ঢাকা ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪

কুড়িগ্রামের বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাবা ছেলেসহ ৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৫ এএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৩:১৫ পিএম
কুড়িগ্রামের বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাবা ছেলেসহ ৩ জনের মৃত্যু

কুড়িগ্রামের দুই উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাবা ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

রবিবার (৩০ জুন) সন্ধ্যায় পৃথক দুটি ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের অর্জুনলাল মসজিদ এলাকার আবু তাহের (৫৫) ও তার ছেলে রাসেল মিয়া (১৮) বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা যান।

অন্যদিকে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙা ইউনিয়নের খিতাবখাঁ পূর্বটারী গ্রামের মৃত বাবর আলী ছেলে আবুল কালাম আজাদ বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান।

পরিবার ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে দলদলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী জানান, সন্ধ্যায় বৈদ্যুতিক সংযোগ বোডের কাজ করার সময় ছেলে রাসেল মিয়া বির্দ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এ সময় তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যান বাবা আবু তাহের। পরে বাবা ছেলে দুজনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। 

উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা বলেন, খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তারা তথ্য সংগ্রহ করছে। এ ঘটনায় আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান জানান, বিকেলে বাড়িতে ব্যাটারীচালিত অটোরিক্সায় চার্জ দেওয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত হয় আবুল কালাম আজাদ। তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

গোলাম মওলা/জোবাইদা/অমিয়/

১৩ কে‌জির একটি পাঙাশ ১৮ হাজারে কিন‌ল পু‌লিশ

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১০:০৬ এএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১০:০৭ এএম
১৩ কে‌জির একটি পাঙাশ ১৮ হাজারে কিন‌ল পু‌লিশ
ছবি : খবরের কাগজ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপু‌রে যমুনা নদী‌তে জে‌লের জা‌লে ধরা প‌ড়া ১৩ কে‌জি ওজ‌নের একটি পাঙাশ মাছ ১৮ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত সোমবার বি‌কে‌লে উপ‌জেলার গো‌বিন্দাসী বাজা‌র থেকে মাছ‌টি কিনে নেন ভূঞাপুর থানার সহকা‌রী উপ‌প‌রিদর্শক (এএসআই) মঞ্জুরুল ইসলাম।  

জানা গে‌ছে, উপ‌জেলার খানুরবা‌ড়ি এলাকার বিমল হালদার বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় যমুনা নদী‌তে জাল ফে‌লেন। প‌রে তার জা‌লে বিশালাকৃ‌তির পাঙাশ মাছ‌টি আট‌কে যায়। তি‌নি মাছ‌টি বি‌ক্রির জন‌্য গো‌বিন্দাসী বাজা‌রে বাবলু হালদা‌রের মাছের আড়‌তে নি‌য়ে যান। 

মাছ ব‌্যবসায়ী হা‌লিম বলেন, ‘বিমল হালদারের কাছ থেকে মাছ‌টি ১৫ হাজার টাকায় কিনি। প‌রে মাছ‌টি এক পু‌লিশ সদস্যের কা‌ছে ১৮ হাজার টাকায় বি‌ক্রি ক‌রেছি।’

ভূঞাপুর থানার এএসআই মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘মা‌ছের পাইকার বলার পর পাঙাশ মাছ‌টি নি‌য়ে‌ছি। ত‌বে কত দি‌তে হ‌বে এখনো ব‌লে‌ননি।’

রাঙামাটিতে পাহাড়ধসের শঙ্কায় মাঠে প্রশাসন

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫১ এএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫১ এএম
রাঙামাটিতে পাহাড়ধসের শঙ্কায় মাঠে প্রশাসন
ছবি : খবরের কাগজ

এখন মধ্য আষাঢ়। প্রকৃতি রং বদলে হয়ে উঠেছে সবুজ-সজীব। কিন্তু আকাশের কালো মেঘ শঙ্কা আর ভীতি বাড়াচ্ছে রাঙামাটির পাহাড়ের পাদদেশে নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ বসতিতে। মাত্র ৭ বছর আগে ২০১৭ সালের ১৩ জুন ভারী বৃষ্টিপাতে পাহাড়ধসে পাঁচ সেনাসদস্যসহ ১২০ জন এবং ২০১৮ সালের ১২ জুন নানিয়ারচরে ১১ জনের প্রাণহানি ঘটে। সে ভয়াল স্মৃতি এখনো চোখের সামনে ভেসে উঠে রাঙামাটির মানুষের।

অথচ বৃষ্টির অভাবে গেল কয়েক মাস কাপ্তাই হ্রদে দেখা দেয় পানিস্বল্পতা। হ্রদের ওপর নির্ভরশীল বিদ্যুৎ উৎপাদন, মৎস্য উৎপাদন, নৌ-যোগাযোগ ঠেকে তলানিতে। আর এখন টানা পাঁচদিনের হালকা-ভারী সেই বৃষ্টিতেই রাঙামাটিতে যেন নেমে এসেছে স্থবিরতা। পাহাড়ধসের শঙ্কা আর হ্রদের পাহাড়ি ঢলের কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায়ও ঘটছে ছন্দপতন।

তবে এবারের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পাহাড়ধসের আশঙ্কায় শহরের ৩১টি এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের জন্য ২৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এ ছাড়া সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য খোলা হয়েছে একটি কন্ট্রোল রুম। তবে আগ্রহ নেই ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের। তাদের অনেকে বলছেন, ঘরবাড়ি-আসবাবপত্র, মূল্যবান সম্পদ ও গবাদিপশু চুরির ভয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে তারা যেতে চাইছেন না। 

শহরের শিমুলতলি, রূপনগর, ভেদভেদী, কল্যাণপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি বেড়েছে। এসব বসতি নির্মাণ রোধে দৃশ্যত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তবে দুর্যোগকালীন ক্ষয়ক্ষতি কমাতে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন আর জনসচেতনতা বাড়ানোর জোর জেলা প্রশাসনের। এর বাইরে জেলার আরও ৯টি উপজেলায় পাহাড়ধসের আশঙ্কায় উপজেলা প্রশাসন নজরদারি, মাইকিং ও অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করে পরিস্থিতিকে নজরে রাখছে। সব মিলিয়ে জেলায় ২৬৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

এদিকে অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি ঢলে কাসালং ও মাইনী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে দীঘিনালা-সাজেক সড়কের কবাখালী, গঙ্গারাম, মাসালং ও বাঘাইহাটে সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সাজেকের সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে ফিরতে না পারায় সাজেকে আটকা পড়েছেন শতাধিক পর্যটক। এ ছাড়া বাঘাইছড়ির বেশ কয়েকটি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে উপজেলার বারবিন্দু ঘাট, মাস্টারপাড়া, পশ্চিম মুসলিম ব্লক, উপজেলা সদর, লাইল্যা ঘোনা, এফ ব্লক, রূপকারি ও পুরাতন মারিশ্যা গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে খোলা হয়েছে ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র।

এই পরিস্থিতিতে স্থানীয়রা বাঘাইছড়িতে বন্যার আশঙ্কা করছেন। এরই মধ্যে দুর্ভোগে পড়েছেন অসংখ্য মানুষ। গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, বৃদ্ধ মানুষ ও রোগীদের নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে উঠতে শুরু করেছেন। বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আকতার জানিয়েছেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আর পানি সরে গেলে সাজেকে আটকাপড়া পর্যটকরা ফিরতে পারবেন।

বৃষ্টির কারণে জেলার বিভিন্ন স্থানে সড়কের পাশে ও পাহাড়ের একাংশে ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে এখন পর্যন্ত (মঙ্গলবার রাত ৯টা) কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে জেলার বরকল, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি উপজেলায় নিম্নাঞ্চলও ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। 

চোখ রাঙাচ্ছে সাঙ্গু, বন্যা আতঙ্কে সাতকানিয়াবাসী

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩৭ এএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩৭ এএম
চোখ রাঙাচ্ছে সাঙ্গু, বন্যা আতঙ্কে সাতকানিয়াবাসী

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ইতিহাসে গত বছরের স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার রেশ না কাটতেই আবার চোখ রাঙাচ্ছে বন্যা। পাহাড়ি ঢলে সাঙ্গু নদীর পানি ক্রমশ বাড়ছে। সাঙ্গু নদীর পানি এখনো বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। তবে শাখা খালগুলোর পানি উপচে প্লাবিত হচ্ছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়ার কেরানিহাট এলাকাসহ নিম্নাঞ্চল। টানা বর্ষণ ও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত রবিবার রাত থেকে পাহাড়ি ঢল ও প্রবল বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন নদী ও খালের পানি বাড়ার পাশাপাশি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, হাঙ্গর খালের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি এলাকার লোকালয়ে ঢুকছে। এ ছাড়াও পাহাড়ি ঢলের পানি কেরানিহাট-বান্দরবান মহাসড়কের দস্তিদার হাট অংশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকলে উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে দেখা দিতে পারে ভয়াবহ বন্যা।

সাঙ্গু নদীর বাজালিয়া অংশের চৌধুরী পাড়ার বাঁধটির কাজ অসম্পূর্ণ থেকে যাওয়ায় জনমনে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কয়েক দফা বরাদ্দের পরও বাঁধটির কিছু অংশ অসম্পূর্ণ থেকে যাওয়ায় বন্যা আতঙ্কে দিন পার করছেন স্থানীয়রা। গত বছরগুলোতে এ বাঁধ দিয়ে নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে বন্যা দেখা দেয়। সাঙ্গুর পানি লোকালয়ে প্রবেশ ঠেকাতে বাঁধটির কাজ সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

বাজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাপস কান্তি দত্ত বলেন, ‘পাহাড়ি ঢলে সাঙ্গু নদীতে ভেসে আসা জ্বালানি কাঠ সংগ্রহে ব্যস্ত লোকজনকে সতর্ক করা হচ্ছে। এ ছাড়াও নদীর তীরে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ও সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য খাবারেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত ইবনে সাহীদ বলেন, ‘সাঙ্গু নদীর পানি এখনো বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। তবে শাখা খালগুলোর পানি উপচে নিচু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।’

পরীক্ষায় অংশ নিতে ২২ শিক্ষার্থীর মানববন্ধন

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩৩ এএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩৩ এএম
পরীক্ষায় অংশ নিতে ২২ শিক্ষার্থীর মানববন্ধন

টাঙ্গাইলের ভূঞাপু‌রে ক‌লেজ কর্তৃপ‌ক্ষের অব‌হেলায় এইচএস‌সি পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারা শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ক‌রে‌ছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দি‌কে উপ‌জেলার নিকরাইল শম‌সের ফ‌কির ডিগ্রি ক‌লে‌জের পরীক্ষা ব‌ঞ্চিত ২২ জন শিক্ষার্থী এই মানববন্ধন ক‌রে। এ সময় তারা শিক্ষক লোকমান হো‌সেনের ব‌হিষ্কারও দাবি ক‌রে। মানববন্ধন শেষে বি‌ক্ষোভ মি‌ছিল বের ক‌রে শিক্ষার্থীরা। এদি‌কে ওই ক‌লে‌জের বাংলা বিভা‌গের শিক্ষক লোকমান হোসেন‌কে সাম‌য়িক ব‌হিষ্কার করেছে ক‌লেজ কর্তৃপক্ষ।

পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারা পরীক্ষার্থীরা জানায়, ক‌লেজ কর্তৃপ‌ক্ষের চা‌হিদা অনুযায়ী ফরম পূরণের টাকা দি‌তে পারেনি তারা। প‌রে ওই ‌শিক্ষক লোকমান হোসেনের মাধ‌্যমে কম টাকায় ফরম পূরণ করে। কিন্তু পরে ক‌লে‌জের অধ‌্যক্ষ বো‌র্ডে তা‌দের ২২ জ‌নকে প্রবেশপত্র না দি‌তে অভিযোগ দেয়। এতে পরীক্ষা থে‌কে ব‌ঞ্চিত হয়েছে তারা। প‌রে শিক্ষক লোকমানও এই বিষ‌য়ে কোনো সুরাহা করেন‌নি। 

শম‌সের ফ‌কির ডিগ্রি ক‌লে‌জের ভারপ্রাপ্ত অধ‌্যক্ষ মো. আক্তারুজ্জামান জানান, শিক্ষার্থী‌রা পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার দাবি‌তে কলেজে ও পরীক্ষা কে‌ন্দ্রের সাম‌নে মানববন্ধন ক‌রে‌ছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ক‌লে‌জ শিক্ষক লোকমান হো‌সেন‌কে সাম‌য়িক ব‌হিষ্কার করা হ‌য়ে‌ছে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ জানান, অবৈধভাবে ফরম পূরণের কারণে ওই ২২ জনের আবেদন বাতিল করেছে শিক্ষাবোর্ড। তা ছাড়া জড়িত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কলেজ পরিচালনা কমিটি। তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে।

বাবার লাশ বাড়িতে রেখে পরীক্ষা দিল আইরিন

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৯:২৮ এএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৯:২৮ এএম
বাবার লাশ বাড়িতে রেখে পরীক্ষা দিল আইরিন

বাবার লাশ বাড়িতে রেখে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ফারহানা আক্তার আইরিন। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার খিলবাইছা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এ বছর মানবিক বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে উপজেলার জাহানাবাদ গ্রামের আনোয়ার হোসেন মিলনের মেয়ে আইরিন।

এর আগে গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় পালের হাট বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে আইরিনের বাবা আনোয়ার হোসেন মিলন (৪৫) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে তার পরীক্ষা ছিল। তাই নিরুপায় হয়ে বাবার লাশ বাড়িতে রেখে স্বজনদের সহায়তায় লক্ষ্মীপুর পৌর আইডিয়াল কলেজকেন্দ্রে যথারীতি হাজির হয় আইরিন। সকাল ১০টা থেকে পৌনে ১২টা পর্যন্ত পরীক্ষায় অংশ নেয় সে।

স্বজনরা জানান, আইরিনের বাবা আনোয়ার হোসেন মিলন লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মচারী ও সদর উপজেলার জাহানাবাদ নোয়া বাড়ির সেকান্দর মিয়ার ছেলে। সোমবার রাত সাড়ে ১০টার সময় পালের হাট থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে হার্ট অ্যাটাক করে মারা যান। এ সময় স্থানীয় লোকজন লাশ বাড়িতে নিলে পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
 
লক্ষ্মীপুর আইডিয়াল কলেজকেন্দ্রের সহকারী সচিব মো. হাবীবুর রহমান সবুজ জানান, পরীক্ষাকেন্দ্রে আইরিনকে সব রকমের মানসিক সান্ত্বনা ও সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে।