![আইএফএফএইচএস বর্ষসেরা পুরস্কার হলান্ডের, তৃতীয় মেসি](uploads/2023/12/28/1703751378.Messi 3rd.jpg)
২০২৩ বছরটায় ফ্রেঞ্চ লিগ ও ইন্টার মায়ামির হয়ে শিরোপা জিতেছেন লিওনেল মেসি। লিগ ওয়ানের সেরা অ্যাসিস্টের তালিকায়ও ছিলেন তিনি। বছরের শেষদিকে এসে জিতেছেন ক্যারিয়ারের অষ্টম ব্যালন ডি’অর।
এরপরও চলতি বছরে ম্যানচেস্টার সিটির নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার আর্লিং হলান্ড ছাপিয়ে গিয়েছেন আর সবাইকেই। সিটির হয়ে করেছেন একের পর এক গোল। ম্যানসিটির জার্সিতে পেয়েছেন ৫টি আলাদা আলাদা শিরোপার স্বাদ। সব শিরোপাতেই মুখ্য ভূমিকা ছিল হালান্ডের। জিতেছেন উয়েফার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও। এতসব কীর্তিই মেসিকে পেছনে ফেলতে সহায়তা করেছে আর্লিং হলান্ডকে। হয়েছেন আইএফএফএইচএস এর সেরা ফুটবলার হয়েছেন।
সিটির হয়ে অসাধারণ এক বছর পার করেছেন তিনি। ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ, উয়েফা সুপার কাপ ও ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ জিতেছেন। এখন পর্যন্ত ৬০ ম্যাচে করেছেন ৫০ গোল।
গত বছর বিশ্বকাপ জয়ের পর এই সংস্থার তিন পুরস্কার জয় করেছিলেন মেসি। সেরা খেলোয়াড়, সেরা প্লেমেকার ও সেরা আন্তর্জাতিক গোলদাতার পুরস্কার ছিল এই আর্জেন্টাইনের ঝুলিতে। এবার অবশ্য মেসি নেই সেরা খেলোয়াড়ের তালিকায়।
তালিকার তিনে রয়েছেন মেসি ৮৫ পয়েন্ট নিয়ে। ১০৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে অবস্থান করছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। সর্বোচ্চ ২০৫ পয়েন্ট নিয়ে ধরাছোঁয়ার বাইরে হালান্ড। আইএফএফএইচএস প্রকাশিত বর্ষসেরা ১০ গোলদাতার তালিকায় অবশ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি মেসির নাম। আবার গোলের তালিকায় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর নাম ওপরে থাকলেও সেরা দশে নেই পর্তুগিজ স্ট্রাইকার।
প্রকাশিত সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কারেও নেই আর্জেন্টিনার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। ভোটের হিসেবে তিনি পাত্তাই পাননি ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এডারসনের কাছে। আর্লিং হালান্ডের মতোই ক্লাবপর্যায়ে ৫ শিরোপার স্বাদ পেয়েছেন তিনি। তাই স্বাভাবিকভাবেই বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছেন সেরা গোলরক্ষকের বিবেচনায়।
এডারসন পেয়েছেন ১৪৫ পয়েন্ট, অ্যাস্টন ভিলার মার্তিনেজের পয়েন্ট ৭৬। গত বছর এই পুরস্কার জেতা থিবো কোর্তায়া এবার হয়েছেন তৃতীয়।