ঢাকা ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪

অনিয়মিত হকি লিগ খেলতে না পারার কষ্ট খেলোয়াড়দের

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:০১ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৬ এএম
খেলতে না পারার কষ্ট খেলোয়াড়দের

‘হকি খেলোয়াড় আমরা অলস হয়ে যাচ্ছি। খেলা নেই। কি যে দুর্বিষহ দিন কাটছে আমাদের।’ দেশের একজন শীর্ষ হকি তারকা অবলীলায় বলে যান এ কথাগুলো। শুধু একজন নয়, হকি খেলোয়াড়দের প্রত্যেকের কণ্ঠেই এমন হাহাকারের সুর বাজছে এখন। কোনো রাখঢাক না রেখে অনেকেই নিজেদের দুরবস্থার কথা খুলে বলছেন। কেউ কেউ আবার চক্ষুলজ্জায় কিছু বলছেন না। তবে একটি ব্যাপার পরিষ্কার যে, খেলার জন্য তারা প্রত্যেকেই ব্যাকুল।

দেশের শীর্ষ হকি খেলোয়াড়দের রুটি-রুজির অন্যতম বড় মাধ্যম হলো প্রিমিয়ার লিগ। কিন্তু ঘরোয়া হকির শীর্ষ এই প্রতিযোগিতা মাঠে গড়ায়নি গত দুই বছর। সবশেষ লিগ শেষ হয়েছে ২০২১ সালের নভেম্বরে। সেই লিগের আগেও ছিল ৩ বছরের দীর্ঘ বিরতি। ২০১৬ সাল থেকে ২০২৩, এই ৮ বছরে প্রিমিয়ার হকির মাত্র ৩টি আসর মাঠে গড়িয়েছে। আগেও যে চিত্রটা স্বাস্থ্যকর ছিল, তা নয়। ১৯৯৮ সালে প্রিমিয়ার লিগ যুগে প্রবেশ করে হকি। এরপর ২৫ বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু লিগ হয়েছে মাত্র ১৩টি! এই সময়ে প্রথম বিভাগ হকি লিগ হয়েছে ১২টি। দ্বিতীয় বিভাগ লিগ আরও অনিয়মিত।

অথচ একসময় ক্রিকেটের বিস্তারের আগে ফুটবলের পরই উচ্চারিত হতো হকির নাম। ক্রিকেট জনপ্রিয় হয়ে ওঠার পর ক্রম অনুসারে হকি তৃতীয় স্থান নেয়। কিন্তু ক্রিকেটার ও ফুটবলাররা যেখানে প্রতিবছর খেলার মধ্যে থাকেন, হকি খেলোয়াড়রা সেখানে বসে বসে দিন পার করছেন। এভাবে হকির কত যে প্রতিভার অপচয় হয়েছে! ক্রিকেটার আফিফ হোসেন ধ্রুব কিংবা আকবর আলীর কথাই উল্লেখ করা যাক। বিকেএসপিতে বেড়ে ওঠা এই দুজনই তাদের ক্যারিয়ার নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখতে পারছেন। এরই মধ্যে সাফল্য ভাস্বরও হয়েছেন। কিন্তু আফিফেরই বন্ধু হকির আশরাফুল ইসলাম কিংবা আকবরের বন্ধু আরশাদ হোসেনদের ভাগ্যটা বিপরীত। দুজনই নিজেদের প্রতিভার জানান দিয়েছেন বেশ কিছু আন্তর্জাতিক আসরে। কিন্তু ক্যারিয়ার নিয়ে তারা বড় কোনো স্বপ্ন দেখার সাহস পান না। অনিশ্চয়তায় ঠাসা তাদের এ জীবন। জাতীয় দলের তারকা খেলোয়াড় পুস্কর খীসা মিমো তাই বলেন, ‘খেলা মাঠে না থাকলে আমাদের যে কী কষ্টটা হয়, তা বলে বোঝাতে পারব না। হকি খেলে আসলে ক্যারিয়ার গড়া যায় না। কিন্তু হকি রক্তের সঙ্গে মিশে গেছে, তাই খেলে যাচ্ছি। মাঝেমধ্যে মনে হয়, হকি না খেলে অন্য খেলা বেছে নিলেই ভালো হতো।’

আশরাফুল নিজেদের চিত্র তুলে ধরেন বলেন, ‘এই যে খেলা ঠিকঠাক হয় না, এ নিয়ে মানুষের অনেক কথার উত্তর দিতে হয়। বাড়ি গেলে অনেকে অনেক ধরনের কথা বলেন। আমরা কিছু খেলোয়াড় তবু বিভিন্ন বাহিনীতে আছি। কিন্তু যারা কোনো বাহিনীতে নেই, তারা তো সব সময় বাসাতেই থাকেন। ওদের তো আরও প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। অনেকে আমাকে বলেন, বাইরে গেলে মানুষ ওদের জিজ্ঞেস করেন, দল থেকে বাদ পড়ে গেছেন নাকি? এগুলো শুনতে সত্যিই লজ্জা লাগে। ওদের অবস্থা আসলে খুবই খারাপ। অন্য কিছু করে ওদের জীবিকানির্বাহ করতে হচ্ছে।’

২০২২ সালের শেষের দিকে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু খেলোয়াড়দের অভিযোগ এত দিন পেরিয়ে গেলেও পারিশ্রমিকের অর্ধেক টাকাই নাকি বাকি তাদের। সিনিয়র খেলোয়াড় ইমরান হাসান পিন্টু তাই আক্ষেপ করে বলেন, ‘একটা কথা আছে না, কপালে সুখ সয় না। আমাদের হকি খেলোয়াড়দের অবস্থা ঠিক তাই। একটা ভালো কিছু হলেই তারপর আর কিছু থাকে না।’

উত্তরসূরিদের এমন চিত্র খুব পীড়া দেয় হকির সাবেক তারকাদের। রফিকুল ইসলাম কামাল তো বলেই ফেললেন, ‘সত্যি বলতে হকিতে যে অবস্থা চলছে, এভাবে চললে আগামীতে আমার মনে হয় না খেলাটিকে আরও এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। কারণ বছরের পর বছর যদি খেলা না হয়, লিগ না হয়, তাহলে মনে হয় না হকি খেলার প্রতি আগ্রহ কেউ পাবে।’ কামাল জানান, তার ২০ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি লিগ পেয়েছেন মাত্র ৮-৯টা। এখনো সেই একই রকম চিত্র। এটা খুবই হতাশাজনক। লিগ নিয়মিত না হওয়ার পেছনে কামাল শুধু ফেডারেশনকে দায়ী করছেন না, ক্লাবগুলোর অর্থনৈতিক সমস্যাও কারণ হিসেবে উল্লখ করে তিনি বলেন, ‘কারণ লিগ না হওয়ার পেছনে ফেডারেশনের সেভাবে কোনো ভূমিকা নেই। ক্লাবগুলো অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে খেলতে চায় না। সেই বিষয়গুলোতে তাদের সাপোর্ট করা গেলে হয়তো প্রতিবছর লিগ করা যেত।’

খেলোয়াড়দের এই হতাশার বিষয়গুলো নিয়ে কথা হয় ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মমিনুল হক সাঈদের সঙ্গে। ক্লাবগুলোর লিগ খেলায় অনীহা প্রসঙ্গে মমিনুল হক সাঈদ বলেন, ‘আমাদের ক্লাবগুলো রাষ্ট্রীয় কোনো অনুদান পায় না। আগে যেসব সোশ্যাল ওয়ার্কাররা সামাজিক সেবার কারণে ক্লাবগুলোতে ডোনেশন করতেন, সেই শ্রেণির লোকগুলো সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হওয়ার কারণে ক্লাবগুলোকে এখন ডোনেশন করেন না। এখন জীবনযাত্রার যে মান, টিকে থাকার জন্য দল গড়তেও ৩০ লাখ টাকার প্রয়োজন। সবাই এ কারণেই কিছু গড়িমসি করে।’ এ সময় ফেডারেশনের আর্থিক দুরবস্থার কথাও তুলে ধরেন তিনি, ‘ফেডারেশনই যেমন অনেকটা হাত পেতে চলে। আমরা একটি জাতীয় ফেডারেশন। আমরা বার্ষিক ২২ লাখ টাকা বরাদ্দ পাই। বিদ্যুৎ বিল ও পানির জন্য প্রায় ৬ লাখ টাকা কেটে রাখে। আমরা হাতেই পাই ১৬ লাখ টাকা। কিন্তু বছরে স্টাফ সেলারি প্রায় ৩০ লাখ টাকা। এই স্টাফ সেলারিতেই আমাদের ভর্তুকি দিতে হয়। অনেক সময় আমরা নিজের পকেট থেকে দিয়ে থাকি। আনুষঙ্গিক আরও অনেক খরচ তো থাকেই। আমরাও পারি না তাদের (ক্লাবগুলোর) পাশে দাঁড়াতে। এই বাধ্যবাধকতা বা ব্যারিকেডগুলো যে রয়েছে, এখান থেকে আমরা বেরুতে পারছি না।’ 

তিনি বলেন, ‘প্রায় দেড় শর মতো দেশ হকিতে অংশগ্রহণ করছে, সেখানে বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ত্রিশের মধ্যে থেকেও আমরা দেশে হকির বিস্তার ঘটাতে পারছি না। আন্তর্জাতিকভাবেও সাফল্য নিয়ে আসতে পারছি না। কারণ এই ব্যারিকেডগুলো। এই অর্থনৈতিক মুক্তি যদি না ঘটে, তা হলে আমাদের পক্ষে আসলেই কিছু করা সম্ভব না। আমরা অনেকেই মুখস্থ বুলি বলতে পারব, অনেকেই স্বপ্ন দেখাতে পারব। কিন্তু স্বপ্ন দেখাতে যেসব জিনিস প্রয়োজন, সেগুলোর সঠিক সমন্বয় যদি না হয়, তাহলে গল্প গল্পই থেকে যাবে।’

মুশতাকে আগ্রহী বিসিবি

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১১:৫০ এএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১১:৫০ এএম
মুশতাকে আগ্রহী বিসিবি
ছবি- সংগ্রহীত

সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং পরামর্শকের দায়িত্বে ছিলেন মুশতাক আহমেদ। স্বল্প সময়ে তার হাত ধরে সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ দল। এবার তার চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে যাচ্ছে বিসিবি। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।

আজ দুপুর তিনটায় বিসিবির বোর্ড সভায় মুশতাক আহমেদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স, পূর্বাচল শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হবে।

বিশ্বকাপসহ দুই মাস বাংলাদেশ দলের কোচিং প্যানেলে কাজ করেছেন মুশতাক আহমেদ। তার অধীনে নিজেকে আরও বেশি শানিয়ে তুলেছেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। তার কাজে খুশি হয়ে আপাতত চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে আগ্রহী বিসিবি।

বেলজিয়ামকে বিদায় করে কোয়ার্টারে ফ্রান্স

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৭ এএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৭ এএম
বেলজিয়ামকে বিদায় করে কোয়ার্টারে ফ্রান্স
ছবি: সংগৃহীত

ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ফ্রান্স ও বেলজিয়ামের অবস্থান পাশাপাশি। তবে মাঠের খেলায় সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার দেখা মেলেনি। অবশ্য সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে বেলজিয়ামের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে ছিল ফরাসিরা। তার প্রমাণ পুরো ম্যাচজুড়ে আধিপত্য কিলিয়ান এমবাপ্পে-অ্যান্তেনিও গ্রিজম্যানদের। মাঠের প্রভাব অবশ্য বোঝা যায়নি ফল দেখে। কারণ, গোল পেতে ফরাসিদের অপেক্ষা করতে হয়েছে ৮৫ মিনিট পর্যন্ত। নিজেদের জালে বল জড়িয়ে ফ্রান্সের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা নিশ্চিত করে দেন জ্যান ভার্টোনেন।

ডুসেলডর্ফে ম্যাচের শুরু থেকে বেলজিয়ামের ওপর ছড়ি ঘোরায় ফরাসিরা। একের পর এক আক্রমণ করেও বলার মতো কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ফরাসি স্ট্রাইকারদের একের পর এক ব্যর্থতায় মনে হচ্ছিল খেলা হয়তো গড়াবে অতিরিক্ত সময়ে। ম্যাচ শেষ হওয়ার মিনিট পাঁচেক আগে ডেডলক ভাঙেন কোলো মুয়ানি। বেলজিয়ামের জাল উদ্দেশ করে নেওয়া তার শট ভার্টোনেনের পায়ে লেগে জড়ায় জালে। তাতে ফরাসিদের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়।

 

আরসিবির কোচ হলেন দিনেশ কার্তিক

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৫ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৫ পিএম
আরসিবির কোচ হলেন দিনেশ কার্তিক
ছবি : সংগৃহীত

সবশেষ মৌসুমটাই আইপিএলে দিনেশ কার্তিকের শেষ ছিল। এরপর ধারাভাষ্যকের ভূমিকায় দেখা যায় সদ্যসমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। এবার নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে। আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু দলের ব্যাটিং কোচ এবং মেন্টর হলেন তিনি।

কোচ হওয়ার খবরে ৩৯ বছর বয়সী কার্তিক বলেছেন, ‘বিষয়টা দারুণ যে আমি বেঙ্গালুরুর সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। চেষ্টা করব দলকে আরও শক্তিশালী করার। পেশা হিসেবে আমার কাছে কোচিং খুবই রোমাঞ্চকর একটা ব্যাপার। জীবনের নতুন অধ্যায় নিয়ে আমি সত্যিই খুবই রোমাঞ্চিত। আশা করি খেলোয়াড় হিসেবে আমার যে অভিজ্ঞতা সেটা দলের উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারব। এই দলের ব্যাটিং বিভাগের সঙ্গে কাজ করতে আমার তর সইছে না।’

ভারতের হয়ে ওয়ানডে ও টেস্ট দলে তার অভিষেক হয় ২০০৪ সালে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ২০০৬ সালে। খেলোয়াড়ি জীবন চলমান অবস্থাতেই তিনি ধারাভাষ্যকক্ষে বিচরণ শুরু করেন। ২০২১ সালে কাজ করেছেন ইংল্যান্ড-ভারত সিরিজে। একই ভূমিকায় ছিলেন দ্য হান্ড্রেডেও।

জাতীয় দলের হয়ে ২৬টি টেস্ট, ৯৪টি ওয়ানডে ও ৬০ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন কার্তিক। খেলোয়াড়ি জীবনে জিতেছেন ১টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ১টি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও ২টি এশিয়া কাপ। 

বিসিসিআইয়ের ১২৫ কোটি রুপি পুরস্কার ঘোষণা

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৯ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৯ পিএম
বিসিসিআইয়ের ১২৫ কোটি রুপি পুরস্কার ঘোষণা
ছবি : সংগৃহীত

দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে আইসিসির শিরোপা খরা কাটিয়েছে ভারত। এই জয়ে ভারত ক্রিকেট দলকে পুরস্কৃত করেছে দেশটির ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিসিআই। যে পুরস্কার আইসিসি হতে প্রাপ্ত পুরস্কারের চেয়েও বেশি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় বিসিসিআই সচিব জয় শাহ বলেন, ‘আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতায় ভারতীয় দলের জন্য ১২৫ কোটি রুপি পুরস্কার ঘোষণা করতে পেরে আমি আনন্দিত। টুর্নামেন্টজুড়ে এই দলটি ব্যতিক্রমী প্রতিভা, দৃঢ়তা ও স্পোর্টসম্যানশিপ দেখিয়েছে। ক্রিকেটার, কোচ ও সাপোর্ট স্টাফের সবাইকে অসামান্য অর্জনের জন্য অভিনন্দন।’

এবারের আসরের চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আইসিসি থেকে ২৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার প্রাইজ মানি পাচ্ছে ভারত। ভার ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২০ কোটি ৪২ লাখ রুপি।

এছাড়া সুপার এইট পর্যন্ত ৬ ম্যাচ জেতায় তারা আরও ১ লাখ ৮৬ হাজার ৯২৪ ডলার পাচ্ছে। আইসিসি ও বিসিসিআই হতে প্রাপ্ত পুরস্কারের অর্থসহ মোট দেড় কোটি রুপি পেয়েছে ভারত। আর রানার্সআপ হয়ে ১২ লাখ টাকা ৮০ হাজার ডলার পেয়েছে দক্ষিন আফ্রিকা। 

কানাডায় রিজওয়ানের অধীনে খেলবেন বাবর

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৫ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৬ পিএম
কানাডায় রিজওয়ানের অধীনে খেলবেন বাবর
ছবি : সংগৃহীত

২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর নেতৃত্ব হারান বাবর আজম। কিন্তু, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ঘুরেফিরে সেই বাবরের কাছেই পাকিস্তান আরেকবার দ্বারস্থ হয় পাকিস্তান। তাতেও লাভ হয়নি, এবারও ভরাডুবি হয়েছে দলটির। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে গ্রুপ পর্ব থেকে। এরপর থেকে আবারও শুরু হয়েছে তার অধিনায়কত্ব নিয়ে সমালোচনা। আরেকবার শঙ্কায় তার নেতৃত্ব।

পাকিস্তান ক্রিকেটে তার অধিনায়কত্বের ভবিষ্যত নিয়ে এখনও কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া না গেলেও ফ্র্যাঞ্চাইজ ক্রিকেটে তাকে খেলতে হবে সতীর্থ মোহাম্মদ রিজওয়ানের অধীনে। কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে ভ্যানকুবার নাইটসের হয়ে খেলবেন বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। সেখানে রিজওয়ানের নেতৃত্বে খেলতে হবে বাবরকে।

রিজওয়ানকে অধিনায়ক ঘোষণা করে ফ্র্যাঞ্চাইজটি জানিয়েছে, ‘গ্লোবাল টি-২০ এর চতুর্থ সিজনের জন্য ভ্যানকুভার নাইটস অধিনায়ক হিসেবে মোহাম্মদ রিজওয়ানের নাম ঘোষণা করছে। তার অসাধারণ ব্যাটিং দক্ষতা আর দক্ষ উইকেটকিপিং দিয়ে তিনি আমাদের জয়ের পথে নিয়ে যেতে তৈরি। তৈরি হও নাইটসরা!’

দলটিতে সুযোগ পেয়েছেন পাকিস্তানের অন্য দুই ক্রিকেটার মোহাম্মদ আমির ও আসিফ আলীকে।