ঢাকা ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪

ঢাবি অধিভুক্ত ও উপাদানকল্প কলেজের পরীক্ষা পূর্বনির্ধারিত সময়েই হবে

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩২ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩৫ পিএম
ঢাবি অধিভুক্ত ও উপাদানকল্প কলেজের পরীক্ষা পূর্বনির্ধারিত সময়েই হবে

সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’ বাতিলের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। তবে অধিভুক্ত ও উপাদানকল্প কলেজের পরীক্ষাগুলো পূর্বঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে।

রবিবার (৩০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. হিমাদ্রি শেখর চক্রবর্তী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আগামী সোমবার (১ জুলাই) থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন ও কার্জনহল পরীক্ষাকেন্দ্রে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষাগুলো পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করা হলো। অধিভুক্ত ও উপাদানকল্প কলেজের পরীক্ষাগুলো পূর্বঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে।’

আরিফ জাওয়াদ/পপি/

কোটা বাতিলের দাবিতে আবারও শাহবাগ অবরোধ

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪৬ পিএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪৭ পিএম
কোটা বাতিলের দাবিতে আবারও শাহবাগ অবরোধ
ছবি : খবরের কাগজ

সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ৩০ শতাংশ কোটা বাতিলের ২৩ দিনের আল্টিমেটাম শেষে আবারও আন্দোলনে উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)-সহ দেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়।

গতকাল মঙ্গলবারের (২ জুলাই) মতো বুধবার (৩ জুলাই) আবারও একই দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এদিন দুপুর পৌনে ৩টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন। পরে সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মৎস্য ভবন হয়ে পৌনে ৪টার দিকে শাহবাগে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এতে প্রায় কয়েক হাজার শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। 

এ সময় পুলিশের অবস্থান থাকলেও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জাতীয় পতাকা উড়াতে থাকেন এবং বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। 

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘সংবিধানের/মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুন আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘কোটা প্রথা বাতিল চাই বাতিল চাই’, ‘কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

এর আগে গত সোমবার চার দফা দাবি ঘোষণা করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো- ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে; ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে (সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে), সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে; দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

আরিফ জাওয়াদ/সালমান/

কোটা বাতিলের দাবিতে জাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৪:২২ পিএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৪:২২ পিএম
কোটা বাতিলের দাবিতে জাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
কোটা বাতিলের দাবিতে জাবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ। ছবি: খবরের কাগজ

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখাসহ নানা দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে মহাসড়কের উভয়পাশে কয়েক কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার (৩ জুন) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ডেইরি গেট এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আন্দোলনকারীদের বাঁধার মুখে পড়েন। পরে তিনি ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বিকল্প পথে হেমায়েতপুরে আওয়ামী লীগের সমাবেশে যোগ দেন। 

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটক সংলগ্ন মহাসড়কের ডেইরি গেইট এলাকায় অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। 

শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো হলো, ২০১৮ এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে, সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে, দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। এতে মহাসড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।’ 

ইমতিয়াজ/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

কোটা বাতিলের দাবিতে চবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩৭ পিএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৪:১৮ পিএম
কোটা বাতিলের দাবিতে চবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
কোটা বাতিলের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন চবি শিক্ষার্থীরা। ছবি: খবরের কাগজ

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখার দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং গেটে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক অবরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

বুধবার (৩ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা। 

পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, বুদ্ধিজীবী চত্বর হয়ে ১নং গেট সংলগ্ন চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করে।

এরপর মহাসড়ক অবরোধ করে কোটা পদ্ধতির প্রতিবাদ জানান তারা। 

চার দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো- ২০১৮-এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে, সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোয় মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে, দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, কোটা পদ্ধতির মাধ্যমে আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর জুলুম করা হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ অবৈধ ও অন্যায় সিদ্ধান্ত। কোটার মাধ্যমে আমাদের মেধার অবমূল্যায়ন করে বিশেষ গোষ্ঠীকে অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া হচ্ছে যা আমরা মানি না। আমাদের সুনির্দিষ্ট চারটি দাবি রয়েছে। এসব দাবি মানা না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।

পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, আগামীকাল সকাল ১০টা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি ও ছাত্রসমাবেশ করা হবে। তবে দাবি পূরণ করা না হলে পুনরায় মহাসড়ক অবরোধ করারও হুঁশিয়ারি দেন তারা।

মাহফুজ শুভ্র/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

দ্বিতীয় মেয়াদে বুয়েটের উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৩:২৪ পিএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৪:১৩ পিএম
দ্বিতীয় মেয়াদে বুয়েটের উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার
বুয়েটে দ্বিতীয় মেয়াদে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার। ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে চার বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার।

বুধবার (৩ জুলাই) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে বাংলাদেশ (অ্যাডাপটেশন অব ইউনিভার্সিটি লজ) অর্ডিন্যান্স ১৯৭২ দ্বারা গৃহীত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ-১৯৬১ এর ধারা ১১ (১) ও (২) অনুসারে ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, অধ্যাপক (পিআরএল ভোগরত), ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট) নিম্নোক্ত শর্তে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর পদে নিয়োগ করা হলো।

কয়েকটি শর্তে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। শর্তগুলো হলো- উপাচার্য হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ হতে ৪ (চার) বছর হবে; উপর্যুক্ত পদে তিনি অবসর অব্যাহতি পূর্ব পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি পাবেন এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন; তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।

এর আগে ২০২০ সালের ২৫ জুন প্রথম দফায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এই শিক্ষক। চলতি বছরের ২৫ জুন তার মেয়াদ শেষ হয়।

আরিফ/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

কোটা পুনর্বহালের পক্ষে-বিপক্ষে উত্তাল ঢাবি-জবি

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১১:৫৬ এএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১১:৫৬ এএম
কোটা পুনর্বহালের পক্ষে-বিপক্ষে উত্তাল ঢাবি-জবি
ছবি: খবরের কাগজ

সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের পক্ষে-বিপক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদ এবং কোটার পক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের ব্যানারে কর্মসূচি পালিত হয়।

ঢাবিতে গণপদযাত্রা, শাহবাগ অবরোধ

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী গণপদযাত্রা করেন আন্দোলনকারীরা। গতকাল বিকেল ৩টার আগেই তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হতে থাকেন। এরপর ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর ব্যানারে মিছিল সহকারে নীলক্ষেত-নিউমার্কেট-সাইন্সল্যাব-কাটাবন হয়ে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। এতে অংশ নেন সহস্রাধিক শিক্ষার্থী। বিকেল ৪টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত তারা রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এ মোড় অবরোধ করে রাখেন। এতে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট।

এ আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘অবিলম্বে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল করতে হবে। আমরা বৈষম্যের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন গড়ে তুলেছি। কোটা নামক এই বৈষম্য থেকে আমরা মুক্তি চাই। অন্যথায় আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। বুধবার (আজ) ও বৃহস্পতিবার (আগামীকাল) রাজপথ দখল রেখে এই আন্দোলন সফল করতে হবে। বুধবার দুপুর আড়াইটায় আমরা আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে অবস্থান নেব এবং রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করব। 

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘সংবিধানের/মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুন আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘কোটা প্রথা বাতিল চাই বাতিল চাই’, ‘কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
কোটা বহালসহ সাত দাবি মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের 

এদিকে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণসহ সাত দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে গতকাল মঙ্গলবার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান মো. সোলায়মান মিয়া বলেন, ‘কোটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে রাজনৈতিক সুবিধা দেওয়ার চক্রান্তে লিপ্ত হওয়া জামায়াত, বিএনপি ও রাজাকারের সন্তানদের কোনো অবস্থায় ছাড় দেওয়া হবে না। 

প্রশাসনে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের শূন্য করার লক্ষ্যে কোটা বাতিলের ষড়যন্ত্র চলছে। কারণ তারা জানে যে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা অফিস-আদালতে থাকলে দুর্নীতি করা খুবই কঠিন হবে।’ 

সংগঠনটির সাত দাবির মধ্যে রয়েছে- মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের চাকরিতে অবসরের বয়স ৬১ বছর করা, মুক্তিযোদ্ধা সুরক্ষা আইন পাস, মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের জন্য জাতীয় সংসদে ৫০টি আসন নিশ্চিত করা, দুর্নীতি বন্ধে জিরো টলারেন্স, বাজারে সিন্ডিকেট বন্ধে অভিযান, ভাতার অংশ নাতি-নাতনির নামে চালু করা।
কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে জবিতে মিছিল

সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মসূচি পালন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন থেকে প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাস ছাড়াও নিকটবর্তী বাহাদুর শাহ পার্ক, রায় সাহেব বাজার মোড়, তাঁতীবাজার মোড় হয়ে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সমাবেশে মিলিত হয়। 

মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটূক্তিকারীদের বহিষ্কার দাবি

মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড। গতকাল বেলা সাড়ে ১২টায় ভাষাশহিদ রফিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

সংগঠনের জবি শাখার সভাপতি রাকিবুল হাফিজ অন্তর বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি, সম্প্রতি কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দেয়া হচ্ছে, কটূক্তি করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। 

গত ৫ জুন হাইকোর্ট ‘২০১৮ সালে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্তকে’ অবৈধ ঘোষণা করেন। এরপর শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাসগুলো। এদিকে আন্দোলনকারীরা সিদ্ধান্ত বাতিলে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন। একই সঙ্গে কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকবে কি না, এমন বিষয়ে আগামী ৪ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে শুনানি হবে।