![ট্রাম্পের ‘দায়মুক্তি’, ক্ষুব্ধ বাইডেন](uploads/2024/07/03/Trump-1719973190.jpg)
নির্বাচনে হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত কিছু কর্মকাণ্ড থেকে দায়মুক্তি পাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশটির সুপ্রিম কোর্ট গত সোমবার (১ জুলাই) এক রায়ে জানায়, প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ট্রাম্প যা যা করেছেন, সেসবের মধ্য থেকে কিছু কর্মকাণ্ডে তার দায়মুক্তি রয়েছে। তবে সব কর্মকাণ্ড থেকে দায়মুক্তি পাবেন না তিনি।
এর অর্থ হচ্ছে, ২০২০ সালে নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেওয়ার যে মামলা হয়েছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে, সেটি থেকে তিনি রেহাই পাবেন না। তবে সে সময় তার নেওয়া কিছু পদক্ষেপ মামলার ক্ষেত্রে আমলে নেওয়া যাবে না। কারণ প্রেসিডেন্টের মূল দায়-দায়িত্বের সঙ্গে সেসব পদক্ষেপের কিছুটা সম্পৃক্ততা রয়েছে।
রায়টিকে এরই মধ্যে স্বাগত জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি নিজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘সংবিধান ও গণতন্ত্রের জন্য বড় বিজয়। মার্কিনি হিসেবে গর্বিত অনুভব করছি।’ ট্রাম্পের রিপাবলিকান শিবির থেকেও এ রায়কে স্বাগত জানানো হয়েছে। অন্যদিকে ডেমোক্রেটরা এর নিন্দা জানিয়েছেন।
গত সোমবার রাতে হোয়াইট হাউস থেকে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও বিষয়টির সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘এ সিদ্ধান্তটি দেশের জনসাধারণের জন্য ভয়াবহ ক্ষতি। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টও নন। তবে প্রেসিডেন্সিয়াল দায়মুক্তির যে সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্ট দিয়েছেন, তাতে মৌলিকভাবে অনেক কিছুই বদলে গেল। কার্যত সব ক্ষেত্রেই প্রেসিডেন্ট কী করবেন, সেটির কোনো সীমা-পরিসীমা নির্দিষ্ট করা নেই।’
বাইডেন আরও বলেন, ‘এ সিদ্ধান্ত নতুন নীতি ও বিপজ্জনক নজির তৈরি করল। এটির কারণে আইন বা যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাকে সীমাবদ্ধ রাখার সুযোগটি আর থাকল না।’
এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইনজীবীরা অর্থ দিয়ে যৌন কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দেওয়ার মামলা প্রসঙ্গে নতুন অনুরোধ জানিয়েছেন আদালতকে। সোমবারের ওই রায়ের আলোকে কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দেওয়ার মামলাতেও ট্রাম্পের দোষী সাব্যস্ত হওয়াকে বাতিল করতে চাইছেন তারা। পাশাপাশি চলতি মাসে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে সাজা ঘোষণার কথা রয়েছে, সেটিও বিলম্বিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন আইনজীবীরা। তাদের ভাষ্য, ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সিয়াল দায়মুক্তি রয়েছে।
গত মে মাসে ব্যবসায়িক নথিতে তথ্য গোপন করার কারণে ৩৪টি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয় ট্রাম্পকে। আগামী ১১ জুলাই সেটির সাজা ঘোষণার কথা রয়েছে। তার আইনজীবীরা এখন বলছেন, ওই সব রেকর্ডে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে থাকাকালে স্বাক্ষর করেছিলেন, সে বিষয়টি আমলে নেওয়া উচিত।
গত বছরও তার আইনজীবীরা একই ধরনের যুক্তি উত্থাপন করেছিলেন। সে সময় এক কেন্দ্রীয় বিচারক এর জবাবে লিখেছিলেন, ট্রাম্পের এসব কর্মকাণ্ড যে প্রেসিডেন্টের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে তা প্রমাণে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। সূত্র: সিএনএন, বিবিসি