ঢাকা ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪

প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ জবি ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৮ পিএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৮ এএম
প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ জবি ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে
জবি শাখা ছাত্রলীগে মেয়াদোত্তীর্ণ আংশিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক এসএম আকতার হোসাইন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগে মেয়াদোত্তীর্ণ আংশিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনের বিরুদ্ধে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। 

২০২২ সালের ১ জানুয়ারি মো. ইব্রাহীম ফরাজিকে সভাপতি ও এস এম আকতার হোসাইনকে সাধারণ সম্পাদক করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার পর থেকেই জবি ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ এই কমিটির নেতারা জন্ম দিচ্ছেন নানা বিতর্কের।

আড়াই বছর ধরে চাঁদাবাজি ও নারী কেলেঙ্কারিসহ নানা অভিযোগের পর এবার বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠল। 

রবিবার (৩০ জুন) প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে আকতার হোসাইনের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশন প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও পরে প্রতিবেদনটি সরিয়ে নিয়েছে গণমাধ্যমটি।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আকতার হোসাইন তার নিজ ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের এমসিকিউয়ের উত্তর অন্যজনকে দেন। উত্তরপত্রের অধিকাংশই ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সঙ্গে মিলে যায়। 

মেসেঞ্জার বার্তায় দেখা যায়, যিনি উত্তর নিচ্ছেন তিনি আকতারের কাছে সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার অনুরোধ জানান। জবাবে আকতার সব দিয়েছেন বলে ফিরতি বার্তায় জানান। সেই সঙ্গে এটি কাউকে না জানানোর অনুরোধ করেন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতারা সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে আকতারের নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন। 

মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ রাসেল বলেন, ‘ভর্তি বাণিজ্য, জালিয়াতি, টেন্ডার বাণিজ্য এসব তো ছাত্রলীগের উদ্দেশ্য না। যারা এসব করবে তারা অন্য কোনো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হোক। তারা ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে এসব অপরাধ করে সংগঠনের সুনাম নষ্ট করছে।’

জবি শাখা ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সহসভাপতি মিঠুন বাড়ৈ বলেন, ‘সাধারণ সম্পাদক আকতার দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র জালিয়াতি এবং বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ আমাদের কাছে আছে।’

এ কমিটির সহসভাপতি হাবুল হোসেন পরাগ বলেন, ‘একের পর এক বিতর্কিত কাজ করে সংগঠনকে কলুষিত করেই যাচ্ছে বর্তমান সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। জবি ছাত্রলীগ ইব্রাহীম ও আকতারের কাছে ইজারা দেওয়া হয়নি। ব্যক্তির দায় সংগঠন নেবে না। সংগঠনের মান ক্ষুণ্ন করে যখন কেউ প্রশ্নফাঁসের মতো গুরুতর অপরাধের সঙ্গে জড়িত হয় তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।’

এদিকে ফেসবুক মেসেঞ্জারের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস নিয়ে একটি অডিও ক্লিপও। আকতারের মামাতো ভাই পরিচয়ে মাদারীপুরের কাকন মিয়া ভর্তি পরীক্ষায় টিকিয়ে দেওয়ার গ্যারান্টি দেয় একজনকে।

ওই অডিও ক্লিপে শোনা যায়, কাকন মিয়া নিজেকে আকতারের আপন মামাতো ভাই পরিচয়ে অপর পাশের ব্যক্তিকে পরীক্ষায় টিকিয়ে দেওয়ার গ্যারান্টি দিচ্ছেন এবং কল রেকর্ড যাতে লিক না হয় সেসব ব্যাপারে সতর্ক করেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে কাকন মিয়াকে প্রশ্ন করা হলে যিনি মোবাইল ফোন নম্বর দিয়েছেন তার সঙ্গে কথা বলতে বলে কল কেটে দেন।

তবে এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত না থাকার দাবি করেন আকতার হোসাইন। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘তাহলে আমার আপন ছোট ভাই তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার কথা ছিল। সে প্রাইভেটে পড়ছে কেন? আপনি যে প্রশ্নটা করেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে যে কথাগুলো বলছেন এর কোনো প্রমাণ আছে আপনাদের কাছে?’

অপরাধে জড়িত থাকলে আকতারের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। তিনি বলেন, ‘অভিযোগটা এসেছে। যাচাই-বাছাই চলতেছে। অনুসন্ধান করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘অনৈতিক কর্মকাণ্ড, গঠনতন্ত্র, শিক্ষার্থীদের স্বার্থ এবং আদর্শবিরোধী কর্মকাণ্ড কেউ করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মুজাহিদ/জোবাইদা/অমিয়/

কোটা পুনর্বহালের পক্ষে-বিপক্ষে উত্তাল ঢাবি-জবি

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১১:৫৬ এএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১১:৫৬ এএম
কোটা পুনর্বহালের পক্ষে-বিপক্ষে উত্তাল ঢাবি-জবি
ছবি: খবরের কাগজ

সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের পক্ষে-বিপক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদ এবং কোটার পক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের ব্যানারে কর্মসূচি পালিত হয়।

ঢাবিতে গণপদযাত্রা, শাহবাগ অবরোধ

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী গণপদযাত্রা করেন আন্দোলনকারীরা। গতকাল বিকেল ৩টার আগেই তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হতে থাকেন। এরপর ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর ব্যানারে মিছিল সহকারে নীলক্ষেত-নিউমার্কেট-সাইন্সল্যাব-কাটাবন হয়ে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। এতে অংশ নেন সহস্রাধিক শিক্ষার্থী। বিকেল ৪টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত তারা রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এ মোড় অবরোধ করে রাখেন। এতে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট।

এ আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘অবিলম্বে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল করতে হবে। আমরা বৈষম্যের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন গড়ে তুলেছি। কোটা নামক এই বৈষম্য থেকে আমরা মুক্তি চাই। অন্যথায় আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। বুধবার (আজ) ও বৃহস্পতিবার (আগামীকাল) রাজপথ দখল রেখে এই আন্দোলন সফল করতে হবে। বুধবার দুপুর আড়াইটায় আমরা আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে অবস্থান নেব এবং রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করব। 

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘সংবিধানের/মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুন আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘কোটা প্রথা বাতিল চাই বাতিল চাই’, ‘কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
কোটা বহালসহ সাত দাবি মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের 

এদিকে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণসহ সাত দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে গতকাল মঙ্গলবার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান মো. সোলায়মান মিয়া বলেন, ‘কোটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে রাজনৈতিক সুবিধা দেওয়ার চক্রান্তে লিপ্ত হওয়া জামায়াত, বিএনপি ও রাজাকারের সন্তানদের কোনো অবস্থায় ছাড় দেওয়া হবে না। 

প্রশাসনে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের শূন্য করার লক্ষ্যে কোটা বাতিলের ষড়যন্ত্র চলছে। কারণ তারা জানে যে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা অফিস-আদালতে থাকলে দুর্নীতি করা খুবই কঠিন হবে।’ 

সংগঠনটির সাত দাবির মধ্যে রয়েছে- মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের চাকরিতে অবসরের বয়স ৬১ বছর করা, মুক্তিযোদ্ধা সুরক্ষা আইন পাস, মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের জন্য জাতীয় সংসদে ৫০টি আসন নিশ্চিত করা, দুর্নীতি বন্ধে জিরো টলারেন্স, বাজারে সিন্ডিকেট বন্ধে অভিযান, ভাতার অংশ নাতি-নাতনির নামে চালু করা।
কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে জবিতে মিছিল

সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মসূচি পালন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন থেকে প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাস ছাড়াও নিকটবর্তী বাহাদুর শাহ পার্ক, রায় সাহেব বাজার মোড়, তাঁতীবাজার মোড় হয়ে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সমাবেশে মিলিত হয়। 

মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটূক্তিকারীদের বহিষ্কার দাবি

মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড। গতকাল বেলা সাড়ে ১২টায় ভাষাশহিদ রফিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

সংগঠনের জবি শাখার সভাপতি রাকিবুল হাফিজ অন্তর বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি, সম্প্রতি কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দেয়া হচ্ছে, কটূক্তি করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। 

গত ৫ জুন হাইকোর্ট ‘২০১৮ সালে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্তকে’ অবৈধ ঘোষণা করেন। এরপর শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাসগুলো। এদিকে আন্দোলনকারীরা সিদ্ধান্ত বাতিলে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন। একই সঙ্গে কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকবে কি না, এমন বিষয়ে আগামী ৪ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে শুনানি হবে। 

ববির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠনের কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১১:২৯ এএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১১:২৯ এএম
ববির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠনের কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত
ছবি: সংগৃহীত

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) কর্মকর্তাদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী সংগঠনের ব্যানারে সব রকম কর্মসূচি পালনে সাময়িক স্থগিতাদেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।  

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সন্ধ্যায় প্রক্টর ড. মো. আব্দুল কাইয়ুম স্বাক্ষরিত এক নোটিশে মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের থেকে পাঠানো নোটিশে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

নোটিশে বলা হয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে কর্মকর্তাদের মধ্যে সংগঠিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্নিত হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে ক্যাম্পাসের সার্বিক শৃঙ্খলা রক্ষার্থে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠনের ব্যানারে যে কোনো ধরনের কর্মসূচি পালন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সাময়িক স্থগিত করা হলো।

ফলে প্রক্টর অফিসের পূর্বানুমতি ছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠনের ব্যানারে কোনো ধরনের কর্মসূচি পালন করা যাবে না।

এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডেপুটি রেজিস্ট্রার বাহাউদ্দীন গোলাপ খবরের কাগজকে বলেন, ‘প্রক্টর স্বাক্ষরিত একটি নোটিশ হাতে পেয়েছি। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত অপর তিনটি সংগঠন এবং আমাদের সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা না করে কোনো মন্তব্য করা যাবে না।’ 

মঈনুল ইসলাম/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

ইউসিটিসিতে অ্যাডমিশন উইক শুরু বুধবার

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১০:০৮ এএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১১:২৮ এএম
ইউসিটিসিতে অ্যাডমিশন উইক শুরু বুধবার
ছবি: খবরের কাগজ

সৃষ্টিশীল তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি চট্টগ্রামে (ইউসিটিসি) ৩ জুলাই শুরু হতে যাচ্ছে অটাম-২০২৪ সেমিস্টারের অ্যাডমিশন উইক। 

বন্দরনগরীর বহদ্দারহাটে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মেলা চলবে ৯ জুলাই পর্যন্ত।

বিবিএ, এমবিএ, মাস্টারস অব পাবলিক হেলথ (এমপিএইচ), ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড লিটারেচার, ইসলামিক স্ট্যাডিস অনার্স অ্যান্ড মাস্টার্স, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি এবং বিভিন্ন প্রোগ্রামে ভর্তি হতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নিতে পারবেন এই অ্যাডমিশন উইক থেকে।

অ্যাডমিশন উইকের মধ্যে থাকছে র‍্যাফেল ড্র’র মাধ্যমে আকর্ষণীয় উপহার পাওয়ার সুযোগ।

এ ছাড়া থাকছে স্পট অ্যাডমিশনের মাধ্যমে স্মার্ট ব্যাগ। ভর্তি ফি ও টিউশন ফি’র ওপর বিশেষ ছাড়।

তাছাড়া এই অ্যাডমিশন উইক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিস্টার ভিত্তিক মেরিট স্কলারশিপ, ক্রেডিট ট্রান্সফার, ক্যাম্পাস লাইফস্টাইল, ক্যাম্পাস জব, ক্লাব ও অন্যান্য সহশিক্ষা কার্যক্রমের নানা তথ্য জানা যাবে।

ইফতেখার/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

রামেবিতে সেশনজট নিরসনের দাবিতে আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১২:৪৭ এএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১২:৪৭ এএম
রামেবিতে সেশনজট নিরসনের দাবিতে আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা
ছবি: খবরের কাগজ

কর্তৃপক্ষের গাফেলতিতে ভয়াবহ সেশনজটের কবলে পড়েছে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) নার্সিং অনুষদ। এতে শিক্ষাজীবন নিয়ে চরম হুমকির মুখে থাকা ১৮টি নার্সিং কলেজের প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী আন্দোলেনে নেমেছেন।

সেশনজন নিরসনের দাবিতে মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুর ১২টায় বৃষ্টি উপেক্ষা করেই রামেবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রামেবি অধিভুক্ত ১৮টি নার্সিং কলেজে ৪ বছর মেয়াদী বিএসসি-ইন-নার্সিং কোর্সে বর্তমানে প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। এরমধ্যে ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী সংখ্যা ৮৬৬। গত বছরের ডিসেম্বর মাসেই এ সেশনের কোর্স সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। তবে এ বছরের ৭ মাসেও এখনো শেষ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার নোটিশই দিতে পারেনি রামেবি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সেশনের চূড়ান্ত পরীক্ষা গত মার্চ মাসে সম্পন্ন হয়। ফলাফল প্রকাশ করা হবে চলতি জুলাই মাসে। আর গত মে মাসে চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণ করে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া গত ৮ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএসসি-ইন-নার্সিং চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। সারা বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে রামেবির নার্সিং অনুষদ।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রথম থেকেই তারা অবহেলিত ও বৈষম্যের স্বীকার হয়ে আসছেন। ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীরা একাডেমিক সেশন ও অন্যান্য কার্যক্রমে প্রায় এক থেকে দেড় বছর পিছিয়ে রয়েছেন। তারা বারবার বিষয়টি নিয়ে কথা বললেও কর্মকর্তারা সেভাবে কর্ণপাত করছেন না। ফলে রামেবির নার্সিং অনুষদের শিক্ষার্থীরা চরম হতাশ।

তারা বলেন, আমাদের এখন একটাই দাবি, সেশনজট নিরসন। আমরা চাই, রামেবি কর্তৃপক্ষ এ মাসের মধ্যেই পরীক্ষার প্রোগ্রাম ওয়েবসাইটে প্রকাশ করুক। শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে আমাদের চতুর্থ বর্ষের সকল পরীক্ষা গ্রহণ করে ফলাফল প্রকাশ করতে হবে। আমরা এটার বাস্তবায়ন দেখেই তারপর ঘরে ফিরতে চাই। অন্যথায় আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে যাব। মরতে হলে রাজপথেই মরব।’ এ দিনের কর্মসূচিতে রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিরহাট সরকারি নার্সিং কলেজসহ রামেবি অধিভুক্ত অন্যান্য বেসরকারি নার্সিং কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

এ ব্যাপারে জানতে রামেবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ডা. আনোয়ার হাবিবের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এনায়েত করিম/এমএ/

মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে জবিতে মানববন্ধন

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১০:৩৪ পিএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৮:২৪ এএম
মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে জবিতে মানববন্ধন
ছবি: খবরের কাগজ

কোটা পদ্ধতিতে পুনর্বহালের প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে বিভিন্ন বক্তব্যে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারকে অবমাননা ও কটুক্তি করা হচ্ছে অভিযোগ করে এর প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখার আয়োজনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়ে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানরা অংশ নেন।

মানববন্ধনে দেওয়া বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখার সভাপতি রাকিবুল হাফিজ অন্তর বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি সম্প্রতি কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে, কটুক্তি করা হচ্ছে। কোটা বাতিল নাকি সংস্কার সেটা নিয়ে আমাদের কোনো মাথা ব্যাথা নেই। এই দেশে বাকস্বাধীনতা আছে, সবাই নিজেদের দাবি জানাতে পারে, কথা বলতে পারে। আমাদের বাপ-দাদারা মুক্তিযুদ্ধ করেই আপনাদের এই বাক স্বাধীনতা এনে দিয়েছে৷ আর সেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করা হচ্ছে, কটুক্তি করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা এসব শিক্ষার্থীদের বহিস্কারের দাবি জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটুক্তিকারীদের বিচার দাবি করছি।

সাধারণ সম্পাদক তানিম ফারহান বলেন, এই দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন যে বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদেরকে নিয়েই কটুক্তি করা হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্য নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া হবে না। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা এমন কাজ করছে, তাদের বহিষ্কারের দাবিতে আমরা উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিবো। তাদের বিরুদ্ধে যাতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেই দাবি জানাচ্ছি।

মুজাহিদ/এমএ/