![চিকিৎসার নামে শোষণ বন্ধ হোক](uploads/2024/06/13/postoffice-1718256532.gif)
চিকিৎসক, হাসপাতাল, ক্লিনিকের বিরুদ্ধে রোগীদের অভিযোগ, অধিকাংশ চিকিৎসক গরিব রোগীদের দামি ওষুধ কিনতে ও দামি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে বাধ্য করেন। দামি ওষুধ ভালো এবং কম দামি ওষুধ খারাপ, এমন একটা সরলীকরণ শোনা যায়। কোনো কোনো চিকিৎসক এ রকম একটা ধারণা তৈরি করার চেষ্টা করেন। কিন্তু অভিজ্ঞতায় দেখেছি, যারা প্রকৃতই গুণী চিকিৎসক, তারা যেমন একগুচ্ছ ওষুধ লেখেন না, তেমনই দামি ওষুধও লেখেন না।
এমনকি তারা অকারণ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথেও হাঁটেন না। তারা অভিজ্ঞতা থেকেই বুঝতে পারেন। কিন্তু নার্সিং হোমের কাছে এসব ডাক্তারের কদর নেই। সেখানে তাদেরই কদর, যারা বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা লেখেন, অকারণে অস্ত্রোপচারের দিকে ঠেলে দেন। শোনা যায়, দামি ওষুধ ও দামি ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার কমিশন বেশি। উপঢৌকন ও বিদেশ ভ্রমণ না হয় বাদই দিলাম।
সরকারও যেহেতু এসব কোম্পানির হাতে ইলেকটোরাল বন্ডের তামাক খেয়েছে, তাই সরকার এই লাভজনক কর্মকাণ্ড দেখেও না দেখার ভান করে। মাঝেমধ্যে কিছু কড়া কড়া বক্তব্য দিয়েই ক্ষান্ত হয়। এ বিষয় নিয়ে কোনো দলকে বিরাট সোচ্চার হতেও বা গণ-আন্দোলন করতে দেখা যায়নি। তাই বলি, গরিবেরে কেউ ভালোবাসে না। কিন্তু আমি গরিব লেখক হয়ে প্রতিবাদ করতে বাধ্য হচ্ছি, ‘চিকিৎসার নামে শোষণ বন্ধ হোক’।
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]