার কথা বলেন। আকবর আলী কৌশলে এই কলটি রেকর্ড করে সাবেক এমপি হাবিব হাসানের কাছে পাঠান। হাবিব হাসান এই রেকর্ডটি বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল করেন। সে কথা আবার সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের কানেও পৌঁছে যায়। এরপর হাবিব ও আকবরের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন শেখ বজলুর রহমান। 

‘হাবিব ও আকবর আলীর নতুন ফাঁস হওয়া ১ মিনিট ৪০ সেকেন্ডের অডিও রেকর্ডটিতে শোনা যায়, আকবর আলী বলছেন, ভাই এইডা কি হইলো ভাই, বুঝলাম না! 

হাবিব হাসান: কোনডা ভাই?
আকবর: এই যে ওই দিন বজলু ভাইয়ের লগে যে কথা বললাম। আমনের (হাবিবের) অফিসে আমারে নিয়ে- গিয়া- ডাইক্কা কথা বললাম, তয় রেকর্ডটা এই সাংবাদিক পুরা ভাইরাল করে দিলো! দুই জনের ছবি দিয়া। এডার কী জবাব দিই? বজলু ভাই ওনে (এখন) ফোন দিছে, আমি কী জবাব দিই? কন তো। ক্যারুম (কেমন) প্যাঁচের ভিত্তে পড়লাম! ভাই?

হাবিব হাসান: চুপ-চাপ বয়ে (বসে) থাকেন গা। ফোন বন্ধ করে বয়ে থাকেন গা।
আকবর: আমনে তো আমারে আশ্বাস দিতে হইবো, আমি তো রেকর্ডটা শুধু আমনেরে (আপনাকে) দিছিলাম। আর তো কেউরে দিছি না। যেমনে হোক আমনে (আপনি) তো আমার নলেজে দিবেন যে- আকবর ভাই কেউ ফোন দিলে ধরবেন না। চুপ-চাপ আপনে বয়ে (বসে) থাকেন, যা করার আমি করতাসি, তাইলে বুঝি আমার ভাই কাজ করতাছে আমার লাইগা।

হাবিব হাসান: আপনে ফোন বন্ধ করে বয়ে থাকেন।’ 
এর পরে দুই নেতা আরও কিছু কথা বলেন।    

এই কল রেকর্ডের বিষয়ে জানতে সাবেক এমপি হাবিব হাসান এবং আকবর আলীকে একাধিকবার কল করলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি। মেসেজের কোনো জবাব দেননি। তবে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের এক নেতা ও হাবিব হাসানের ঘনিষ্ঠ একজন কল রেকর্ডটি তাদের বলে নিশ্চিত করেছেন। 

এদিকে হাবিব ও আকবরের কল রেকর্ডটি শুনেছেন বলে জানান ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। খবরের কাগজকে তিনি বলেন, ‘আমি নিজে চাইলে সব কিছু করতে পারি না। আমরা এই পদে থেকে অনেক কিছুই করা যায় না। তাই আমি দলীয় হাইকমান্ডকে বিষয়টি জানিয়েছি। এখন হাইকমান্ড যে সিদ্ধান্ত নিবে তাই হবে।’ অবশ্য তিনি ইতোমধ্যে থানায় জিডি করেছেন বলে জানা গেছে।

চট্টগ্রাম থেকে আবারও নতুনভাবে আন্দোলনের সূত্রপাত হবে: আমীর খসরু

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫৭ এএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫৭ এএম
চট্টগ্রাম থেকে আবারও নতুনভাবে আন্দোলনের সূত্রপাত হবে: আমীর খসরু
ছবি: খবরের কাগজ

মানুষের অধিকার আদায়ের ও গণতন্ত্রের মা’র মুক্তির যে আন্দোলন তার সূত্রপাত হবে আগামী শনিবারে (৬ জুলাই) অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামের জনসভা থেকে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকালে নগরীর একটি কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিকদলের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করলেই বাংলাদেশের সব সমস্যার সমাধান হবে না। জীবনযাত্রার মান উন্নত করে সাধারণ মানুষের দাবিগুলো পূরণ করতে হবে। দেশের মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্রের মা’র মুক্তি একইসূত্রে গাঁথা।’

তিনি বলেন,‘শ্রমিক, মালিক ও সরকারের সম্পর্ক যে নিম্নপর্যায়ে চলে গেছে তার একমাত্র কারণ হচ্ছে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। জনগণের নির্বাচিত সরকার সংসদে না থাকার কারণে আজ শ্রমিকদের সে বিষয়গুলো প্রাধান্য পাচ্ছে না। শ্রমিকের অবস্থান বাংলাদেশে আজ কোথায়? শ্রমিক সংগঠনগুলো বর্তমান প্রেক্ষাপটে আইন অনুযায়ী তাদের কাজ ঠিকভাবে করতে পারছে না। যে সমস্ত শ্রমিকনেতা গার্মেন্টস সেক্টরে দাবি নিয়ে সত্যিকার অর্থে কাজ করেছিল তাদের অনেককে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। তাদের অনেকের বাড়িঘরে হামলা করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা কিন্তু বলেছিলাম ২৫ হাজার টাকা গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার জন্য। শ্রমিকদের পক্ষ থেকেও এ টাকার দাবি দেওয়া হয়েছিল বলে মনে হয়। কিন্তু তাদের বেতন সাড়ে ১২ হাজার। প্রায়ই অর্ধেক। শ্রমিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য গার্মেন্টস সেক্টরে সত্যিকার অর্থে এ দাবি আদায় করতে কোনো নেতা পাচ্ছে না।’

আমীর খসরু বলেন, ‘বর্তমান অবস্থা থেকে আমাদের মুক্ত হতে হলে আমরা যে আন্দোলনে নেমেছি তার সঙ্গে শ্রমিকের স্বার্থ জড়িত। শুধু শ্রমিকের দাবি নয়, বাংলাদেশের সকল মানুষের রাজনৈতিক, সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার সুনিশ্চিত করার জন্য ৩১ দফায় সব বলা হয়েছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বর্তমান সরকারের দুঃশাসনে শ্রমিক সমাজ আজ অবহেলিত। শ্রমিকদের দুবেলা খাওয়ার সুযোগ নেই। আজকে শ্রমিকদের কর্মসংস্থান ও বাসস্থান নেই। শ্রমিকদের বিষয়ে সরকারের বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। অথচ শ্রমিকদের কারণে বাংলাদেশ টিকে আছে।’

খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, ‘বর্তমানে শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। সরকার ভোটাধিকার হরণ করে দেশের মালিকানা যেমন কেড়ে নিয়েছে, তেমনি শ্রমিক, কৃষকের পেটে লাথি মেরেছে। দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে শ্রমজীবী মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।’

চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, ‘দেশ এখন কঠিন সময় পার করছে। আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। বর্তমানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে শ্রমিকরাই সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে শ্রমিকদেরকে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করতে হবে।’

কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন ১৫ বছরের অপশাসনের বিরুদ্ধে। দেশের জনগণ ও জাতীয়তাবাদের পক্ষের শক্তির অংশগ্রহণে এক বিশাল আন্দোলনের সূচনা হয়েছে বাংলাদেশে। এ আন্দোলন অব্যহত আছে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে।’

মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন জনগণের ভোট কেড়ে নেওয়া আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে। জনগণ সবসময় বিএনপির পক্ষে রায় দিয়েছে। জনগণ এখনও তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করার অপেক্ষায় আছে। বাংলাদেশের মানুষের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন চলমান আছে।’

বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহারের পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির নবনির্বাচিত সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ শ্রম সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও মামুন মোল্লা প্রমুখ।

ইফতেখার/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

ওলামা দলের ১৩৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১২:১৯ এএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১২:১৯ এএম
ওলামা দলের ১৩৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি

আলহাজ্ব মাওলানা কাজী মো. সেলিম রেজাকে আহ্বায়ক এবং অ্যাডভোকেট মাওলানা কাজী মোহাম্মদ আবুল হোসেনকে সদস্য সচিব করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ১৩৭ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় এ তথ্য।  

কমিটির অন্যরা হলেন- সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক আলহাজ্ব মাওলানা মো. আলমগীর হোসেন (চাঁদপুর), যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব মাওলানা ক্বারী গোলাম মোস্তফা, মাও. মো. দেলোয়ার হোসেন (মাদারীপুর)।

কমিটির ১৩২ জন সদস্যরা হলেন-  প্রিন্সিপাল মাওলানা নজরুল ইসলাম তালুকদার (চাঁদপুর), মাওলান কাজী মো. মশিউর রহমান (জামালপুর), ক্বারী মো. সিরাজুল ইসলাম    (গাজীপুর), মাওলানা ইনামুল হক মাজেদী (রংপুর), হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান শামীম (ময়মনসিংহ), মাওলানা ক্বারী এখলাস উদ্দিন বাবুল (ময়মনসিংহ), মাওলানা কাজী মোস্তফা জামাল খোকন (গাজীপুর), ড. মুহাম্মদ সলিমউল্লাহ (চাঁদপুর), মাওলানা এবিএম রুহুল আমীন (ঢাকা), মাও. শামীম আহমেদ (বরগুনা), মাও. মো. মফিজুর রহমান (ময়মনসিংহ), মাও. আবু বকর চাখারী (বরিশাল), আলহাজ্ব মাওলানা আলমগীর হোসেন খলিলী (চাঁদপুর), মাওলানা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), আলহাজ্ব মাও. রফিকুল ইসলাম আসলামী (ভোলা), ড. খলিলুর রহমান (নীলফামারী), মাও. মো. রফিকুল ইসলাম আরমানী (গাজীপুর), হাফেজ মাও. মো. মিসবাহ উদ্দিন (নেত্রকোনা), মাও. মো. নুরুল হক (সিলেট), হাফেজ মাওলানা মো. জসিম উদ্দিন (চাঁদপুর), মাও. জাবের হোসেন চৌধুরী (চট্টগ্রাম), মাও. মো. রফিকুল ইসলাম (কিশোরগঞ্জ), মাও. শাহদাত হোসেন সবুজ (ভোলা), শরীফ মো. সফিউল্লাহ (ঢাকা), হাফেজ মাও. মো. মামুন  (নারায়ণগঞ্জ) হাফেজ মাও. মো. জাকারিয়া (নারায়ণগঞ্জ), অধ্যাপক খায়রুজ্জামান রঞ্জু (সাতক্ষীরা), প্রিন্সিপাল মাও. মোশাররফ হোসেন (যশোর), মাও. হাবিবুল্লাহ নোমানী (মানিকগঞ্জ), মাও. মো. জিয়াউর রহমান জিয়া (কুমিল্লা), মাও. শাখাওয়াত হোসেন মোমেন (ময়মনসিংহ), মাও. কাজী নাসির উদ্দিন (চাঁদপুর), আলহাজ্ব মাও. হান্নান জিলানী (চট্টগ্রাম), মাও. ক্বারী আশিকুর রহমান রাজু (মানিকগঞ্জ), হাফেজ মাও. মো. মাসুম বিল্লাহ (ফরিদপুর), আব্দুল্লাহ আল্ মামুন সিদ্দিকী (চেয়ারম্যান- টাঙ্গাইল), মাও. মো. তাজউদ্দিন আহমেদ (রাজশাহী),    ইঞ্জি. জামাল হোসেন (রংপুর), হাফেজ মাও. মো. মোখলেছুর রহমান (গাজীপুর), হাফেজ মাও. মো. হাসান (লক্ষীপুর), মাও. মো. সিদ্দিক হুসাইন (গাজীপুর), মাও. মো. এনামুল হক (সিরাজগঞ্জ), হাফেজ মাও. মো. ইব্রাহীম (গাজীপুর), মাও. মো. আব্দুল জব্বার সালেহী শাকিল (পটুয়াখালী), ক্বারী মো. রফিকুল ইসলাম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), হাফেজ ক্বারী শহীদ ভূঁইয়া (কুমিল্লা), হাফেজ মাও. মো. নায়েব আলী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), হাফেজ মাও. কুতুব উদ্দীন (মাদারীপুর), কাজী মাও. মোখলেছুর রহমান (লালমনিরহাট), মাও. আল্ আমিন  (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), মাও. মো. আবু সাফা (নোয়াখালী), মাও. ফজলে রাব্বী তোহা (বগুড়া), হাফেজ মো. মিজানুর রহমান (ফেনী), মাও. কাজী আব্দুর রহিম (মৌলভীবাজার), হাফেজ ফারুক আল—ফাহাদ (নোয়াখালী), মাও. মো. আইয়ূব আলী (বরগুনা), মাও. আনোয়ার হোসেন (চুয়াডাঙ্গা), মাও. ফজলুল করিম (দিনাজপুর), মাও. মো. আবুল কালাম আজাদ (ঢাকা), মাও. মো. শাহজাহান শিকদার (মুন্সিগঞ্জ), মাও. মো. ইউনুস (নারায়ণগঞ্জ), হাফেজ মাও. মো. খোকন বিশ্বাস (গাজীপুর), হাফেজ মাও. মাসুদ রানা (ঢাকা জেলা), হাফেজ মাও. মো. শহিদুল্লাহ চিশতী (চট্টগ্রাম), মাও. মো. মিম খিজির হায়াত (ঠাকুরগাঁও), মাও. মো. দেলোয়ার হোসেন জিল্লু (ফরিদপুর), মাও. মো. ইশহাক মিয়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), মাও. মো. আবুল কাশেম (রাঙামাটি), মাও. মো. লুৎফুল্লাহ (বরিশাল),  হাফেজ মো. ফারুক হোসাইন (খুলনা), হাফেজ মাও. মো. জিয়াউল হাসান (খুলনা), হাফেজ মাও. মো. নুরুল হক (বরিশাল), মাও. মাঈনুদ্দিন আহমেদ ফয়েজ (সিলেট), মাও. মো. মোস্তাকিম (বগুড়া), ক্বারী সাইফুল ইসলাম    (ভোলা), হাফেজ আব্দুর রাজ্জাক (সিরাজগঞ্জ), মাও. মো. ওমর ফারুক (গোপালগঞ্জ), প্রফেসর মাও. মো. আবু নোমান    (কুমিল্লা), মাও. শাহ মো. শরিফ উল্লাহ (বান্দরবান), অ্যাড. মাও. মোতাহার হোসেন সোহেল (লক্ষীপুর), মাও. মো. মোমেন (গাজীপুর), লায়ন ক্বারী মো. কবির হোসেন (হবিগঞ্জ), মাও. মো. জসিম উদ্দিন (চাঁদপুর), মাও. মো. তাজুল ইসলাম খান (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), মুফতি মাও. রিয়াজুল ইসলাম (ঢাকা), মাও. আহমেদ তানভীর (রাজবাড়ী), অ্যাড. মাও. মো. কামরুদ্দিন (ঢাকা), অ্যাড. মাও. আবু হানিফ (নেত্রকোনা), আলহাজ্ব মাও. মো. ইউসুফ আলী তালুকদার (চাঁদপুর), মাও. মো. মোস্তাফিজুর রহমান (ঢাকা), মাও. মো. জিল্লুর রহমান (সিলেট), হাফেজ মাও. মো. জয়নাল আবেদীন (চট্টগ্রাম), হাফেজ মাও. মো. জামিল হোসেন (ঢাকা), আলহাজ্ব মাও. মো. আব্দুস সাত্তার (চাঁদপুর), মাও. মো. শহিদুল্লাহ  (ঢাকা—ধামরাই), হাফেজ মাও. মো. কাজী মাহমুদুল হাসান (কুমিল্লা), মাও. মো. মিজানুর রহমান (ঢাকা), মাও. মুফ্তি রিয়াজ উদ্দীন (গোপালগঞ্জ), মাও. কাউছার আলম মৃধা (কুমিল্লা), মাও. ক্বারী আমিরুল ইসলাম (ঢাকা), আআলহাজ্ব কাজী মাও. মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী (চট্টগ্রাম), মাও. মো. রাশেদুল হাই, মাও. অ্যাড. নুরুন্নবী চৌধুরী (ঢাকা), হাফেজ আবু বক্কর (ফেনী), মাও. মো. মোমিনুল ইসলাম (ঢাকা), হাফেজ মাও. মো. ইকবাল হোসাইন (কুমিল্লা), মাও. নূর মোহাম্মদ মোল্লা (ময়মনসিংহ), মাও. নাজিম উদ্দিন আল আজহারী (নারায়ণগঞ্জ), পীরজাদা আলহাজ্ব এশফাকুর রহমান (নরসিংদী), মাও. আব্দুল মতিন (পিরোজপুর), মাও. আশরাফ আলী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), মাও. মো. মীর হোসে (ঢাকা), হাফেজ মাও. মো. তাওসীফ (ঢাকা), মাও. মো. তাইজুদ্দিন (বরিশাল), মাও. মো. ইলিয়াস আলী (সুনামগঞ্জ), হাফেজ মাও. মো. নুরে আলম (বরিশাল), মাও. ওলিউল্লাহ (ঢাকা), মাও. মো. আব্দুল হান্নান  (ময়মনসিংহ), মাও. মো. আতিকুর রহমান (হবিগঞ্জ), মাও. মো. নোমান আহমেদ (নরসিংদী), মাও. মো. হাবিবুর রহমান এহসানী (নারায়ণগঞ্জ), মাও. গাজী আবু বকর শিবলী (ফেনী), মুফতি এম এম আশরাফুল আলম (ময়মনসিংহ), মোৗলভী খায়রুল ইসলাম অরুন (ঢাকা), হাফেজ মো. আব্দুর রশিদ (ঠাকুরগাঁও), মাও. মো. আকরাম হোসাইন আরজু (মাগুরা), হাফেজ মাও. মো. আব্দুল্লাহ শরীফ (কিশোরগঞ্জ), মাও. মো. জিল্লুর রহমান (সিলেট), মাও. মো. ওয়াহিদুজ্জামান (নোয়াখালী), এইচ এম আলী আহমেদ মুকুল  (ঢাকা), মাও. সাইদুর রহমান (ঝালকাঠি), মাও. মো. রিয়াদুল ইসলাম (ঢাকা)।

শফিক/এমএ/

সরকারের প্রশ্রয়ে দুর্নীতি : বাম জোট

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১০:১৯ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১০:১৯ পিএম
সরকারের প্রশ্রয়ে দুর্নীতি : বাম জোট
ছবি : খবরের কাগজ

সরকার দুর্নীতির প্রশ্নে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করলেও সরকারের ‘ছত্রচ্ছায়ায়’ দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থ পাচার, ঋণখেলাপির মাত্রা ‘অবিশ্বাস্য হারে বেড়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে মিছিল নিয়ে পদযাত্রা করে বাম জোট। কিন্তু পুরানা পল্টন মোড়ে পুলিশের বাধায় এগোতে না পেরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন বাম নেতারা। 

বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহীন রহমান, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা রাশেদ শাহরিয়ার ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী।

বাম জোটের নেতারা জানান, দুর্নীতিবাজ, ঋণখেলাপি, অর্থ পাচারকারী ও তাদের সহযোগীদের গ্রেপ্তার-বিচারের দাবিতে এবং ‘ফ্যাসিবাদী’ সরকার উচ্ছেদের লক্ষ্যে তারা এই সমাবেশে করেছেন।

সমাবেশে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, সাবেক ডিআইজি সামছুদ্দোহা, এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে নানা মন্তব্য করেন বাম নেতারা। 

বক্তারা বলেন, ‘সরকার দুর্নীতির প্রশ্নে জিরো টলারেন্স নীতির কথা বললেও বাস্তবে সরকারের প্রশ্রয়েই এরা দুর্নীতি করছে। এর কারণ বর্তমান সরকার গত ৩টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমলা-প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে জনগণের ভোট ছাড়া ক্ষমতায় বসেছে। ফলে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে না। এরা একে অপরের সহযোগী।’ 

তারা আরও বলেন, বর্তমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থ পাচার, ঋণখেলাপির মাত্রা অবিশ্বাস্য হারে বেড়েছে। দুর্নীতির কথা উঠলেই মন্ত্রীরা পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘পৃথিবীর কোন দেশে দুর্নীতি নেই।’ 

দুদক ‘লোক দেখানো’ তদন্ত ও মামলা করছে উল্লেখ করে বাম নেতারা বলেন, দুদক নিজেই খুঁজে দুর্নীতির হোতাদের বের করতে পারছে না। ইতোপূর্বে ইয়াবা বদিসহ বিভিন্ন দুর্নীতিবাজকে দুদক সার্টিফিকেট দিয়ে সাধু বানিয়েছে। এতে করে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দুদকের পদক্ষেপের দুর্বলতা রয়েছে।

দেশের টাকা পাচার প্রসঙ্গে বাম নেতারা আরও বলেন, দেশের ব্যাংকগুলো দেউলিয়া হয়ে গেছে। প্রায় ৪ লাখ কোটি টাকার ওপরে খেলাপি ঋণ রয়েছে। ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো যৌক্তিক পদক্ষেপ না নিয়ে বিভিন্ন সময়ে তাদের সুবিধা দিয়ে আসছে। আগে যেখানে ৩০ পার্সেন্ট ডাউন পেমেন্ট দিয়ে খেলাপি ঋণ রিশিডিউল করার আইন ছিল। গত মেয়াদে সরকার সেটা পরিবর্তন করে ২ পার্সেন্ট দিলেই ঋণ রিশিডিউল করার সুযোগ দিয়েছে। তারপরও খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েই চলছে। ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের সময় খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা। সেটা এখন ১ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। দেশে কালোটাকা অর্থাৎ চুরি, ঘুষ, দুর্নীতির টাকা মোট অর্থনীতির ৮২ শতাংশ। 

এবারের বাজেটে ১৫ শতাংশ কর দেওয়ার মাধ্যমে কালোটাকা সাদা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর সমালোচনায় বাম নেতারা বলেন, ‘এর মাধ্যমে দুর্নীতিকে জায়েজ ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হচ্ছে।’ 

ভারতকে রেল করিডর করে দেওয়া, তিস্তা চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না করায় সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন বাম নেতারা। 

বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমাবেশ থেকে একই দাবিতে আগামী ১৬ জুলাই ঢাকাসহ সারা দেশে দুদক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। 

বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৫ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৮ পিএম
বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
ছবি: খবরের কাগজ

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ১০ দিন চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর গুলশানের ফিরোজা বাসভবনে পৌঁছেন তিনি। বাসায় তাকে স্বাগত জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। 

তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, পেসমেকার বসানোর পর এখন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা অনেকটা স্থিতিশীল। সে কারণে তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হয়। বাসায় সার্বক্ষণিক চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে তার নিয়মিত চিকিৎসা চলবে। 

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে হাসপাতাল ছাড়েন খালেদা জিয়া। এ সময় খালেদা জিয়াকে একনজর দেখতে হাসপাতাল ও গুলশানে বাসভনের সামনে ভিড় করেন নেতা-কর্মীরা। এভারকেয়ার থেকে ফিরোজা পর্যন্ত দলের নেতা-কর্মীরা গাড়িবহর নিয়ে তাকে বাসা পর্যন্ত পৌঁছে দেন। হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু,  যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ  রায় চৌধুরীসহ দলের সহস্রাধিক নেতা-কর্মী।   

গত ২২ জুন রাত সাড়ে ৩টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। পরদিন ২৩ জুন তার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। এর আগে গত বছরের ২৭ অক্টোবর লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা তিনজন চিকিৎসক। তবে আবারও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ২২ জুন তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন।

শফিক/এমএ/

ভারতকে এক ইঞ্চি জমিও ব্যবহার করতে দেব না : ড. রিপন

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৫:০০ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৫:০০ পিএম
ভারতকে এক ইঞ্চি জমিও ব্যবহার করতে দেব না : ড. রিপন
প্রতিবাদ সভায় কথা বলছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন। ছবি : খবরের কাগজ

ভারতকে বাংলাদেশের এক ইঞ্জি জমিও ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন। 

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার শুধু অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে ভারতকে তোষণ করতে গিয়ে বাংলাদেশকে গোলামির জিঞ্জির পরিয়ে দিয়েছে।’

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনসহ নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি’তে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভাটি আয়োজন করে জিয়া শিশু কিশোর মেলা-কেন্দ্রীয় কমিটি।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১০টি সমঝোতা ও চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে ড. রিপন বলেন, ‘ওরা (ভারত) যেহেতু বুঝতে পেরেছে বাংলাদেশে জনগণের সরকার নেই। বরং তাদের তাঁবেদার সরকার বসে আছে; তাই তারা রেল করিডোর, সড়ক করিডোর ও নৌ করিডোরের নামে বাংলাদেশকে আষ্টেপৃষ্টে বাধার ষড়যন্ত্র করছে। ফলে স্বাভাবিকভাবে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে পারে।’

তিনি আরও বলেন, “খালেদা জিয়াকে শুধু নির্বাচন থেকে দূরে রাখার অসৎ অভিপ্রায় নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে দণ্ডিত করেছেন। আওয়ামী সরকারপ্রধান ও তাদের লোকজন প্রায়ই বলেন, ‘বেগম জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছেন।’ অথচ আদালতের ফরমায়েশি রায়ে পর্যন্ত কোথাও খালেদা জিয়া টাকা আত্মসাৎ করেছেন এমন কথা লেখা নেই। তারা এই অসত্য বয়ান দিয়েই যাচ্ছেন। যদি দেশে আইনের শাসন ও জবাবদিহিতা থাকত তাহলে শুধু এই বক্তব্যের জন্য তাদের ১০০ বছরের জেল হয়ে যেত।” 

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি জাহাঙ্গীর শিকদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক কে এস হোসেন টমাসের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জেড খান মো. রিয়াজ উদ্দিনসহ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। 

শফিকুল ইসলাম/সালমান/