ঢাকা ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪

পেটে ছুরিকাঘাত করে রাবি শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’ চেষ্টা

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৪, ১১:১৮ এএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৪, ১১:১৮ এএম
পেটে ছুরিকাঘাত করে রাবি শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’ চেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থী পেটে ছুরিকাঘাত করে ‘আত্মহত্যা’র চেষ্টা করেছে। 

শুক্রবার (২২ মার্চ) রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ্ মখদুম হলে নিজ কক্ষে এ ঘটনা ঘটান তিনি।

আত্মহত্যার চেষ্টা করা ওই শিক্ষার্থীর নাম জয়দেব দাস। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায়। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

জানা যায়, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে জয়দেবের চিৎকার শুনে আশপাশের শিক্ষার্থীরা ৩৪১ নম্বর রুমের সামনে আসে। এ সময় তারা তার বুকের নিচে ছুরি ঢুকে থাকতে দেখে। সে তার ছোট ভাইকে বলছে তুই মেরেছিস। এই অবস্থায় হলের কয়েকজন তাকে ধরাধরি করে ছুরি বের করে। পরে বুকে কাপড় বেঁধে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করেন তারা। হাসপাতালে নেওয়ায় পর গতকাল রাতেই অপারেশন করে ওয়ার্ডে পাঠানো হয় তাকে। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।

জয়দেবের রুমমেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘৪-৫ দিন ধরে জয়দেব মানসিকভাবে অস্বাভাবিক আচরণ করছিলেন। তিনি বাড়ি যেতে চেয়েছিলেন। তবে বিভাগের অ্যাসাইনমেন্টসহ কিছু কাজ থাকায় যেতে পারেননি। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় তার ছোট ভাই ক্যাম্পাসে আসে। তারা দুই ভাই একসঙ্গে দুপুর ও রাতের খাবারও খেয়েছিল। তারপর হঠাৎ রাতে এ ঘটনা ঘটে।’ 

ছুরিকাঘাতের খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক রুহুল আমিন হলে আসেন। এ সময় তিনি সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের নিয়ে ওই কক্ষ পরিদর্শন করেন। পরে পৌনে ১২টার দিকে প্রাধ্যক্ষ, শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ-হিল-গালিব ও মতিহার থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক পারভেজ কক্ষ পরিদর্শনে আসেন। এ সময় ওসি ছুরি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।  

এ বিষয়ে শাহ্ মখদুম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক রুহুল আমিন খবরের কাগজকে বলেন, ‘খবর শোনামাত্রই হলে চলে এসেছি। জয়দেবের রুমমেট ও আশপাশের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে জানতে পারলাম সে মানসিকভাবে অসুস্থ। সেজন্য তার ছোট ভাই বাড়ি থেকে তাকে নিতে এসেছে। তার বাবাও আসবে। প্রাথমিকভাবে আমরা তার কক্ষ সিলগালা করেছি। মতিহার থানার ওসি এসে কক্ষ পরিদর্শন করে ছুরিসহ কিছু আলামত নিয়ে গেছেন। হল প্রশাসনের পক্ষ থেকেও আমরা এই ঘটনা খতিয়ে দেখব।’

এ বিষয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভগের সভাপতি অধ্যাপক মো. খলিলুর রহমান খান বলেন, ‘রাতেই ঘটনাটি জেনেছি। আমাদের একজন শিক্ষককে তদারকির জন্য তখন মেডিকেলে পাঠানো হয়েছিল।’

এ বিষয়ে ওসি মোবারক পারভেজ খবরের কাগজকে বলেন, ‘তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমরা কিছু আলামত সংগ্রহ করেছি। তদন্ত করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ 

এসআই সুমন/ইসরাত চৈতি/ 

রামেবিতে সেশনজট নিরসনের দাবিতে আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১২:৪৭ এএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১২:৪৭ এএম
রামেবিতে সেশনজট নিরসনের দাবিতে আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা
ছবি: খবরের কাগজ

কর্তৃপক্ষের গাফেলতিতে ভয়াবহ সেশনজটের কবলে পড়েছে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) নার্সিং অনুষদ। এতে শিক্ষাজীবন নিয়ে চরম হুমকির মুখে থাকা ১৮টি নার্সিং কলেজের প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী আন্দোলেনে নেমেছেন।

সেশনজন নিরসনের দাবিতে মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুর ১২টায় বৃষ্টি উপেক্ষা করেই রামেবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রামেবি অধিভুক্ত ১৮টি নার্সিং কলেজে ৪ বছর মেয়াদী বিএসসি-ইন-নার্সিং কোর্সে বর্তমানে প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। এরমধ্যে ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী সংখ্যা ৮৬৬। গত বছরের ডিসেম্বর মাসেই এ সেশনের কোর্স সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। তবে এ বছরের ৭ মাসেও এখনো শেষ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার নোটিশই দিতে পারেনি রামেবি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সেশনের চূড়ান্ত পরীক্ষা গত মার্চ মাসে সম্পন্ন হয়। ফলাফল প্রকাশ করা হবে চলতি জুলাই মাসে। আর গত মে মাসে চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণ করে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া গত ৮ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএসসি-ইন-নার্সিং চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। সারা বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে রামেবির নার্সিং অনুষদ।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রথম থেকেই তারা অবহেলিত ও বৈষম্যের স্বীকার হয়ে আসছেন। ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীরা একাডেমিক সেশন ও অন্যান্য কার্যক্রমে প্রায় এক থেকে দেড় বছর পিছিয়ে রয়েছেন। তারা বারবার বিষয়টি নিয়ে কথা বললেও কর্মকর্তারা সেভাবে কর্ণপাত করছেন না। ফলে রামেবির নার্সিং অনুষদের শিক্ষার্থীরা চরম হতাশ।

তারা বলেন, আমাদের এখন একটাই দাবি, সেশনজট নিরসন। আমরা চাই, রামেবি কর্তৃপক্ষ এ মাসের মধ্যেই পরীক্ষার প্রোগ্রাম ওয়েবসাইটে প্রকাশ করুক। শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে আমাদের চতুর্থ বর্ষের সকল পরীক্ষা গ্রহণ করে ফলাফল প্রকাশ করতে হবে। আমরা এটার বাস্তবায়ন দেখেই তারপর ঘরে ফিরতে চাই। অন্যথায় আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে যাব। মরতে হলে রাজপথেই মরব।’ এ দিনের কর্মসূচিতে রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিরহাট সরকারি নার্সিং কলেজসহ রামেবি অধিভুক্ত অন্যান্য বেসরকারি নার্সিং কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

এ ব্যাপারে জানতে রামেবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ডা. আনোয়ার হাবিবের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এনায়েত করিম/এমএ/

মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে জবিতে মানববন্ধন

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১০:৩৪ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১০:৩৪ পিএম
মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে জবিতে মানববন্ধন
ছবি: খবরের কাগজ

কোটা পদ্ধতিতে পুনর্বহালের প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে বিভিন্ন বক্তব্যে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারকে অবমাননা ও কটুক্তি করা হচ্ছে অভিযোগ করে এর প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখার আয়োজনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়ে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানরা অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে দেওয়া বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখার সভাপতি রাকিবুল হাফিজ অন্তর বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি সম্প্রতি কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে, কটুক্তি করা হচ্ছে। কোটা বাতিল নাকি সংস্কার সেটা নিয়ে আমাদের কোনো মাথা ব্যাথা নেই। এই দেশে বাকস্বাধীনতা আছে, সবাই নিজেদের দাবি জানাতে পারে, কথা বলতে পারে। আমাদের বাপ-দাদারা মুক্তিযুদ্ধ করেই আপনাদের এই বাক স্বাধীনতা এনে দিয়েছে৷ আর সেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করা হচ্ছে, কটুক্তি করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা এসব শিক্ষার্থীদের বহিস্কারের দাবি জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটুক্তিকারীদের বিচার দাবি করছি।

সাধারণ সম্পাদক তানিম ফারহান বলেন, এই দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন যে বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদেরকে নিয়েই কটুক্তি করা হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্য নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া হবে না। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা এমন কাজ করছে, তাদের বহিষ্কারের দাবিতে আমরা উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিবো। তাদের বিরুদ্ধে যাতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেই দাবি জানাচ্ছি।

মুজাহিদ/এমএ/ 

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তাদের সংঘর্ষ, আহত ৭

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৭:০৭ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৭:০৮ পিএম
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তাদের সংঘর্ষ, আহত ৭
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের দুই পক্ষে মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ছবি : খবরের কাগজ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) পেনশন স্ক্রিম বাতিলের দাবিতে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের চলমান আন্দোলনের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের সাতজন আহত হয়েছেন। 

সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক বদরুজ্জামান ভূঁইয়া।

সংঘর্ষে আহত পাঁচজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও সহকারী রেজিস্ট্রার তৌছিক আহমেদ রাহাত, সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. মো. তানজিল হোসেন, সেকশন অফিসার মো. সায়েম, মিজানুর রহমান খান ও মাহামুদুল হাসান। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসারদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি ‘প্রত্যয়’ বাস্তবায়নসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অননুমোদিত ডিরেক্ট অফিসার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য একটি ব্যানার টাঙান। তখন বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা ওই ব্যানারটি সরিয়ে ফেলার অনুরোধ করেন। ব্যানারটি না সরানোয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা ব্যানার সরিয়ে ফেলেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ের হাতাহাতি থেকে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় উভয় পক্ষ চেয়ার ছোড়াছুড়ি করে। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও বন্দর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে উভয় পক্ষের সাতজন আহত হন। 

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বাহাউদ্দিন গোলাপ বলেন, ‘চলমান আন্দোলনকে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করার জন্যই ডিরেক্ট অফিসার অ্যাসোসিয়েশনের নামে ভুয়া সংগঠনটি পরিকল্পিতভাবে এ কাজ করেছে।’

এদিকে ডিরেক্ট অফিসার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুব্রত কুমার বাহাদুর বলেন, ‘কর্মসূচি চলাকালে বিনা উসকানিতে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের লোকজন। আমাদের দুই সদস্যকে মেরে আহত করা হয়েছে।’ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া খবরের কাগজকে বলেন, ‘অফিসারদের দুই পক্ষের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দাখিল জন্য নিদের্শ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেয়ে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনেও আন্দোলনে জবি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৬:৪৫ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৬:৪৫ পিএম
কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনেও আন্দোলনে জবি শিক্ষার্থীরা
ছবি: খবরের কাগজ

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। ২০১৮ সালে সরকার ঘোষিত পরিপত্রের পুনর্বহালসহ চার দফা দাবি জানিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বেলা ১২টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যানারে প্রতিবাদ মিছিল বের করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। 

প্রতিবাদ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে থেকে বের হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে মূল ফটকের সামনে এসে কিছুক্ষণ অবস্থান করে। এরপর বাহাদুর শাহ পার্ক হয়ে প্রতিবাদ মিছিলটি রায়সয়াহেব বাজার মোড়, তাতীবাজার মোড় প্রদক্ষিণ করে এসে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্ত্বরের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন তারা।

প্রতিবাদ সমাবেশে বাংলা বিভাগের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন মুন্না বলেন, কোটা প্রথার মাধ্যমে মেধাবীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। আমাদের দাবি মেনে নিয়ে ২০১৮ সালে কোটা প্রথা বাতিল করে যে পরিপত্র জারি করা হয়েছিল সেটা পুনর্বহাল করতে হবে। আমরা যে চারটি দাবি জানিয়েছি তা মেনে নিতে হবে। আগামীকাল সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে প্রতিবাদ আন্দোলন কর্মসূচি পালিত হবে। আমাদের দাবি মানা না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

শিক্ষার্থীদের চারটি দাবি হলো-

১। ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে। 

২। ১৮' এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকুরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।

৩। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে।  

 ৪। দূর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

মুজাহিদ বিল্লাহ/এমএ/ 

কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে পদযাত্রা, শাহবাগ অবরোধ

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৬:১৪ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৬:১৪ পিএম
কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে পদযাত্রা, শাহবাগ অবরোধ
ছবি: খবরের কাগজ

সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ৩০ শতাংশ কোটা বাতিলের ২২ দিনের আল্টিমেটাম শেষে ফের আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এবার পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অংশ হিসেবে গণপদযাত্রা করেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুর পৌনে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন। পরে সেখান থেকে নীলক্ষেত-নিউমার্কেট হয়ে সাইন্সল্যাব দিয়ে শাহবাগে অবস্থান নেয়। গণপদযাত্রায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের ফলে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় রাস্তার দুই পাশের যানচলাচল।

এর আগে গতকাল সোমববার চার দফা দাবি ঘোষণা করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো- ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে; ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে (সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে), সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে; দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

আরিফ জাওয়াদ/এমএ/