![শেষ সময়ে দাম চড়া দেশি গরুর](uploads/2024/06/15/borguna-1718447588.jpg)
পবিত্র ঈদুল আজহার আর মাত্র একদিন বাকি। কোরবানি উপলক্ষে শেষ সময়ে বরগুনার পশুর হাটগুলো জমজমাট হয়ে উঠেছে। হাটগুলোতে বিদেশি গরু না থাকায় চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে দেশি গরু।
এবার বরগুনার ছয় উপজেলার হাটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, বিদেশি গরুর সমাগম না থাকায় দেশি গরুর চাহিদা বেড়েছে এবং তা বেশ চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। যা নাগালের বাইরে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
তবে খামারীদের দাবি, গোখাদ্যের দাম বাড়ার হিসাবে গরুর দাম তুলনামূলক বেশি না।
দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বড় পশুর হাট বরগুনার আমতলী উপজেলার পায়রা নদীর পাড়ে। এই হাটে তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
আমতলীর ক্রেতা মো. সজিব বলেন, ‘এ বছর বাজারে বিদেশি গরু না আসায় দেশি গরুর দাম বেশি। তবুও আমরা খুশি দেশি খামারীরা লাভবান হচ্ছেন।’
শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে বরগুনা পৌর শহরের গগন স্কুলের পাশে পশুর হাটে গরু কিনতে আসা নুরুল হুদা বলেন, ‘শেষ সময়ে হাটে অধিক পরিমাণে দেশি গরু উঠছে। গরুগুলো দেখতে খুব সুন্দর। দামও বেশি। তারপরও সামনে কোরবানি, তাই সাধ্যের মধ্যে কিনতে হবে।’
পাথরঘাটার গরু বিক্রেতা আবদুস সালাম বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর ধরে যত্নের সঙ্গে একটি গরু লালন পালন করেছি। গরুটি হাটে তিন লাখ টাকা দাম চেয়েছিলাম। কিন্তু ক্রেতারা দাম বলেছেন মাত্র দেড় লাখ।’
বরগুনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রোগাক্রান্ত ও কৃত্রিমভাবে মোটাতাজাকরণ করা পশু যাতে বিক্রি না হয় সে বিষয়ে প্রতিটি বাজারেই ক্যাম্প বসানো হয়েছে। যাতে কেউ ফাঁকি দিয়ে রোগাক্রান্ত কিংবা অসুস্থ গরু বিক্রি করতে না পারে।’
এদিকে পশুর হাটে বাড়তি নিরাপত্তায় কাজ করছে পুলিশ। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক রেজা (অর্থ ও ক্রাইম) বলেন, ‘গরু হাটগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আমাদের পুলিশ ফোর্স মাঠে রয়েছে। তাই বাজারগুলোতে গরু কেনা-বেচা করতে কারও কোনো অসুবিধা হচ্ছেনা।’
মহিউদ্দিন অপু/সাদিয়া নাহার/অমিয়/