![ওকালতনামায় স্বাক্ষর দেননি শিলাস্তি](uploads/2024/05/25/silisri-1716621361.jpg)
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে খুনের উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামির আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার (২৪ মে) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথির আদালত এই রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ডে নেওয়া দুই আসামি শিমুল ভূঁইয়া ও তানভীর ভূঁইয়ার সঙ্গে ছিলেন শিলাস্তি রহমান। এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান। আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
শুনানির শুরুতে শিলাস্তির কাছে এক আইনজীবী ওকালতনামায় সই নিতে যান। তখন শিলাস্তি হাউমাউ করে আদালতে কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন, ‘আমি ওকালতনামায় স্বাক্ষর দেব কেন? আমি কীভাবে আসামি হলাম? আমি শুধু ওই বাসায় ছিলাম। তা ছাড়া কিছুই জানি না।’ অভিযুক্ত শিলাস্তির ওকালতনামায় স্বাক্ষর না করায় তার রিমান্ড বাতিলের বিষয়ে শুনানি হয়নি। পরে আদালত তাদের আট দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে বেলা সোয়া ২টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় আসামিদের। আসামি শিলাস্তি বলেন, ‘আমাকে এখানে কেন আনা হয়েছে, আমি জানতে চাই। আমাকে বলেছে সাক্ষী দিয়ে চলে যাবা। আমি কিছু জানি না।’
শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, আদালতে শিলাস্তিকে হাজির করার সময় পুলিশের গাড়ি থেকে নামানোর পর তিনি মুখ ঢাকেন ও মাথা নিচের দিকে নামিয়ে রাখেন। ভিড়ের মধ্যে তিনি মুখ লুকান ডিবির কর্তব্যরত এক নারী সদস্যের কাঁধে। এ সময় তাকে মুখে মাস্ক পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়। তাকে খুব সহজে শনাক্ত করা যাচ্ছিল না।
সংসদ সদস্য আনারকে নৃশংসভাবে খুন করার ঘটনায় শিলাস্তির নাম উঠে আসে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র বলছে, শিলাস্তি এ হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামান শাহীনের গার্লফ্রেন্ড। শাহীন যুক্তরাষ্ট্রের সিটিজেন এবং তার পরিবার যুক্তরাষ্ট্রেই থাকে। তবে তিনি মাঝেমধ্যেই বাংলাদেশে এলে শিলাস্তিকে নিয়ে কলকাতায় প্রমোদভ্রমণে যেতেন। সেখানে কিছুদিন থেকে ফের দেশে চলে আসতেন। তাদের দুজনের মধ্যে কয়েক বছর ধরেই প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।
জানা যায়, ২০ বছরের তরুণী শিলাস্তির বাড়ি টাঙ্গাইলে। ঢাকার উত্তরার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী তিনি। উত্তরাতেই একটি মেস বাসায় তিনি থাকেন। গ্রেপ্তারের পর জানা যায়, শিলাস্তি ছাড়াও সিলভিয়া, সিলিস্তা ও সেলেস্তি নামেও পরিচিত তিনি।
শিলাস্তির কাছ থেকে একটি কালো রঙের ভ্যানিটি ব্যাগ জব্দ করেছে পুলিশ। ব্যাগে ছিল দুটি সবুজ রঙের পাসপোর্ট। পাসপোর্ট দুটির নম্বর এআইবি ২০২৬৩১ এবং ইএ০৮৪৮৪৯৩। এ ছাড়া ছিল রেড-মি নোট ৯৫ মোবাইল ফোন, যার আইএমইআই নম্বর-১:৮৬৪৮৫০০৪৯৮৮৯৭০৫, ইএমইআই-২: ৮৬৪৮৫০০৪৯৯৭৮৭০৬।