ঢাকা ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

জব্দ মালে স্তব্ধ জনজীবন

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৪, ১১:৩৯ এএম
আপডেট: ১২ জুন ২০২৪, ১১:৩৯ এএম
জব্দ মালে স্তব্ধ জনজীবন

বাংলাদেশের বিভাগীয় শহরের থানার সামনে আর কিছু থাক বা না থাক, কিছু গাড়ি, রিকশা, বাস, টেম্পো, অটো পড়ে থাকতে দেখা যায়। দিনের পর দিন রাস্তার মাঝে এগুলো পড়ে থাকে। ভালো, চালু জিনিস একসময় নষ্ট হয়ে যায়। মানুষ, যানবাহন চলাচলে অনেক সমস্যা হয়। যানজট হয়। তবু এগুলো কেউ সরায় না। বলা হয় জব্দ মালামাল। মামলার আলামত। আরও কত কী? কেউ কি একবার ভেবে দেখেছেন একটি সভ্য দেশে এটা কত অসুন্দর একটি বিষয়। 

থানার সামনে থাকবে গাছপালা, ফুলের বাগান। সেখানে জব্দ মালে স্তব্ধ হচ্ছে জনজীবন। ধরেই নিলাম, এসব গুরুত্বপূর্ণ। তাই বলে এগুলো রাস্তার মাঝে রেখে মানুষকে দিনের পর দিন কষ্ট দিতে হবে? অন্য কোথাও নিয়ে রাখতে অসুবিধা কোথায়? আর এই জব্দ মালামালের সমস্যা ছোট কোনো বিষয় নয়। সব জায়গায়ই কমবেশি আছে। সে কারণে এটাকে নিয়ে ভেবে দেখার খুব প্রয়োজন। আমরা চাইলেই এর একটা সমাধান করতে পারি। 

এলাকা ধরে সরকার জায়গা নির্দিষ্ট করে দিলেই হয়। যেখানে সব জব্দ মালামাল রাখা হবে। সরকার থানা ভবনগুলো সুন্দর করেছে। নতুন ভবনের ডিজাইন সুন্দর। ভবনের সামনে জায়গা রাখা হয়েছে। কিন্তু জব্দ মালের চরম অসুন্দর জিনিস সবকিছু মাটি করে দিচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যেন দ্রত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। মানুষের কষ্ট দূর করা হয়।
 
মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
বনানী, ঢাকা
[email protected]

খুনখারাবি বন্ধ হোক

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ১১:৩২ এএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ১১:৩২ এএম
খুনখারাবি বন্ধ হোক

পত্রপত্রিকা কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া যেখানেই চোখ পড়ছে- চারদিক কেবল খুনের শিরোনামে ছেয়ে গেছে। এ যেন খুনের উৎসব চলছে। ছেলের হাতে মা খুন, মায়ের হাতে সন্তান খুন, স্বামীর সঙ্গে স্ত্রী-সন্তান খুন, ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে বাবা খুন, ছেলের হাতে বাবা খুন, ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন- অসংখ্য শিরোনাম নিত্যনৈমিত্তিক রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

দেশে যেন আইনের শাসনের চরম সংকট। সাম্প্রতিক সময়ের এমন বেপরোয়া শাসনব্যবস্থা নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। এমতাবস্থায় দেশের যত্রতত্র নির্বিচারে মানুষের প্রাণহানির লাগাম টানতে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর যথাযথ নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তা হলেই দেশের মানুষ নিরাপদে বাঁচবে।

রাশেদুল ইসলাম খোকন
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ
[email protected]

কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ১১:২৯ এএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ১১:২৯ এএম
কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধান চেয়ে বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল। কিন্তু কে শোনে কার কথা! সেই সমস্যাগুলো হলো সূর্যোদয়ের পরও বিদ্যুৎকর্মীদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা পথবাতি জ্বলতে থাকা। গ্যারেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিদ্যুৎ চুরি। চলার পথের ওপর গৃহস্থের সব ধরনের বর্জ্য পদার্থ ছুড়ে ফেলা। খাল, ডোবা, বিল, নদীসহ বিভিন্ন জলাশয়ে ময়লা-আবর্জনা ছুড়ে ফেলা। 

টলমলে অবস্থায় একশ্রেণির মাতালের চলার পথের ওপর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা। রাস্তা দখল নিয়ে দোকানপাট, হাটবাজার গড়ে তোলা, অতঃপর যানবাহন ও নাগরিকদের পথ চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা। পথ-পুলিশের হাত পেতে থাকা। প্রশাসন তথা আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে শব্দদানবের সীমাহীন তাণ্ডব। চলন্ত যানবাহনে একশ্রেণির চালকের মোবাইল-কথন। 

একশ্রেণির চিকিৎসকের অস্বাভাবিক আয়করবিহীন ফি আদায়। স্কুলশিক্ষকদের লাগামছাড়া টিউশনি। সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের একশ্রেণির কর্মীর সীমাহীন উৎকোচ গ্রহণের প্রবণতা। একশ্রেণির রাজনৈতিক নেতৃত্বের বাঁধনছাড়া অশ্লীল বাক্য ব্যবহার ইত্যাদি ব্যাপারে অনেক লেখালেখি হলেও সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি। সুতরাং এ বিষয়গুলোর কোনো সমাধান না পেয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে নালিশ করতে বাধ্য হলাম। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

রেলের গতি একটু বাড়ুক

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৪, ১০:১৬ এএম
আপডেট: ২৭ জুন ২০২৪, ১০:১৬ এএম
রেলের গতি একটু বাড়ুক

আমাদের দেশের রেলওয়ে ট্র্যাক অত শক্তিশালী বা মজবুত নয়। তৈরি করতে প্রচুর খরচ হবে। যা-ই হোক, আমাদের গালভরা নামকরা কোনো ট্রেনের দরকার নেই। যে ট্রেনগুলো আছে, সেগুলো সময় মেনে চলুক। সম্ভব হলে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ গতি বাড়ুক। 

যাতে ঢাকা থেকে রাজশাহী, সিলেট, খুলনা, যশোর, লালমনিরহাট, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন স্থানে আরও কম সময়ে পৌঁছে যেতে পারি। রেলের গতি একটু বাড়ুক- এটাই আমাদের চাওয়া। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

বাঁশখালী সড়কে ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৪, ১০:১১ এএম
আপডেট: ২৭ জুন ২০২৪, ১০:১১ এএম
বাঁশখালী সড়কে ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য

বাঁশখালীর প্রধান সড়ক তীব্র যানজট ও ভাড়া নৈরাজ্যের স্বর্গরাজ্য। এই সড়কের একদিকে যেমন থাকে তীব্র যানজট, অন্যদিকে থাকে ভাড়া নৈরাজ্যের মতো মালিকপক্ষের দিনদুপুরে ডাকাতির দৃশ্য। এমন চিত্রে বরাবরের মতোই অতিষ্ঠ বাঁশখালীর সাধারণ যাত্রী। বৃহস্পতিবার এলেই চালকদের আসল রূপ স্পষ্ট দেখা যায়। 

শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হিসেবে চট্টগ্রাম শহর থেকে ঘরমুখী যাত্রীরা বৃহস্পতিবার একটু বেশিই থাকে। এ সুবাদে কিছু চালক তাদের ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করে যাত্রীদের কাছ থেকে। এমনও দেখা যায়, যেখানে নতুন ব্রিজ থেকে ১২০ টাকার ভাড়া তারা সেখানে ২০০ টাকা পর্যন্ত দাবি করে। পরে অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে অবশেষে সেই ভাড়া দিয়েই বাড়ি যেতে হয়। 

কেন এই নিয়ম? কেন এই গলা কাটা সিস্টেম? দেখার কি কেউ নেই? প্রয়োজনের তুলনায় ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় প্রতিনিয়ত সড়কে তীব্র যানজট লেগেই থাকে। এভাবে আর কতদিন? তাহলে কি আমরা সিন্ডিকেটের কবলে, নাকি সিন্ডিকেট ভাঙার শক্তি নেই! এসব থেকে পরিত্রাণ চায় সাধারণ যাত্রী। ভাড়ানৈরাজ্য, যাত্রী হয়রানি, যানজট নিরসনে সচেতন ভূমিকা চাই। পাশাপাশি বাঁশখালীর মানুষের গণদাবি ভাড়ানৈরাজ্য বন্ধ করা, ভাড়ার তালিকা প্রণয়ন করা, যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ বসানো হোক।

তৌহিদ-উল বারী
শিক্ষার্থী ও কলামিস্ট
[email protected]

নদীর তীর রক্ষা জরুরি

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৪, ১১:২০ এএম
আপডেট: ২৬ জুন ২০২৪, ১১:২০ এএম
নদীর তীর রক্ষা জরুরি

পিরোজপুর জেলা শহরের পাশেই বলেশ্বর নদ। এই নদের পশ্চিম দিকে মহিষপুরা গ্রাম। এই গ্রামটি মূলত কৃষিপ্রধান। অধিকাংশ পরিবার কৃষিজীবী। কৃষিকাজ করেই তাদের সংসার চলে। কিন্তু বর্তমানে কিছু মাটি ও বালি-মাফিয়া নদীর তীরবর্তী মহিষপুরার জমি কেটে বালি ও মাটি তুলে নেওয়ার ফলে জমিগুলো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। 

যদি এভাবে ক্রমাগত মাটি কাটা ও বালি উত্তোলন হতে থাকে, তা হলে জমিগুলো আর থাকবে না। মহিষপুরা গ্রামসহ অন্যান্য গ্রামের নদীতীরবর্তী জমিগুলো রক্ষার স্বার্থে জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]