টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে পা রাখতে জেতার বিকল্প নেই বাংলাদেশের। তবে শুধু জিতলেই হবে না, মেলাতে হবে সমীকরণ। তা মাথায় রেখেই বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আফগানিস্তান করতে পেরেছে মাত্র ১১৫ রান। মোট ৬৬টি ডট বল করেছে বাংলাদেশ। ১২.১ ওভারে এই লক্ষ্য তাড়া করতে পারলেই সেমিফাইনালে যেতে পারবে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নোস ভ্যাল স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশি বোলারদের নিখুঁত লাইন ও লেন্থের বোলিংয়ে শুরু থেকেই রান করতে ভুগতে হচ্ছিল আফগান ব্যাটারদের। বিশেষত বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহীম জাদরান এদিনও ৫৯ রানের জুটি গড়লেও এই রাত করতে তারা খেলেছে ৬৪ বল। ইব্রাহীম লেগস্পিনার রিশাদ হোসেনের বলে ২৯ বলে মাত্র ১৮ রান করে তানজিম হাসান সাকিবকে ক্যাচ দেন তিনি।
অন্য ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজও আউট হন রিশাদের বলে। দলের তৃতীয় উইকেট হিসেবে তিনি আউট হলেও করেন স্বভাব বিরুদ্ধ ব্যাটিংয়ে ৫৫ বলে ৪৩ রান। একই ওভারেই গুলবেদীন নাইবকে ফেরান এই বোলার। তিনি করেন ৪ রান। মাঝখানে মোস্তাফিজের বলে ১২ বলে ১০ রান করে আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
ব্যর্থ হয়েছেন অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবীও। তাসকিনের আহমেদের বলে ১ রান করে আউট হন তিনি। তার বিদায়ে ১৭.৪ বলে ৯৩ রানে ৫ উইকেটে হারায় আফগানিস্তান। মাঠে নেমে দ্বিতীয় বলেই তাসকিনকে ছয় হাঁকান আফগানদের অধিনায়ক রশিদ খান। কিন্তু পরের ওভারে মোস্তাদিজ দেন মাত্র ১ রান।
শেষ ওভার করতে আসা তানজিমকে দুই ছয় হাঁকিয়ে ১০ বলে ১৯ রান করে দলের বোর্ডে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান যোগ করে মাঠ ছাড়েন। ততক্ষণে মাঠে বৃষ্টি শুরু হলে আম্পায়ারও মাঠকর্মীদের মাঠ ঢেকে দেওয়ার জন্য ড্যাক দেন।
লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন ৩টি, তাসকিন ও মোস্তাফিজ নেন ১টি করে উইকেট।