ঢাকা ২০ আষাঢ় ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪

সমঝোতা স্মারক আর চুক্তি এক কথা নয়: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ১০:০৫ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ১০:০৫ পিএম
সমঝোতা স্মারক আর চুক্তি এক কথা নয়: ওবায়দুল কাদের
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় কথা বলছেন ওবায়দুল কাদের

ভারতের সঙ্গে সরকার চুক্তি করেছে- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এই বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘সমঝোতা স্মারক আর চুক্তি কি এক? পড়াশোনা করেন না? ডিপ্লোমেসির ভাষা জানেন না? জেনে নেন- সমঝোতা স্মারক আর চুক্তি এক কথা নয়।’

সোমবার (১ জুলাই) ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের এক আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। দলের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এই সভার আয়োজন করা হয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা মালয়েশিয়ার সঙ্গে পদ্মা সেতুর জন্য সমঝোতা স্মারক করেছি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে পদ্মা সেতু নিজের টাকায় করেছি। আমরা যদি চুক্তি করতাম, তাহলে বাধ্য হতাম পদ্মা সেতু নির্মাণের দায়িত্ব তাদের দিতে।’

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যেসব সমস্যার সমাধান হয়নি, ভারতের নতুন সরকার তা সমাধানের জন্য চেষ্টা করছে। আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে।’ তিস্তার পানি চুক্তির জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজি হতে হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। 

তিনি বলেন, ‘মমতাকে রাজি করাতে হবে। তিনি এতদিন না বলে আসছেন। তাকে ‘হ্যাঁ’ বলাতে হবে। না হলে ভারতের সংবিধান এটি অ্যালাও করবে না। তাদের রাজ্যকে বাদ দিয়ে ভারত সরকারের এই চুক্তি করার সুযোগ নেই।’ 

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ইচ্ছা করলে কোনো রাজ্য সরকারের অধীনের পানি অন্য দেশকে দিতে পারে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যখন গঙ্গার পানি দিল, তখনকার পশ্চিমবঙ্গের জ্যোতি বসু সরকার ছিল। তারা রাজি ছিল বলেই আমরা পেয়েছি।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘সব নাকি ইন্ডিয়া হয়ে গেছে। গেল রে গেল স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব গেল! ৫৩ বছর স্বাধীনতা নিয়ে আমরা টিকে আছি। কোথায় যাব? ভারত আমাদের বন্ধু, আর তোমরা ভারতের দাসত্ব চেয়েছিলে। নরেন্দ্র মোদি যখন ক্ষমতায় আসেন, তখন বিএনপির নেতারা সকালে মিষ্টি আর ফুল নিয়ে হাজির। এই হচ্ছে বিএনপি। তারা এখন ভারত বিরোধিতা করে। তারা ওয়াশিংটনে ভারতের কাছে গ্যাস বিক্রি করার অঙ্গীকার দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল ২০০১ সালে।’

বিএনপি নেতাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মির্জা ফখরুলের মনে অশান্তির আগুন। রাতে লন্ডন থেকে ফরমান এসেছে। অমুক আউট, অমুক ইন। এখন ইন-আউট চলছে বিএনপিতে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলনে এখন অবিশ্বাস। বিএনপিতে একজন আরেকজনকে বলে সরকারের এজেন্ট। আন্দোলন তাহলে কারা করবে? বিএনপির কর্মসূচি ভুয়া।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে ২৫ বছরের মৈত্রী চুক্তি বঙ্গবন্ধু করে গিয়েছেন বলেই আজ ৬৮ বছরের সীমান্ত সমস্যার সমাধান হয়, আরেকটা বাংলাদেশের সমান সমুদ্রসীমা আমরা ভারতের কাছ থেকে আদায় করতে পেরেছি, শান্তিপূর্ণভাবে ছিটমহল বিনিময় হয়েছে।’

আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আওয়ামী লীগ পঁচাত্তর-পরবর্তী কোনো সামরিক পেট থেকে বেরিয়ে আসা দল নয়। এই দল পাকিস্তানের নিপীড়ন-নির্যাতন থেকে এই দেশের মানুষকে মুক্তির জন্য গঠন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

বিএনপির সমালোচনা করে নানক বলেন, বিএনপির নেতারা বলেন শেখ হাসিনা নাকি ভারতের তাঁবেদার, ভারতের স্বার্থ রক্ষা করতে চান। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ইতিহাসকে ধামাচাপা দেওয়া যাবে না। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান দিল্লিতে গিয়ে পা ধরেছিলেন, আপনাদের খালেদা জিয়া মোদি যখন প্রথম প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, তখন রসগোল্লা খাইয়েছিলেন। সে কথা মানুষ ভুলে যায়নি। আন্দোলনের নামে আবার কোনো ষড়যন্ত্র হলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর জবাব দেবে।

আজ বেলা ৩টায় আলোচনা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে আধা ঘণ্টা পর অনুষ্ঠান শুরু হয়। উত্তর আওয়ামী লীগের থানা-ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আলোচনা সভায় যোগ দেন। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ থেকে অনুষ্ঠানটি ‘আলোচনা সভা’ নাম দিলেও বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে সেটি জনসভায় রূপ নিতে দেখা যায়। 

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম আতিকসহ মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নেতারা বক্তব্য রাখেন।

হাসানাত আবদুল্লাহর সঙ্গে বরগুনার নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৯ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৯ পিএম
হাসানাত আবদুল্লাহর সঙ্গে বরগুনার নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ
ছবি : সংগৃহীত

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বরগুনা জেলার স্থানীয় পর্যায়ে নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। 

বুধবার (৩ জুলাই) বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরার নেতৃত্বে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় তার সরকারি বাসভবনে তারা সাক্ষাৎ করেন।

এ সময় বেতাগী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান, পৌর মেয়র এবি এস গোলাম কবীর ও পাথরঘাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সালমান/

সরকারের নির্দেশেই বিএনপি নেতাদের ওপর আক্রমণ: রিজভী

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৬:১০ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৬:১০ পিএম
সরকারের নির্দেশেই বিএনপি নেতাদের ওপর আক্রমণ: রিজভী
নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম বাচ্চুকে দেখতে হাসপাতালে রুহুল কবির রিজভী

সরকারের নির্দেশেই বিএনপি নেতাদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি সরকারপ্রধানের নির্দেশেই এই বর্বরোচিত আক্রমণটা করা হয়েছে বাচ্চুর ওপর। কারণ বিএনপি নেতাদের রক্ত দেখলেই সরকারপ্রধান আনন্দিত ও খুশি হন। এই কারণেই একটি দোয়ার অনুষ্ঠান এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশে বর্বরোচিত হামলা করা হয়েছে। এই হামলা শুধু ন্যক্কারজনক ও কাপুরুষোচিত নয়, আওয়ামী লীগ যে একটি বর্বর সংগঠন সেটির বহিঃপ্রকাশ।’

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন গুরুতর জখম নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম বাচ্চুকে দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম বাচ্চু একজন বর্ষীয়ান ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। যাকে গোটা উত্তরবঙ্গের মানুষ সজ্জন হিসেবেই চেনেন। জেলার একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। এমনকি জেলার তিনি প্রধান নেতা। তার গায়ে আদিম বন্য হিংস্রতায় এভাবে আক্রমণ করে তার হাত, পা, শরীর ক্ষতবিক্ষত করেছে। আজকে তাকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দিয়ে কী আনন্দ পেলেন সেখানকার আওয়ামী লীগ এবং এমপি শিমুল সাহেব?’ শহীদুল ইসলাম বাচ্চুর সুস্থতা কামনা করেন তিনি।

এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, যুবদল নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদলের সহসভাপতি তৌহিদুর রহমান আউয়াল, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গতকাল বুধবার (৩ জুলাই) কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নাটোর জেলা বিএনপির সমাবেশ ঘিরে হামলায় গুরুতর জখম হন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম বাচ্চু। 

মিজানুর রহমান/সালমান/

 

দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিচ্ছে সরকার : মান্না

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫০ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫০ পিএম
দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিচ্ছে সরকার : মান্না
ছবি : খবরের কাগজ

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।

তিনি বলেন, ‘আজ পত্রিকায় দেখলাম প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারতকে ট্রানজিট দিলে ক্ষতি কী? আপনি তো ট্রানজিট দেননি, দিয়েছেন তো করিডোর। তাদের দেশ থেকে ট্রেন ঢুকবে, সেই ট্রেন আবার তাদের দেশে যাবে। সেখানে কী থাকবে আমরা জানি না।’ 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরামের উদ্যোগে ‘সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর পুলিশি হামলার ১৪ বছরেও বিচার না হওয়ায় দোষীদের বিচারের দাবিতে’ এ প্রতিবাদ সভা হয়। 

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সরকার কিছু কিছু মানুষকে হঠাৎ করে সামনে আনেন। খুব রসিকতা করে, হাসি-ঠাট্টা করে তাকে সর্বোচ্চ দায়িত্ব দিয়ে দেন। আজ রাষ্ট্রের প্রধান, এক নম্বর ব্যক্তি রসিকতা করতে করতে খুনিদের মুক্তির সনদে স্বাক্ষর করে দেন। রসিকতা করতে করতে তাদের আত্মীয়স্বজনদের আরও প্রমোশন দিয়ে দেন। এরা জালিম সরকার, প্রতারক সরকার।’

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তার সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।’ কিন্তু তিনি বেনজীর আহমেদ, আজিজ আহমেদ, মতিউরসহ তাদের প্রথম দেখেছেন? আজিজের ভাইদের তিনি প্রথম দেখেছেন? তাকে তিনি প্রমোশন দেননি, প্রশ্রয় দেননি আর আমাদের ডেপুটি স্পিকারের ছেলে ২০০ কোটি টাকা ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে গেছে। এ নিয়ে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করলে পরিবার থেকে বলা হয়েছে, বেড়াতে গেছে। এই ২০০ কোটি টাকা ট্যাক্স ফাঁকির মামলা কি আছে? এই নিয়ে কোনো মামলা হয়েছে কি? এই নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যম নিউজও করেছে। আর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল বলেছেন, ‘এরা আমাদের দলের কেউ নয়’।”

মান্না বলেন, ‘পুলিশের একটি সিপাহি পদে চাকরি দিতে গেলে আগে তার পরিবারের ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে। তার পরিবারের কেউ, দূর সম্পর্কের কেউ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে থাকলে তার চাকরি হয় না। কিন্তু সরকার একজন মানুষকে সামরিক বাহিনী থেকে ধীরে ধীরে বাহিনীপ্রধান বানিয়ে দিলেন, তার পরিবারের খোঁজ নেননি। তার আপন ভাই জেলে আছে এটা জানতেন না?’

তিনি বলেন, ‘এই সরকার আমার-আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারে না। কিন্তু কোর্টকে দিয়ে কোটা তুলে দিতে পারে। কোর্টকে দিয়ে এমন এমন কাজ করে যাতে জনগণের অধিকার খর্ব হয়। জনগণের অধিকার খর্ব করতে সরকার আদালতকে ব্যবহার করছে।’ 

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি আরও বলেন, ‘এই সরকার দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারে না। এই সরকার জিনিসের দাম কমাতে পারে না, জনগণের ভরণপোষণ দিতে পারে না, ভোট দিতে দেয় না, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয় না, মানুষের ওপর অত্যাচার করে, নির্যাতন করে, এখন পর্যন্ত জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর হামলার বিচার করা হয়নি। এর বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলবে। ভরসা রাখেন, আজ হোক, কাল হোক এর বিরুদ্ধে সেরকম আন্দোলনই গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।’ 

মিজানুর রহমান/সালমান/

বিতর্কিত কারিকুলাম ও সিলেবাস মেধাশূন্য প্রজন্ম তৈরি করবে: চরমোনাই পীর

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:২১ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:২১ পিএম
বিতর্কিত কারিকুলাম ও সিলেবাস মেধাশূন্য প্রজন্ম তৈরি করবে: চরমোনাই পীর
ছবি : সংগৃহীত

বিতর্কিত কারিকুলাম ও পাঠ্যসিলেবাস মেধাশূন্য প্রজন্ম তৈরি করবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। 

তিনি বলেন, ‘নতুন কারিকুলাম ১০০ শতাংশ কারিগরিনির্ভর হওয়ায় শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে। শুধু তাই নয়, এই কারিকুলামের পাঠ্যসিলেবাস লজ্জাহীন প্রজন্ম উপহার দিতে চলেছে।’ 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেলে কুমিল্লার লাকসামে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ কুমিল্লা জেলা দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন চরমোনাই পীর।

রেজাউল করীম বলেন, ‘ধর্মীয় ও ইসলামী শিক্ষার অভাবে মানুষ বিপথগামী হচ্ছে। বিশেষ করে তরুণ ও উঠতি বয়সীদের কিশোর গ্যাংসহ ভয়াবহ অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে।’

চরমোনাই পীর বলেন, “৯ম শ্রেণির ‘জীবন- জীবিকা’ বইয়ে ‘নারীরূপী পুরুষের অন্তর্বাসে ভরপুর ছবি সম্বলিত কিউআর কোড ব্যবহার’ করে যে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ইচ্ছাকৃতভাবেই এসব করা হলেও কর্তৃপক্ষ বেখবর। প্রয়োজনে এসব পাঠ্যপুস্তক বাতিল করে আবারও অভিজ্ঞ, দক্ষ, রুচিশীল স্কলারদের মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করতে হবে। যেন ধর্মীয় চেতনায় বেড়ে উঠা আমাদের সন্তানরা চরিত্রহীন হয়ে না যায়।”

তিনি বলেন, ‘সমাজ ও রাষ্ট্রে ওলামায়ে কেরামের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জালিমদের কবল থেকে আলেমদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় ওলামায়ে কেরামকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’ 

জেলা সভাপতি মুফতি শাসছুদ্দোহা আশরাফীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াসের পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করীশ আবরার, কেন্দ্রীয় নেতা ও কুমিল্লা জেলা উত্তর সভাপতি শায়খুল হাদিস মাওলানা মাহবুবুর রহমান আশরাফী।

এনাম আবেদীন/সালমান/

আ.লীগের রাজনীতির পুঁজি নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা ও রসিকতা : আলাল

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৪:৫৮ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৪:৫৮ পিএম
আ.লীগের রাজনীতির পুঁজি নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা ও রসিকতা : আলাল
প্রতিবাদ সভায় কথা বলছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল

নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা ও রসিকতা আওয়ামী লীগের রাজনীতির পুঁজি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন তিনি। 

জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে ২০১১ সালের ৬ জুলাই সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর পুলিশি হামলার ১৪ বছরেও দোষীদের বিচার না হওয়ায় তাদের বিচারের দাবিতে এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরাম (জিসফ)।

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, “আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা অকৃতজ্ঞ। ২০০৭ সালে সামরিক বাহিনী সমর্থিত সরকার আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে বিদেশ পাঠিয়ে দিয়েছিল। খালেদা জিয়াকেও দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সেদিন খালেদা জিয়া দৃঢ়কণ্ঠে বলেছিলেন, ‘দেশের ১৬ কোটি মানুষ আমার সন্তান। আমি এই মাটি ছেড়ে কোথাও যাব না।’ এমনকি শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেওয়ার সুযোগ দিতে তিনি সেসময় বিবৃতি দিয়েছিলেন। তাকে আটকে রাখা অনৈতিক, অগণতান্ত্রিক। সুতরাং আজ খালেদা জিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ তো দূরের কথা শেখ হাসিনা তাকে জেলে রেখে তার সাধারণ সম্পাদক দিয়ে খেলা হবে, খেলা হবে বলছেন।” 

তিনি বলেন, ‘সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুককে যারা অমানবিকভাবে টানাহেঁচড়া করেছেন তারা আসলে পুলিশের লোক নয়, তারা পুলিশ লীগের লোক। এই লীগ করতে করতে আজকে দেশটাকে খেলাধুলার ক্ষেত্রে পরিণত করেছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আবারও নাকি খেলা হবে। তাদের এতই খেলাধুলার ইচ্ছা যে সংসার টিকে না। চলে যায়। তাদেরকে নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করতে হয়। আমি বলব, খেলার ইচ্ছা থাকলেই রাষ্ট্রকে নিয়ে খেলবেন না। সাধারণ মানুষের জীবনকে নিয়ে বারবার খেলবেন না।’

আলাল আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ আজ অতিষ্ঠ। বাজারে প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া হয়ে গেছে। সব প্রতিষ্ঠানে দলীয়করণ করেছে।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘আগামীতে আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি আসবে। আপনারা সবাই সেই আন্দোলনে আগের মতো শামিল হবেন। কারণ আওয়ামী লীগকে ঠেকাতে না পারলে দেশের সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। আমরা ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক চাই না। তবে ট্রানজিট ও করিডোরের নামে তাদের গোলামিও করব না।’ এ সময় তিনি অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসা দেওয়ার আহ্বান জানান।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মনজুর রহমান ভুইয়ার সভাপতিত্বে ও ফোরামের নেতা সোহেল রানা ও এইচএম স্বপন রানার পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সালমান/