সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদের বাড়িতে হামলার ঘটনার পর আবারও আলোচনায় চোরাচালান। ভারতীয় চিনিসহ বিভিন্ন চোরাই পণ্য সরবরাহে বাধা দেওয়ায় এ হামলা হয়েছে বলে কাউন্সিলর আজাদ খবরের কাগজকে জানিয়েছেন। ঘটনার পরপর ফাঁস হওয়া এক অডিও রেকর্ড থেকে জানা গেছে আরও তথ্য। ভারত থেকে আসা চোরাই গরু বিক্রির ‘লাভের টাকার ভাগবাটোয়ারা’ নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণেই এ হামলা হয়েছে। এমনকি টাকার ভাগ পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই এলাকার বাসিন্দা একজন সংসদ সদস্যসহ এক প্রতিমন্ত্রীর অনুসারীদের বিরুদ্ধে।
আজাদুর রহমান আজাদ সিসিকের টানা পাঁচবারের ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তার বাসায় গত বৃহস্পতিবার রাতে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে ওই এলাকায় আরও কয়েক নেতার বাড়িতে হামলা হয়েছে। থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ জমা পড়েছে। হামলাকারী কারা- এ নিয়ে পরস্পরবিরোধী কথা থেকে বিভিন্নজনের নাম প্রকাশ পাচ্ছে। সব মিলিয়ে ঘটনাটি সিলেটে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত করে তুলেছে।
বলা হচ্ছে, চোরাচালানির ঘটনায় বাধা দেওয়ায় রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় থাকা চিহ্নিত অপরাধীরা ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজাদের বাসায় প্রথম হামলা করেছে। এরপর পাল্টাপাল্টি আরও দুটি বাসায় হামলা হয়। কিন্তু কেন হামলা হয়েছে, নেপথ্যের কারণ কী- এ নিয়ে মুখ খুলছেন না কেউ। ঠিক এ সময় একটি কথোপকথনের অডিও রেকর্ড ফাঁস হওয়ায় ঘটনার মোড় ঘুরে যায়। মোট ১ মিনিট ১৬ সেকেন্ডের অডিও রেকর্ডের কথোপকথনে হামলার নেপথ্য কারণ নিয়ে আলাপচারিতা হয়।
এসব হামলার কারণ জানা দুই প্রত্যক্ষদর্শীর চাপা উত্তেজনার আলাপে রয়েছে ‘বাজারের’ (টিলাগড়ে কোরবানির পশুর অস্থায়ী হাট) ‘লাভের টাকা’ ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্ব। সূত্রমতে, মূলত ভারত থেকে চোরাই পথে আনা গরু হাটে বিক্রি করা হতো। ওই চোরাই গরুর জন্য বিভিন্ন পক্ষকে টাকা দেওয়া লাগত। কথোপকথনে টাকার অঙ্ক উল্লেখ করে বলা হচ্ছিল, ‘৫০ লাখ টাকা লাভ অইছে!’ আর লাভের টাকা ভাগাভাগি প্রসঙ্গে বলা হয়, ‘২৫ লাখ, ২৫ লাখ, ৫০ হাজার’। বণ্টনে টাকার অঙ্কের এমন বৈষম্যে বাসায় হামলা, পাল্টা হামলা প্রসঙ্গে বলা হয়, ‘মাইর লাগবনানি!’
কথোপকথনের অডিও রেকর্ডটি শুক্রবার রাতে খবরের কাগজের কাছে আসে। জানা গেছে, প্রকৃত কারণ জানতে এটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তগত হয়েছে।
‘এমপি-মন্ত্রিপাড়া’ টিলাগড়
সিলেট নগরীর উত্তরপূর্ব দিকের এলাকা টিলাগড়। কয়েকটি মহল্লা সেখানে। তবে মূল পরিচিতি টিলাগড়। এ নামে একটি গ্রুপের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব-সন্ত্রাস-আধিপত্যের কারণে বিভিন্ন সময় টিলাগড় আলোচিত হয়। সিলেট-তামাবিল সড়কের উপকণ্ঠের বৃহত্তর টিলাগড় এলাকায় পড়েছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, এমসি কলেজ ও সিলেট সরকারি কলেজ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক এলাকা হওয়ায় ছাত্রসংগঠনের প্রভাবে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক পরিচিত। শাসকদলে টিলাগড় গ্রুপের একচ্ছত্র আধিপত্যের মূলে রয়েছে সেখানে বসবাসকারী নেতা-কর্মীরা। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ও বর্তমান সরকার আমলে রাজনৈতিক সন্ত্রাসে একাধিক খুনোখুনির ঘটনাও ঘটেছে। এর মধ্যে শাসকদলে ছাত্রলীগের দলীয় কোন্দলে একাধিক হত্যার ঘটনাও রয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর টিলাগড়ের নতুন পরিচিতি ‘এমপি ও মন্ত্রিপাড়া’ নামে। প্রায় আধা কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে পড়েছে সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রনজিত চন্দ্র সরকার, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী এবং সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরীর বাসভবন। এমপির বাসা গোপালটিলায়, প্রতিমন্ত্রী-ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজাদের বাসা শাপলাবাগ আবাসিক এলাকায়। এ বাসাতেই হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং এর জের ধরে শুক্রবার ছাত্রলীগের আরেক নেতার বাসায়ও পাল্টা হামলা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, গ্রুপিং রাজনীতির দ্বন্দ্বে এক পক্ষ আরেক পক্ষের বাসায় হামলা করেছে। কিন্তু কারণ কী? কারণ জানা নিয়ে যখন তোলপাড় চলছে, ঠিক এমনই একটি কথোপকথনের অডিও রেকর্ড ফাঁস নিয়ে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। এতে দুজনের কথোপকথন থেকে জানা গেছে, হামলার কারণ টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে। কথোপকথনের বিষয়বস্তু হামলার কারণ নিয়ে। একজন আরেকজনকে বোঝাচ্ছিলেন। একজন বলছিলেন, ‘... ৫০ লাখ টাকা বাজারো লাভ হইছে। রনজিত দায় নিছুইন ২৫ লাখ। আজাদ ভাইয়েও ২৫ লাখ, নানি। তারারে মিনিমাম ১০-১৫ লাখ দিত। তারা দিছে না। তারা মন্ত্রী গ্রুপ, তুমি দিতায় নানি! তাইন দিরা ইনো ৫০ হাজার। মাইর লাগবনি না লাগত না? আফনে আমারে কইন!’
কথোপকথনে ‘রনজিতদা’ বলে যার কথা বলা হয়েছে তিনি সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সংসদ সদস্য রনজিত সরকার। ‘আজাদ ভাই’ হচ্ছেন, সিসিক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ। আর ‘মন্ত্রী গ্রুপ’ বলতে স্পষ্ট করা না হলেও ওই এলাকায় বসবাস করা প্রতিমন্ত্রীর অনুসারী নতুন একটি বলয়ের কথা ওঠে এসেছে।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রী গ্রুপ নামের নতুন এই গ্রুপটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন একাধিকজন। এর মধ্যে কথোপকথনে নাম আসা ছফু হচ্ছেন, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য ছফু আহমদ। বৃহস্পতিবার রাতে কাউন্সিলর আজাদের বাসায় হামলার জের ধরে একই এলাকায় বসবাসরত ছফু আহমদের বাসায়ও হামলা হয়েছে। শনিবার তিনি খবরের কাগজকে জানিয়েছেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন।
কথোপকথন
(কথোপকথন শুনে ধারণা করা হচ্ছে, তারা এক আড্ডায় বসে ঘটনার নেপথ্য কারণ নিয়ে কথা বলছিলেন। দুজনের মধ্যে একজনকেই বেশি কথা বলতে শোনা গেছে। তাদের কথাবার্তা টাকা ভাগবাটোয়ারা প্রত্যক্ষ করার মতো। নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে কথোপকথনকারী দুজনের নাম প্রকাশ করা হয়নি।)
প্রথমজন: তারার তারার বাজার করছে, তারা নিচে এর লাগি কিতা হইছে। আজাদ ভাইর (ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজাদুর রহমান) কথা হইল আমি এখলা খাইলাইতাম। ওই যে ...র লাখান। ... যে সময় টেকা শুরু করে যে সময় ফাইলায়নানি, ইসময় কয় ... কত দিছিল? এখন হই গেছে টেকা আমার কাছে। ... আজাদে কম নিলেও লইছইন ওলা। অখন ছফু ভাইর (ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য) বাসা কিলা কিতা করে ভাইঙা ডুইঙা। এখন তো ছফু ভাইয়েও মামলা আরেকটা করব।
দ্বিতীয়জন: তারা ৫০ হাজার দিছে, হইছে না ইখটায়।
প্রথমজন: তারা পাইছে ২৫ লাখ। ২৫ লাখ টাকার মাঝে তারারে দিছে ৫০ হাজার। আজাদ ভাইয়ে ২৫ লাখ। ৫০ লাখ টাকা বাজারও লাভ হইছে। রনজিত দায় (সংসদ সদস্য রনজিত সরকার) নিছইন ২৫ লাখ। আজাদ ভাইয়েও ২৫ লাখ নানি। তারারে মিনিমাম ১০-১৫ লাখ দিত। তারা দিছে না। তারা মন্ত্রী গ্রুপ, তুমি দিতায়নানি। তাইন দিরা ইনো ৫০ হাজার। মাইর লাগবোনি না লাগত না, আফনে আমারে কইন। এর মাঝে তারা তিন দিন ধরি খালি বিচার বওয়াইছে। শেষ করিলাইন, শেষ করিলাইন, শেষ করিলাইন না। হিতায় কইছে তে আর মাইর কর। তে তুমি মাইর কইছতে মাইনষে কিতা বই থাকবনি। মাইনষের ইজ্জতের বিষয়। ইতায় কইছইন অখন মরলে মরি যাইমু, সমস্যা নাই। মন্ত্রী বাঁচাইলে বাঁচাওকা, না বাঁচাইলে নাই। মন্ত্রী কইছইন তোমরা আর মাইরটাইর লাগাইও না। আমি ... তো ক্লিন ইমেজ। কিন্তু ক্লিন ইমেজ হইয়া অখন যাওয়াটা আমার সমীচীন নয়। আমি যাব, মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব, কালকে আমি একটা জায়গায় গিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব...।
কথোপকথনে নাম আসা ছফু আহমদের বাসায় হামলা হয়েছে কাউন্সিলর আজাদের বাসায় হামলার পরদিন শুক্রবার দুপুরে। তবে ছফু আহমদ কথোপকথনে তার নামটি কে বা কারা, কেন বলেছে, এসব সম্পর্কে অবহিত নন বলে দাবি করেন। শনিবার যোগাযোগ করলে ছফু আহমদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘আজাদ ভাইয়ের বাসায় হামলার নিন্দা জানাই। কিন্তু এর জের ধরে আমার বাসায় হামলার বিষয়টি নানা কথার জন্ম দিচ্ছে।’ তিনি জানান, তার বাসায় হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় তিনি থানায় অভিযোগ দেবেন।
এদিকে, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজাদ কথোপকথনের বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তবে তার বাসায় হামলার জন্য তিনি চিনি চোরাকারবারিদের দায়ী করেন। আজাদ খবরের কাগজকে বলেছেন, ‘এই টিলাগড় দিয়ে সীমান্ত থেকে আনা চোরাই পণ্যসহ চিনি পরিবহন হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি বাধা দিয়েছি। এর জের ধরে হামলা হয়েছে।’
রনজিত বললেন, ‘আমি টাকা খরচ করে এমপি হইনি’
কথোপকথনের বিষয়টি সংসদ সদস্য (সুনামগঞ্জ-১ আসন) রনজিত সরকারের নজরে এনে শুক্রবার রাতেই তার সঙ্গে কথা হয়। সংসদ সদস্যের দাবি, ‘মন্ত্রী গ্রুপ’ বা অন্য কোনো নামে কোনো ধরনের গ্রুপিং সিলেট আওয়ামী লীগে নেই, টিলাগড়েও নেই। কাউন্সিলর আজাদের সঙ্গে তার অনুসারীদের দ্বন্দ্বের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এসব এখন নেই। আজাদ আমার পুরোনো বন্ধু। অনেক পুরোনো সম্পর্ক। আর আমিও সংসদ সদস্য হওয়ায় এখন এখানকার (টিলাগড়) একজন অতিথি মাত্র। সংসদীয় আসন ও জাতীয় সংসদ ভবন ছাড়া তো যাতায়াত নেই। তার বাসায় হামলা হয়েছে শুনে আমি সব কাজ ফেলে ঢাকা থেকে প্লেনে ছুটে এসেছি। আজাদের বাসায় গিয়েছি। এ রকম হামলার ঘটনা প্রশ্রয় দেওয়ার মতো নয়।’
কারা হামলা করেছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা তো দিনের মতো স্পষ্ট। এখানে ছিনতাইকারী, চোরাকারবারি, হেরোইন কারবারিকে রাজনৈতিক প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। বংশগতভাবে সন্ত্রাসের বিস্তার ঘটছে। এখনকার ঘটনা নিয়ে দুই-তিন দশক আগের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ দেখুন। ক্রসফায়ারে কারা মরেছে দেখুন। এরপর প্রশ্ন করুন।’
কথোপকথনে তার নামে ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজাদের নামে ২৫ লাখ করে ৫০ লাখ টাকা ও কথিত মন্ত্রী গ্রুপে ৫০ হাজার টাকার ভাগবাটোয়ারা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সংসদ সদস্য রনজিত কিছুটা মনঃক্ষুণ্ন হন। তিনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমি কী আগের রনজিত নাকি! আর আপনারা কী আমাকে আগের মতো করে দেখছেন? আমি কিন্তু টাকা খরচ করে এমপি হইনি। রাজনীতি করে এমপি হয়েছি। টাকার পেছনে কখনো ছুটিনি। কেউ বলল, আর আপনার লুফে নিলেন, এটা হয় না। আমি টাকা রোজগার করলে রাজনীতি করতাম না, এমপি হতাম না। রাজনীতি করছি মানুষের জন্য। টাকার জন্য না।’
থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহ পরাণ থানায় হামলার ঘটনায় দুটি পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরী। তিনি জানান, এই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের সবাইকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পাল্টাপাল্টি দুটি অভিযোগের একটি থানায় দাখিল করেছেন কাউন্সিলর আজাদ। এতে হামলাকারী ১৪ জনের নাম উল্লেখ করা। অভিযোগে বলা হয়, হামলাকারীরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক কারবারি, ত্রাস সৃষ্টিকারী ও জবর দখলকারী। তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অপকর্ম করায় স্থানীয়রা আমার কাছে বিচার চাইলে আমি তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিই। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করে বাসায় হামলা করে।
এদিকে বাসায় হামলা, চাঁদাবাজি, প্রাণনাশের হুমকি, লুটপাটের ঘটনায় থানায় পাল্টা অভিযোগ দিয়েছেন সিলেট মহানগর যুবলীগের সদস্য শমসের আলী। ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজাদসহ ১৮ জনের নামোল্লেখ করে অভিযোগ করা হয়েছে। এতে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজির অভিযোগও করা হয়। বলা হয়, তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে এসে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে অভিযুক্তরা। চাঁদা না দেওয়ায় ২৭ জুন রাত পৌনে ১২টায় হামলা করে বাসা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালপত্র লুট করে নেওয়া হয়। তারা তার স্ত্রীর বুকে পিস্তল ধরে গলা থেকে এক ভরি ওজনের সোনার চেইন নিয়ে যায়।