দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে। এ মাসে ঝড়বৃষ্টি বেশি হয় বলে ঈদ যাত্রা থেকে শুরু করে কোরবানির পশু নিয়ে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। আর মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। তাই ঈদুল আজহার আমেজ আসে কোরবানির পশুর হাট ঘিরে। পরিবারের সদস্যরা মিলে হাটে যাওয়া, দরদাম করে পশু কিনে বাড়ি ফেরা, পথে মানুষের জিজ্ঞাসা ‘দাম কত হলো,’ এসব আলাদা মাত্রা যোগ করে ঈদের আমেজে।
আর মনের পশুকে কোরবানি করা হয়। কাজেই উপলব্ধিকে উপলক্ষ করে মানুষ পশু কিনতে বাজারে যায়। নিজের পছন্দে নিজেই কিনে আনে বলে কোরবানির হাট কিংবা বাজার, অন্য অনেক থেকে আলাদা। কাজেই, এ বাজারে পুরাতন বিক্রেতার সঙ্গে নতুন ক্রেতার দেখা হয়, পুরাতন দালালের সঙ্গে নতুন ক্রেতার ভণিতার সখ্য হয়। গরু পৌঁছে দেওয়ার সহকারীর কাছে ১০০ টাকা থেকে হাজার টাকার দফারফায় লাখ টাকার গরু বা পশু তুলে দিতে হয়। তাই কানকে খরগোশের মতো খাঁড়া করে, চোখকে মাছির মতো সচল রেখে, বাজারে বা হাঁটে ঢুকতে হয়। অস্থায়ী মানুষের অস্থায়ী হাট ক্ষণস্থায়ী বলে পদে পদে বিপদ। এজন্যই এ বাজারে অধিক সতর্কতার সঙ্গে পশু কিনতে হয়। চোখকে টর্চলাইট, কানকে অ্যান্টেনা, মনকে রাডার মানিয়ে চলতে হয়।
ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
[email protected]