![সৎসঙ্গে পদদলিত হয়ে ১২১ জনের মৃত্যু, কে এই ভোলেবাবা?](uploads/2024/07/03/bholababa-1719981040.jpg)
ভারতের উত্তরপ্রদেশে এখন প্রচণ্ড গরম আবহাওয়া বিরাজমান। আর এই গরমের মধ্য়ে হাথরস জেলায় চলছিল ভোলেবাবার সৎসঙ্গ অনুষ্ঠান। সেই সময় তাঁবুর ভেতরে একেবারে গলদঘর্ম অবস্থা। ফলে সৎসঙ্গ শেষ হতেই হুড়মুড় করে বের হতে শুরু করেন তার অনুসারীরা। এতে পদদলিত হয়ে অন্তত ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) জেলার সিকান্দ্রা রাউ এলাকায় বিশেষভাবে স্থাপিত তাঁবুতে ভোলেবাবার সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে বেঁচে ফিরতে পারেননি অনেকেই।
জানেন কি? কে এই ভোলেবাবা? যার সৎসঙ্গে পদদলিত হয়ে এত এত মানুষের প্রাণ গেল।
বেশিরভাগ সময়ই তাকে সাদা পোশাকে দেখা যায়। নারায়ণ শঙ্কর হরি নামে ডাকা হয় তাকে। প্রায় ১৮ বছর তিনি উত্তরপ্রদেশ পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তরে চাকরি করেছেন। তিনি তার ভক্তদের বলেছিলেন, পুলিশে চাকরি করার সময় তিনি আধ্যাত্মিকতার দিকে ঝুঁকে পড়েন এবং আধ্যাত্মিক পথে চলার জন্য চাকরিতে ইস্তফা দেন।
উত্তরপ্রদেশের ইটাহ জেলার বাহাদুর নাগরি গ্রামের কৃষক নান্নে লাল এবং কাতোরি দেবীর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন ভোলেবাবা। তার আসল নাম সুরজ পাল। তারা দুই ভাই ছিলেন। ইতোমধ্যে একজন মারা গেছেন। গ্রামের স্কুলেই তিনি প্রাথমিক পড়াশোনা শেষ করেছেন। পরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের গোয়েন্দা ইউনিটের হেড কনস্টেবল ছিলেন। ১৯৯৯ সালে তিনি পুলিশের চাকরি ছেড়ে তার নাম পরিবর্তন করে নারায়ণ শঙ্কর হরি রাখেন।
গুরু হিসেবে নারায়ণ শঙ্কর হরির একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি রঙিন পোশাক পরেন না। তিনি সাদা স্যুট টাই পছন্দ করেন। তার অন্য পছন্দের পোশাক হলো কুর্তা-পায়জামা। তার স্ত্রী প্রেম বাতি সাধারণত তার সঙ্গেই থাকেন।
তার ধর্মোপদেশের সময় তিনি বলেন যে, তাকে যে দান করা হয় তার কোনো কিছুই তিনি রাখেন না। পুরোটাই তার ভক্তদের জন্য ব্যয় করেন।
নারায়ণ হরি নিজেকে হরির শিষ্য বলে থাকেন। উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং দিল্লিসহ ভারতজুড়ে তার লাখ লাখ অনুসারী রয়েছে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকেন। কোনো প্ল্যাটফর্মেই তার অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট নেই।
তবে, তার অনুসারীদের দাবি, তৃণমূল স্তরে ভোলেবাবার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি/হিন্দুস্তান টাইমস
অমিয়/