ঢাকা ১২ আষাঢ় ১৪৩১, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

গাইবান্ধায় দাম শুনেই ফিরে যাচ্ছেন ক্রেতারা

প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৪, ০৯:৩৮ এএম
আপডেট: ১৫ জুন ২০২৪, ০৯:৩৮ এএম
গাইবান্ধায় দাম শুনেই ফিরে যাচ্ছেন ক্রেতারা
ছবি : সংগৃহীত

আর মাত্র এক দিন পরই ঈদুল আজহা। কোরবানির পশু কেনাকাটায় সবাই এখন ব্যস্ত। তবে গাইবান্ধায় এখনো জমে ওঠেনি কোরবানির পশুর হাট। জেলার প্রধান গরুর হাটগুলোতে অসংখ্য পশু উঠলেও বেচাকেনা তেমন জমেনি। গরুর প্রত্যাশিত দাম ও বিক্রি নিয়ে খামারি ও ব্যবসায়ীরা চিন্তিত।

খামারিরা বলছেন, গত বছর এই সময়ে খামার থেকেই বেশির ভাগ গরু বিক্রি হয়েছিল। ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে বেচাকেনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। কিন্তু এবার বেচাকেনা একেবারেই কম। ফলে পশুর হাটে নিয়ে যেতে হচ্ছে। হাটগুলোতে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত প্রচুর ভিড় থাকছে। জেলায় সাধারণ ক্রেতা কমেছে এবং অন্য এলাকা থেকে গরু ব্যবসায়ীও কম আসছেন হাটে।

গাইবান্ধা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী জেলায় মোট ১৬ হাজার ৭৫৯টি খামার রয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় খামারের সংখ্যা ২ হাজার ৫৭৫, পলাশবাড়ীতে ২ হাজার ৫১৮, গোবিন্দগঞ্জে ২ হাজার ৬০৫, সুন্দরগঞ্জে ২ হাজার ৮৬৭, সাদুল্যাপুরে ২ হাজার ১১৫, সাঘাটায় ২ হাজার ২২ ও ফুলছড়িতে ২ হাজার ৫৭টি খামার রয়েছে। ঈদ সামনে রেখে জেলায় এবার কোরবানির জন্য ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮১টি গবাদিপশু মজুত রয়েছে। এর মধ্যে গরু ৬৩ হাজার ২৪৬টি, মহিষ ১৪৭টি, ছাগল ও ভেড়া ৮১ হাজার ৯৮৮টি। আর কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার ৫১টি। চাহিদা পূরণ করেও উদ্বৃত্ত থাকবে ২২ হাজার ৩৩০টি পশু। জেলার সাত উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী হাট বসেছে ১৫৫টি। 

সরেজিমনে ১০টি হাট ঘুরে দেখা গেছে, জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পিকআপ ও হেঁটে লোকজন পশু নিয়ে আসছেন। প্রচণ্ড গরমেও লোকজন গরু নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তবে দেশি জাতের গরু বেশি দেখা গেছে। ঘুরে ঘুরে লোকজন গরু দেখছেন। হাটগুলোতে টোল (খাজনা) বেশি। ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের কাছ থেকে মোট ১ হাজার টাকা করে নিচ্ছেন ইজারাদারা। 

গরু বিক্রেতারা বলছেন, ‘এক দিন পরই ঈদ। কিন্তু ক্রেতারা পশু পছন্দ করতে যেভাবে যাচাই-বাছাই করছেন, সেভাবে কিনছেন না। ঘুরেফিরে দেখছেন, দাম শুনেই চলে যাচ্ছেন। এর মধ্যে সাধারণ ক্রেতাই বেশি। মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা বেশি।’

সদর উপজেলার খামারি জুয়েল মিয়া বলেন, ‘গত বছরের চেয়ে এবার বিক্রি কম। কোরবানি উপলক্ষে খামারে ৪৫টি ষাঁড় প্রস্তুত রয়েছে। এবার গোখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় একটি গরুর পেছনে যে খরচ হয়, তা পুষিয়ে নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ ছাড়া ঈদুল আজহার সময় প্রতিবেশী দেশ থেকে গরু আসে। ফলে দেশীয় খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হন।’ 

নয়ন সরকার নামে আরেক খামারি বলেন, ‘বাজারে গরুর দাম এবার কম। ঈদে বিক্রির জন্য খামারের ১৮টি গরু প্রস্তুত করেছিলাম। এখন পর্যন্ত ৭টি গরু বিক্রি হয়েছে।’

গোবিন্দগঞ্জের নাকাই হাটে গরু বিক্রি করতে আসা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের তো চাকরি নেই। ধান বিক্রির টাকা দিয়েই কোরবানি দিতে হয়। কিন্তু প্রতিবছরের মতো এবারও ধানের দাম কম। ফলে কোরবানিদাতার সংখ্যাও কম।’

পলাশবাড়ী উপজেলার কুমারগাড়ী গ্রামের সুলতান খন্দকার বলেন, ‘গত বছর ভাগে গরু কোরবানি দিয়েছিলাম। কিন্তু এবার পারছি না। সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। তবে ধান আর ভুট্টার দাম কম। কোরবানির জন্য ছাগল বা ভেড়া কিনতে হবে।’

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘এ বছরও দেশি জাতের গরুর চাহিদা বেশি। এবার জেলায় কোরবানিযোগ্য পশুর চাহিদা মিটিয়ে বাইরেও বিক্রি করতে পারবেন খামারিরা। প্রত্যেকটি হাটে ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম রয়েছে। আশা করছি, ব্যবসায়ী ও খামারিরা কোনো সমস্যা ছাড়াই পশু বিক্রি করতে পারবেন।’

রাজশাহী বিভাগের উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের শপথ

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ১১:৪২ পিএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ১১:৪৪ পিএম
রাজশাহী বিভাগের উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের শপথ
ছবি: খবরের কাগজ

রাজশাহী বিভাগের ২৪টি উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানেরা শপথ গ্রহণ করেছেন। মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের শপথবাক্য পাঠ করান।

রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে এসব উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদেরও শপথবাক্য পাঠ করানো হয়। পরে তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর। তিনি সবাইকে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনেরও আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকারের রাজশাহী বিভাগের পরিচালক পারভেজ রায়হান। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের এ দিন শপথবাক্য পাঠ করানো হয়।

তৃতীয় ধাপে রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, পাবনা, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জের ১৪টি ও চতুর্থ ধাপে রাজশাহী, নওগাঁ, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ জেলার ১০টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

এনায়েত করিম/এমএ/

সিলেট রুট ও কৌশল পাল্টে চলছে চোরাই চিনি পাচার

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ১০:৪৪ পিএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ১০:৪৪ পিএম
রুট ও কৌশল পাল্টে চলছে চোরাই চিনি পাচার
থানায় জব্দ করা চোরাই চিনি। ছবি : খবরের কাগজ

চিনির চোরাই পথে এখন মাদকও আসছে। গত এক সপ্তাহে দুটি অভিযানে চোরাই চিনির রুটে ফেনসিডিল ও ভারতীয় মদ উদ্ধার করা হয়েছে। সিলেটের সীমান্ত উপজেলা জৈন্তাপুরে চোরাই চিনি ধরতে পুলিশের অভিযানে মঙ্গলবার (২৫ জুন) ৪২ বস্তা চোরাই চিনির সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে ৪৫ বোতল মদ। এ ছাড়া সিলেটে চোরাই চিনি পাচারের সব কটি লাইনে ধরপাকড় চলায় চোরাকারবারিরা নতুন রুটে চোরাই চিনি পাচার করছে। সিলেটের বিশ্বনাথে সোমবার রাতে ২২০ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ একটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।

জৈন্তাপুর থানা সূত্রে জানা যায়, নৌপথে চোরাই চিনির চালান যাচ্ছে- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬টায় নয়াগাং নদীর চাঙ্গিল নামক স্থানে এসআই মো. আশরাফুল আলম ও এসআই নাইমুল ইসলামের নেতৃত্বে জৈন্তাপুর থানার একদল পুলিশ নয়াগাং নদী এলাকায় অবস্থান নেয়। এ সময় একটি নৌকা নদীতীরে ভিড়িয়ে বাহকরা পালিয়ে যায়। নৌকায় তল্লাশি চালিয়ে ৪৫ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করা হয়। 

একই নৌপথে নজরদারির সময় সকাল সাড়ে ৮টায় জৈন্তাপুর ইউনিয়নসংলগ্ন চাঙ্গিল ব্রিজের নিচে দুটি বারকি নৌকায় চোরাই চিনির বস্তা দেখে অভিযান চালিয়ে ৪২ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নৌকা ফেলে পালিয়ে যায় চোরাকারবারিরা।

জৈন্তাপুর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘চোরাকারবারিদের নৌপথ ব্যবহারের খবর পেয়ে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। চোরাই চিনির পথে মাদক আসছে- এরকম সংবাদও পুলিশের কাছে রয়েছে। পৃথক দুটি অভিযানে ৪৫ বোতল ভারতীয় মদ ও ৪২ বস্তা চিনি জব্দ করে দুটি মামলা করা হবে। চোরাকারবারিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলবে।’ এর আগে গত রবিবার রাতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের টহলে ধরা পড়েছিল ফেনসিডিলসহ দুই মাদককারবারি।

অন্যদিকে বিশ্বনাথ থানা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ২২০ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ একটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। বিশ্বনাথ রুটে এই প্রথম থানা পুলিশ চোরাই চিনি জব্দ করেছে। এ সময় ট্রাকচালক মিজানুর রহমান সুমনকে (২৮) আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাকে চোরাই চিনির বাহক বলে ধারণা পুলিশের। তার নাম বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার গগাউড়া গ্রামে।

পুলিশ জানায়, রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশ্বনাথ-রশিদপুর সড়কের বাইপাস রোড সংলগ্ন পেট্রল পাম্পের সামনে তল্লাশি চৌকি বসায় পুলিশ। এ সময় একটি ট্রাক থামিয়ে তল্লাশি চালিয়ে চোরাই চিনি বস্তা পাওয়ার পর চালকসহ ট্রাকটি থানায় নিয়ে আসা হয়। এ সময় ট্রাকে থাকা দুই চোরাকারবারি পালিয়ে যায়। জব্দ করা ২২০ বস্তার প্রতিটিতে ৫০ কেজি করে চিনি রয়েছে, যার বাজার মূল্য আনুমানিক ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। বস্তার গায়ে বাজার ও মোড়কজাতকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে নাম রয়েছে সুনামগঞ্জের ছাতক পৌরসভার ‘সুবহা ফুড প্রোডাক্টস’।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, চোরাই চিনি ধরপাকড়ে সিলেটের প্রায় সব পথে নজরদারি থাকায় নতুন কৌশল ও নতুন রুটের সন্ধান করছে সংঘবদ্ধ চোরা কারবারিরা। এ ক্ষেত্রে ‘লামাকাজী-রামপাশা-বিশ্বনাথ-রশিদপুর সড়ক’ নিরাপদ হিসেবে ব্যবহার করছে। কৌশল হিসেবে ভারতীয় চিনির প্যাকেট পরিহার করে দেশীয় চিনির নানা নামের বস্তা ব্যবহার করা হচ্ছে। 

বিশ্বনাথ থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুর রউফ খবরের কাগজকে বলেন, ‘নতুন রুট ব্যবহার করার সংবাদ পেয়ে বিশ্বনাথ-রশিদপুর সড়কের বাইপাস রোডসংলগ্ন পেট্রল পাম্পের সামনে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছিল এবং একটি ট্রাক থামিয়ে তল্লাশির সময় ২২০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ট্রাকচালককে আটক করে মামলা হয়েছে।’

নাটোরে ট্রাক-সিএনজি সংঘর্ষে বিজিবি সদস্য ও ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ১০:১৩ পিএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ১০:১৩ পিএম
নাটোরে ট্রাক-সিএনজি সংঘর্ষে বিজিবি সদস্য ও ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত
ছবি: খবরের কাগজ

নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বাসুদেবপুর-সাজিপাড়ায় ট্রাক ও যাত্রীবাহী সিএনজির সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন।ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও এক নারীসহ দুজন। আহত ওই নারীকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকালে ওই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা খলিলুর রহমান এবং বিজিবি সদস্য মুক্তাদির আলম।

খলিলুর রহমানের বাড়ি নওগাঁ ও মুক্তাদিরের বাড়ি মাগুড়া।

নলডাঙ্গা থানার ওসি মনোয়ারুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার বিকালে নওগাঁ থেকে যাত্রীবাহী একটি সিএনজিতে নাটোর শহরের কান্দিভিটুয়ায় শ্বশুরবাড়িতে স্বস্ত্রীক আসছিলেন খলিলুর। একই সিএনজি যাত্রী ছিলেন মুক্তাদির। সাজিপাড়ায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে ওই সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিটি দুমড়ে-মুচড়ে চালকসহ চারজন আহত হয়। খবর পেয়ে নলডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে খলিলুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পরে  চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিজিবি সদস্য মোক্তাদির আলমের মৃত্যু হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চালক চলে গেলেও খলিলুরের স্ত্রী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

কামাল মৃধা/এমএ/

২২ ঘণ্টা পর ময়মনসিংহে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ০৯:৫৭ পিএম
আপডেট: ২৬ জুন ২০২৪, ১২:৩৭ এএম
২২ ঘণ্টা পর ময়মনসিংহে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক

ময়মনসিংহের ত্রিশালে পাইলিং করতে গিয়ে তিতাস গ্যাস সঞ্চালন লাইন ছিদ্র হয়ে যাওয়ায় ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। তবে ২২ ঘণ্টা পর ময়মনসিংহে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাত ৯টার দিকে খবরের কাগজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তিতাস গ্যাস কোম্পানি ময়মনসিংহের ম্যানেজার (অপারেশন) হিলটন পাল। 

তিনি বলেন, ‘গ্যাস সঞ্চালন লাইন মেরামতের জন্য সোমবার রাত ১১টার দিকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়। দিনভর এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি খুঁড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পাইপের অংশ বের করা হয়। পাইপ কেটে নতুন করে জোড়া লাগিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সরবরাহ লাইন চালু করে রাত ৯টার দিকে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র ময়মনসিংহ জেলায় গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। নেত্রকোনায় গ্যাস দিতে আরও এক ঘণ্টার মতো সময় লাগতে পারে।’

এর আগে সোমবার সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ত্রিশাল উপজেলার আমিরাবাড়ী ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামে মিনিস্টার হাইটেক পার্কের পাশে একটি চায়না কোম্পানির পাইলিং করতে গিয়ে সঞ্চালন লাইনে আঘাত লেগে ফেটে যায়। দিনভর গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক রাখলেও মেরামত কাজের জন্য রাত ১১টার পর ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়। এতে আবাসিক গ্রাহকদের পাশাপাশি বাণিজ্যিক গ্রাহক ও সিএনজি পাম্পগুলো গ্যাস না পাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়ে।

এ বিষয়ে তিতাস গ্যাস কোম্পানি ময়মনসিংহের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) প্রকৌশলী কাজী মোহাম্মদ সাইদুল হাসান বলেন, ‘আমাদের না জানিয়ে কোম্পানিটি আমাদের জায়গায় খোঁড়াখুঁড়ি করে গ্যাসলাইন ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ক্ষতিপূরণ আদায়ে কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

কামরুজ্জামান মিন্টু/সালমান/

কাপ্তাইয়ে জিপ উল্টে শ্রমিক নিহত

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ০৯:৫৩ পিএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ০৯:৫৩ পিএম
কাপ্তাইয়ে জিপ উল্টে শ্রমিক নিহত
ছবি: খবরের কাগজ

রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে চাঁদের গাড়ি (জিপ) উল্টে ঘটনাস্থলে মো. ইমন (১৯) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আহত চালক নুর আলম বাছা (২৮) ও মো. সাকিব (২২)কে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেলে উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের কারিগরপাড়া-ভালুকিয়া সড়কের কারিগরপাড়ায় এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।

চন্দ্রঘোনা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আনছারুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

নিহত ইমন রাইখালী ইউনিয়ন এর ফুলতলি মুসলিম পাড়া এলাকার মো. বাহারম এর ছেলে বলে জানিয়েছেন রাইখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মংক্য মারমা।

গুরুতর আহত সাকিবকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং গাড়ি চালক নুর আলম বাছাকে চন্দ্রঘোনা খ্রিস্টিয়ান হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্হানীয় পুলিশ। 

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পুলিশ জানান, রাইখালীর ভালুকিয়া থেকে জ্বালানি কাঠ বোঝাই করে আসার পথে কারিগরপাড়া এলাকায় দুর‍্ঘটনায় পড়ে। এসময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে শ্রমিক মো. ইমন ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন। চালকসহ আহত হন দুইজন। 

খবর পেয়ে পুলিশ স্হানীয়দের সহায়তায় মরদেহ উদ্ধার করে আহতদের হাসপাতালে পাঠায়।

চন্দ্রঘোনা থানার ওসি আনছারুল করিম জানান, নিহত এবং আহত ব্যক্তিদের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জিয়াউর রহমান জুয়েল/এমএ/