ঢাকা ২১ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

সৎসঙ্গে পদদলিত হয়ে ১২১ জনের মৃত্যু, কে এই ভোলেবাবা?

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১০:৩০ এএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১১:০৩ এএম
সৎসঙ্গে পদদলিত হয়ে ১২১ জনের মৃত্যু, কে এই ভোলেবাবা?
নারায়ণ শঙ্কর হরি ওরফে ভোলেবাবা

ভারতের উত্তরপ্রদেশে এখন প্রচণ্ড গরম আবহাওয়া বিরাজমান। আর এই গরমের মধ্য়ে হাথরস জেলায় চলছিল ভোলেবাবার সৎসঙ্গ অনুষ্ঠান। সেই সময় তাঁবুর ভেতরে একেবারে গলদঘর্ম অবস্থা। ফলে সৎসঙ্গ শেষ হতেই হুড়মুড় করে বের হতে শুরু করেন তার অনুসারীরা। এতে পদদলিত হয়ে অন্তত ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) জেলার সিকান্দ্রা রাউ এলাকায় বিশেষভাবে স্থাপিত তাঁবুতে ভোলেবাবার সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে বেঁচে ফিরতে পারেননি অনেকেই। 

জানেন কি? কে এই ভোলেবাবা? যার সৎসঙ্গে পদদলিত হয়ে এত এত মানুষের প্রাণ গেল।

বেশিরভাগ সময়ই তাকে সাদা পোশাকে দেখা যায়। নারায়ণ শঙ্কর হরি নামে ডাকা হয় তাকে। প্রায় ১৮ বছর তিনি উত্তরপ্রদেশ পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তরে চাকরি করেছেন। তিনি তার ভক্তদের বলেছিলেন, পুলিশে চাকরি করার সময় তিনি আধ্যাত্মিকতার দিকে ঝুঁকে পড়েন এবং আধ্যাত্মিক পথে চলার জন্য চাকরিতে ইস্তফা দেন।

উত্তরপ্রদেশের ইটাহ জেলার বাহাদুর নাগরি গ্রামের কৃষক নান্নে লাল এবং কাতোরি দেবীর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন ভোলেবাবা। তার আসল নাম সুরজ পাল। তারা দুই ভাই ছিলেন। ইতোমধ্যে একজন মারা গেছেন। গ্রামের স্কুলেই তিনি প্রাথমিক পড়াশোনা শেষ করেছেন। পরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের গোয়েন্দা ইউনিটের হেড কনস্টেবল ছিলেন। ১৯৯৯ সালে তিনি পুলিশের চাকরি ছেড়ে তার নাম পরিবর্তন করে নারায়ণ শঙ্কর হরি রাখেন।

গুরু হিসেবে নারায়ণ শঙ্কর হরির একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি রঙিন পোশাক পরেন না। তিনি সাদা স্যুট টাই পছন্দ করেন। তার অন্য পছন্দের পোশাক হলো কুর্তা-পায়জামা। তার স্ত্রী প্রেম বাতি সাধারণত তার সঙ্গেই থাকেন।

তার ধর্মোপদেশের সময় তিনি বলেন যে, তাকে যে দান করা হয় তার কোনো কিছুই তিনি রাখেন না। পুরোটাই তার ভক্তদের জন্য ব্যয় করেন। 

নারায়ণ হরি নিজেকে হরির শিষ্য বলে থাকেন। উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং দিল্লিসহ ভারতজুড়ে তার লাখ লাখ অনুসারী রয়েছে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকেন। কোনো প্ল্যাটফর্মেই তার অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট নেই। 

তবে, তার অনুসারীদের দাবি, তৃণমূল স্তরে ভোলেবাবার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি/হিন্দুস্তান টাইমস

অমিয়/

পঞ্চমবারের মতো জয়ী রুশনারা আলী

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৯ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৯ পিএম
পঞ্চমবারের মতো জয়ী রুশনারা আলী
যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে পঞ্চমবারের মতো জয় লাভ করেছেন চারবারের এমপি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুশনারা আলী। ছবি: খবরের কাগজ

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে পঞ্চমবারের মতো জয় লাভ করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুশনারা আলী।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে লেবার পার্টির টাওয়ার হ্যামলেটসের বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসন থেকে তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮৯৬।

তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী আজমল মাশরুর পেয়েছেন ১৪ হাজার ২০৭ ভোট। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী রাবিনা খান ৪ হাজার ৭৭৭ ভোট হয়েছেন।

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপি রুশনারা আলী। লন্ডনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসের বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসনে ২০১০ সাল থেকে টানা চারবার এমপি নির্বাচিত হন তিনি। 

২০১০ থেকে আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক ছায়ামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন রুশনারা আলী। এরপর তিনি ২০১৩ সালের অক্টোবরে ছায়া শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হন।

রুশনারা আলীর জন্ম সিলেটে। তার বয়স যখন সাত বছর, তখন যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমায় তার পরিবার। তিনি অক্সফোর্ডের সেন্ট জনস কলেজ থেকে দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতিতে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন।

সাদিয়া নাহার/

চতুর্থবারের মতো জয়ী টিউলিপ সিদ্দিক

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০২:৪৭ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫০ পিএম
চতুর্থবারের মতো জয়ী টিউলিপ সিদ্দিক
যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের জয়ী হলেন টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক।ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো জয় পেয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির পক্ষে হ্যাম্পস্টেড এবং হাইগেট আসন থেকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন তিনি। 

বিবিসির নির্বাচনি তথ্য অনুযায়ী, টিউলিপ ২৩ হাজার ৪৩২ ভোট (৪৮.৩ শতাংশ) পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ প্রার্থী ডন উইলিয়ামস ৮ হাজার ৪৬২ (১৭.৪ শতাংশ) ভোট পেয়েছেন। এ আসনে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাতজন।

এর আগে ২০১৫ সালে হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন টিউলিপ। এরপর ২০১৭ ও ২০১৯ সালেও একই আসন থেকে জয়লাভ করেন। 

টিউলিপ সিদ্দিক ১৯৮২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন। ১৫ বছর বয়স থেকে তিনি হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্নে বসবাস করছেন। এই এলাকাতেই তিনি স্কুলে পড়েছেন এবং কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে পলিটিক্স, পলিসি ও গভর্নমেন্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। টিউলিপ সিদ্দিকের মা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ রেহানা।

সাদিয়া নাহার/

যুক্তরাজ্যে নিরঙ্কুশ জয় লেবার পার্টির, প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন স্টারমার

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১০:২৪ এএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:২৬ পিএম
যুক্তরাজ্যে নিরঙ্কুশ জয় লেবার পার্টির, প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন স্টারমার
স্যার কির স্টারমার। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে লেবার পার্টি। এই জয়ে স্যার কির স্টারমার হতে চলছেন যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেবার পার্টি ৩৭২ আসনে জয়ী হয়েছে। অন্যদিকে কনজারভেটিভ পার্টি ৯০টি আসনে এবং লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ৫২টি আসনে জয় পেয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা চলে রাত ১০টা পর্যন্ত।

নির্বাচনে ছোট-বড় মিলিয়ে অন্তত ৯৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। এবারই প্রথম নাগরিকদের পাশাপাশি ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন অভিবাসীরাও।

ফলাফল ঘোষণার পরপরই দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক স্টারমারকে ফোন দিয়ে অভিনন্দন জানান। 

ঋষি সুনাক বলেন, ‘লেবার পার্টি নির্বাচনে জিতেছে। আমি স্যার কির স্টারমারকে অভিনন্দন জানাতে ফোন করেছি। শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে।’

লেবার পার্টির নেতা কির স্টারমার হলবন ও সেন্ট প্যানক্রাস আসনে জয়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘পরিবর্তন  শুরু হয়েছে। এখন আমাদের দেওয়ার সময়।’ 

নির্বাচনে হেরে টানা ১৪ বছর শাসনের অবসান হলো কনজারভেটিভ পার্টির।

আগামী ৯ জুলাই নতুন পার্লামেন্ট সদস্যদের শপথগ্রহণ ও স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ১৭ জুলাই রাজা তৃতীয় চার্লসের উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে নতুন সরকারের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে। সূত্র: বিবিসি

সাদিয়া নাহার/

এবার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব হামাসের

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১০:১১ এএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১০:২০ এএম
এবার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব হামাসের
ছবি: সংগৃহীত

মধ্যস্থতাকারীদের কাছে নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব দিয়েছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।

ওই প্রস্তাবে হামাসের হাতে থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ জানিয়েছে, তারা চুক্তি খতিয়ে দেখছে।

এদিকে ইসরায়েলি জিম্মিদের পরিবার বলছে, তাদের সরকার হামাসের চুক্তি মেনে না নিলে লাখো মানুষ সেটির প্রতিবাদ করবে।

মোসাদ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিজেদের উত্তর মধ্যস্থতাকারীদের জানাবে তারা।

আল-জাজিরার প্রতিবেদন বলছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্ভাব্য ওই যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার সঙ্গে আলোচনা করবেন। নেতানিয়াহু সরকারের এক সূত্র জানায়, মন্ত্রিসভা বৈঠকের আগে নেতানিয়াহু তার দলের সঙ্গেও পরামর্শ করবেন।

হামাস জানিয়েছে, এটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির একটি চুক্তি। কাতার, মিসর ও তুরস্কের মধ্যস্থতাকারীদের নিজেদের পরিকল্পনা জানিয়েছে তারা।

সম্প্রচারমাধ্যম চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের পরিবারের কিছু সদস্যের সঙ্গে কথা বলেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ট। স্বজনদের ফিরিয়ে আনতে অন্যান্য চুক্তির চেয়েও ফলপ্রসূ একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে বলে জিম্মি পরিবারের সদস্যদের আশ্বস্ত করেছেন গ্যালান্ট। 

ইসরায়েলের সম্প্রচার মাধ্যম কান-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অগ্রগতি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) শেষভাগের দিকে নেতানিয়াহু ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ফোনালাপ হওয়ার কথা রয়েছে।

নতুন করে যুদ্ধ বিরতির আলোচনাটি এমন একটি সময়ে সামনে আসল যখন গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর দক্ষিণ খান ইউনিসে ইসরায়েল নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে। যেখানে আনুমানিক ২ লাখ ৫০ হাজার ফিলিস্তিনিকে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে ইসরায়েল।

বৃহস্পতিবার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের কাছে একটি পাঁচতলা ভবনে ইসরায়েলি হামলায় সাত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের বিদ্যুৎ জেনারেটরগুলো জ্বালানির অভাবে অকার্যকর হয়ে যাবে। গাজায় ইউরোপীয় হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করার পর নাসের হাসপাতাল একমাত্র হাসপাতাল যা খান ইউনিস ও রাফায় হামলায় আহতদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে। মন্ত্রণালয়টি হাসপাতালের জেনারেটরগুলো পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি সরবরাহ করতে সমস্ত আন্তর্জাতিক ও মানবিক সংস্থাগুলোকে জরুরিভাবে হস্তক্ষেপ করার জন্য অনুরোধ করেছে।

উত্তেজনা বাড়ছে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে
গত বুধবার (৩ জুলাই) দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহ কমান্ডার মোহাম্মদ নাসের নিহত হয়েছেন। ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার লেবানন থেকে ইসরায়েলি সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে ২০০টিরও বেশি রকেট নিক্ষেপ করেছে হিজবুল্লাহ। ক্রমাগত গোলাবর্ষণ ও ড্রোন হামলার মুখে উত্তর ইসরায়েলের শহর ও জনবসতিতে ২০ মিনিটের মধ্যে অন্তত সাতবার সাইরেন বাজানো হয়। ইসরায়েলি সিভিল ডিফেন্স সার্ভিস এখন পর্যন্ত কোনো আহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর জানায়নি।

ইসরায়েলি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম জানিয়েছে, লেবানন থেকে রকেট হামলায় সতর্কতামূলক সাইরেনের পরে দুই নারীকে হালকা আহত অবস্থায় উত্তর ইসরায়েলের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সূত্র: আল-জাজিরা

ফ্রান্সে অতি ডানপন্থি দল কেন নির্বাচনে এগিয়ে

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫৫ এএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫৫ এএম
ফ্রান্সে অতি ডানপন্থি দল কেন নির্বাচনে এগিয়ে
ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রথম রাউন্ডে এগিয়ে ডানপন্থী দল ন্যাশনাল র‍্যালির (আরএন) মারিন লে পেন

ফ্রান্সে গত রবিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের প্রথম দফায় ৩৩ শতাংশ ভোট নিয়ে এগিয়ে আছে অতি ডানপন্থি দল ন্যাশনাল র‍্যালি (এনআর)।

২৮ শতাংশ ভোট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ফ্রান্সের বামপন্থি জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট (এনপিএফ)। আর ২১ শতাংশের কাছাকাছি ভোট নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর দল।

সংসদের নিয়ন্ত্রণ যাতে ডানপন্থিদের হাতে চলে না যায়, তাই ফ্রান্সের মধ্যপন্থি ও বামপন্থি দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মাখোঁ। আগামী রবিবার দ্বিতীয় দফার ভোটে নিশ্চিত হবে অনেক কিছুই। জানা যাবে- কে আসতে চলেছেন ক্ষমতায়?

প্রশ্ন হলো ফরাসিদের অতি ডানপন্থি এনআর নির্বাচনের প্রথম দফায় কীভাবে এত ভোট পেল? কেন মানুষ তাদের সমর্থন করছে?

ভোট দেওয়ার আগে ভোটারদের বিবেচনায় নেওয়া বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে- জীবনযাত্রার ব্যয়সংক্রান্ত সংকট, যা তাদের ক্রয় ক্ষমতাকে প্রভাবিত করছে। পাশাপাশি বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসুবিধা নিয়ে অনিশ্চয়তা ও ক্রমবর্ধমান অপরাধ নিয়েও শঙ্কিত ফরাসিরা। তারা এ বিষয়গুলোকে ‘নিরাপত্তাহীনতা’ বলে উল্লেখ করছে।

সামগ্রিকভাবে ফ্রান্সের অর্থনীতি ভালো হলেও প্রধান শহর থেকে দূরে বসবাসরত মানুষরা মনে করছেন, তারা উপেক্ষিত, কারণ সব তহবিল ও মনোযোগ শুধু শহরগুলোকে ঘিরে।

ফ্রান্সের কিছু স্থানে বেকারত্বের হার অনেক বেশি। এটির হার ২৫ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে বলে মনে করা হয়। দেশটির অনেকের জন্য আবাসন ব্যবস্থা বেশ ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে। বরাদ্দ সংকুচিত করার কারণে কোনো কোনো এলাকার স্কুলগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়া স্থানীয় স্বাস্থসেবা কেন্দ্রগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই বিরক্ত।

অধ্যাপক থমাস পিকেটি সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেন, উপেক্ষিতরাই ডানপন্থিদের দিকে ঝুঁকছেন।

পিকেটি নিজের লেখা এক বইয়ে জানান, ছোট শহরগুলোর শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং পরিষেবা পেতে জনসাধারণকে ভোগান্তির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে; ট্রেন লাইনগুলো বন্ধ হয়ে গেছে, হাসপাতালগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। বড় শহরগুলো থেকে দূরে থাকলেও আপনার শিশুদের শিক্ষিত করা কঠিন।’

এ ছাড়াও এনআর-এর অভিবাসীবিরোধী অবস্থানও অনেকের নজর কেড়েছে। ফ্রান্সের অনেকেই এখন অভিবাসী ইস্যুটি নিয়ে উদ্বিগ্ন। সূত্র: বিবিসি