আওয়ামী লীগের সঙ্গে তৃণমূল বিএনপির কোনো অ্যারেঞ্জমেন্ট বা বন্দোবস্ত হয়নি বলে দাবি করেছেন দলটির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেট নগরীর আম্বরখানা এলাকার একটি রেস্টুরেন্টের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
শমসের মবিন বলেন, ‘ভোট বা আসন নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে তৃণমূল বিএনপির কোনো অ্যারেঞ্জমেন্ট বা বন্দোবস্ত হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নির্বাচনী বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের দেখা হয়েছে, আলোচনা হয়েছে। তবে আসন ভাগাভাগি বা কোনো চুক্তি হয়নি। তৃণমূল বিএনপির প্রার্থীরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সংসদে যেতে চান।’
তিনি বলেন, ‘তৃণমূল বিএনপি সবেমাত্র যাত্রা শুরু করেছে। লক্ষ্য বহুদূর। আমরা ৩০০ নির্বাচনী আসনে প্রার্থী দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে দল গোছানো হয়নি, তাই সব আসনে প্রার্থী দিতে পারিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিবার্চন কমিশনার সুষ্ঠু ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর। তিনি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলে ভোট সুষ্ঠু হবে। এটাই আমাদের প্রত্যাশা। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক এবং প্রশ্ন থাকলেও আমাদের আশা, প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকলে এবারের ভোট স্বচ্ছ হবে।’
‘জনগণের রায় সর্বশেষ রায়’ উল্লেখ করে শমসের মবিন বলেন, ‘যদি অবাধ সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়, ভোটাররা যদি নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, আর সেই ভোট যদি সঠিকভাবে গণনা করা হয়, তাহলে মেনে নেব। কারণ, জনগণের রায় সর্বশেষ রায়।’
ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ আছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্ত পর্যন্ত তৃণমূল বিএনপির যেসব প্রার্থী আছেন, তাদেরকে প্রশাসনের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনতে দেখিনি। আমরা সব ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছি। তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে, সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন। তারা (প্রশাসন) বলেছেন, নিরাপত্তার বিষয়ে যেকোনো প্রয়োজনে এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে আমাদের অভিযোগ নেই।’
২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে জনগণের সন্দেহ আছে জানিয়ে শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, ‘এই সন্দেহ দূর হবে, যদি ৭ জানুয়ারির ভোট সুষ্ঠু হয়।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ বছর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাচাই-বাছাই ও প্রত্যাহার শেষে ৩০০ আসনের মধ্যে সিলেটসহ সারা দেশে তৃণমূল বিএনপি প্রার্থীরা ১৪২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে দলটির চেয়ারপারসন শমসের মবিন তার নিজ এলাকা সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ) আসনে প্রার্থী হয়েছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হচ্ছেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ নুরুল ইসলাম নাহিদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা সরওয়ার হোসেন।
এর আগে হজরত শাহজালালের (রহ.) মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে তিনি সিলেট থেকে তৃণমূল বিএনপির নির্বাচনী কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেন। এতে কেন্দ্রীয় নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।