![তুরস্কের সামরিক ব্যয় ২০২৩ সালে ৩৭ শতাংশ বেড়েছে](uploads/2024/04/25/1714024351.turkish.jpg)
২০২৩ সালে তুরস্কের সামরিক ব্যয় আগের বছরের তুলনায় ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। সংঘর্ষ ও প্রতিরক্ষাবিষয়ক শীর্ষস্থানীয় সংস্থা স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট বা এসআইপিআরআইয়ের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে। খবর ডেইলি সাবাহর।
এসআইপিআরআইয়ের বরাত দিয়ে তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, ২০২৩ সালে দেশটির সামরিক ব্যয় ১ হাজার ৫৮০ কোটি (১৫ দশমিক ৮০ বিলিয়ন) ডলারে (৫১ হাজার ৩৬৭ কোটি লিরা) পৌঁছেছে। এটি ২০২২ সালের ১ হাজার ৬০ কোটি (১০ দশমিক ৬০ বিলিয়ন) ডলারের তুলনায় বেশি। এর আগে ২০২২ সালে দেশটির সামরিক ব্যয় টানা তৃতীয় বছরের মতো কম হয়েছিল।
এসআইপিআরআই জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার অবনতি হওয়ায় ২০২৩ সালে বৈশ্বিক সামরিক ব্যয় ৭ শতাংশ বেড়েছে। এই সময়ে বিশ্বের ব্যয় হয়েছে ২ দশমিক ৪৩ ট্রিলিয়ন ডলার, যা ছিল ২০০৯ সালের পর সর্বোচ্চ।
এসআইপিআরআইয়ের নতুন ওই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২৩ সালের সামরিক ব্যয় তুরস্ককে এক স্তর ওপরে তথা বিশ্বের ২২তম স্থানে তুলে এনেছে। ২০১৪ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে দেশটির সামরিক খাতের ব্যয় ৫৯ শতাংশ বেড়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, তুরস্ক গত বছর তার মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১ দশমিক ৫০ শতাংশ সামরিক ব্যয়ে বরাদ্দ দিয়েছে। ২০২২ সালে এই ব্যয় ছিল দেশটির জিডিপির ১ দশমিক ১৫ শতাংশ।
এসআইপিআরআইয়ের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী সামরিক ব্যয়ের প্রায় দশমিক ৬০ শতাংশ ছিল তুরস্কের।
ডেইলি সাবাহ বলেছে, বছরের পর বছর বিনিয়োগের মাধ্যমে গত দুই দশকে তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। এই অগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি ছিল, পশ্চিমা অস্ত্রের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনা। এই উদ্যোগটি বিভিন্ন ধরনের স্থানীয় বিমান, স্থল ও জলযান প্ল্যাটফর্মের উন্নয়নকে উৎসাহিত করেছিল, যার ফলে ২০০০ সালের গোড়ার দিকের প্রায় ৮০ শতাংশ থেকে কমিয়ে, বর্তমানে পশ্চিমা অস্ত্রের ওপর তুরস্কের বৈদেশিক নির্ভরতা প্রায় ২০ শতাংশে আনতে সাহায্য করেছে।
দেশটি ২০০২ সাল থেকে এমন একটি স্তরে পৌঁছেছে, যেখানে তুরস্ক প্রায় ১৭০টি দেশে ২৩০টিরও বেশি প্রতিরক্ষা পণ্য বিক্রি করেছে। ২০২৩ সালে রপ্তানি ৫৫০ কোটি (৫ দশমকি ৫০ বিলিয়ন) ডলারের রেকর্ড গড়েছে।
এসআইপিআরআই অনুসারে, ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়া শীর্ষ সামরিক ব্যয়কারী ছিল। এর মধ্যে রাশিয়ার ব্যয় আনুমানিক ২৪ শতাংশ বেড়ে ১০৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ইউক্রেনের ব্যয় ৫১ শতাংশ বেড়ে ৬৫ বিলিয়ন হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে কমপক্ষে ৩৫ বিলিয়ন সামরিক সহায়তা পেয়েছে ইউক্রেন।
সম্মিলিতভাবে এই সাহায্য এবং ইউক্রেনের নিজস্ব সামরিক ব্যয়, রাশিয়ার সামরিক ব্যয়ের প্রায় ৯১ শতাংশের সমান।