ঢাকা ১১ আষাঢ় ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪

ক্রিকেটের নগরীতে ঘুম ভাঙল মোরগের ডাকে

প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২৪, ১১:৪২ এএম
আপডেট: ১৪ জুন ২০২৪, ১১:৪২ এএম
ক্রিকেটের নগরীতে ঘুম ভাঙল মোরগের ডাকে

মোরগের ডাকে ঘুম ভেঙে যায়। এভাবে মোরগের ডাক শুনে কিছুটা অবাকই। কারণ বাংলাদেশ থেকে সেই হাজার হাজার মাইল দূরের সেন্ট ভিনসেন্টে এসে মোরগের ডাক শুনবো, তাও আবার সেই ডাকে ঘুম ভাঙবে- এটি বিশ্বাস করাও কঠিন। এভাবে মোরগের ডাক এক সময় বাংলাদেশে শোনা হত। বিশেষ করে গ্রামে গেলে। কিন্তু এখনতো সেই গ্রামেই মোরাগের ডাক শোনা যায় না। আবার মোরগের ডাকে ঘুম ভাঙবে- এটাতো এখন যেন রূপকথার গল্পই!

ঢাকা থেকে নিউইয়র্কের দূরত্ব ৮ হাজার মাইলের মতো। ইস্তাম্বুলে দেড় ঘণ্টার যাত্রা বিরতি দিয়ে পৌঁছাতে সময় লেগেছে ২২ ঘণ্টার মতো। কিন্তু নিউইয়র্ক থেকে সেন্ট ভিনসেন্টের দূরত্ব ২ হাজার মাইলের সামান্য বেশি। আসতে সময় লেগেছে সাড়ে ২৯ ঘণ্টার মতো! এর কারণ আর কিছুই নয়। সরাসরি ফ্লাইট না পাওয়া। যে কারণে দুটি ট্রানজিট নিতে হয়েছে। একটি পোর্ট অব স্পেনে, অন্যটি ব্রিজটাউনে। 

বিমানে ভ্রমণের সময় ছিল সাড়ে ৭ ঘণ্টা। বাকি ২২ ঘণ্টাই ট্রানজিট। এর মাঝে পোর্ট অব স্পেনে ছিল ১৮ ঘণ্টা, আর ব্রিজটাউনে ৪ ঘণ্টার মতো। তাই শরীরের ওপর দিয়ে বেশ ভালোই ধকল গিয়েছে। যাত্রা পথে একবার আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজের চেহারা নিজেরই চিনতেই কষ্ট হচ্ছিল।  

সেন্ট ভিনসেন্ট আসার পর মোবাইল সিম কার্ড নেওয়া, হোটেলে ওঠা, খাওয়া-দাওয়া করে ফ্রি হতে হতে সময় গড়িয়ে বিকেল হয়ে যায়। তাই হোটেলে এসে বিছানায় শরীর ঠেলে দেওয়ার পর আর কিছুই মনে করতে পারেনি। গভীর ঘুমে ডুবে যাই। রাতের খাবারও খাওয়া হয়নি। এ রকম গভীর ঘুম এবারের সফরে আসার পর প্রথম হয়েছে। সেই গভীর ঘুম ভাঙে মোরগের ডাকে। মোরগের ডাক শুনার পর সেন্ট ভিনসেন্টের সকালের আকাশ অন্য রকম মুগ্ধতা ছড়িয়ে দিল। 

অবশ্য সেন্ট ভিনসেন্টের সকালের আকাশই যে মুগ্ধতা ছড়ায় তা কিন্তু নয়, এখানে আসার পর প্রতিটি মুহূর্তই আপনাকে মুগ্ধতা ছড়াবে।

৩৮৯ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে একটি দেশ। তাও দুটি দ্বীপ মিলে। সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রানাডাইন। রাজধানী কিংসটন। জনগণের সংখ্যা শুনলে চোখ কপালে ওঠার মতো। মাত্র ১ লাখ ১০ হাজার। বাংলাদেশের যেকোনো জেলা শহরের আয়তন ও  লোক সংখ্যাও এর চেয়ে বেশি। তাই ছোট্ট এই দ্বীপ রাষ্ট্রটি পর্যটকদের পছন্দের স্থান। যে দিকে নয়ন যাবে শুধু ক্যারাবিয়ান নগরের নীল জলরাশি। শহরের কোনো বাস সার্ভিস নেই। 

মাইক্রোবাসই গণপরিবহন হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। গানবাজনা শুনতে খুব বেশি পছন্দ করে এখানকার মানুষ। ছোট্ট এই শহর এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের  ভেন্যু। যার সূচনা হচ্ছে বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস ম্যাচ দিয়ে।  ‘ডি’  গ্রুপের তিনটি ম্যাচের ভেন্যু এটি। অপর দুটি হলো দক্ষিণ আফ্রিকা-নেপাল ও বাংলাদেশ-নেপাল।

দ্বীপরাষ্ট্রটি ক্রিকেটপাগল। নিজেদের কোনো ম্যাচ না থাকার পরও ভিনদেশি দুটি দলের খেলা নিয়ে তাদের উচ্ছ্বাসের কমতি নেই। বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস ম্যাচ নিয়ে তাদের মাঝে বেশ আগ্রহ। ক্রিকেট কাভার করতে বাংলাদেশ থেকে এসেছি জানার পর যে কেউ আগ বাড়িয়ে এসে পরিচিত হচ্ছেন, কথা বলছেন। হাত মেলাচ্ছেন। বাংলাদেশ জিতবে বলে শুভ কামনাও জানাচ্ছেন। 

তাদের এ রকম উচ্ছ্বাসের আরেকটি কারণ হলো ১০ বছর পর আন্তর্জাতিক ম্যাচের স্বাদ নেওয়া। এই ভেন্যুতে ছেলেদের সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশই। ২০১৪ সালের ৫ থেকে ৯ সেপ্টেম্বর  ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই টেস্ট। ১০ উইকেটে জয় পেয়েছিল স্বাগতিকরা।  পালকি নামে এক ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টে খাবার  খেতে গিয়ে দেখা গেছে সেখানে চাকরিরত স্থানীয়দের ম্যাচ নিয়ে কি রকম উচ্ছ্বাস।

অনেক পুরোনো এই ভেন্যুতে খেলা কিন্তু খুবই কম  হয়ে থাকে।  ১৮ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা।  ১৯৮১ সালের  ৪ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছিল যাত্রা। এরপর  ওয়ানডে ম্যাচ হয়েছে মাত্র ২৩টি। যেখানে ২০০৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের স্বাগতিক হওয়ার পরও কোনো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়নি।

এরপর ২০১০ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেরও স্বাগতিক হওয়ার পরও কোনো ম্যাচ ছিল না এই ভেন্যুতে। সে হিসেবে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের। ইতিহাসের সাক্ষীও। তাই জনগণের মাঝে বাড়তি উন্মাদনা কাজ কারাটই স্বাভাবিক।

সেন্ট ভিনসেন্ট বাংলাদেশের জন্য পয়মন্তও বটে। এই ভেন্যুতে এখন পর্যন্ত যে তিনটি টেস্ট হয়েছে তার দুটিই খেলেছে বাংলাদেশ। সবশেষটিতেও ছিল বাংলাদেশ। যদিও সেই ম্যাচে হার সঙ্গী হয়েছে। কিন্তু ২০০৯ সালে এই ভেন্যুতে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট জিতেছিল ৯৫ রানে। অধিনায়ক মাশরাফির ইনজুরিতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। এই ভেন্যুতেই বাংলাদেশের নতুন করে আরও একটি সাফল্য গাঁথার সুযোগ। সুপার এইট বাংলাদেশকে নিশ্চিত করতে হবে এই ভেন্যুতেই। 

বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনালে আফগানিস্তান

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ১১:১০ এএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ১১:১০ এএম
বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনালে আফগানিস্তান
ছবি- সংগ্রহীত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে পা রাখতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না বাংলাদেশের সামনে। তবে জয়ের পাশাপাশি ছিল সমীকরণের হিসাব-নিকাশ। সে লক্ষ্যে শুরু থেকে দারুণ বোলিং করে বাংলাদেশ। আফগানদের ইনিংস থামে ১১৫ রানে। সেমিফাইনাল খেলতে বাংলাদেশকে এই লক্ষ্য তাড়া করতে হতো ১২.১ ওভারের মধ্যে। তবে নির্ধারিত ওভারের মধ্যে সেই লক্ষ্য তাড়া করতে না পারায় সুপার এইট থেকে নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের বিদায়। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটাও নিজেদের করে নিতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। আফগানদের কাছে ম্যাচ হারে ৮ রানের ব্যবধানে। বাংলাদেশকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে টপকে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠল আফগানরা।

আফগানদের ছুড়ে দেওয়া ১১৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্কোরবোর্ডে ২৩ রান যোগ করতে তিন উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের পাশাপাশি প্যাভিলিয়নে ফেরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান। টুর্নামেন্টজুড়ে টপ অর্ডারের এই ব্যর্থতা সুপার এইটের শেষ ম্যাচে এসেও কাটেনি। এমন ব্যর্থতার মাঝে খানিকটা আশার আলো হয়ে ছিলেন ওপেনার লিটন দাস। পুরো ম্যাচে একপ্রান্ত সামলে রাখেন এই ডানহাতি ব্যাটার। তিনি অপরাজিত ছিলেন ৪৯ বলে ৫৪ রান করে।

২৩ রানে তিন উইকেট হারানো বাংলাদেশকে চতুর্থ উইকেটে পথ দেখানোর চেষ্টা করেন লিটন ও সৌম্য সরকার। দুজন মিলে চতুর্থ উইকেটে যোগ করেন ২২ বলে ২৫ রান। ইনিংসের ৭ম ওভারের তৃতীয় বলে দ্রুতগতির ফ্লাইটেড ডেলিভারি উইকেটে আঘাত করলে আউট হন সৌম্য। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে তার ব্যাটে আসে ১০ বলে ১০ রান।

সৌম্যর বিদায়ের পর তাওহিদ হৃদয় উইকেটে আভাস দেন ঝড় তোলার। তবে ভাগ্য তার পক্ষে ছিল না। ৮ম ওভারের তৃতীয় বলে জীবন পেলেও বড় করতে পারেননি ইনিংস। রশিদ খানের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে তার ব্যাটে আসে ৯ বলে ১৪ রান। পরে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৯ বলে ৬ ও রিশাদ হোসেন আউট হন গোল্ডেন ডাকের শিকার হয়ে। দুজনই ছিলেন রশিদ খানের শিকার। নিজের কোটার পুরোটা বোলিং করে ২৩ রান খরচায় ৪ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটারকে প্যাভিলিয়নে ফেরান এই লেগি।

আফগানদের হয়ে নাভিন উল হক ২৬ রানে নেন ৪ উইকেট। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন ফজল হক ফারুকি ও গুলবাদিন নাঈব।

এর আগে সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নোস ভ্যাল স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশি বোলারদের নিখুঁত লাইন ও লেন্থের বোলিংয়ে শুরু থেকেই রান   করতে ভুগতে হচ্ছিল আফগান ব্যাটারদের। বিশেষত বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহীম জাদরান এদিনও ৫৯ রানের জুটি গড়লেও এই রাত করতে তারা খেলেছে ৬৪ বল। ইব্রাহীম লেগস্পিনার রিশাদ হোসেনের বলে ২৯ বলে মাত্র ১৮ রান করে তানজিম হাসান সাকিবকে ক্যাচ দেন তিনি।

অন্য ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজও আউট হন রিশাদের বলে। দলের তৃতীয় উইকেট হিসেবে তিনি আউট হলেও করেন স্বভাব বিরুদ্ধ ব্যাটিংয়ে ৫৫ বলে ৪৩ রান। একই ওভারেই গুলবেদীন নাইবকে ফেরান এই বোলার। তিনি করেন ৪ রান। মাঝখানে মোস্তাফিজের বলে ১২ বলে ১০ রান করে আজমতউল্লাহ ওমরজাই। 

ব্যর্থ হয়েছেন অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবীও। তাসকিনের আহমেদের বলে ১ রান করে আউট হন তিনি। তার বিদায়ে ১৭.৪ বলে ৯৩ রানে ৫ উইকেটে হারায় আফগানিস্তান। মাঠে নেমে দ্বিতীয় বলেই তাসকিনকে ছয় হাঁকান আফগানদের অধিনায়ক রশিদ খান। কিন্তু পরের ওভারে মোস্তাদিজ দেন মাত্র ১ রান।

শেষ ওভার করতে আসা তানজিমকে দুই ছয় হাঁকিয়ে ১০ বলে ১৯ রান করে দলের বোর্ডে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান যোগ করে মাঠ ছাড়েন। ততক্ষণে মাঠে বৃষ্টি শুরু হলে আম্পায়ারও মাঠকর্মীদের মাঠ ঢেকে দেওয়ার জন্য ডাক দেন।

লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন ৩টি, তাসকিন ও মোস্তাফিজ নেন ১টি করে উইকেট।

পয়েন্ট হারিয়ে শুরু ব্রাজিলের কোপা মিশন

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ১০:২৪ এএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ১০:২৯ এএম
পয়েন্ট হারিয়ে শুরু ব্রাজিলের কোপা মিশন
ছবি- সংগ্রহীত

কোপা আমেরিকায় নিজেদের প্রথম ম্যাচে কোস্টারিকার বিপক্ষে মাঠে নামে ব্রাজিল। তুলনামূলক দূর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে গোল শূন্য ড্র করেছে ভিনিসিউয়াস-রদ্রিগোরা। আজ মঙ্গলবার (২৫ জুন) বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় লস অ্যাঞ্জেলেসের সোফাই স্টেডিয়ামে বিস্ময় বালক এন্ড্রিককে ছাড়াই মাঠে নামে ব্রাজিল। কোচ দরিভাল জুনিয়র দলকে মাঠে নামান ৪-২-৩-১ ফরমেশনে।

কোস্টারিকার বিপক্ষে ম্যাচে পুরোটা সময় বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল ব্রাজিল। ম্যাচের ৭৩ শতাংশ সময় নিজেদের পায়ে বল রাখে তারা। বিপরীতে কোস্টারিয়ার পায়ে বল ছিল ২৭ শতাংশ সময়। বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকা ব্রাজিল আক্রমণ সাজায় ১৯ বার। এরমধ্যে মাত্র দুইটি শট ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে 

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে ব্রাজিল। তাতে সপ্তম মিনিটে ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন রাফিনহা। কিন্তু দানিলোর ক্রসে ছয় গজ বক্স থেকে নেওয়া তার শট রুখে দেন কোস্টারিকা গোলরক্ষক। এরপর বেশ কয়েকবার আক্রমণ সাজায় ব্রাজিল। তবে কোস্টারিকার জালে বল জড়াতে পারেনি ব্রাজিল। শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল করতে না পারায় গোল শূন্য ড্র করে মাঠ ছাড়তে হয় ব্রাজিলকে।

এই ম্যাচ ড্রয়ের ফলে ‘ডি’ গ্রুপের পয়েন্ট তালিকায় ১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে অবস্থান করেছে ব্রাজিল। প্রথম ম্যাচেই জয় তুলে ৩ পয়েন্টে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করেছে কলম্বিয়া।

 

সেমিফাইনালে উঠতে বাংলাদেশের সামনে তিন সমীকরণ

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ০৮:২৫ এএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ০৮:২৫ এএম
সেমিফাইনালে উঠতে বাংলাদেশের সামনে তিন সমীকরণ
ছবি : সংগৃহীত

সেন্ট ভিনসেন্টে আফগানিস্তানকে অল্পতেই বেঁধে রেখেছে টাইগার বোলাররা। আজ মঙ্গলবার (২৫ জুন) পুরো ২০ ওভার খেলে ৫ উইকেটে ১১৫ রান করতে পেরেছে রশিদ খানের দল।

এবার ব্যাটিংয়ে জবাব দেবার পালা লিটন-সৌম্যদের। সেমিফাইনালে খেলার কঠিন সমীকরণ এখন স্পষ্ট বাংলাদেশ দলের সামনে।

কিংসটাউনের আর্নোস ভ্যালে স্টেডিয়ামে টিম টাইগার্সের সামনে তিনটি সমীকরণ রয়েছে।

যদি তারা ১২.১ ওভারে টপকে যায় আফগানদের রান, তাহলে চতুর্থ দল হিসেবে সেমিফাইনালে পৌছে যাবে বাংলাদেশ। ১২.৫ ওভারে জিতলেও হবে, সেক্ষেত্রে শেষ বলে হাঁকাতে হবে ছক্কা। ১২.৩ ওভারে জিতলেও সেমিতে যাবে লাল-সবুজের দল, যদি শেষ বলে বাউন্ডারি আসে।

বোলারদের দাপটে আফগানিস্তানের সংগ্রহ মাত্র ১১৫

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ০৮:০৮ এএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ১১:১২ এএম
বোলারদের দাপটে আফগানিস্তানের সংগ্রহ মাত্র ১১৫
ছবি : সংগৃহীত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে পা রাখতে জেতার বিকল্প নেই বাংলাদেশের। তবে শুধু জিতলেই হবে না, মেলাতে হবে সমীকরণ। তা মাথায় রেখেই বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আফগানিস্তান করতে পেরেছে মাত্র ১১৫ রান। মোট ৬৬টি ডট বল করেছে বাংলাদেশ। ১২.১ ওভারে এই লক্ষ্য তাড়া করতে পারলেই সেমিফাইনালে যেতে পারবে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নোস ভ্যাল স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশি বোলারদের নিখুঁত লাইন ও লেন্থের বোলিংয়ে শুরু থেকেই রান   করতে ভুগতে হচ্ছিল আফগান ব্যাটারদের। বিশেষত বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহীম জাদরান এদিনও ৫৯ রানের জুটি গড়লেও এই রাত করতে তারা খেলেছে ৬৪ বল। ইব্রাহীম লেগস্পিনার রিশাদ হোসেনের বলে ২৯ বলে মাত্র ১৮ রান করে তানজিম হাসান সাকিবকে ক্যাচ দেন তিনি।

অন্য ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজও আউট হন রিশাদের বলে। দলের তৃতীয় উইকেট হিসেবে তিনি আউট হলেও করেন স্বভাব বিরুদ্ধ ব্যাটিংয়ে ৫৫ বলে ৪৩ রান। একই ওভারেই গুলবেদীন নাইবকে ফেরান এই বোলার। তিনি করেন ৪ রান। মাঝখানে মোস্তাফিজের বলে ১২ বলে ১০ রান করে আজমতউল্লাহ ওমরজাই। 

ব্যর্থ হয়েছেন অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবীও। তাসকিনের আহমেদের বলে ১ রান করে আউট হন তিনি। তার বিদায়ে ১৭.৪ বলে ৯৩ রানে ৫ উইকেটে হারায় আফগানিস্তান। মাঠে নেমে দ্বিতীয় বলেই তাসকিনকে ছয় হাঁকান আফগানদের অধিনায়ক রশিদ খান। কিন্তু পরের ওভারে মোস্তাদিজ দেন মাত্র ১ রান।

শেষ ওভার করতে আসা তানজিমকে দুই ছয় হাঁকিয়ে ১০ বলে ১৯ রান করে দলের বোর্ডে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান যোগ করে মাঠ ছাড়েন। ততক্ষণে মাঠে বৃষ্টি শুরু হলে আম্পায়ারও মাঠকর্মীদের মাঠ ঢেকে দেওয়ার জন্য ড্যাক দেন। 

লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন ৩টি, তাসকিন ও মোস্তাফিজ নেন ১টি করে উইকেট।

টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে সৌম্য-তাসকিন

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ০৬:০৯ এএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ০৬:২৫ এএম
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে সৌম্য-তাসকিন
ছবি : সংগৃহীত

সুপার এইটের গ্রুপ-১ থেকে শুধুমাত্র ভারতের জায়গা নিশ্চিত হয়েছে সেমিফাইনালে। পজিদের হারিয়ে ভারত সেমিতে জায়গা পাওয়ার পামল্টে গেছে দৃশ্যপট। দ্বিতীয় দল হিসেবে এই গ্রুপ থেকে কে যাবে তা নিশ্চিত হবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচের মধ্য দিয়ে। দুই দলেরই রয়েছে সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ। এমন ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিলো আফগানিস্তান অধিনায়ক রশিদ খান। ফলে আগে ফিল্ডিং করবে বাংলাদেশ। একাদশে ফিরেছেন সৌম্য সরকার ও তাসকিন আহমেদ। এই ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকবে অস্ট্রেলিয়াও।

মঙ্গলবার (২৫ জুন)সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নোস ভ্যাল গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে শুরু হতে যাচ্ছে ম্যাচটি। এই মাঠে নেদারল্যান্ডস ও নেপালকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে ওঠার সমীকরণ অনুযায়ী আগে ব্যাটিং করলে আফগানিস্তানকে হারাতে হতো ৬২ রানে। আর এখন টসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরে ব্যাটিং করবে বাংলাদেশ তাই আফগানিস্তান ১৪০ রান করলে ১২ ওভারের মধ্যেই তা টপকে যেতে যেতে হবে নাজমুল হোসেন শান্তদের।

টস জিতে আফগানিস্তানের অধিনায়ক রশিদ খান বলেন, ‘আমরা আগে ব্যাটিং করবো। এখানকার কন্ডিশন অনুযায়ী ব্যাটিং করাই সেরা সিদ্ধান্ত। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা আমাদের জন্য গর্বের মুহূর্ত। আমাদের কাছে সেরা সুযোগ সেমিফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার। আমরা আমাদের মৌলিক কাজগুলো ঠিকঠাকভাবে সম্পন্ন করা নিশ্চিত করতে চাই। সবাই খুবই উজ্জীবিত। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই জপ্য আমাদের অনেক শক্তি জুগিয়েছে। সেই ম্যাচের একাদশ নিয়ে মাঠে নামছি।’
 
অন্যদিকে, টস হেরে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘আমরা ফিল্ডিংই করতে চেয়েছিলাম। আমাদের জন্য এই ম্যাচটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আমাদের সামনে ছোট একটি সুযোগ রয়েছে। আমরা সেই সুযোগটি লুফে নিতে চাই। আমাদের শান্ত থেকে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। বোলিং ইউনিট দারুন করছে। গুরুত্বপূর্ণ হলো কীভাবে আমরা ব্যাটিং করি। একাদশে দুই পরিবর্তন জাকের ও মাহেদির পরিবর্তে তাসকিন ও সৌম্য এসেছে দলে।’

বাংলাদেশ একাদশ

তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস (উইকেটকিপার), নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সৌম্য সরকার, তাসকিন আহমেদ, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব ও মোস্তাফিজুর রহমান।

আফগানিস্তান একাদশ

রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), ইব্রাহিম জাদরান, গুলবাদিন নাইব, আজমতুল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবি, করিম জানাত, রশিদ খান (অধিনায়ক), নাঙ্গেলিয়া খারোতে, নুর আহমদ, নবিন-উল হক, ফজলহক ফারুকি।