![মেসির অতীত-বর্তমানের লড়াই অমীমাংসিত](uploads/2024/02/17/1708146841.messi.jpg)
নিওয়েলস ওল্ড বয়েজ ক্লাব দিয়েই ফুটবলে অবিশ্বাস্য যাত্রা করেছিলেন লিওনেল মেসি। এরপর ন্যু ক্যাম্প ঘুরে স্তেদ দ্য ফ্রান্স; সর্বশেষ ঠিকানা মার্কিন মুলুকের ইন্টার মায়ামি। ইতিহাস গড়া ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তি লিওনেল মেসির জন্য গতকাল (১৬ ফেব্রুয়ারি) ছিল স্বপ্নের মতো। কারণ এই রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ডিআরভি পিএনকে স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনার নিওয়েলস ওল্ড বয়েজ ও ইন্টার মায়ামি। ভেঙে বললে অর্থ দাঁড়ায় মেসির শৈশবের ক্লাব বনাম বর্তমান ক্লাব। অতীত-বর্তমানের মেলবন্ধনের স্মৃতিময় ম্যাচে হারেনি কেউ, ম্যাচ ড্র হয়েছে ১-১ গোলে।
ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৪ মিনিটে মায়ামিকে লিড এনে দেন শানিদার বোরগেলিন। ৮৩ মিনিটে ফ্রাঙ্কো মার্টিন ডিয়াজের গোলে সমতা আনে নিওয়েলস।
চোট নিয়ে শঙ্কা থাকলেও খেলেছেন মেসি। স্টেডিয়ামের টানেল দিয়ে দলের সঙ্গে মেসি মাঠে নামামাত্র দুই দলের সমর্থকরাই বিপুল করতালিতে অভিবাদন জানান মেসিকে। ৬০ মিনিট পর্যন্ত খেলেছেন মেসি। গোলের সুযোগও পেয়েছিলেন, কিন্তু লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি।
মেসির জন্য এক দর্শক নিরাপত্তাব্যূহ ভেদ করে মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন। তাকে থামিয়েছেন নিরাপত্তারক্ষীরাই। রাতটা তার জন্য আবেগাক্রান্ত হওয়ার মতোই ছিল। কতটা হয়েছিলেন সেটি বোঝা না গেলেও ম্যাচ শেষে মেসিকে জড়িয়ে ধরেছেন নিওয়েলসের কিছু খেলোয়াড়। ক্লাবটির গোলদাতা ডিয়াজ এবং এস্তেবান ফার্নান্দেজকে বুকেও টেনে নেন মেসি। রোজারিতে জন্ম নেওয়া মেসি সেই অঞ্চলের এই ক্লাবকেই সমর্থন করেছেন। ক্লাবটির বয়সভিত্তিক দলে মেসি খেলেছেন ১৯৯৫ থেকে ২০০০ পর্যন্ত। এই ক্লাবে থাকাকালীনই মেসির গ্রোথ হরমোনজনিত সমস্যা ধরা পড়ে। এরপর ঐতিহাসিক নাপকিন চুক্তিতে বার্সেলোনায় পা রাখেন ফুটবলের খুদে এই জাদুকর।