ঢাকা ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪

খালেদা জিয়াকে মুক্ত করুন, অন্যথায় যেকোন পরিণতির জন্য তৈরি থাকতে হবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ০৭:২৮ পিএম
আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪, ০৮:১২ পিএম
খালেদা জিয়াকে মুক্ত করুন, অন্যথায় যেকোন পরিণতির জন্য তৈরি থাকতে হবে: মির্জা ফখরুল
ছবি: খবরের কাগজ

দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করুন, অন্যথায় যেকোন পরিণতির জন্য তৈরি থাকতে হবে বলে সরকারকে হুশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজপথে আরও তীব্র থেকে তীব্রতর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ভয়ের মরে যাওয়ার চেয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। দেশের পরিবর্তন আসে তরুণ-যুবকদের দিয়ে। তোমাদের হাতে নির্ভর করছে দেশের ভবিষ্যত, দেশের পরিবর্তন। এই সরকার ক্ষমতায় থাকা মানে দেশ ধ্বংস হয়ে যাওয়া, গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যাওয়া।

শনিবার (২৯ জুন) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের 'বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ হুশিয়ারি দেন। 

বেলা পৌনে ৩টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। এর আগে দুপুর থেকেই ছোট ছোট মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন নেতাকর্মীরা। স্লোগানে স্লোগানে নয়াপল্টনসহ আশপাশের এলাকা প্রকম্পিত করে তোলেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। 

মির্জা ফখরুল বলেন, সমাবেশের মূল লক্ষ্য একটাই, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া মুক্তি। তিনি এ দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা। শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কারাগারে ছিলেন। টানা ৯ বছর তিনি স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে দেশে আবারও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া আর গণতন্ত্র আলাদা রাখার সুযোগ নেই। 

৬০ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আন্দোলনে নেতাকর্মীরা অনেক ত্যাগ করছেন। ৬০০ এর বেশি নেতাকে গুম করা হয়েছে। অনেক নেতাদের মিথ্যা মামলা সাজা দিয়ে এ দেশ থেকে গণতন্ত্রকে স্তিমিত করেছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে ব্যাংক লুট করে টাকা বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে। আজকে অবাক লাগে, পুলিশের বড় বড় কর্মকতারা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক, এনবিআর কর্মকর্তারা কোটি কোটি টাকার মালিক। যাদের নাম প্রকাশ পাচ্ছে দুর্নীতিতে, শুধু তারাই নন, এর চেয়ে বড় রাঘববোয়ালরা জড়িত আছে।  

সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে  মির্জা ফখরুল বলেন, আসুন আমরা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ি। তাকে মুক্তি করি।

সভাপতির বক্তব্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, গত ১৫ বছরে কোনো আন্দোলনের ফল আমরা ঘরে আনতে পারিনি। যথাসময়ে মাঠে থাকলে চূড়ান্ত ফলাফল আসতো। ২৮ অক্টোবর আমরা একটা পাল্টা মিছিল নিয়ে দাঁড়াতে পারলে চূড়ান্ত ফলাফল আসতো। আমাদের জনসমর্থনকে কাজে লাগিয়ে তাদেরকে রাজপথের আন্দোলনে নিয়ে আসতে হবে।

খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে কারো সঙ্গে আপোষ করব না জানিয়ে তিনি বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে যেকোন মূল্যে মুক্তি দিতে হবে। চোরা-বাটপার মুক্তি পেয়ে যায় কিন্তু খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেন না কেন। খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন থামবে না। সামনে আরও কর্মসূচি আসছে। কোথায় গিয়ে ঠেকবে জানি না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমরা আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি জানিয়ে আসছি বহুদিন ধরে। কিন্তু তিনি এখনো কারাগারে। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি জামিন পান না। জামিন পান খুন ও মৃত্যুদণ্ডের আসামি। কোনো কারণ ছাড়াই শেখ হাসিনাকে খুশি করার জন্য খালেদা জিয়ার জামিন দিচ্ছে না। 

তিনি বলেন, খালেদা বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের হার্ট। তাকে তাড়াতাড়ি মুক্ত করতে না পারলে বাংলাদেশ মানচিত্র থেকে মুছে যাবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা মানেই বাংলাদেশ ও গণতন্ত্রকে মুক্ত করা। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে লাগবে আন্দোলন। বক্তৃতায় মুক্তি মিলবে না। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। এই সরকারের নিযুক্ত প্রধান বিচারপতি, সেনাপ্রধান, পুলিশপ্রধান, ডিএমপি কমিশনার, এনবিআরের কর্মকর্তারা দুর্নীতি দায়ে অভিযুক্ত। তাহলে এই সরকারি তো দুর্নীতিবাজ। 

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া কারো কোন টাকা তছরুপ করেননি। আমরা দেখলাম একটি বিচার করে তাকে ৫ বছর সাজার রায় দিলেন। এরপর নিম্ন আদালতে দেখলাম সাজা না কমে বরং আরও ২ বছর বেড়ে গেল। বিনাচিকিৎসায় খালেদা জিয়া দ্রুত মৃত্যুর দিকে চলে যাচ্ছেন। কিন্তু সরকার চিকিৎসার মতো মানবিক সেবা নিতে বাধা দিচ্ছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ আহনের শাসন নেই। বাংলাদেশ যদি অন্যায় আইন হয়, তাহলে সেখানে প্রতিরোধ কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায়। আজকে দেশে নিরাপত্তা নেই, বাকস্বাধীনতা নেই, যেদেশে রেজিমের বিরুদ্ধে কথা বলে গুম হয়ে যায়, জেলখানায় বিনাচিকিৎসা মৃতু্বরণ করতে হয়, পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হয়, সেখানেই প্রতিরোধ কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবাদ করে মুক্তি মিলবে না। প্রতিরোধের মাধ্যমে দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে হবে। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, খালেদা জিয়া মুক্ত করতে না পারা পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরব না।  খালেদা জিয়া হলো গণতন্ত্রের প্রতীক। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে আর গৃহবন্দি করে রাখতে দেব না।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া দেশ চলবে না। বিনা ভোটের সরকার ক্ষমতায় থেকে দেশবিরোধী চুক্তি করেছে। তাই দেশকে বাঁচাতে ও খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে দেশপ্রেমিক জনগণকে আগামী দিনে আন্দোলন ঝাপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান। 

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আজিজ-বেনজীর, আসাদুজ্জামানরা নাকি গণভবনে আছেন। এখন নতুন আবিষ্কার ফয়সাল। বাংলাদেশের মানুষ খালেদা জিয়া তারেক রহমানের সঙ্গে আছে। আজকে জনগণের উপস্থিত তার প্রমাণ। বাংলাদেশের বুকের ওপর দিয়ে ভারতের রেললাইন চলবে, দেশের বন্দরগুলো ব্যবহার করবে, এটা দেশের জনগণ মেনে নেবে না।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়ার জীবন আশঙ্কাজনক। সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা চাইলে বিদেশে চলে যেতে পারেন। কিন্তু খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে দিচ্ছেন না। আমাদের রক্তের বিনিময়ে হলেও, জীবনের বিনিময়ে হলেও খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। 

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আজকে থেকে সংগ্রাম শুরু হয়েছে। আজক থেকে শুরু হয়েছে খালেদা জিয়ার মুক্তি সমাবেশ।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রিজভী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পাশ থেকে সরে গেলে আপনার সরকারের অপমৃত্যু ঘটবে। আপনার সরকার রাজপথে লুটোপুটি খাবে। আপনার সরকারের পতন ঘটবে। তিনি বলেন, ভারতে সঙ্গে ১০টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়েছেন। ৭ জানুয়ারি ও ৩০ ডিসেম্বরের আগের নির্বাচন জায়েজ করতে তিনি এসব দেশ বিরোধী চুক্তি করেছেন। আর এসব কারণেই খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তাকে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, অনেক আন্দোলন করে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারিনি। আজকে তিনি যদি মুক্ত থাকতেন তাহলে বাংলাদেশের বুকের ওপর দিয়ে ভারতের রেল চলবে সেই দেশবিরোধী চুক্তি হতো না। দেশ থেকে টাকা পাচার ও দুর্নীতি হতো না।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, বিশ্বের গণতন্ত্রের জন্য খালেদা জিয়া সারা বিশ্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের অতন্ত্র প্রহরী খালেদা জিয়াকে দেশের স্বার্থে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। তা না হলে গণজাগরণের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটিয়ে আমরা এই দাবি পূরণ করব।

বিএনপি'র ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়া বাঁচলে জিয়া পরিবার বাঁচবে, দেশের রাজনীতি বাঁচবে। শুধুমাত্র সমাবেশ করে খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব নয়। সরকার অনেক জুলুম নির্যাতন করেও জিয়া পরিবারকে কিছুই করতে পারেননি, জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি। অবিলম্বে আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তির মাধ্যমে দেশের জনগণকে মুক্ত করব ইনশাআল্লাহ।

এর আগে সকালে বৃষ্টির মধ্যেই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ৬টি পিকআপের ওপর অস্থায়ীভাবে সমাবেশের মূল মঞ্চ তৈরি করা হয়। টাঙানো হয় ব্যানার। মূল মঞ্চ তৈরির পাশাপাশি নয়াপল্টন থেকে শুরু করে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত এবং অন্যপাশে কাকরাইল থেকে কর্ণফুলী মার্কেট পর্যন্ত লাগানো হয় মাইক। সমাবেশকে কেন্দ্র করে দুপুর ২টার আগেই নয়াপল্টন এলাকা নেতাকর্মীদের পদচারণায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়‌। কার্যালয়ের সামনের দু'পাশের সড়ক বন্ধ হয়ে যায়।

প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান, নিতাই রায় চৌধুরী, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হক, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির প্রমুখ।
 
শফিক/এমএ/

ভারতকে এক ইঞ্চি জমিও ব্যবহার করতে দেব না : ড. রিপন

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৫:০০ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৫:০০ পিএম
ভারতকে এক ইঞ্চি জমিও ব্যবহার করতে দেব না : ড. রিপন
প্রতিবাদ সভায় কথা বলছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন। ছবি : খবরের কাগজ

ভারতকে বাংলাদেশের এক ইঞ্জি জমিও ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন। 

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার শুধু অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে ভারতকে তোষণ করতে গিয়ে বাংলাদেশকে গোলামির জিঞ্জির পরিয়ে দিয়েছে।’

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনসহ নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি’তে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভাটি আয়োজন করে জিয়া শিশু কিশোর মেলা-কেন্দ্রীয় কমিটি।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১০টি সমঝোতা ও চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে ড. রিপন বলেন, ‘ওরা (ভারত) যেহেতু বুঝতে পেরেছে বাংলাদেশে জনগণের সরকার নেই। বরং তাদের তাঁবেদার সরকার বসে আছে; তাই তারা রেল করিডোর, সড়ক করিডোর ও নৌ করিডোরের নামে বাংলাদেশকে আষ্টেপৃষ্টে বাধার ষড়যন্ত্র করছে। ফলে স্বাভাবিকভাবে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে পারে।’

তিনি আরও বলেন, “খালেদা জিয়াকে শুধু নির্বাচন থেকে দূরে রাখার অসৎ অভিপ্রায় নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে দণ্ডিত করেছেন। আওয়ামী সরকারপ্রধান ও তাদের লোকজন প্রায়ই বলেন, ‘বেগম জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছেন।’ অথচ আদালতের ফরমায়েশি রায়ে পর্যন্ত কোথাও খালেদা জিয়া টাকা আত্মসাৎ করেছেন এমন কথা লেখা নেই। তারা এই অসত্য বয়ান দিয়েই যাচ্ছেন। যদি দেশে আইনের শাসন ও জবাবদিহিতা থাকত তাহলে শুধু এই বক্তব্যের জন্য তাদের ১০০ বছরের জেল হয়ে যেত।” 

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি জাহাঙ্গীর শিকদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক কে এস হোসেন টমাসের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জেড খান মো. রিয়াজ উদ্দিনসহ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। 

শফিকুল ইসলাম/সালমান/

বিকেলে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৪:১৮ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৪:১৮ পিএম
বিকেলে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া
ফাইল ছবি

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ১০ দিন চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজার উদ্দেশে রওনা দেবেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এবং চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার।

জাহিদ হোসেন জানান, এরই মধ্যে মেডিকেল বোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়া গেছে। বিকেলেই এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে বাসায় নেওয়া হবে।

গত ২২ জুন রাত সাড়ে ৩টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। পরদিন ২৩ জুন তার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। 

এর আগে, গত বছরের ২৭ অক্টোবর লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা তিনজন চিকিৎসক। তবে আবারও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ২২ জুন তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন।

শফিকুল ইসলাম/সালমান/

ভারতের সঙ্গে সমঝোতা-চুক্তিতে স্বাধীনতা খর্ব হওয়ার পথে: ফারুক

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩২ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৫ পিএম
ভারতের সঙ্গে সমঝোতা-চুক্তিতে স্বাধীনতা খর্ব হওয়ার পথে: ফারুক
ছবি: খবরের কাগজ

ভারতের সঙ্গে নতুন করে সমঝোতা ও চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব খর্ব হওয়ার পথে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক। 

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ভারত গেলেন এক সপ্তাহে দুই বার। কি মধুর সম্পর্ক, কি প্রেম-প্রীতি-ভালবাসা। আম, লিচু, ইলিশ পাঠান কিন্তু ভারতে গিয়ে ফেরত আসেন খালি হাতে। তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিসাব আনতে পারেন না বরং নতুন করে বাংলাদেশের বুকের উপর দিয়ে রেললাইন নির্মাণের সমঝোতা চুক্তি আপনি স্বাক্ষর করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন দিল্লির দাসত্ব গ্রহণ করার জন্য নয়।’

মঙ্গলবার (২ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ভারতের সঙ্গে ‘অবৈধ চুক্তি, দুর্নীতি, দেশকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র’র প্রতিবাদে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

এই অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে গণতন্ত্র ফোরাম।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্যে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘গান গায় শিল্পী, তলে তলে ব্যথা। আসলেই সত্যি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রীর তলে ব্যথা আছে। তিনি একেক দিন একেকটা নতুন কথা আবিষ্কার করেন। আজকে আবার আবিষ্কার করলেন পত্রিকায় দেখলাম, মমতার জন্য নাকি আমরা তিস্তার পানির শেয়ার পাচ্ছি না। হায়রে কপাল আমাদের এত মন্দ। এই মন্দের পেছনে দায়ী আওয়ামী লীগ। এই কপাল খারাপের পেছনে আওয়ামী লীগ। আজকে এই সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ কথা বলা শুরু করেছে।’

আওয়ামী লীগ সরকার সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ, সাবেক পুলিপ্রধান বেনজীর আহমেদ, ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, এনবিআর মতিউর তৈরি করেছে বলে অভিযোগ করেন জয়নুল আবেদিন ফারুক। 

তিনি বলেন, ‘সরকার এক এক কাণ্ড তৈরি করে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে সরানোর জন্য শেষে ছাগলকাণ্ড ঘটিয়েছে। নতুন করে ফয়সাল তৈরি করেছেন। এসব কাণ্ড ঘটিয়ে কোনো লাভ হবে না। বাংলাদেশের মানুষ শহিদ জিয়ার দল, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আজ অত্যান্ত সুদৃঢ় অবস্থায়।’

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার বছরে ৯২ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে। আর হিন্দুস্তানের সঙ্গে অসম চুক্তি করে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে আপনারা হুমকি মুখে ফেলবেন না। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন সৈনিক, একজন কর্মী থাকতেও আমরা কোনদিনও এটা গ্রহণ করব না।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে সরকার। আইনের শাসনের নামে বেআইনি শাসন করে আমাদের লক্ষ লক্ষ কর্মীকে জেলে রেখেছেন। মির্জা আলমগীর, মির্জা আব্বাসের মতো সততার পরিচয় দেওয়া নেতাদের বিচারপতিরে বাসভবনে ঢিল মারার কারণে জেল খাটতে হয়। এর চেয়ে লজ্জার কিছু হয় না।’

গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে ও কৃষক দলের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নাঈমের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির শিশুবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজ প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/অমিয়/

যবিপ্রবি ছাত্রলীগের বিতর্কিত কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:১১ এএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:২৪ এএম
যবিপ্রবি ছাত্রলীগের বিতর্কিত কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগের বিতর্কিত কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ। এ বিষয়ে গত রবিবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এ ব্যাপারে যবিপ্রবি শাখার সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ও সম্পাদককে একাধিকবার ফোন দিলেও তারা ধরেননি। খুদে বার্তা পাঠালেও তারা উত্তর দেননি। 

ওই কমিটির সভাপতি-সম্পাদক বারবার বিশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডের জন্য বিভিন্ন সময় নীতিবাচক সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন। ২০২৩ সালে যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তখন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটি স্থগিত করে। গত ১১ নভেম্বর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে কেন্দ্রীয় কমিটি। 

চলতি বছরের ৪ জুন রাতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসের ভেতর যবিপ্রবির শিক্ষার্থী শাহরীন রহমান প্রলয়কে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। ছাত্রাবাসে সভাপতির উপস্থিতিতে তার কক্ষে রাতভর নির্যাতনের পর ওই শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। তদন্তে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে গত ২৫ জুন ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের সভাপতিসহ ৯ জনকে আজীবন বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ছাড়া চারজনের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো। একই সঙ্গে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে ছাত্রসমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ করতে শাখার সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে নতুন কমিটি গঠন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ছাত্রলীগ। কমিটিতে পদপ্রত্যাশীদের আগামী ৭ জুলাইয়ের মধ্যে (প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা) ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জীবনবৃত্তান্ত জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

২০২২ সালের ৩১ জুলাই তৎকালীন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) সোহেল রানাকে সভাপতি ও তানভীর ফয়সালকে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছরের জন্য ছাত্রলীগের ১১ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করে। তবে গত ২৩ মাসেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেননি তারা। এ ছাড়া বিলুপ্ত এ কমিটির বিরুদ্ধে রয়েছে শিক্ষক লাঞ্ছিত, সাধারণ শিক্ষার্থী ও চাকরির জন্য পরীক্ষা দিতে আসা অনেককে নির্যাতনের অভিযোগ। প্রতিবেদন করতে গিয়ে সাংবাদিকরাও তাদের টার্গেটে পরিণত হয়েছেন।

কেবিনে খালেদা জিয়া

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১২:০৩ এএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১২:০৪ এএম
কেবিনে খালেদা জিয়া
ফাইল ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানোর স্থানে কিছুটা জটিলতা দেখা দিয়েছে। গত রবিবার থেকে এই জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। প্যারামিটারগুলো ওঠানামা করছে। প্রতিদিনই নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। 

সোমবার (১ জুলাই) রাতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য এ সব তথ্য জানান।

তিনি জানান, খালেদা জিয়া অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছেন। চিকিৎসকের ভাষায় তিনি পালসের (হৃৎস্পন্দন) যে সমস্যা ছিল তার ৮০ ভাগ রিকোভারি হয়েছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে বিএনপি চেয়ারপারসন আগামী সপ্তাহে বাসায় ফিরতে পারবেন।

মেডিকেল বোর্ডের ওই চিকিৎসক বলেন, ‘ম্যাডামের অবস্থা আলহামদুলিল্লাহ স্থিতিশীল রয়েছে। ধীরে-ধীরে উন্নতি করছিল। কিন্তু হঠাৎ কিছুটা জটিলতা তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন টেস্ট চলছে। প্যারামিটারগুলো সন্তোষজনক পর্যায়ে নেই। কিছুটা ঝুঁকি তো আছে। আর যে সমস্যা তা হুট করেই সেরে ওঠা কঠিন। এমনিতেই তিনি মাল্টিপল ডিজিসে ভুগছেন। একটু সময় তো লাগবেই। তার যে অবস্থা এই মুহূর্তে বাসায় যাওয়া নিরাপদ নয়। বয়স এখানে বড় ফ্যাক্টর।’

তিনি জানান, অধিকতর সুবিধার্থে সিসিইউর ফ্যাসিলিটিজগুলো কেবিনে শিফট করা হয়েছে। অর্থাৎ কেবিনে জরুরি ভিত্তিতে যা প্রয়োজন সবই সেখানে রয়েছে। মেডিকেল বোর্ড প্রায় প্রতিদিনই বৈঠক করে চিকিৎসার ফলোআপ করছেন। স্থায়ী চিকিৎসার জন্য লিভার ট্রান্সপ্লান্ট জরুরি। এটা বাংলাদেশে সম্ভব নয়।

গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনকে অ্যাম্বুলেন্সে করে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত রবিবার অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে তার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। ৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, আর্থরাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।

এদিকে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। সোমবার দেশের বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশ করেন নেতা-কর্মীরা। ঢাকায়ও শনিবার বড় সমাবেশ করেছে বিএনপি। 

শফিক/এমএ/