![প্রতি ইউনিয়নে একটা করে স্টেডিয়াম ও পার্ক করব](uploads/2024/01/03/1704263079.Habibur-Rahman-Habib.jpg)
এমপি হওয়ার আগে দীর্ঘদিন যুক্তরাজ্যপ্রবাসী ছিলেন সিলেট-৩ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বেও ছিলেন। প্রবাস জীবনের পাশাপাশি তিনি দেশের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ২০২১ সালে উপনির্বাচনে বিজয়ী হন। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সদস্য হিসেবেও আছেন তিনি। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি একটি আবাসন কোম্পানির উপব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে আছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। খবরের কাগজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি ভোটের পরিস্থিতি ও বিগত দিনে তার করা উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন খবরের কাগজ সিলেট ব্যুরো অফিসের নিজস্ব প্রতিবেদক শাকিলা ববি
খবরের কাগজ: দ্বিতীয়বারের মতো নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন। চ্যালেঞ্জ গতবারের তুলনায় এবার কি বেশি মনে হচ্ছে?
হাবিবুর রহমান: উপনির্বাচনের পর জাতীয় নির্বাচন। এ নির্বাচনে চ্যালেঞ্জ বেশি। তবে আমার কাছে বেশি মনে হচ্ছে না। বিগত নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বী দুজন ছিলেন। ভোটের ফলাফলে তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। ইনশা আল্লাহ এবারও আমি সেভাবেই আছি। প্রতিদ্বন্দ্বীদের চ্যালেঞ্জ মনে করছি না। সিলেট-৩ আসন তথা দক্ষিণ সুরমা-ফেঞ্চুগঞ্জ-বালাগঞ্জ উপজেলা নৌকার জোয়ার উঠেছে। মানুষ নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন।
খবরের কাগজ: গত উপনির্বাচনে জয়ের পর প্রতিশ্রুতি কতটুকু পূরণ করেছেন?
হাবিব রহমান: কম সময়ে আমি বেশি কাজ করেছি। ৯০ ভাগ প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছি। আমি বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছিলাম। সব বাস্তবায়ন করেছি। দুই বছরের জন্য মানুষজন আমাকে সুযোগ দিয়েছিলেন, আমি কাউকে হতাশ করিনি। আমার এই আসনকে আমি গৌরবের আসনে পরিণত করেছি। আমাদের তরুণরা কোনো অপরাধে জড়িত হননি। তরুণদের আমি সঠিক পথে চলার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
খবরের কাগজ: এবারের নির্বাচনে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বীদের কীভাবে দেখছেন?
হাবিব রহমান: প্রতিদ্বন্দ্বী সবাই প্রতিদ্বন্দ্বী। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেই দেখছি। অন্যভাবে দেখার বিষয় না।
খবরের কাগজ: আপনার দলের আরেকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগে কোনো বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে কি না?
হাবিব রহমান: স্থানীয় আওয়ামী লীগে কোনো বিভক্তি বা বিভেদ সৃষ্টি হয়নি। আমার সঙ্গে সব উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আছেন। আছে মানুষের ভালোবাসা, বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। আমি যেখানেই যাই, সবাই নৌকা নৌকা করে মুখরিত করেন। আমি রাস্তা দিয়ে যখন গণসংযোগে যাই, আমাদের ভোটার মা-বোনেরা আমাকে বলেন, নৌকায় ভোট দেব। এলাকার মুরব্বিরা গত সোয়া দুই বছর ধরে আমাকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। তরুণরা আমাকে অকুন্ঠ সমর্থন দিচ্ছেন।
খবরের কাগজ: আপনার হলফনামার বরাত দিয়ে একটি তথ্য প্রচার হচ্ছে। আপনি নাকি এমপি হয়ে ৯ কোটি টাকার ঋণ শোধ করেছেন। প্রকৃত তথ্য আসলে কী?
হাবিব রহমান: এটা সত্য না। এটা আমার কোম্পানির ঋণ ছিল। আমি কোম্পানির সামান্য শেয়ারহোল্ডার। লেনদেন সব কোম্পানি করেছে। আমি না।
খবরের কাগজ: নির্বাচনে জয়ী হলে আগামীতে আপনার এলাকার উন্নয়নে নতুন কী করবেন?
হাবিব রহমান: উপনির্বাচনে মানুষজন আমাকে না দেখে ভোট দিয়েছিলেন, বিশ্বাস করেছিলেন। আমি আমার জনগণের বিশ্বাস ভঙ্গ করিনি। আমি যেখানেই যাই মানুষজন বলেন, এই রাস্তাটি আপনি করে দিয়েছেন। ওই ফুটপাতটি আপনি করে দিয়েছেন। আমি আবারও জয়ী হলে শেখ হাসিনার মাধ্যমে গত দুই বছরে যে উন্নয়ন করেছি, এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করব। খেলাধুলা ও বিনোদনের বিকাশে প্রতি ইউনিয়নে একটা করে স্টেডিয়াম ও পার্ক করব। আমার আসনকে স্মার্ট নান্দনিক হিসেবে গড়ে তোলার কাজে নিবেদিত আছি। এ কাজকে আরও এগিয়ে নেব। এ ছাড়া আমার নির্বাচনী এলাকায় বঙ্গমাতার নামে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের যে প্রকল্প একনেকে অনুমোদন পেয়েছে, সেটা দ্রুত বাস্তবায়ন করব।