![আবারও অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ](uploads/2024/06/24/Hockeykkkk-1719167174.jpg)
প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দল। ফাইনালেও লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের রুখা গেল না। মেহরাব হাসান, মোহাম্মদ জয়, আমিরুল ইসলামরা ধরে রাখলেন নিজেদের অপরাজেয় যাত্রা। সুবাদে জুনিয়র এশিয়ান হকি ফেডারেশন কাপের (এএইচএফ কাপ) সপ্তম আসরে শিরোপা ধরে রাখল বাংলাদেশ।
রবিবার (২৩ জুন) সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতার ফাইনালে চীনকে ৪-২ গোলে হারিয়ে ট্রফি ধরে রাখে আশিকুজ্জামানের শিষ্যরা। ফাইনালে জোড়া গোল করেন মোহাম্মদ হাসান। আমিরুল ইসলাম ও মোহাম্মদ জয় করেন একটি করে গোল। গত বছর জানুয়ারিতে ওমানে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায়ও অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ।
ওমানে অনুষ্ঠিত ওই আসরে চীন ছিল না। এবার শক্তিশালী দলটি থাকায় বাংলাদেশের জন্য শিরোপা ধরে রাখা ছিল চ্যালেঞ্জের। তবে চীন বাধা জয় করেই বিজয় উল্লাস করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধরা।
ম্যাচের প্রথম কোয়ার্টারে কোনো গোল হয়নি। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে তিন গোল আদায় করে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। ২২-২৭, এই ৫ মিনিটে গোল তিনটি করে তারা। প্রথম ও তৃতীয় গোলটি করেন রকিবুল হাসান। দুটিই ছিল ফিল্ড গোল। পেনাল্টি কর্নার থেকে মাঝের গোলটি করেন আমিরুল ইসলাম। তৃতীয় কোয়ার্টারে জোড়া গোল করে ম্যাচ জমিয়ে তোলে চীন। ৩৩ মিনিটে জিয়ালং লুও এবং ৪১ মিনিটে চেন সিয়ানজেন চীনের পক্ষে গোল দুটি করেন। তাতে ৩-২ হয় ম্যাচের স্কোর লাইন। চতুর্থ ও শেষ কোয়ার্টারে একটি গোলই হয়েছে। ফিল্ড গোল থেকে সেটা করেছেন বাংলাদেশের মোহাম্মদ জয়।
এই প্রতিযোগিতা জুনিয়র এশিয়া কাপের বাছাই পর্বও। অংশ নেওয়া ১১টি দলের মধ্যে ৫টি দল জুনিয়র এশিয়া কাপের ছাড়পত্র পেয়েছে। বাংলাদেশ সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার মধ্য দিয়েই যা অর্জন করেছিল। ‘এ’ গ্রুপে থাকা বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কাকে ৫-০ হারিয়ে। এরপর থাইল্যান্ডকে ৪-২ ও ইন্দোনেশিয়াকে ৭-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপসেরা হিসেবে সেমিফাইনালে পা রাখে। শেষ চারের লড়াইয়ে চাইনিজ তাইপকে ৫-১ গোলে হারায় তারা।
ছেলেদের এই প্রতিযোগিতার পাশাপাশি সিঙ্গাপুরেই একই সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে উইমেন্স জুনিয়র এএইচএফ কাপ হকি। লিগভিত্তিক এই প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। রবিবার নিজেদের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক সিঙ্গাপুরকে ৭-১ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। তাতে ৬ ম্যাচে ৫ জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে প্রতিযোগিতা শেষ করেছে তারা। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চাইনিজ তাইপে। ৭ দলের এই প্রতিযোগিতা থেকে ৫ দল উইমেন্স জুনিয়র এশিয়া কাপের টিকিট পেয়েছে। বাংলাদেশ যা নিশ্চিত করেছিল আগেই।