ঢাকা ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

জুনিয়র এএইচএফ কাপ আবারও অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ১২:২৬ এএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ১২:২৬ এএম
আবারও অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
ছবি: সংগৃহীত

প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দল। ফাইনালেও লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের রুখা গেল না। মেহরাব হাসান, মোহাম্মদ জয়, আমিরুল ইসলামরা ধরে রাখলেন নিজেদের অপরাজেয় যাত্রা। সুবাদে জুনিয়র এশিয়ান হকি ফেডারেশন কাপের (এএইচএফ কাপ) সপ্তম আসরে শিরোপা ধরে রাখল বাংলাদেশ।

রবিবার (২৩ জুন) সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতার ফাইনালে চীনকে ৪-২ গোলে হারিয়ে ট্রফি ধরে রাখে আশিকুজ্জামানের শিষ্যরা। ফাইনালে জোড়া গোল করেন মোহাম্মদ হাসান। আমিরুল ইসলাম ও মোহাম্মদ জয় করেন একটি করে গোল। গত বছর জানুয়ারিতে ওমানে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায়ও অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ।

ওমানে অনুষ্ঠিত ওই আসরে চীন ছিল না। এবার শক্তিশালী দলটি থাকায় বাংলাদেশের জন্য শিরোপা ধরে রাখা ছিল চ্যালেঞ্জের। তবে চীন বাধা জয় করেই বিজয় উল্লাস করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধরা।

ম্যাচের প্রথম কোয়ার্টারে কোনো গোল হয়নি। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে তিন গোল আদায় করে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। ২২-২৭, এই ৫ মিনিটে গোল তিনটি করে তারা। প্রথম ও তৃতীয় গোলটি করেন রকিবুল হাসান। দুটিই ছিল ফিল্ড গোল। পেনাল্টি কর্নার থেকে মাঝের গোলটি করেন আমিরুল ইসলাম। তৃতীয় কোয়ার্টারে জোড়া গোল করে ম্যাচ জমিয়ে তোলে চীন। ৩৩ মিনিটে জিয়ালং লুও এবং ৪১ মিনিটে চেন সিয়ানজেন চীনের পক্ষে গোল দুটি করেন। তাতে ৩-২ হয় ম্যাচের স্কোর লাইন। চতুর্থ ও শেষ কোয়ার্টারে একটি গোলই হয়েছে। ফিল্ড গোল থেকে সেটা করেছেন বাংলাদেশের মোহাম্মদ জয়।

এই প্রতিযোগিতা জুনিয়র এশিয়া কাপের বাছাই পর্বও। অংশ নেওয়া ১১টি দলের মধ্যে ৫টি দল জুনিয়র এশিয়া কাপের ছাড়পত্র পেয়েছে। বাংলাদেশ সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার মধ্য দিয়েই যা অর্জন করেছিল। ‘এ’ গ্রুপে থাকা বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কাকে ৫-০ হারিয়ে। এরপর থাইল্যান্ডকে ৪-২ ও ইন্দোনেশিয়াকে ৭-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপসেরা হিসেবে সেমিফাইনালে পা রাখে। শেষ চারের লড়াইয়ে চাইনিজ তাইপকে ৫-১ গোলে হারায় তারা।

ছেলেদের এই প্রতিযোগিতার পাশাপাশি সিঙ্গাপুরেই একই সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে উইমেন্স জুনিয়র এএইচএফ কাপ হকি। লিগভিত্তিক এই প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। রবিবার নিজেদের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক সিঙ্গাপুরকে ৭-১ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। তাতে ৬ ম্যাচে ৫ জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে প্রতিযোগিতা শেষ করেছে তারা। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চাইনিজ তাইপে। ৭ দলের এই প্রতিযোগিতা থেকে ৫ দল উইমেন্স জুনিয়র এশিয়া কাপের টিকিট পেয়েছে। বাংলাদেশ যা নিশ্চিত করেছিল আগেই।

 

তাসকিনের বিশ্বাস দুই সিনিয়রের অফফর্ম ভুগিয়েছে

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ১২:৫২ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০২:২০ পিএম
তাসকিনের বিশ্বাস দুই সিনিয়রের অফফর্ম ভুগিয়েছে
ছবি- সংগ্রহীত

দীর্ঘ ভ্রমণের পর আজ সকালে ঢাকায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ থাকলেও শেষ পর্যন্ত সুপার এইট থেকে বাজে বাংলাদেশের বিদায় ঘণ্টা। গ্রুপপর্বের তিন জয়ের পর আর কোনো ম্যাচ নিজেদের পক্ষে নিতে পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। দেশে ফিরে পেসার তাসকিন আহমেদ বলেন, ‘জন সিনিয়রের ফর্মে না থাকা অবশ্যই প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু মাঠের বাইরে প্রভাব পড়েনি। ৪৭ দিন একসঙ্গে ছিলাম, সবাই একসঙ্গে ছিলাম। অফ দ্য ফিল্ডে সব ভালো ছিল। দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা অফ ফর্মে থাকলে ওই দলে সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক। আশা করছি দ্রুত সামনে এসব কাটিয়ে উঠব।’

বিশ্বকাপে ব্যাটারদের পারফরম্যান্স নিয়ে হয়েছে তুমুল সমালোচনা। এই বিষয়ে তাসকিন বলেন, ‘ব্যাটিং বিপর্যয় যেটা, আসলে সত্যি বলতে বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে যুক্তরাষ্ট্রে যখন খেলা হয়েছে, তখন কিন্তু ব্যাটারদের ফেভার খুব কম ছিল। আপনারা যদি স্ট্যাট চেক করেন, অন্যান্য দেশের ব্যাটার, বড় বড় দলগুলোও স্ট্রাগল করেছে। ওখানে বোলারদের একটু অ্যাডভান্টেজ ছিল।’ 

বিশ্বকাপে নজর কেড়েছেন রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিবের মতো তরুণরা। বোলিং ইউনিটে ভর করে বাংলাদেশ শিবিরে আসে তিন জয়। তাসকিন বলেন, ‘মাশাআল্লাহ তানজিম সাকিব, রিশাদ এরা সেরা পাঁচ উইকেটশিকারীর মধ্যে ছিল। রিশাদ এখনও আছে। ওভারঅল ভালো করছে মাশাআল্লাহ। এটা খুব পজেটিভ সাইন বাংলাদেশ থেকে ফিউচার স্টাররা উঠে আসবে। অলরেডি বিশ্বকে বোঝানো হয়েছে যে আমাদের সবার মধ্যে ডিফারেন্ট অ্যাবেলেটি আছে।’

জয়ের খোঁজে ব্রাজিল

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ১১:৩০ এএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ১১:৩০ এএম
জয়ের খোঁজে ব্রাজিল
ছবি: সংগৃহীত

শুরুটা হতাশায় মোড়ানো। জয় দূরে থাক প্রতিপক্ষের গোলপোস্টই চিনতে পারেনি ভিনি-রদ্রিগোরা। ফলে কোস্টারিকার সঙ্গে আসেনি জয়। ম্যাচ গোলশূন্য ড্র। কোপা আমেরিকা ফুটবলে শুরুর হতাশা দূর করতে মরিয়া সেলেকাও শিবির। ডি গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শনিবার (২৯ জুন) সকালে মাঠে নামবে ব্রাজিল। প্রতিপক্ষ প্যারাগুয়ে। একইদিন কলম্বিয়া মুখোমুখি হবে কোস্টারিকার।

চোটের কারণে ব্রাজিলের হয়ে খেলতে পারছেন না নেইমার। তাই বলে ব্রাজিল দলে তারকার অভাব নেই। তারপরও শক্তি-সামর্থ্য আর জ্বলজ্বলে ইতিহাস নিয়েও শুরুটা ম্যাড়ম্যাড়ে ড্র। দলটি পেরে ওঠেনি কোস্টারিকার সঙ্গে। এবার ব্রাজিলের সামনে লাতিনেরই দল প্যারাগুয়ে। যাদের শুরুটা হয়েছে হার দিয়ে। ২-১ গোলে তারা হেরেছে কলম্বিয়ার কাছে।

প্যারাগুয়ের সঙ্গে হেড টু হেডে অনেক এগিয়ে ব্রাজিল। দুই দল মোকাবিলা করেছে ৮৩ ম্যাচ। সেখানে সিংহভাগ ৫১ ম্যাচে জয় ব্রাজিলের। প্যারাগুয়ে জিতেছে ১৩টিতে। আর ড্র হয়েছে ১৯ ম্যাচ। ফলে শনিবারের ম্যাচেও অনুমিতভাবে এগিয়ে থাকছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

কোস্টারিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ব্রাজিল দাপট ছিল বেশ। ৭৪ শতাংশ বল দখলে রেখেছিল তারা। লক্ষ্যে শট ছিল ১০টি। সেখানে কোস্টারিকা পারেনি একটিও লক্ষ্যে রাখতে। দুই দলের ফাউল (১১) সমান হলেও ৯টি কর্নার আদায় করেছিল সেলেকাওরা। বিপরীতে কোস্টারিকার কর্নার ছিল মাত্র একটি। ব্রাজিল কোচ জুনিয়ার দরিভাল প্রথম ম্যাচের ভুলত্রুটি কাটিয়ে সামনের দিকে তাকাতে চাচ্ছেন। 

নক আউট পর্বে যেতে হলে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নাই। ২০১৫ সালের কোপা টুর্নামেন্টে এমন পরিস্থিতির মুখে পড়েছিল ব্রাজিল। গ্রুপ পর্বে প্রথম ম্যাচে ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্রয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে হাইতিকে ৭-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল লাতিন পরাশক্তিরা। ২০০৪ সালের পর থেকে প্যারাগুয়ের কাছে না হারা ব্রাজিলের চোখ তাই বড় জয়ে।

ডি গ্রুপের অপর ম্যাচে শনিবার সকালে মুখোমুখি হবে কলম্বিয়া ও কোস্টারিকা। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে জয়ে পয়েন্ট তালিকায় সবার উপরে অবস্থান কলম্বিয়ার। ব্রাজিলের সঙ্গে ড্র করায় তালিকায় তৃতীয় স্থানে কোস্টারিকা। হেড টু হেডে অনুমিতভাবে এগিয়ে থাকছে কলম্বিয়া। দুই দল এখন পর্যন্ত মোকাবিলা করেছে ৫০ ম্যাচ। সেখানে ২৪টি জয় পেয়েছে কলম্বিয়া। বিপরীতে কোস্টারিকা পেয়েছে ১৮টি জয়। ড্র হয়েছে ৮ ম্যাচ। 

সম্ভাব্য একাদশ
ব্রাজিল: অ্যালিসন, দানিলো, মিলিতাও, মারকুইনহস, অ্যারানা, গুইমারাস, লুইজ, রাফিনহা, পাকুয়েতা, রদ্রিগো, ভিনিসিউ।

প্যারাগুয়ে: মরিনিগো, ভেলাকোয়েজ, বালবুয়েনা, আলদ্রেতে, এসপিনোযা, রোযাস, কিউবাস, কাবাল্লেরো, রোমেরো, আরসে, এনসিসো।

চোকার্সমুক্ত হয়ে স্বপ্নের ফাইনালে দ. আফ্রিকা

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ১১:১৪ এএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০২:০৩ পিএম
চোকার্সমুক্ত হয়ে স্বপ্নের ফাইনালে দ. আফ্রিকা
আফগানিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপে একের পর এক আঘাতের মাঝখানে এভাবেই আনন্দে মাতে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষকে শাসন করে প্রথমবারের মতো আইসিসি ইভেন্টের ফাইনালে উঠেছে প্রোটিয়ারা। ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে হলো স্বপ্নপূরণ। দীর্ঘ অপেক্ষার হলো অবসান। স্বপ্নের ফাইনালের টিকিট পেল দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে আফগানিস্তানকে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপার মঞ্চে জায়গা করে নেয় দলটি। বোলারদের অনন্য-অসাধারণ নৈপুণ্যে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ফাইনালের মুখ দেখল তারা। কিংবদন্তি কেপলার ওয়েসেলস, হ্যান্সি ক্রনিয়ে, গ্রায়েম স্মিথ, এবি ডি ভিলিয়ার্স, ফ্যাফ ডু প্লেসি কিংবা হালের টেম্বা বাভুমার অধিনায়কত্বে দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে একাধিকবার খেলেও শিরোপার মঞ্চে কখনো পা পড়েনি।  এইডেন মার্করামের অধীনে অবশেষে স্বপ্নের ফাইনালে পা রাখল তারা। এর মধ্য দিয়ে চোকার্স অপবাদে কুলুপও এঁটে দিল।

‘দক্ষিণ আফ্রিকা আর সেমিফাইনাল’ শব্দ দুটি যেন একে অপরের পরিপূরক। বিশ্বকাপমানেই সেমিফাইনালে প্রোটিয়ারা। তারপরও হযবরল হারে শেষ চার থেকে বিদায়। এতদিন এই ছিল দলের নিয়তি। ১৯৯২ ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে যার যাত্রা শুরু। সবশেষ ২০২৩ বিশ্বকাপেও এমন ভাগ্যই বরণ করেছিল। ওয়ানডের মতো ২০০৭ এবং ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দলটির শেষ যাত্রা ছিল ওই সেমিফাইনাল। এভাবে বারংবার সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে নিতে তাদের কপালে জোটে চোকার্স অপবাদ। সেই অপবাদ ঘোচাতে দীর্ঘ ৩২ বছর লাগল তাদের।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এবার বড় জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। লঙ্কানদের মাত্র ৭৭ রানে গুটিয়ে ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয়। পরের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হয় দলটি। প্রথম ব্যাট করে ডাচরা মাত্র ১০৩ রান তুলতে সমর্থ হয়। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই মামুলি পুঁজি তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে। এক সময় ম্যাচের দৃশ্যপট দেখে মনে হচ্ছিল হারতে যাচ্ছে প্রোটিয়ারা। কিন্তু ডেভিড মিলার ৭ বল হাতে রেখে একাই ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ৪ উইকেটে জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা। গ্রুপ পর্বের তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের সঙ্গেও একই অবস্থা। প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১১৩ রান করে দলটি। বাংলাদেশ তাড়া করতে নেমে ১০৯ রানে থামে। ৪ রানে ম্যাচ জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা। টাইগারদের বিপক্ষে হারা ম্যাচটি আম্পায়ারদের ভুল সিদ্ধান্তে জেতে প্রোটিয়ারা। গ্রুপ পর্বে চতুর্থ ও শেষ ম্যাচে আরও নাটকীয়তার জন্ম দেয়। নেপালের কাছ থেকে মাত্র ১ রানে ম্যাচ জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১১৫ রান করে শুরুতে দলটি। নেপাল থামে ১১৪ রানে।

গ্রুপ পর্বের মতো সুপার এইটেও জয় পেতে বেগ পোহাতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ১৮ রানে প্রথম ম্যাচটি জেতে। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় মাত্র ৭ রানের। আর সুপার এইটের শেষ ম্যাচটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বৃষ্টি আইনে ৩ উইকেটের ব্যবধানে জেতে। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ম্যাচ থেকেই মনে হচ্ছিল এবার উল্টো রথে হাঁটতে শুরু করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট। কারণ এই দলের সঙ্গে তাদের ক্রিকেটীয় পূর্বপুরুষ, পূর্বসূরিদের কিছুতেই মেলানো যাচ্ছিল না। যে দলটি বছরের পর বছর, বিশ্বকাপের পর বিশ্বকাপ (হোক সেটা ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ) প্রতিপক্ষের কাছে হাস্যকরভাবে, বাজেভাবে হেরে বিদায় নিয়েছে। পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ খেলে সেমিফাইনালে এসে নেতিয়ে পড়েছে। কিংবা হট ফেবারিট হিসেবে টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে প্রথম রাউন্ড থেকে নিজেদের গোঁজামিল হিসেবের গ্যাঁরাকলে পড়ে বিদায় নিয়েছে। পায়নি প্রকৃতির অনুকম্পা। সে দলই চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেখাল অন্যরূপ। বিশ্বকাপে হাস্যোপ্রদ বিদায়ের রেকর্ড গড়ে চোকার্স উপাধি পাওয়া দলের গা থেকে অবশেষে মুছে গেল চোকার ট্যাগ।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরে ফাইনালে উঠবে দক্ষিণ আফ্রিকা- এমন ভাবনা কারোর মনেই ছিল না। খোদ প্রোটিয়াদের মনে ছিল কি না অনেকের সন্দেহ! কারণ সাদামাটা এক দল নিয়ে এবারের আসরে অংশ নেয় দলটি। সেই দলই শেষ পর্যন্ত করল বাজিমাত। ব্যাটিংয়ে সেভাবে আলো ছড়াতে না পারলেও বোলারদের অসাধারণ নৈপুণ্যে শিরোপা মঞ্চে উঠে আসে তারা। বৃহস্পতিবার আফগানিস্তান ম্যাচেও অন্যরকম কিছুর প্রত্যাশা করছিল ক্রিকেট বোদ্ধা থেকে সাধারণ সমর্থকরা। কারণ এবারের আসরে যেভাবে খেলছিল আফগানরা, তাতে আফগান রূপকথা, আফগানিস্তানের ইতিহাস রচনার প্রত্যাশা করেছিল সকলে! প্রোটিয়াদের হারিয়ে ফাইনালে খেলবে আফগানিস্তান- এমন ভাবনা ভাবার লোকের সংখ্যাই ছিল বেশি। আরও একবার সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেবে প্রোটিয়ারা। চির অপবাদ চোকার্স গায়ে ক্রিকেটে থেকে যাবে দলটি। তবে সেসব আর হয়নি। ক্রিকেট বিধাতা এবার দু’হাত ভরে বর দিয়েছে তাদের। 

শনিবার (২৯ জুন) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল। গ্রুপ পর্ব থেকে সুপারএইট এরপর সেমিফাইনাল। কোনো ম্যাচ না হেরে অপরাজিত থেকে ফাইনালে উঠে এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফাইনালে অপরাজিত থাকতে পারবে তো এইডেন মার্করামের দল? 

‘মায়ের খুশিটাই আমার খুশি’

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ১০:৪৪ এএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ১০:৫০ এএম
‘মায়ের খুশিটাই আমার খুশি’
সরাসরি অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা সাগরকে সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশন। এ সময় তার পাশে ছিলেন চা দোকানি মা সেলিনা। ছবি: সংগৃহীত

এবারের ঈদুল আজহার দিনে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে অভাবনীয় এক সাফল্যের আনন্দ এনে দিয়েছিলেন আর্চার সাগর ইসলাম। তুরস্কের আন্তালিয়ায় ‘২০২৪ ফাইনাল ওয়ার্ল্ড কোটা টুর্নামেন্ট’-এ সেমিফাইনালে ওঠার মধ্যে দিয়ে সরাসরি প্যারিস অলিম্পিকের টিকিট নিশ্চিত করেন তিনি। পরে প্রতিযোগিতার ফাইনালে ওঠে জিতে নেন রুপা। বাংলাদেশের মাত্র তৃতীয় ক্রীড়াবিদ হিসেবে সরাসরি অলিম্পিকে খেলবেন সাগর। তুরস্ক থেকে দেশে ফেরার পর বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবর্ধনা দিয়েছে আর্চারি ফেডারেশন। শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাগরের মা সেলিনাও। কীভাবে তিনি চায়ের দোকান করে ছেলেকে এত দূর এনেছেন, মঞ্চে সেই গল্প তুলে ধরছিলেন সাগর নিজেই। অলিম্পিকে খেলার আনন্দের চেয়েও মাকে খুশি করতে পারার আনন্দটাই বেশি ছিল তার।

সাগরের সাফল্যকে অভাবনীয়ই বলতে হবে। এর আগে গলফার সিদ্দিকুর রহমান ও আর্চার রোমান সানা বাংলাদেশ থেকে কোটা প্লেস অর্জনের মাধ্যমে সরাসরি অলিম্পিকে খেলেছেন। ২০১৬ অলিস্পিকে সিদ্দিকুর ও ২০২০ টোকিও অলিম্পিকে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন রোমান। এই দুজন যখন সরাসরি অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন, তখন দুজনই নিজ নিজ খেলায় প্রতিষ্ঠিত তারকা। সাগর সেখানে একেবারেই তরুণ। মাত্র ১৮ বয়স তার। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ছেন একাদশ শ্রেণিতে।

রাজশাহী থেকে প্যারিসের পথে তার যাত্রার গল্পটা হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মতোই। ২০০৯ সালে তার বাবা মারা যান। টেম্পো মিস্ত্রি হিসেবে সংসার চালাতেন তিনি। স্বামীর মৃত্যুর পর সেলিনা চার সন্তানকে মানুষ করতে অনেক সংগ্রাম করেন। ভিটে মাটি বলতে কিছু নেই তাদের। এখনো ভাড়ায় থাকেন। রাজশাহী বঙ্গবন্ধু কলেজ মোড়ে চায়ের দোকান চালিয়ে ছেলেমেয়েদের মানুষ করেছেন তিনি। মঞ্চে মাকে পাশে রেখে সাগর শোনালেন সেই গল্প, ‘তিন বছর বয়সে আমার বাবা মারা গেছেন। মা চায়ের দোকান করে আমাদের চার ভাইবোনকে বড় করেছেন। সবাইকে কলেজ পাস করিয়েছেন, বড় ভাই, দুই বোনকে বিয়ে দিয়েছেন। আমি খেলাধুলায় এসেছি। মা কখনো বুঝতে দেননি আমাদের অর্থনৈতিক দিকটা অনেক দুর্বল। যখন যা চেয়েছি, সেটাই পেয়েছি। মা পেছন থেকে সব সময় সাপোর্ট দিয়ে গেছেন। বলেছেন, তুমি শুধু খেল। তোমার কি লাগে বলো। তোমার কোনো টেনশন নেই।’

খেলার প্রতি ছোটবেলা থেকেই টান ছিল সাগরের। ছেলের এই আগ্রহ দেখেই রাজশাহীর এক আর্চারি ক্লাবে সাগরকে ভর্তি করান মা। এরপর সেখান থেকে বিএসপিতে সুযোগ করেন। এখন জাতীয় দলের হয়ে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন। ২৬ জুলাই শুরু হতে যাওয়া প্যারিস অলিম্পিকে খেলবেন তিনি। যে অলিম্পিকের মঞ্চে পা রাখা যেকোনো ক্রীড়াবিদের জন্যই স্বপ্ন।

গত ১৭ জুন অলিম্পিকের পদক নিশ্চিত হওয়ার পর তুরস্ক থেকে সাগর ফোন করেন মাকে। তবে তার ফোনের আগেই মার কাছে পৌঁছে গিয়েছিল ছেলের সাফল্য। সাগর সেই মুহূর্তের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ‘মার কথা শুনে তখন মনে হচ্ছিল আমি সফল ছেলে। মা আমার জন্য এত কষ্ট করেছেন। আমার প্রথম চাওয়াই তো হলো আমার মা যেন খুশি থাকেন। মার খুশিটাই আমার খুশি। আমি সব সময় চেষ্টা করি আমার মা যেন খুশি থাকেন।’

আর ছেলের সাফল্যে গর্বিত মা বলেন, ‘আপনারা আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন। আমার ছেলেকে আল্লাহ যেন অলিম্পিকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসার তৌফিক দান করেন। আমার ছেলে যেন আপনাদের সবার মুখ উজ্জ্বল করতে পারে, এটাই আমার প্রত্যাশা।’ এই যে ছেলেকে এত কষ্ট করে মানুষ করেছেন, আজ সেসবের কোনো কিছুকেই কষ্ট মনে করছেন না তিনি। ‘কষ্টের কথা আমার মনে নেই। কষ্ট আমি ভুলে গেছি। মা যেমন একজন সন্তান জন্ম দিয়ে কষ্টের কথা মনে রাখে না। আমি যত কষ্ট করেছি আমার সন্তানদের জন্য, আজ সব ভুলে গেছি আমি। আমি খুব আনন্দিত ও গর্বিত।’

এদিন বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের পৃষ্ঠপোষক সিটি গ্রুপের পক্ষ থেকে সাগরকে ৫ লাখ টাকা অর্থ পুরস্কার দেওয়া হয়। সাগর বলছিলেন, ‘মার সঙ্গে কথা বলে যেটা ভালো হবে, সেটাই করব।’ আর মায়ের কথা, ‘এটা সাগরের কাজে লাগুক। আমার ছেলে অর্জন করেছে, আমার ছেলের কাজে লাগুক।’ সরাসরি অলিম্পিকে খেলা নিশ্চিত করে এখন অলিম্পিক পদক জয়েরও প্রত্যাশা রাখছেন সাগর, ‘স্বপ্ন চূড়ায় থাকবে। ইনশা আল্লাহ যেন গোল্ড মেডেল নিয়ে আসতে পারি।’

চ্যাম্পিয়নদের বিদায়, ফাইনালে ভারত

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৯:১৭ এএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৯:১৭ এএম
চ্যাম্পিয়নদের বিদায়, ফাইনালে ভারত
ছবি : সংগৃহীত

সেবার অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের গায়ানা। সেমিফাইনালের রুদ্ধশ্বাস মঞ্চ। প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল ভারত ও ইংল্যান্ড। অ্যাডিলেডে জিতেছিল ইংল্যান্ড, এবার গায়ানায় ভারত। ভেন্যু বদলের সঙ্গে সঙ্গে জয়ী দলের নাম পাল্টালেও ম্যাচের দৃশ্যপট কিন্তু একই। প্রতিপক্ষকে দুমড়ে-মুচড়ে জয় ছিনিয়ে নেওয়া।  

অ্যাডিলেডে ২০২২ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতকে স্রেফ উড়িয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল শিরোপা জেতা ইংল্যান্ড। ভারতের করা ৬ উইকেটে ১৬৭ রান ইংল্যান্ড স্পর্শ করেছিল দোর্দণ্ড দাপটে। যেখানে দেখা মিলেছিল জস বাটলার-আলেক্স হেলসের অতিমানবী ১৭০ রানের উদ্বোধনী জুটি, ইংলিশদের জয় ১০ উইকেটে। 

এবার গায়ানা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমির মঞ্চে সেই ভারত ও ইংল্যান্ড মুখোমুখি। ম্যাচের আগে বাংলা গণমাধ্যগুলোর বেশির ভাগ শিরোনাম ছিল ‘প্রতিশোধ না পুনরাবৃত্তি।’ সেই প্রশ্নের উত্তরটা পাওয়া গেল বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে। উত্তরটা হলো, প্রতিশোধ। ক্রিকেটীয় চেতনায় এমন শব্দ বিরোধমূলক হলেও স্বস্তি আর আনন্দের বড় উপলক্ষ তো রোহিত-কোহলিদেরই। ২০২২-এর সেমির হারের শোধ তারা ঠিকই নিল পরের আসরে। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে স্রেফ উড়িয়ে তৃতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে টিম ইন্ডিয়া। 

অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ড জিতেছিল যেমন প্রবল প্রতাপে। গায়ানায় তেমনি জিতল ভারতও। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ফের আলো ছড়ালেন রোহিত শর্মা, করলেন টানা দ্বিতীয় ফিফটি। সঙ্গে সূর্যকুমার যাদবের কার্যকর ইনিংস। শেষের দিকে হার্দিক ও জাদেজার ছোট্ট ঝড়। সব মিলিয়ে গায়ানার মন্থর ও অসম বাউন্সের উইকেটেও ভারতের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৭১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর। জবাবে ইংল্যান্ড যেন দিকহারা পথিক। অক্ষর প্যাটেল ও কুলদ্বীপ যাদবের মায়াবী ঘূর্ণিতে রীতিমতো দিশেহারা ইংলিশ ব্রিগেড। গুটিয়ে যায় মাত্র ১০৩ রানে, ১৬.৪ ওভারে। ৬৮ রানের আয়েশি জয়ে এক দশক পর বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত। 

শনিবার (২৯ জুন) শিরোপা লড়াইয়ে রোহিতদের প্রতিপক্ষ প্রথমবারের মতো ফাইনালের মঞ্চে পা রাখা দক্ষিণ আফ্রিকা।

টানা দ্বিতীয় ও সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চতুর্থ ফাইনালে যাওয়ার জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১৭২ রান। সেমির মঞ্চে এমন টার্গেট একটু দুরূহ হলেও চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের হয়ে বাজি ধরেছিলেন অনেকেই। কিন্তু ভারতের বোলিং লাইনের সামনে ইংলিশরা এমন আত্মসমর্পণ করবে, তা হয়তো ভাবেনি কেউ! চতুর্থ ওভারে জস বাটলারকে দিয়ে শুরু উইকেট পতন। এরপর এই ধারা ছিল অব্যাহত। অক্ষর ও কুলদ্বীপের ঘূর্ণির সঙ্গে জাসপ্রিত বুমরাহর পেস অ্যাটাক কুলিয়ে উঠতে পারেনি ইংল্যান্ড। 

টপ-অর্ডার পুরোই বিধ্বস্ত। জস বাটলার (২৩) ও হ্যারি ব্রুক (২৫) ছাড়া ফিল সল্ট, মঈন আলী ও জনি বেয়ারস্টো ফেরেন দুই অঙ্কের রান করার আগেই। লেট-অর্ডারে জফরা আর্চার (২১) ও লিভিংস্টোনের প্রচেষ্টা (১১) হারের ব্যবধানই কমিয়েছে মাত্র। ২৩ রানে তিন উইকেট নেওয়া ভারতের অক্ষর প্যাটেল জেতেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। সেখানে ১৯ রানে তিন উইকেট কুলদীপের। বুমরাহর শিকার একটি।

এর আগে এই রোদ, এই বৃষ্টি ছিল গায়ানার প্রকৃতিতে। বৃষ্টির বাধায় নির্ধারিত সময়ে শুরু হতে পারেনি ম্যাচ। সোয়া এক ঘণ্টা দেরিতে খেলা শুরু হওয়ার পর ৮ ওভার শেষে আরেক দফা বৃষ্টির হানা। এই দফায় ফের সোয়া এক ঘণ্টা করতে হয় অপেক্ষা। লম্বা সময় খেলা বন্ধ থাকার পর অবশেষে শুরু হয় মাঠের লড়াই।

সেমির মঞ্চে জ্বলে উঠতে পারেননি বিরাট কোহলি। দায়িত্বটা নিতে হয়েছে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মাকেই। তার ব্যাটেই আসে ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৯ বলে ৫৭ ঝলমলে রান। কোহলির মতো রিশভ পান্থ দ্রুত বিদায় নিলে ভারতের স্কোর সমৃদ্ধ করেছেন সূর্যকুমার যাদব। সঙ্গে ছিল হার্দিক পান্ডিয়া ও রবীন্দ্র জাদেজার খণ্ড ঝড়। ৩৬ বলে ৪৭ রান করেন সূর্যকুমার। হার্দিক ১৩ বলে ২৩ ও জাদেজা ৯ বলে খেলেন ১৭* রানের ইনিংস। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগানো ইংলিশ বোলার ক্রিস জর্ডান নেন সর্বোচ্চ তিন উইকেট। 

রোহিতদের ফাইনালে ওঠার আনন্দের ম্যাচে কীর্তি গড়েছেন আম্পায়ার রড টাকার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ পরিচালনার রেকর্ডটি এখন এই অস্ট্রেলিয়ানের। ভারত-ইংল্যান্ডের লড়াইটি বৈশ্বিক আসরে টাকারের ৪৬তম ম্যাচ। তাতে তিনি ছাড়িয়ে গেলেন পাকিস্তানের আম্পায়ার আলিম দারের ৪৫ ম্যাচের কীর্তিটি।