![কেবিনে খালেদা জিয়া](uploads/2024/07/02/Khaleda_Zia-1719234312-1719857024.jpg)
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানোর স্থানে কিছুটা জটিলতা দেখা দিয়েছে। গত রবিবার থেকে এই জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। প্যারামিটারগুলো ওঠানামা করছে। প্রতিদিনই নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
সোমবার (১ জুলাই) রাতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য এ সব তথ্য জানান।
তিনি জানান, খালেদা জিয়া অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছেন। চিকিৎসকের ভাষায় তিনি পালসের (হৃৎস্পন্দন) যে সমস্যা ছিল তার ৮০ ভাগ রিকোভারি হয়েছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে বিএনপি চেয়ারপারসন আগামী সপ্তাহে বাসায় ফিরতে পারবেন।
মেডিকেল বোর্ডের ওই চিকিৎসক বলেন, ‘ম্যাডামের অবস্থা আলহামদুলিল্লাহ স্থিতিশীল রয়েছে। ধীরে-ধীরে উন্নতি করছিল। কিন্তু হঠাৎ কিছুটা জটিলতা তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন টেস্ট চলছে। প্যারামিটারগুলো সন্তোষজনক পর্যায়ে নেই। কিছুটা ঝুঁকি তো আছে। আর যে সমস্যা তা হুট করেই সেরে ওঠা কঠিন। এমনিতেই তিনি মাল্টিপল ডিজিসে ভুগছেন। একটু সময় তো লাগবেই। তার যে অবস্থা এই মুহূর্তে বাসায় যাওয়া নিরাপদ নয়। বয়স এখানে বড় ফ্যাক্টর।’
তিনি জানান, অধিকতর সুবিধার্থে সিসিইউর ফ্যাসিলিটিজগুলো কেবিনে শিফট করা হয়েছে। অর্থাৎ কেবিনে জরুরি ভিত্তিতে যা প্রয়োজন সবই সেখানে রয়েছে। মেডিকেল বোর্ড প্রায় প্রতিদিনই বৈঠক করে চিকিৎসার ফলোআপ করছেন। স্থায়ী চিকিৎসার জন্য লিভার ট্রান্সপ্লান্ট জরুরি। এটা বাংলাদেশে সম্ভব নয়।
গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনকে অ্যাম্বুলেন্সে করে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত রবিবার অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে তার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। ৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, আর্থরাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।
এদিকে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। সোমবার দেশের বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশ করেন নেতা-কর্মীরা। ঢাকায়ও শনিবার বড় সমাবেশ করেছে বিএনপি।
শফিক/এমএ/