![হতশ্রী ব্যাটিং-ফিল্ডিংয়ে ৩২৮ রানে হারল বাংলাদেশ](uploads/2024/03/25/1711354823.BD-LOSE.jpg)
পরাজয় তো তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। বাকি ছিল মাঠের খেলায় ও কাগজে-কলমে তা ঘটে যাওয়া। চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশনে এসে দশম উইকেট হিসেবে অভিষিক্ত নাহিদ রানা আউট হওয়ার পর প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের ৩২৮ রানের বিশাল পরাজয় এখন সবার জানা। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ করতে সমর্থ হয় প্রথম ইনিংসের চেয়েও ৬ রান কম। অর্থ্যাৎ ১৮২ রানে গুটিয়ে গেছে স্বাগতিকরা।
দলের হয়ে হারের ব্যবধান কমাতে ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে একা চেষ্টা চালিয়েছেন মুমিনুল হক। প্রথম ইনিংসে ৫ রান করে আউট হওয়া টেস্টের এই সাবেক অধিনায়ক দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে একপাশ থেকে দলের পরাজয় দেখেছেন। দল হারলেও লঙ্কান বোলারদের কাছে নতি শিকার করেননি এই বাঁ-হাতি ব্যাটার। শেষ উইকেট হিসেবে লাহিরু কুমারার বলে শেষ উইকেট হিসেবে নাহিদ রানা আউট দেখেছেন অপরপ্রান্ত থেকে ৮৭ রানে অপরাজিত ব্যাটিংয়ে।
চতুর্থ দিনের শুরুতে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করা তাইজুল ইসলামকে আউট করেন কসুন রাজিথা। আগেরদিন নাইটওয়াচম্যান হিসেবে ব্যাটিং করতে নেমেছিলেন তিনি। দলীয় ৫১ রানে ষষ্ঠ উইকেট হিসেবে তিনি আউট হন লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে। তার বিদায়ের পর নিজেদের পরাজয় বিলম্বিত করেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও মুমিনুল হক। দুজনের জুটি যোগ করে ৬৬ রান। মিরাজ ৩৩ রানে বিদায় নিলে ১১৭ রানে ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
মধ্যাহ্ন বিরতির আগে শুরু হওয়া নবম উইকেট জুটিতে শরিফুলকে সাথে নিয়ে ৪৭ রান যোগ করেন মুমিনুল। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের ইনিংস ধসিয়ে দেওয়া বোলার কসুন রাজিথার বলে তাকেই ক্যাচ দিয়ে তার চতুর্থ শিকারে পরিণত হয়ে মাঠ ছাড়ার আগে শরিফুল করেন ১২ রান। নতুন ব্যাটার হিসেবে মাঠে এসে প্রথম বলেই উইকেটকিপার কুশল মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে গোল্ডেন ডাক মারেন খালেদ আহমেদ। তাকে ফিরিয়ে নিজের কায়রিয়ারের ও বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ফাইফার পূর্ণ করেন রাজিথা।
এতসবের মাঝেই নিজের ক্যারিয়ারের ১৭তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন মুমিনুল হক। সবশেষ ব্যাটার নাহিদ রানা লাহিরুন কুমারার বলে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার হাতে ক্যাচ দিয়ে ০ রানে আউট হলে ৩২৮ রানে পরজায় নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের। তখন অপরপ্রান্তে ৮৭ রান করে অপরাজিত অবস্থায় দাঁড়িয়ে দেখেছেন নিজের দলের পরাজয়। ফলে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল সফরকারী শ্রীলঙ্কা।
শ্রীলঙ্কার হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে কসুন রাজিথা ৫টি, বিশ্ব ফার্নান্দো ৩টি ও লাহিরু কুমারা নেন ২টি উইকেট। এই টেস্টে জোড়া শতক করে ম্যাচসেরা হয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।
বাজে ফিল্ডিং ও দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং না করতে পারায় এই ম্যাচে এমন শোচনীয় পরাজয় হয়েছে বাংলাদেশের। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট হবে মার্চের ৩০ তারিখ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।