ঢাকা ১০ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

রাসেলস ভাইপার থেকে বাঁচার উপায়

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৪, ০২:১২ পিএম
আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪, ০২:১২ পিএম
রাসেলস ভাইপার থেকে বাঁচার উপায়

বাংলাদেশে এখন এক তীব্র, ভয়-আতঙ্কের নাম রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপ। এই সাপের দংশনে সবচেয়ে বেশি মারা যাচ্ছেন কৃষকরা। ধান কাটতে গিয়ে রাসেলস ভাইপারের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন তারা। আগে হাতে গোনা কয়েকটি জেলায় এই সাপের উপস্থিতি দেখা গেছে। এখন তা ২৮টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। দিন দিন রাসেলস ভাইপারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা খুবই আতঙ্কের বিষয়। কিন্তু স্বস্তির বিষয় হলো, বাংলাদেশে রাসেলস ভাইপারের সঠিক চিকিৎসা আছে। এ জন্য যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে চিকিৎসাকেন্দ্রে নিতে হবে। সর্প দংশনের শিকার হলেই নিশ্চিত মৃত্যু হবে- ব্যাপারটা মোটেই এমন নয়। সর্প দংশনের শিকার হলে আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। সর্প দংশনের পর রোগীকে সাহস দিতে হবে। শান্ত রাখতে হবে। সর্প দংশিত অঙ্গের নড়াচড়া বন্ধ রাখা, যাতে বিষ শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে না পড়ে। অধিকাংশ সাপ হাতে বা পায়ে দংশন করে, দংশিত অঙ্গ নড়াচড়া না করার ফলে শরীরে বিষ ছড়াতে সময় লাগে। পায়ে ছোবল দিলে লাঠি বেঁধে পা সোজা করে স্টেচারে শুইয়ে দ্রুত চিকিৎসাকেন্দ্রে নিতে হবে। চিকিৎসককে সব খুলে বলতে হবে। উল্লেখ্য, যেকোনো ধরনের বাঁধনে সাপের বিষ আটকাতে পারে না। এতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে হাত-পা চিরতরে পঙ্গু হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে চন্দ্রবোড়া ও সবুজবোড়া সর্প দংশনে বাঁধন মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। 

জমিতে কাজের সময় অবশ্যই গামবুট পরতে হবে। সম্ভব হলে হাতে গ্লাভস থাকা উত্তম। দেখা গেছে সাপ হাত এবং পায়ে দংশন করে সবচেয়ে বেশি। রাতের বেলা লাইট নিয়ে চলাফেরা করতে হবে। রাতে জমিতে কাজ না করাই ভালো। জমির ধান, ভুট্টাসহ নানা ফসল কাটার জন্য যান্ত্রিক মেশিন ব্যবহার করতে পারলে ভালো হয়। জমি এবং জমির ঝোপঝাড় দিয়ে হাঁটার সময় সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। রাসেলস ভাইপার হিসহিস শব্দ করে। যা কানে বেশ জোরেই শোনা যায়। এ কারণে হিসহিস শব্দ শুনলে সাবধান হতে হবে। কাজ করার সময় মাটিতে শব্দ করা যেতে পারে, যাতে সামান্য হলেও কম্পন সৃষ্টি হয়। রাসেলস ভাইপার কম্পন বুঝতে পারে। রাসেলস ভাইপার দ্রুত দংশন করতে পারে। কিন্তু এরা তেড়ে এসে কামড়ায় না। এরা খুব অলস প্রকৃতির সাপ। কুণ্ডুলী পাকিয়ে বসে থাকে। এই সাপের বিষে বিভিন্ন ধরনের বিষ থাকে না। রাসেলস ভাইপারের দংশনের সঠিক চিকিৎসা বাংলাদেশে আছে। 

মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
বনানী, ঢাকা
[email protected]

নদীর তীর রক্ষায় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ জরুরি

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ১০:৫৯ এএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ১০:৫৯ এএম
নদীর তীর রক্ষায় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ জরুরি

পিরোজপুর জেলা শহরের পাশেই বলেশ্বর নদ। এই নদের পশ্চিম দিকে মহিষপুরা গ্রাম। এই গ্রামটি মূলত কৃষিপ্রধান। অধিকাংশ পরিবার কৃষিজীবী। কৃষিকাজ করেই তাদের সংসার চলে। কিন্তু বর্তমানে কিছু মাটি ও বালি-মাফিয়া নদীর তীরবর্তী মহিষপুরার জমি কেটে বালি ও মাটি তুলে নেওয়ার ফলে জমিগুলো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যদি এভাবে ক্রমাগত মাটি কাটা ও বালি উত্তোলন হতে থাকে, তা হলে জমিগুলো আর থাকবে না। মহিষপুরা গ্রামসহ অন্যান্য গ্রামের নদীতীরবর্তী জমিগুলো রক্ষার স্বার্থে জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

ঝুঁকিপূর্ণ গাছটি কেটে ফেলার সামর্থ্য নেই তাদের

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ১০:৫৮ এএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ১০:৫৮ এএম
ঝুঁকিপূর্ণ গাছটি কেটে ফেলার সামর্থ্য নেই তাদের

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার ৩, ৪ আসাদ অ্যাভিনিউয়ে (সেন্ট জোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের বিপরীতে) শেলটেক নির্মিত অভিজাত আবাসিক ভবন ‘কাজী মোশাররফ টাওয়ার’। ভবনটির প্রবেশপথে থাকা গাছটি ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। গাছটিতে সতর্কতামূলক বাণী-সংবলিত ব্যানার লাগানো আছে। ছবি তুলতে গেলে একজন ব্যক্তিগত গাড়িচালক বলেন, এখানে গাড়ি রেখে ভয়ে থাকি! পাশেই মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল। কাজী মোশাররফ টাওয়ারসংলগ্ন ফুটপাতে শিক্ষার্থী-অভিভাবকরাও অনিরাপদ বোধ করেন। পথচারীদেরও সতর্কতার সঙ্গে পথ চলতে হয়। কাজী মোশাররফ টাওয়ার ভবনের বাসিন্দা (যারা অবশ্যই ধনাঢ্য, প্রভাবশালী), ডিএনসিসি, শেলটেক কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে! গাছটি কেটে ফেলার সামর্থ্য নেই তাদের...

ডা. তৌফিক এম. সিরাজ 
[email protected]

নৈতিক শিক্ষার ঘাটতি

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৪, ১০:৪৩ এএম
আপডেট: ২৩ জুন ২০২৪, ১০:৪৩ এএম
নৈতিক শিক্ষার ঘাটতি

কথায় বলে বিষয় না বিষ। এই প্রবাদ কতটা সত্যি তা এখনো প্রমাণ হচ্ছে। এক বৃদ্ধের সব সম্পত্তি লিখে নিয়ে রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তার পরিবার। বৃদ্ধকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল রেজিস্ট্রি অফিসে। সেখানে সই-সাবুদ হওয়ার পর বৃদ্ধকে এক জায়গায় বসিয়ে চম্পট দেয় তার পরিবারের লোকজন। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাকে সেখানে বসে থাকতে দেখে রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মীরা উদ্যোগ নিয়ে জেলা শাসকের সাহায্যে তাকে একটি বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানো হয়। 

এ ঘটনার দুই দিন পর আরেকটি ঘটনা সামনে আসে। ৭২ বছরের এক বৃদ্ধাকে মারধর করে শ্বাসরোধে হত্যা করে তারই নাতি ও নাতবউ। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ওই বৃদ্ধার সম্পত্তি পাওয়ার লোভেই তাকে হত্যা করা হয়। যদিও বৃদ্ধার সব সম্পত্তির নমিনি ছিল ওই নাতিই। কিন্তু তাদের আর তর সইছিল না। তাই সম্পত্তি হাতে পাওয়ার জন্য বৃদ্ধাকে হত্যা করা হয়।  এ রকম আরেকটি, বৃদ্ধ বাবাকে সম্পত্তির লোভে এক উপাসনালয়ের সামনে ফেলে রেখে পালায় তার চাকরিজীবী ছেলে।
 
অমানবিকতা ও সামাজিক অবক্ষয়ের এমন ঘটনা মাঝেমধ্যেই পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে। এর জন্য নৈতিক শিক্ষার ঘাটতিই দায়ী, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব পিতা-মাতা সন্তানকে উচ্চাকাঙ্ক্ষী, কেরিয়ারিস্ট করে তুলতে আগ্রহী। কিন্তু তাদের নৈতিক শিক্ষা কতটা দেওয়া হলো, সেদিকে আর নজরটা থাকে না। এবার তাই অন্যভাবে ভাববার সময় এসেছে। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

পলিথিনের উৎপাদন বন্ধ করুন

প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৪, ১১:১৭ এএম
আপডেট: ২২ জুন ২০২৪, ১১:১৭ এএম
পলিথিনের উৎপাদন বন্ধ করুন

যদিও এখন আষাঢ় মাস, তবু গরম চোখ রাঙাচ্ছে। আষাঢ়-শ্রাবণ মাসকে বর্ষাকাল বলা হলেও বর্ষা হতেও পারে, আবার না-ও হতে পারে। এমনিতেই শহর, শহরতলি, গ্রামগঞ্জে নিকাশি ব্যবস্থার হাল খুব খারাপ। 

পানি নিকাশের জায়গাগুলো ক্রমশ সরু হয়ে গেছে। ফলে বর্ষার জমা পানি বেরোতে না পেরে জমে থাকে। পানি নিকাশি নালা-নর্দমা, ম্যানহোল, পাম্পিং স্টেশনগুলো আবর্জনা ও প্লাস্টিক ব্যাগ, বোতল, চিপস, বিস্কুটের প্যাকেটে ভরে থাকায় পানি নিকাশ হতে পারে না। 

প্লাস্টিক কেবল পরিবেশের ক্ষতি করে তাই নয়, পানি নিকাশিও বন্ধ করে দেয়। প্লাস্টিক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও এর ব্যবহার রমরমিয়ে চলছে। যত্রতত্র আবর্জনা ফেলার জন্য নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল অবস্থা। যতই প্লাস্টিক ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়ে মানুষকে সচেতন করা হোক, মানুষ যে জিনিস সহজে হাতের সামনে পাবে তা ব্যবহার করবেই। তাই প্লাস্টিকের উৎপাদন নিষিদ্ধ করার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। সরকার তৎপর হলে সহজেই পলিথিন উৎপাদন আটকাতে পারে। না হলে নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের ব্যবহার যেমন চলছে, তেমনি চলতেই থাকবে। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা, বাংলাদেশ

ব্লু-টুথ যখন মৃত্যুর কারণ

প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৪, ১১:১৭ এএম
আপডেট: ২১ জুন ২০২৪, ১১:১৭ এএম
ব্লু-টুথ যখন মৃত্যুর কারণ

নানা রকম প্রযুক্তিপণ্য এখন বাজারভর্তি। এসব পণ্যের সুবিধা যেমন আছে, তেমনি অসুবিধাও আছে। কীভাবে ব্যবহার করছেন, ব্যবহার পদ্ধতি, সময় ঠিক আছে কি না, সেটা আসল কথা।

ব্লু-টুথের কথাই ধরা যাক। এটি কানে থাকলে ফোন হাতে না নিয়েও কথা বলা যায়, গান শোনা যায়। ভালোই তো, তাই না? কিন্তু খারাপ দিক হলো- এটি কানের মধ্যে থাকলে চারপাশে কী হচ্ছে তা বোঝা যায় না। শব্দ কানে আসে না। ধরেন রাস্তায় হাঁটছেন। পেছনে গাড়ি হর্ন দিয়েই চলছে। আপনি শুনছেন না। আবার রেললাইন পাড় হচ্ছেন। কানে ব্লু-টুথ। রেল আসার খবরই জানেন না। ফলে ঘটছে দুর্ঘটনা। বছরে অনেক মানুষ মারা যান এই ব্লু-টুথ অথবা হেডফোন কানে থাকার জন্য। তারা ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন। যখন কোথাও বসে আছেন, তখন ব্লু-টুথ ব্যবহার করা উত্তম। রাতে শুয়ে শুয়ে ব্লু-টুথ ব্যবহার করে গান শুনতে পারেন। কিন্তু চলতে-ফিরতে ব্লু-টুথ ব্যবহার করা খুবই বিপজ্জনক। সব সময় ব্লু-টুথ ব্যবহার করা কানের জন্যও ভালো নয়। শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। শুধু নিজেই নয়, এ বিষয়ে সমাজের সবাইকে সচেতন করা নাগরিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
বনানী, ঢাকা
[email protected]