ঢাকা ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪

চলে গেলেন আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানো কোচ

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৪, ১১:৪৮ এএম
আপডেট: ০৬ মে ২০২৪, ১১:৪৮ এএম
চলে গেলেন আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানো কোচ
ছবি : সংগৃহীত

না ফেরার দেশে চলে গেলেন ১৯৭৮ সালে ঘরের মাঠে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ শিরোপা জেতানো কোচ সিজার লুইস মেনোত্তি। সেটি ছিল আলবিসিলেস্তেদের প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা।

সোমবার (৬ মে) এক বিবৃতিতে মেনত্তির মৃত্যুর খবর জানিয়েছে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্সে’ করা এক পোস্টে এএফএ লিখেছে, ‘আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন অত্যন্ত শোকের সঙ্গে বর্তমান জাতীয় দলের পরিচালক ও আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী কোচ লুইস সিজার মেনোত্তির মৃত্যুর খবর জানাচ্ছে। বিদায় প্রিয় ফ্লাকো!’

সাবেক এই কোচের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন আর্জেন্টিনার ২০২২ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক লিওনেল মেসি। ইনস্টাগ্রামে মেসি লেখেন, ‘আর্জেন্টিনার ফুটবলের অন্যতম কিংবদন্তি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তার পরিবার এবং প্রিয়জনদের প্রতি সমবেদনা। শান্তিতে ঘুমান।’

শোক প্রকাশ করেছেন আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের কোচ লিওনেল স্কালোনিও। ‘ফুটবলের একজন শিক্ষক আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। সেই সব স্নেহ সঞ্চারক কথার জন্য ধন্যবাদ, যার মাধ্যমে আপনি আমাদের মনে ছাপ রেখে গেছেন। চিরকাল হৃদয়ে থাকবেন প্রিয়।’

আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা জিতিয়ে তার ঠিক পরের বছরই আর্জেন্টিনার অনূর্ধ্ব-২০ দলকেও জেতান যুব বিশ্বকাপ। তার হাত ধরেই বদলে যায় আর্জেন্টিনার খেলার ধরন।

মেনোত্তির জন্ম ১৯৩৮ সালে লিওনেল মেসির মতোই রোজারিওতে। খেলোয়াড়ি জীবনে ছিলেন পেলের সতীর্থ। একসাথে খেলেছেন ব্রাজিলের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব সান্তোসে। জাতীয় দলের জার্সিতে ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৮ পর্যন্ত খেলছেন  ১১টি ম্যাচ।

অবসরের পর কোচিং ক্যারিয়ারে ছিলেন ৩৭ বছর। কোচিং ক্যারিয়ারে কোচ ছিলেন ১১ ক্লাব ও ২ জাতীয় দলের। ১৯৭৪-৮২ পর্যন্ত আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আর্জেন্টিনার কোচিং ছাড়ার পর ১৯৮৩ সালে বার্সেলোনার কোচের দায়িত্ব নিয়ে দুই মৌসুমে দুটি কাপ জেতেন মেনোত্তি।

১৯৯১–১৯৯২ সালে সামলেছেন মেক্সিকো জাতীয় দলের দায়িত্বও। এছাড়া অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ, আর্জেন্টিনার ক্লাব বোকা জুনিয়র্স, প্যানারোল এন্ড রোজারিও সেন্ট্রালের কোচ হিসেবে কাজ করেছেন মেনোত্তি।

ঘুমকাণ্ডের ব্যাখ্যা দিলেন তাসকিন

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৬:৪৮ পিএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৬:৪৮ পিএম
ঘুমকাণ্ডের ব্যাখ্যা দিলেন তাসকিন
তাসকিন আহমেদ

ভারত ম্যাচের আগে তাসকিন আহমেদের ঘুমকাণ্ড নিয়ে হচ্ছে তুমুল সমালোচনা। সেই সমালোচনার মধ্যে এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুখ খুলেছেন তাসকিন। দিয়েছেন নিজের ব্যাখ্যা।

বুধবার (৩ জুলাই) তাসকিনের দেওয়া সেই পোস্ট খবরের কাগজের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমি সম্প্রতি অনলাইনে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানতে পেরেছি যে সম্প্রতি শেষ হওয়া টি-২০ বিশ্বকাপের একটি ঘটনা নিয়ে অনেক হৈচৈ করা হচ্ছে।

প্রথমত, আমি সবাইকে জানাতে চাই যে বেশিরভাগ সংবাদ অ তথ্য যা ছড়ানো হচ্ছে তা কেবল গুজব এবং আমি আশা করি ভক্তরা এটি সেইভাবে দেখবেন।

দ্বিতীয়ত, আমি ঘটনাটি সেদিন আসলে কী ঘটেছিল তা পরিষ্কার করতে চাই। আমি স্বীকার করি যে আমি স্বাভাবিকের চেয়ে পরে উঠেছি এবং এজন্য ইতোমধ্যে পুরো দল এবং ম্যানেজমেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছি।

আমি সকাল ৮:৩৭-এ উঠেছিলাম ও ৮:৪৩-এ লবিতে গিয়েছিলাম এবং আমার রাইড প্রস্তুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি সকাল ৯:০০-এ হোটেল ছেড়েছি। আমি সকাল ৯:৪০-এ স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেছি, ম্যাচ টসের ২০ মিনিট আগে সকাল ১০:০০-এ। আমরা সকাল ১০:১৫-এ জাতীয় সংগীত গেয়েছিলাম এবং ম্যাচটি সকাল ১০:৩০-এ শুরু হয়েছিল।

এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে এই তথাকথিত ক্রীড়া সাংবাদিকরা গুজবের ভিত্তিতে খবর প্রচার/মুদ্রণ করছে এবং যাচাই না করে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে যা জাতীয় ক্রিকেট দলের একজন খেলোয়াড় হিসাবে।

যারা আমাকে চেনেন তারা জানেন আমি আমাদের দেশকে কতটা ভালোবাসি এবং বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য কতটা নিবেদিত, উৎসাহী এবং গর্বিত। আমি জানি আমি সময়মতো টিমের বাসে না ওঠার একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল করেছি, কিন্তু আমি টসের আগেই স্টেডিয়ামে ছিলাম। আমার চূড়ান্ত দলে নির্বাচিত না হওয়াটা টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত ছিল। যা সঠিক টিম কম্বিনেশন পাওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত এবং এটি আমার টিম বাসে না ওঠার ব্যর্থতার সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল না। তাই, আমি আশা করি মিডিয়া এবং ক্রীড়া সাংবাদিকরা মিথ্যা গল্প লেখার আগে আরও সতর্কতা অবলম্বন করবেন এবং একটি বিষাক্ত পরিবেশ তৈরি করবেন না।

এটি কেবল আমাদের খেলোয়াড়দের ক্ষতি করে না বরং আমাদের দেশের সামগ্রিক চিত্রকে ক্ষুণ্ন করে। আমি বিশ্বাস করি আমরা সবাই সৎ এবং পেশাদার সাংবাদিকতা আশা করি যাতে জাতি হিসেবে এগিয়ে যেতে পারি।

ভবিষ্যতে, আমি আইনিভাবে এই ধরনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেব যাতে কেউ ক্রীড়াবিদ বা মানুষ হিসেবে আমার সুনাম বা অখণ্ডতা ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা না করে। আমার ভক্তদের ধন্যবাদ তাদের অব্যাহত সমর্থনের জন্য।’

পার্থ/সালমান/

মুশতাকে আগ্রহী বিসিবি

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১১:৫০ এএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১১:৫০ এএম
মুশতাকে আগ্রহী বিসিবি
ছবি- সংগ্রহীত

সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং পরামর্শকের দায়িত্বে ছিলেন মুশতাক আহমেদ। স্বল্প সময়ে তার হাত ধরে সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ দল। এবার তার চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে যাচ্ছে বিসিবি। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।

আজ দুপুর তিনটায় বিসিবির বোর্ড সভায় মুশতাক আহমেদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স, পূর্বাচল শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হবে।

বিশ্বকাপসহ দুই মাস বাংলাদেশ দলের কোচিং প্যানেলে কাজ করেছেন মুশতাক আহমেদ। তার অধীনে নিজেকে আরও বেশি শানিয়ে তুলেছেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। তার কাজে খুশি হয়ে আপাতত চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে আগ্রহী বিসিবি।

বেলজিয়ামকে বিদায় করে কোয়ার্টারে ফ্রান্স

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৭ এএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৭ এএম
বেলজিয়ামকে বিদায় করে কোয়ার্টারে ফ্রান্স
ছবি: সংগৃহীত

ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ফ্রান্স ও বেলজিয়ামের অবস্থান পাশাপাশি। তবে মাঠের খেলায় সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার দেখা মেলেনি। অবশ্য সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে বেলজিয়ামের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে ছিল ফরাসিরা। তার প্রমাণ পুরো ম্যাচজুড়ে আধিপত্য কিলিয়ান এমবাপ্পে-অ্যান্তেনিও গ্রিজম্যানদের। মাঠের প্রভাব অবশ্য বোঝা যায়নি ফল দেখে। কারণ, গোল পেতে ফরাসিদের অপেক্ষা করতে হয়েছে ৮৫ মিনিট পর্যন্ত। নিজেদের জালে বল জড়িয়ে ফ্রান্সের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা নিশ্চিত করে দেন জ্যান ভার্টোনেন।

ডুসেলডর্ফে ম্যাচের শুরু থেকে বেলজিয়ামের ওপর ছড়ি ঘোরায় ফরাসিরা। একের পর এক আক্রমণ করেও বলার মতো কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ফরাসি স্ট্রাইকারদের একের পর এক ব্যর্থতায় মনে হচ্ছিল খেলা হয়তো গড়াবে অতিরিক্ত সময়ে। ম্যাচ শেষ হওয়ার মিনিট পাঁচেক আগে ডেডলক ভাঙেন কোলো মুয়ানি। বেলজিয়ামের জাল উদ্দেশ করে নেওয়া তার শট ভার্টোনেনের পায়ে লেগে জড়ায় জালে। তাতে ফরাসিদের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়।

 

আরসিবির কোচ হলেন দিনেশ কার্তিক

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৫ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৫ পিএম
আরসিবির কোচ হলেন দিনেশ কার্তিক
ছবি : সংগৃহীত

সবশেষ মৌসুমটাই আইপিএলে দিনেশ কার্তিকের শেষ ছিল। এরপর ধারাভাষ্যকের ভূমিকায় দেখা যায় সদ্যসমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। এবার নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে। আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু দলের ব্যাটিং কোচ এবং মেন্টর হলেন তিনি।

কোচ হওয়ার খবরে ৩৯ বছর বয়সী কার্তিক বলেছেন, ‘বিষয়টা দারুণ যে আমি বেঙ্গালুরুর সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। চেষ্টা করব দলকে আরও শক্তিশালী করার। পেশা হিসেবে আমার কাছে কোচিং খুবই রোমাঞ্চকর একটা ব্যাপার। জীবনের নতুন অধ্যায় নিয়ে আমি সত্যিই খুবই রোমাঞ্চিত। আশা করি খেলোয়াড় হিসেবে আমার যে অভিজ্ঞতা সেটা দলের উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারব। এই দলের ব্যাটিং বিভাগের সঙ্গে কাজ করতে আমার তর সইছে না।’

ভারতের হয়ে ওয়ানডে ও টেস্ট দলে তার অভিষেক হয় ২০০৪ সালে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ২০০৬ সালে। খেলোয়াড়ি জীবন চলমান অবস্থাতেই তিনি ধারাভাষ্যকক্ষে বিচরণ শুরু করেন। ২০২১ সালে কাজ করেছেন ইংল্যান্ড-ভারত সিরিজে। একই ভূমিকায় ছিলেন দ্য হান্ড্রেডেও।

জাতীয় দলের হয়ে ২৬টি টেস্ট, ৯৪টি ওয়ানডে ও ৬০ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন কার্তিক। খেলোয়াড়ি জীবনে জিতেছেন ১টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ১টি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও ২টি এশিয়া কাপ। 

বিসিসিআইয়ের ১২৫ কোটি রুপি পুরস্কার ঘোষণা

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৯ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৯ পিএম
বিসিসিআইয়ের ১২৫ কোটি রুপি পুরস্কার ঘোষণা
ছবি : সংগৃহীত

দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে আইসিসির শিরোপা খরা কাটিয়েছে ভারত। এই জয়ে ভারত ক্রিকেট দলকে পুরস্কৃত করেছে দেশটির ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিসিআই। যে পুরস্কার আইসিসি হতে প্রাপ্ত পুরস্কারের চেয়েও বেশি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় বিসিসিআই সচিব জয় শাহ বলেন, ‘আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতায় ভারতীয় দলের জন্য ১২৫ কোটি রুপি পুরস্কার ঘোষণা করতে পেরে আমি আনন্দিত। টুর্নামেন্টজুড়ে এই দলটি ব্যতিক্রমী প্রতিভা, দৃঢ়তা ও স্পোর্টসম্যানশিপ দেখিয়েছে। ক্রিকেটার, কোচ ও সাপোর্ট স্টাফের সবাইকে অসামান্য অর্জনের জন্য অভিনন্দন।’

এবারের আসরের চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আইসিসি থেকে ২৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার প্রাইজ মানি পাচ্ছে ভারত। ভার ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২০ কোটি ৪২ লাখ রুপি।

এছাড়া সুপার এইট পর্যন্ত ৬ ম্যাচ জেতায় তারা আরও ১ লাখ ৮৬ হাজার ৯২৪ ডলার পাচ্ছে। আইসিসি ও বিসিসিআই হতে প্রাপ্ত পুরস্কারের অর্থসহ মোট দেড় কোটি রুপি পেয়েছে ভারত। আর রানার্সআপ হয়ে ১২ লাখ টাকা ৮০ হাজার ডলার পেয়েছে দক্ষিন আফ্রিকা।